পেশাদারি ও ব্যবসায়িক কর্মোন্নতি ও ধনাগম যোগ। শারীরিক সমস্যায় মানসিক অশান্তিভোগ। আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে ‘ঋতুচর্যা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেক ঋতুতে একজন ব্যক্তির কোন কোন কর্ম পালনীয় ও কী কী বর্জনীয় সেই সম্পর্কে নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ রয়েছে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে। বর্তমানে গ্রীষ্মের দাবদাহ ও ঘামের ফলে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। তাপপ্রবাহের ফলে বিবিধ শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। ঠিক এই সময় আয়ুর্বেদের গ্রীষ্ম ঋতুচর্যার সাধারণ কিছু বিধি মেনে চললে সুস্থ স্বাভাবিক থাকা সম্ভব। আচার্য বাগভট মতে, গ্রীষ্মের রুক্ষ আবহাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শরীরের জলীয় অংশে। ফলে কফ ধাতুর ক্ষয় হয় এবং বাতদোষ বৃদ্ধি পায়। এই সমস্যা দূরে রাখতে পারে বেশ কিছু সুঅভ্যেস।
গ্রীষ্মকালীন হিতকারক আহার তালিকা—
সহজপাচ্য, মধুর রস প্রধান, লঘু ও শীত গুণসম্পন্ন আহার শরীর ও মনের পক্ষে হিতকারক। পাতে রাখুন শালি ধানের চাল, গো দুগ্ধ, ঘি, পটল, কুমড়ো, সজনে, মুগ, ডাবের জল, যাবতীয় মরশুমি ফল।
অহিতকারক আহার তালিকা—
এই সময় প্রধানত উষ্ণ ও গুরুপাক খাদ্যদ্রব্য এড়িয়ে চলাই ভালো। অতিরিক্ত কটু, লবণ, অম্লরস যুক্ত আহার সেবন নৈব নৈব চ।
দই অপেক্ষা ঘোল এই ঋতুতে অধিক কার্যকরী। কারণ দই দ্রব্যগুণে গুরু হওয়ায় পাচকাগ্নির স্বাভাবিক কর্মকে বিঘ্নিত করে। অন্যদিকে ঘোল সুপাচ্য।
গ্রীষ্মকালীন সাধারণ সমস্যা ও তার প্রতিকার:
অতিরিক্ত তাপের কারণে হিট স্ট্রোক, ক্লান্তিবোধ, ঘন ঘন তৃষ্ণা, বদহজমইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এমন ক্ষেত্রে সরাসরি রোদ্র ও তাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
শীতল ও পর্যাপ্ত জল পান, দিনের বেলা খানিকক্ষণ বিশ্রাম শরীর ও মনের পক্ষে স্ফূর্তিদায়ক।
মাথা ঠান্ডা রাখতে: চুলের অন্যতম রসায়ন ও বহুল ব্যবহৃত ঔষধি হলো ভৃঙ্গরাজ। তেলটি কটু, তিক্ত রসধর্মী। পিত্ত ও শ্লেষ্মানাশক। তাই ভৃঙ্গরাজসমৃদ্ধ তেল চুলের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা রাখতেও কাজে আসে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মী তিক্ত-কষায় রসপ্রধান, শীতগুণসম্পন্ন ও কফবাত শামক, মেধ্য ভেষজ হওয়ায় ব্রাহ্মী তৈল মস্তিষ্কের একাগ্রতা, প্রসন্নতা ও স্থিরতা বজায় রাখতে অদ্বিতীয়।
ত্বকের যত্নে: স্নানের আগে ত্বকের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে চন্দন, কুমকুম ইত্যাদির লেপ ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ট্যান পড়া প্রতিরোধ হবে। শরীর সুস্থ থাকবে।