Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বা আরও বেশি দিন ধরে। যেমন ধরুন, ১৭৮৮ সালে ক্রিসমাস পড়েছিল এক বৃহস্পতিবার। ক্যালকাটা গেজেট পত্রিকা খবর দিচ্ছে যে, টাউন কলকাতার উৎসবের আরম্ভ হয়েছিল আগের সোমবার থেকেই। বড়লাটের দেওয়া বল ডান্স ও ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু। লাটভবনের সেই অনুষ্ঠানে আপ্যায়িত শহরের বিশিষ্ট পুরুষ ও মহিলারা ছাড়াও শহরের বাকি শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের চেহারায় উৎসবের আনন্দ সহজেই ধরা পড়ছিল। সেই আনন্দ আরও খানিকটা উপভোগ করার জন্য দু’জন সম্ভ্রান্ত মহিলা নিজেদের বিলেতে ফিরে যাওয়ার তারিখও পিছিয়ে দিয়েছিলেন! 
তারও আগের দশকে শহরের শেরিফ ম্যাক্রাবি সাহেব তাঁর জার্নালে লিখেছেন যে, গভর্নরের বদান্যতায় ব্রেকফাস্ট, ডিনার ও সাপার— তিন বেলা ভোজের আয়োজন ছিল কলকাতার বড়দিনের বড় উদযাপনে। গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য থেকে শুরু করে বিচারপতি, বাণিজ্য পর্ষদের কর্তারা, ধর্মযাজক, বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের কর্তা ব্যক্তি— সকলে সেই ভোজে উপস্থিত একে অপরকে ‘মেরি ক্রিসমাস’ জানাতেন। ম্যাক্রাবি খেয়াল করেছিলেন, এটি ছিল উৎসবের প্রথম পর্ব। কারণ দ্বিতীয় পর্বটি পালিত হতো পয়লা জানুয়ারি বা নিউ ইয়ার্স ডে-তে। রাত পার হয়ে পরের দিন পর্যন্ত চলতে থাকা সেই অনন্ত উদযাপনে গা ভাসাতেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির স্ত্রী লেডি চেম্বার্স থেকে কোম্পানির সেনাবাহিনীর কর্তা কর্নেল পিয়ার্স। উৎসবে একটি অবশ্য পালনীয় অঙ্গ ছিল মুহুর্মুহু তোপধ্বনি। খবরের কাগজে টিপ্পনি কেটেছিল যে, ভোজসভায় স্বাস্থ্যপানের ‘চিয়ার্স’ যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল কামানের শব্দে। 
তবে বড়দিনের আগে থেকেই নিউ ইয়ার পর্যন্ত উৎসবের এই লম্বা উদ্‌যাপনের উৎস আরও পুরনো। প্রাক-঩খ্রিস্ট যুগে ইউরোপে ‘ইয়ুল’ নামে একটি জনপ্রিয় উৎসব ছিল। এই শব্দের কাছাকাছি রূপ পুরনো নর্স বা গথ ভাষায় পাওয়া যায়। সূর্যের দক্ষিণায়নের সময় ২১ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি— এই বারো দিন ধরে উদযাপিত উৎসবকে বলা হতো ‘ইয়ুল’ বা ইয়ুল টাইড। ক্রিসমাস বা বড়দিনের মরশুমকে এখনও ইয়ুল টাইড বলা হয়। 
এই দীর্ঘ উৎসবের মধ্যমণি ছিল ২৫ ডিসেম্বর তারিখটি। এই তারিখেই প্রাক-খ্রিস্ট যুগের রোমান ধর্ম মতে পালন করা হতো ‘সল ইনভিক্টাস’। মানে অপরাজেয় সূর্যদেবের জন্মদিন। এই সূর্য দেবতার জন্মদিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল দক্ষিণায়নকে। যখন পৃথিবীতে (উত্তর গোলার্ধে) বছরের মধ্যে দীর্ঘ রাত নেমে আসে। অনেক ভেবেচিন্তে তাই খ্রিস্ট ধর্মের প্রাচীন নেতারা এই পঁচিশে ডিসেম্বর তারিখটা যিশুর জন্মদিন হিসাবে স্থির করেছিলেন। ইউরোপীয় বণিকদের উপনিবেশ স্থাপনের যুগ শুরু হওয়ার পর ক্রিসমাস নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ল। সেই তালিকায় উঠে এল কলকাতার নাম।
বড়দিন উদ্‌যাপনের অন্যতম রীতি উপহার আদানপ্রদান। সদ্যোজাত ঩যিশুকে প্রাচ্য দেশীয় তিন জ্ঞানীর উপহার দেওয়া থেকে অনুপ্রাণিত এই রীতি। যা জাঁকিয়ে বসেছিল সেকালের কলকাতাতেও। এটা ব্যবসার একটা বড় সুযোগও বটে। তাই বিশেষ ক্রিসমাস উপহারের পসরা সাজিয়ে কাগজে বিজ্ঞাপন দিত টুলোহ্‌ সাহেবের দোকানের মতো ব্যবসায়ীরা। ১৮১১ সালের কাগজে একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে আমদানি করা ম্যাজিক ল্যান্টার্ন, বই, পুতুল, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি লোভনীয় দ্রব্য। মহিলা ও বাচ্চাদের উপযোগী  জিনিসের তালিকাটা যেন একটু বেশি লম্বা। বোঝা যায়, সে কালেও ‘হার্ড সেলিং’-এর কায়দা ব্যবসায়িকদের ভালোই রপ্ত ছিল। উনিশ শতকের শেষ দিকে বড়দিনের বাজার করার সেরা ঠিকানা হয়ে ওঠে  নিউ মার্কেট। বন বা প্লাম কেকের মতো বড়দিনের বিশেষ পসরার পাশাপাশি ফুল আর রাংতার মালায় সজ্জিত বাজারের কথা উঠে এসেছিল খবরের কাগজের প্রতিবেদনে। সেখানেই লেখা হয়েছে যে, ক্রিসমাসের আগের দিনের ভোর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়ে যেত। অন্যদিন ক্রেতা দর-কষাকষির সুযোগ পেলেও এই দিন ভালো জিনিস কিনতে হলে বিক্রেতার বলা দামেই জিনিস কিনতে হতো।
বড়দিনের নানা উপহারের পাশাপাশি শুভেচ্ছা বার্তা সংবলিত ‘গ্রিটিংস কার্ড’ কলকাতার বাজারে পাওয়া যেতে শুরু করে উনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগের মাঝামাঝি সময় থেকে। ছাপাখানার প্রযুক্তি উন্নত হওয়ায় এই সময় থেকে সুলভ মূল্যে কার্ড বিক্রি করা সম্ভব হয়। ডালহৌসি স্কোয়ারের ডব্লু নিউম্যান অ্যান্ড কোম্পানি এক আনা থেকে পাঁচ টাকা দামের গ্রিটিংস কার্ড বিক্রির বিজ্ঞাপন ছিল ১৮৮৩ সালের ইংরেজি সংবাদপত্রে।   
উনিশ শতকের প্রথম দিকে কলকাতায় বেশ কিছুদিন কাটিয়ে যাওয়া ফ্যানি পার্কস তাঁর জার্নালে লিখেছেন যে, বড়দিনের উৎসবে এদেশীয় মানুষও অংশ নেওয়া শুরু করেছেন। তবে এই মানুষরা মূলত সাহেবদের বাড়িতে নিযুক্ত বেয়ারা, সহিস বা ধোপার মতো নানা বৃত্তিজীবী। বড়দিনের সকালে তারা নিজেদের উদ্যোগেই ফুলমালা আর কলাগাছ দিয়ে বাড়ির মূল ফটক সাজিয়ে তুলত। তারপর ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো পাত্রে আপেল, কমলালেবুর মতো ফল বা কিসমিস, আখরোটের মতো শুকোনো ফল, মিষ্টি ইত্যাদি উপহার হিসাবে মেমসাহেবের হাতে তুলে দিত। অবশ্য এর বদলে তারা কিছু বখশিস আশা করত।
তবে, বড়দিনে নেটিভদের এই উপহার দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়ে যায় উনিশ শতকের শেষ দিকে। ১৮৮৭ সালে শহরের ইংরেজি সংবাদপত্রের পাতায় জনৈক পত্রলেখক মত প্রকাশ করেন যে, বড়দিন উপলক্ষ্যে সাহেবদের হাতে তুলে দেওয়া ফল, মিষ্টি, মাছ ইত্যাদি দামি উপহারকে সরাসরি নেটিভদের দেওয়া ‘ঘুষ’ বলা না গেলেও অনেক সময় মনে করা হয় যে উপহার গ্রহণ করা মানেই সেই নির্দিষ্ট উপহার দাতার প্রতি বিশেষ পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হবে। ফলে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এদেশীয়দের জন্যে বড়দিনে অফিস বা অন্য কোনও ক্ষেত্রের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে উপহার দেওয়া নিষিদ্ধ করা উচিত। এর পাশাপাশি, সাহেবরাও উপহার নিতে অস্বীকার করলে সেই পদক্ষেপ তাদের আত্মসম্মানের রক্ষায় সহায়ক হবে।
কলকাতার বড়দিন আজ আর শুধু খ্রিস্টানদের উৎসব নয়। সব সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে এই উৎসব হয়ে উঠেছে যথার্থ সর্বজনীন। ইতিহাসের নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে তবেই সে এসে পৌঁছেছে আজকের জায়গায়। উৎসবের চাকচিক্যের মতো সেই ইতিহাসও কম চমকপ্রদ নয়। 
05th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

কোচবিহার মেডিক্যালে চলছে হবু ডাক্তারদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। নকলের অভিনব পথ খুঁজছেন তাঁদের একাংশ! নকলের জন্য এসির ডাক্ট পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার আগে মহারাজ জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজের একটি ঘরের এসির ডাক্ট পাইপের ভিতর থেকে নকল বের করা হয়। ...

ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের তরজা। আর সেই বিষয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে কার্যত ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল। অবশেষে তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন।  ...

অগ্নিকাণ্ডের পর সিউড়ি বড়চাতুরী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল ভবনে তালা পড়েছে। অন্য একটি ভবনে চালু রয়েছে শুধু জরুরি বিভাগ ও আউটডোর পরিষেবা। প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারিও এই হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM