Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? আমজনতার অবকাশ যাপনের জন্য প্রসারিত হাত কারা বাড়িয়ে রেখেছে সর্বদা? দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই অথবা কলকাতা, যে কোনও বৃহৎ শহরে আমজনতার জন্য দু’টি আশ্রয় চিরন্তন। প্রথমটি চিড়িয়াখানা। আর থাকবে বৃহৎ মেমোরিয়াল  ও সংলগ্ন প্রাঙ্গণ। যেমন? যেমন কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল এবং ময়দান। চেন্নাইয়ে মেরিনা বিচ। মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া কিংবা আজাদ ময়দান। দিল্লির তেমন ইন্ডিয়া গেট। কেন পুরনো হয় না এই স্থানগুলির মাহাত্ম্য? কারণ একমাত্র এই স্থানগুলিতেই রয়েছে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীর। জাত-পাত, হিন্দু-মুসলিম, ধনী-দরিদ্র ইত্যাদি বিভেদরেখা একমাত্র এই স্থানগুলিতে মুছে যায়। 
এহেন এক মরূদ্যানের নাম ইন্ডিয়া গেট। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মির হয়ে যে সেনারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণ করেই তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়া গেট। যার পোশাকি নাম ‘অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল’। কিন্তু ভারতবাসী তাকে জানে একটিই নামে ‘ইন্ডিয়া গেট’। 
শীতকালীন দিল্লির আকুল প্রার্থনা থাকে সপ্তাহের বাকি সব দিন কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে ঢেকে থাকুক না হয় শহর, তিন-চার পাঁচ ডিগ্রির কাঁপুনিতেও কষ্ট করে সে না হয় মেনে নেওয়া যাবে। কিন্তু রবিবার যেন কোনওম঩তেই আকাশ ভারাক্রান্ত না হয়। শীতকালে রবিবারের রোদ্দুর সারা বছরের অধীর অপেক্ষা। দিল্লি রৌদ্রময় হলে কী হবে? আমজনতা ইন্ডিয়া গেটে যাবে। যাদের সঙ্গতি কম তারা তো যাবেই। যাদের আর্থিক ক্ষমতা আছে, তারাও যাবে। ইন্ডিয়া গেটে বেলুন আকাশে উড়িয়ে সেটা ধরার জন্য দৌড়বে বাসে চেপে আসা পুরনো দিল্লির সইদ আহমেদের মতোই মার্সিডিজে আসা আশফাক মনসুরি। ইন্ডিয়া গেটে একসঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলবে উত্তমনগরের রাকেশ ও গ্রেটার কৈলাসের পুনম। 
দিল্লিবাসী আর পর্যটকরা মিলেমিশে তুলবে সেলফি। কেউ খেলছে ফুটবল। কেউ অকারণে ছুটছে। কেউ গলা ছেড়ে গান গাইছে। কেউ সবুজ গালিচার মতো ঘাসে দিচ্ছে নিশ্চিন্ত নিদ্রা। ইন্ডিয়া গেট আসলে মিনি ইন্ডিয়া। সমাজের সকল স্তরকে সব ধর্মকে সব জাতকে বুকে টেনে নেয়। এই জায়গাটার নাম লুটিয়েনস দিল্লি। দিল্লির সবথেকে হাই প্রোফাইল একটি স্থান। কারণ এই লুটিয়েনস দিল্লিতেই রয়েছে ভারতের ক্ষমতার করিডর। পার্লামেন্ট হাউস, রাষ্ট্রপতি ভবন, তাবৎ মন্ত্রীর দপ্তর ও আবাসস্থল এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। সব এখানে। 
ইন্ডিয়া গেট যদি অক্টোপাসের মুখ হয়, তাহলে চতুর্দিকে ছড়িয়ে গিয়েছে তার একটি করে শুঁড়। অর্থাৎ একটি করে রাস্তা দিল্লির বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ইন্ডিয়া গেটকে ঘিরে রয়েছে যেন একটি দৈত্যাকার বৃত্তসম রাজপথ। আর সেই বৃত্ত থেকে একটির পর একটি শাখা ছুটে গিয়েছে ভিন্ন প্রান্তে। 
নতুন দিল্লি গড়ে তুলেছিলেন এডুইন লুটিয়েনস। ইন্ডিয়া গেটের স্থাপত্য নকশাও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার স্থির করেছিল একটি যুদ্ধ স্মৃতি প্রাঙ্গণ নির্মাণ করা হবে। শুধুই ভারতে নয়। তাবৎ উপনিবেশগুলিতে। ব্রিটিশের জয় হবে। পরাজয় হবে। কিন্তু প্রাণ দিয়েছে, দিচ্ছে এবং দেবে কারা? ওইসব উপনিবেশের অধিবাসী সেনারা। যেমন ইন্ডিয়া গেটে যে ১৩ হাজার ৩১৩ জন সেনার নাম খোদাই করা রয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শহিদ হিসেবে, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ২৫৭ জনই ছিলেন ভারতীয়! ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা লাল পাথর দিয়ে নির্মিত ১৩৮ ফুট উচ্চতার ইন্ডিয়া গেট নামক শহিদ মিনারের সুউচ্চ স্তম্ভের উপরিভাগে লেখা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। আর রয়েছে সেইসব শহিদের নাম। এই গেট থেকে যে রাস্তা সোজা গিয়ে মিশেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে, তার নাম এতকাল ছিল ‘রাজপথ’। বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘কর্তব্যপথ’। এই সেই পথ যেখানে প্রত্যেক বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড এসে সমাপ্ত হয় এবং এখানেই উত্তোলিত হয় জাতীয় পতাকা। গেট ঘিরে রয়েছে প্রায় অদিগন্ত এক সবুজ ময়দান। 
ইন্ডিয়া গেট আমাদের কী স্মরণ করিয়ে দেয়? স্রেফ পরাধীন হওয়ার ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী কীভাবে যুদ্ধ বাঁধিয়ে একটি অধীনস্থ দেশের জনগণকে সেই যুদ্ধে প্রাণ দেওয়ার জন্যে ঠেলে দিয়েছিল বারংবার। সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধই হোক বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা ইন্দো-আফগান যুদ্ধ। ব্রিটিশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। শহিদের রক্তে ভেসেছে প্যারিস, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পূর্ব আফ্রিকা ও উত্তর-পূর্ব ভারত। মণিপুরে এই ভারতীয় সেনাদের কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়? নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে পরাধীন হিন্দ বাহিনী। দু’পক্ষই ছিল ভারতীয়। কারও সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। স্রেফ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ক্ষমতা সম্প্রসারিত ও কুক্ষিগত করার দাবাখেলায় বোড়ের মতো প্রাণ দিয়েছে। আজ সেই নেতাজিরই মূর্তি বসেছে সেই ইন্ডিয়া গেটে। ব্রিটিশ আজ অস্তমিত। 
১৯২১ সালের বিকেলে স্থাপিত হয়েছিল শিলান্যাস। ঠিক ১০ বছর পর ১৯৩১ সালে নির্মাণকার্য সমাপ্ত হল। ভাইসরয় লর্ড আরউইন উদ্বোধন করে বলেছিলেন, ভাবীকাল যখন এই শহিদ মিনারের দিকে তাকাবে, তারা উপলব্ধি করবে এই মিনারে যাঁদের নাম খোদিত, তাঁদের  আত্মবলিদানের ইতিহাস। 
আজ আরউইনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী কালের নিয়মে হয়তো আর পালিত হয় না। ইন্ডিয়া গেটে শহিদ স্মরণে আসে না কেউ। আসে অবকাশ কাটাতে। আসে নিত্যদিনের জীবনযুদ্ধ থেকে মুক্তি পেতে। আসে প্রাত্যহিক সংগ্রাম আর বাধ্যতার অধীনতা থেকে ক্ষণিক স্বাধীনতার খোঁজে। ইন্ডিয়া গেট উদ্দেশ্যহীন হাঁটার অবকাশ দেয়। ইন্ডিয়া গেট ঘাসে শুয়ে আকাশে চোখ রেখে নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ দেয়। 
দিল্লিবাসী আনন্দের সন্ধানে আসে এখানে। আসে প্রতিবাদ করতে। আসে বিক্ষোভে শামিল হতে। আসে সত্যাগ্রহ করতে। বিক্ষোভে বিপ্লবে সম্ভব অসম্ভবে প্রেম ও প্রেমহীনতার উৎসব পালনের প্রাণকেন্দ্র ইন্ডিয়া গেট। দিল্লির নিত্যদিনের কুম্ভমেলা! 
05th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
বনের মানুষ

—মাস্টার, আজ ডিম বাদ দে, হামাদিগের ছেলে-মেয়েগুলান কেউ খাবেকনি রে!
—কেন?
—হামার সঙতে আসে ওই শর্বরী টুডুটা আছে না? উয়ার ছেলেটোর গায়ে ‘মায়ের দয়া’ বের হইচে। উয়ার লিগে হামাদের পাড়ার সবার মাছ-মাংস-ডিম খাওয়াটো বারণ আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
কিছু কিছু সত্য
অংশুমান কর

বড়মা যখন খবরটা দিল তখন সুকমল শেভ করছিল। সকালটা তার খুবই তাড়াহুড়োয় কাটে। তখন এক মিনিটও মহার্ঘ। এক মিনিটের জন্যও এক-দু’দিন ও ট্রেন মিস করেছে। বাসে করে স্কুলে পৌঁছে দেখেছে প্রেয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রার্থনা শুরু হওয়ার পরে স্কুলে পৌঁছতে ওর খুব লজ্জা লাগে।
বিশদ

10th  November, 2024
দোলনা
সুমন মহান্তি

সরকারি হাসপাতালের এমারজেন্সি ওয়ার্ডের সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়াতেই মহীন ক্ষীণগলায় বললেন, ‘অপারেশনটা যেন তাড়াতাড়ি করে। ডাক্তারকে তাড়া দিবি।’ বিশদ

03rd  November, 2024
একনজরে
কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া ভোপাল সেন্ট্রাল জেল। তারপরও জেল চত্বরে উড়ল ‘মেড ইন চায়না’ ড্রোন। নিরাপত্তা বেষ্টনি পেরিয়ে কীভাবে ঢুকল সেই ড্রোন? সেই প্রশ্নই এখন প্রশাসনিক আধিকারিকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।  ...

ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত লস এঞ্জেলস। পুড়ে ছাই হাজারের বেশি বাড়ি। রাত পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গৃহহীণ লক্ষাধিক মানুষ। প্রাণ ...

অগ্নিকাণ্ডের পর সিউড়ি বড়চাতুরী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল ভবনে তালা পড়েছে। অন্য একটি ভবনে চালু রয়েছে শুধু জরুরি বিভাগ ও আউটডোর পরিষেবা। প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারিও এই হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে। ...

আলো কম। আবার বিদ্যুৎ বিলের খরচও বেশি। এবার ভিআইপি রোডের দৃশ্যমানতা বাড়াতে উদ্যোগ নিল পিডব্লুডি (ইলেকট্রিক্যাল)। কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত ভিআইপি রোডের দু’দিকেই পুরনো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে নতুন সুযোগ আসতে পারে। কর্ম সাফল্যে আনন্দ লাভ। ব্যবসায় উন্নতি। গবেষকদের পক্ষে শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬১৬ - রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন
১৬৪২ - রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান
১৬৯৩- কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নকের মৃত্যু
১৮৩৯- ভারত থেকে প্রথম চা রপ্তানি হল ব্রিটেনে
১৮৬২ - পিস্তল আবিষ্কারক স্যামুয়েল কোল্টের মৃত্যু
১৮৬৩ - লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়
১৮৮০ – হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ তথা বিষ্ণুপুর ঘরানার শিল্পী গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০১ – বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্যের জন্ম
১৯০৮ - বিশিষ্ট  সাহিত্যিক বিনয় মুখোপাধ্যায়ের (যিনি যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত) জন্ম
১৯১১ - জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা শিশির কুমার ঘোষের মৃত্যু
১৯২৪ - অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী সবিতাব্রত দত্তের জন্ম
১৯৩০ - কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার  বাসু চ্যাটার্জীর জন্ম
১৯৫০ - বিশিষ্ট সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যর জন্ম 
১৯৬৮ - চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়
১৯৬৮ - "জাপান-বন্ধু ভারতীয়" নামে সুপরিচিত বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রাধাবিনোদ পালের মৃত্যু 
১৯৭২ - পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন
১৯৭৪- অভিনেতা হৃত্বিক রোশনের জন্ম
১৯৮২ - সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী সুধীন দাশগুপ্তর মৃত্যু
২০২০ - দশকের প্রথম 'উল্ফ মুন এক্লিপ্স' দেখা যায়
২০২৪ - ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯ কার্যকরী হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.১০ টাকা ৮৬.৮৪ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৪১ টাকা ১০৮.১১ টাকা
ইউরো ৮৭.০৫ টাকা ৯০.৪০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৬ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী ৯/৫৩, দিবা ১০/২০। কৃত্তিকা নক্ষত্র ১৮/২৮ দিবা ১/৪৬। সূর্যোদয় ৬/২২/৪৯, সূর্যাস্ত ৫/৫/২৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৬ গতে ২/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৩ গতে ১১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৪ মধ্যে।
২৫ পৌষ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫। একাদশী দিবা ৯/৩৮। কৃত্তিকা নক্ষত্র দিবা ১/৩৬। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৮ গতে ৫/৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৬ গতে ৯/৩০ মধ্যে ও ১২/৩০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৭ গতে ৬/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৫ মধ্যে।
৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হল মাসান হোলি

10:50:00 PM

দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল

10:27:00 PM

অসমে কয়লা খনিতে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ

09:48:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১

09:38:00 PM

আইএসএল: নর্থ ইস্ট ১-পাঞ্জাব এফসি ১ (৮৪ মিনিট)

09:13:00 PM

১২ এবং ১৯ জানুয়ারি এসপ্ল্যানেড-হাওড়া ময়দান রুটে মেট্রো বন্ধ
আগামী ১২ ও ১৯ জানুয়ারি গঙ্গাবক্ষের মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে। ...বিশদ

09:03:12 PM