Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গুপ্ত রাজধানী: ইন্ডিয়া গেট
সমৃদ্ধ দত্ত

গরিব ও মধ্যবিত্তদের কাছে সেই আর্থিক শক্তি কোথায়! রবিবার অথবা ছুটির দিন কিংবা ন্যাশনাল হলিডে হলেই কোনও বৃহৎ শপিং মল অথবা মাল্টিপ্লেক্সে যাবে! অনেকক্ষণ মেনুকার্ড দেখার পর শেষ পর্যন্ত বরাবরের মতোই ফ্রায়েড রাইস, চিলি চিকেন অর্ডার করার বিলাসিতাও যাদের থাকে না, তারা যাবে কোথায়? আমজনতার অবকাশ যাপনের জন্য প্রসারিত হাত কারা বাড়িয়ে রেখেছে সর্বদা? দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই অথবা কলকাতা, যে কোনও বৃহৎ শহরে আমজনতার জন্য দু’টি আশ্রয় চিরন্তন। প্রথমটি চিড়িয়াখানা। আর থাকবে বৃহৎ মেমোরিয়াল  ও সংলগ্ন প্রাঙ্গণ। যেমন? যেমন কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল এবং ময়দান। চেন্নাইয়ে মেরিনা বিচ। মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া কিংবা আজাদ ময়দান। দিল্লির তেমন ইন্ডিয়া গেট। কেন পুরনো হয় না এই স্থানগুলির মাহাত্ম্য? কারণ একমাত্র এই স্থানগুলিতেই রয়েছে এই ভারতের মহামানবের সাগরতীর। জাত-পাত, হিন্দু-মুসলিম, ধনী-দরিদ্র ইত্যাদি বিভেদরেখা একমাত্র এই স্থানগুলিতে মুছে যায়। 
এহেন এক মরূদ্যানের নাম ইন্ডিয়া গেট। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মির হয়ে যে সেনারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের স্মরণ করেই তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়া গেট। যার পোশাকি নাম ‘অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল’। কিন্তু ভারতবাসী তাকে জানে একটিই নামে ‘ইন্ডিয়া গেট’। 
শীতকালীন দিল্লির আকুল প্রার্থনা থাকে সপ্তাহের বাকি সব দিন কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে ঢেকে থাকুক না হয় শহর, তিন-চার পাঁচ ডিগ্রির কাঁপুনিতেও কষ্ট করে সে না হয় মেনে নেওয়া যাবে। কিন্তু রবিবার যেন কোনওম঩তেই আকাশ ভারাক্রান্ত না হয়। শীতকালে রবিবারের রোদ্দুর সারা বছরের অধীর অপেক্ষা। দিল্লি রৌদ্রময় হলে কী হবে? আমজনতা ইন্ডিয়া গেটে যাবে। যাদের সঙ্গতি কম তারা তো যাবেই। যাদের আর্থিক ক্ষমতা আছে, তারাও যাবে। ইন্ডিয়া গেটে বেলুন আকাশে উড়িয়ে সেটা ধরার জন্য দৌড়বে বাসে চেপে আসা পুরনো দিল্লির সইদ আহমেদের মতোই মার্সিডিজে আসা আশফাক মনসুরি। ইন্ডিয়া গেটে একসঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলবে উত্তমনগরের রাকেশ ও গ্রেটার কৈলাসের পুনম। 
দিল্লিবাসী আর পর্যটকরা মিলেমিশে তুলবে সেলফি। কেউ খেলছে ফুটবল। কেউ অকারণে ছুটছে। কেউ গলা ছেড়ে গান গাইছে। কেউ সবুজ গালিচার মতো ঘাসে দিচ্ছে নিশ্চিন্ত নিদ্রা। ইন্ডিয়া গেট আসলে মিনি ইন্ডিয়া। সমাজের সকল স্তরকে সব ধর্মকে সব জাতকে বুকে টেনে নেয়। এই জায়গাটার নাম লুটিয়েনস দিল্লি। দিল্লির সবথেকে হাই প্রোফাইল একটি স্থান। কারণ এই লুটিয়েনস দিল্লিতেই রয়েছে ভারতের ক্ষমতার করিডর। পার্লামেন্ট হাউস, রাষ্ট্রপতি ভবন, তাবৎ মন্ত্রীর দপ্তর ও আবাসস্থল এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। সব এখানে। 
ইন্ডিয়া গেট যদি অক্টোপাসের মুখ হয়, তাহলে চতুর্দিকে ছড়িয়ে গিয়েছে তার একটি করে শুঁড়। অর্থাৎ একটি করে রাস্তা দিল্লির বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ইন্ডিয়া গেটকে ঘিরে রয়েছে যেন একটি দৈত্যাকার বৃত্তসম রাজপথ। আর সেই বৃত্ত থেকে একটির পর একটি শাখা ছুটে গিয়েছে ভিন্ন প্রান্তে। 
নতুন দিল্লি গড়ে তুলেছিলেন এডুইন লুটিয়েনস। ইন্ডিয়া গেটের স্থাপত্য নকশাও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত। ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার স্থির করেছিল একটি যুদ্ধ স্মৃতি প্রাঙ্গণ নির্মাণ করা হবে। শুধুই ভারতে নয়। তাবৎ উপনিবেশগুলিতে। ব্রিটিশের জয় হবে। পরাজয় হবে। কিন্তু প্রাণ দিয়েছে, দিচ্ছে এবং দেবে কারা? ওইসব উপনিবেশের অধিবাসী সেনারা। যেমন ইন্ডিয়া গেটে যে ১৩ হাজার ৩১৩ জন সেনার নাম খোদাই করা রয়েছে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শহিদ হিসেবে, তাঁদের মধ্যে ১২ হাজার ২৫৭ জনই ছিলেন ভারতীয়! ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা লাল পাথর দিয়ে নির্মিত ১৩৮ ফুট উচ্চতার ইন্ডিয়া গেট নামক শহিদ মিনারের সুউচ্চ স্তম্ভের উপরিভাগে লেখা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। আর রয়েছে সেইসব শহিদের নাম। এই গেট থেকে যে রাস্তা সোজা গিয়ে মিশেছে রাষ্ট্রপতি ভবনে, তার নাম এতকাল ছিল ‘রাজপথ’। বর্তমানে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘কর্তব্যপথ’। এই সেই পথ যেখানে প্রত্যেক বছর সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড এসে সমাপ্ত হয় এবং এখানেই উত্তোলিত হয় জাতীয় পতাকা। গেট ঘিরে রয়েছে প্রায় অদিগন্ত এক সবুজ ময়দান। 
ইন্ডিয়া গেট আমাদের কী স্মরণ করিয়ে দেয়? স্রেফ পরাধীন হওয়ার ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠী কীভাবে যুদ্ধ বাঁধিয়ে একটি অধীনস্থ দেশের জনগণকে সেই যুদ্ধে প্রাণ দেওয়ার জন্যে ঠেলে দিয়েছিল বারংবার। সে প্রথম বিশ্বযুদ্ধই হোক বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা ইন্দো-আফগান যুদ্ধ। ব্রিটিশ বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। শহিদের রক্তে ভেসেছে প্যারিস, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, পূর্ব আফ্রিকা ও উত্তর-পূর্ব ভারত। মণিপুরে এই ভারতীয় সেনাদের কাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়? নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিরুদ্ধে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করছে পরাধীন হিন্দ বাহিনী। দু’পক্ষই ছিল ভারতীয়। কারও সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। স্রেফ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ক্ষমতা সম্প্রসারিত ও কুক্ষিগত করার দাবাখেলায় বোড়ের মতো প্রাণ দিয়েছে। আজ সেই নেতাজিরই মূর্তি বসেছে সেই ইন্ডিয়া গেটে। ব্রিটিশ আজ অস্তমিত। 
১৯২১ সালের বিকেলে স্থাপিত হয়েছিল শিলান্যাস। ঠিক ১০ বছর পর ১৯৩১ সালে নির্মাণকার্য সমাপ্ত হল। ভাইসরয় লর্ড আরউইন উদ্বোধন করে বলেছিলেন, ভাবীকাল যখন এই শহিদ মিনারের দিকে তাকাবে, তারা উপলব্ধি করবে এই মিনারে যাঁদের নাম খোদিত, তাঁদের  আত্মবলিদানের ইতিহাস। 
আজ আরউইনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী কালের নিয়মে হয়তো আর পালিত হয় না। ইন্ডিয়া গেটে শহিদ স্মরণে আসে না কেউ। আসে অবকাশ কাটাতে। আসে নিত্যদিনের জীবনযুদ্ধ থেকে মুক্তি পেতে। আসে প্রাত্যহিক সংগ্রাম আর বাধ্যতার অধীনতা থেকে ক্ষণিক স্বাধীনতার খোঁজে। ইন্ডিয়া গেট উদ্দেশ্যহীন হাঁটার অবকাশ দেয়। ইন্ডিয়া গেট ঘাসে শুয়ে আকাশে চোখ রেখে নিজেকে আবিষ্কারের সুযোগ দেয়। 
দিল্লিবাসী আনন্দের সন্ধানে আসে এখানে। আসে প্রতিবাদ করতে। আসে বিক্ষোভে শামিল হতে। আসে সত্যাগ্রহ করতে। বিক্ষোভে বিপ্লবে সম্ভব অসম্ভবে প্রেম ও প্রেমহীনতার উৎসব পালনের প্রাণকেন্দ্র ইন্ডিয়া গেট। দিল্লির নিত্যদিনের কুম্ভমেলা! 
05th  January, 2025
ভ্যালি অব ডলস

শটি আধুনিক প্রযুক্তির পীঠস্থান। সেই সঙ্গে রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন হস্তশিল্প। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল। তাই নানা কারণে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র— জাপান। চারটি প্রধান এবং অসংখ্য ছোট দ্বীপ নিয়ে এই দেশ।
বিশদ

26th  January, 2025
গুপ্ত রাজধানী: সিরি ফোর্ট
সমৃদ্ধ দত্ত

সাবধানে পা ফেলতে হবে। দেখে তো মনে হচ্ছে মাটি। ঘাস। পাথর। অনায়াসে পা রেখে রেখে এগিয়ে চলা যায়। একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্য একটি ধ্বংস চিহ্নে যাওয়ার জন্য যে ব্যাসল্ট পাথরের অমসৃণ টুকরোয় সতর্কভাবে পা রাখতে হয়, সে সতর্কতা নিছক পিছলে পড়ে যাওয়ার জন্য? বিশদ

19th  January, 2025
ডক্টর মিশ্র
নন্দিনী নাগ

সল্টলেকে ঝাঁ-চকচকে চেম্বার, একতলা একটা ফ্ল্যাটের পুরোটা নিয়ে। সাদা পাথরের তিন ধাপ সিঁড়ি ডিঙিয়ে কাঠের জাঁকালো সদর দরজা। সেই দরজা পেরিয়ে ভেতরের হলঘরে সোফার মধ্যে শরীর ছেড়ে দেওয়ার পর মিসেস দত্তের মনে ডাক্তারবাবুর প্রতি বেশ সমীহ জন্মাল। বিশদ

12th  January, 2025
অস্তরাগ
সঞ্জয় রায়

অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা নদীর জলে গলে গলে যাচ্ছে। বসন্ত বাতাসে চরাচর জুড়ে গোধূলির অদ্ভুত বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতি যেন মায়াময়। চিত্রপটে স্যিলুট হয়ে বসে আছে দু’টি নরনারী। জীবনের প্রান্তদেশে পৌঁছে দু’টি মন পরস্পর খুঁজে পেয়েছে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের অদ্ভুত মিল। বিশদ

05th  January, 2025
অতীতের আয়না: সাহেবি বড়দিন ও নিউ ইয়ার
অমিতাভ পুরকায়স্থ

কাজকর্ম শিকেয় তুলে পাঁচ দিন ধরে বাঙালির দুর্গোৎসব পালন যাঁরা বাঁকা চোখে দেখেন, তাঁদের আঠারো শতকের কলকাতা থেকে ঘুরিয়ে আনতে পারলে বেশ হতো। সে সময় শহরের সাহেব-মেমদের বড়দিন উপলক্ষ্যে খানা-পিনা-নাচ-গান ও কেনাকাটার হুল্লোড়ের মরশুম চলত দিন দশেক। বিশদ

05th  January, 2025
কেউ দেখেনি
প্রদীপ আচার্য

নিরাপদর নিরাপদে থাকার সুখ উবে গেল। গ্রামের নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার একটা আলাদা সুখ আছে। সেই সুখের মুখে আজ ঝামা ঘষে দিল একটা জানোয়ার। সবাই সাপের ভয় দেখিয়েছে। বিশদ

29th  December, 2024
গুপ্ত রাজধানী: হোলি ট্রিনিটি চার্চ
সমৃদ্ধ দত্ত

দিল্লি মানেই ইতিহাসের গল্প। এর আনাচকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ঐতিহাসিক স্থাপত্য। এরমধ্যে বেশ কয়েকটির খোঁজ এখন আর রাখেন না পর্যটকরা। ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে গোপনেই পড়ে রয়েছে সেইসব স্থাপত্য। তারই খোঁজে গুপ্ত রাজধানী। বিশদ

29th  December, 2024
আজও রহস্য: রেস কোর্সের অশরীরী
সমুদ্র বসু

ভূত মানুন আর না মানুন, ভূত-প্রেত নিয়ে আগ্রহ কিন্তু সবার। আমাদের আশপাশের গ্রাম, শহর, মফস্‌সল থেকে শুরু করে খোদ কলকাতা শহরে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে ব্যাখ্যার অতীত বিভিন্ন ঘটনা আজও ঘটে। সেই তালিকায় আছে কলকাতা রেস কোর্সেরও নাম। বিশদ

29th  December, 2024
চোর  মিনার

গম্বুজ। সমাধি। শহিদ স্তম্ভ। এসবই তো ইতিহাসের চিহ্ন হিসেবে সর্বত্রই  দেখা যায়।  কখনও মসৃণ বহিরঙ্গ। কখনও চিত্রাঙ্কন। আবার কোনও সময় ভাস্কর্যের নমুনা থাকে বহির্গাত্রে। কিন্তু এই মিনারের স্তম্ভগাত্রে এত গর্ত কেন? মাটি থেকে সোজা উঠে গিয়েছে আকাশের দিকে। বিশদ

22nd  December, 2024
কলকাতা এক পরীর দেশ

আসলে আমরা খেয়াল না করলেও আমাদের চারপাশের হাওয়ায় এখনও দিব্যি নিঃশ্বাস নেয় আঠেরো-উনিশ শতকের কলকাতা। আর সেই পুরনো কলকাতার স্মৃতিকে ধরে রাখার অন্যতম প্রতীক হল— পরী।
  বিশদ

15th  December, 2024
লাল মন্দির

সমৃদ্ধ দত্ত
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লালকেল্লা ও লাল মন্দির। একটি জগৎ বিখ্যাত। অন্যটি স্বল্প খ্যাত। লাল মন্দিরের উচ্চতা তো কম নয়। লালকেল্লার সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চাঁদনি চকের দিকে তাকালেই চোখে পড়ার কথা। অথবা সেভাবে পর্যটকদের দৃষ্টিগোচরই হয় না।
বিশদ

15th  December, 2024
ডাক দিয়েছে কোন সকালে
বিজলি চক্রবর্তী

হরি হে তুমি আমার সকল হবে কবে...।’ গলা ছেড়ে গানটা গাইতে গাইতে বিশ্বরূপ রান্নাঘরের দরজায় এসে দাঁড়াল। হাতের কাজ বন্ধ করে নবনীতা বিশ্বরূপের মুখোমুখি হল। বিশ্বরূপ গান বন্ধ করল না। নবনীতার চোখের মুগ্ধতা তাকে উৎসাহিত করে। বিশ্বরূপের গানের ভক্ত নেহাত কম নয়। বিশদ

15th  December, 2024
আদরের পিউ
কৌশানী মিত্র

অনির্বাণের কাল নাইট ছিল। সারারাত দুর্দান্ত পরিশ্রম গিয়েছে। জুনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে এই অদ্ভুত একটা আধা গ্রাম-আধা শহর মতো জায়গাটায় এসে থাকতে শুরু করেছে ও। এখানে আসার পর থেকেই সকাল-দুপুর-রাত কেমন গুলিয়ে যায় অনির্বাণের। বিশদ

08th  December, 2024
প্রতিশোধ
সাবিনা ইয়াসমিন রিঙ্কু

মাত্র ছ’মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর পর্যন্ত উঠতে চাইছে না। বিশদ

01st  December, 2024
একনজরে
দল সাফল্য পেলে ক্যাপ্টেনের অনেক ভুলত্রুটি ধামাচাপা পড়ে যায়। সূর্যকুমার যাদব সেরকমই ভাগ্যবান ক্যাপ্টেন। টি-২০ ফরম্যাটে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে টিম ...

তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘জেলবন্দি’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পিজি থেকে কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হোক। তাঁর কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী এই ...

বহু প্রতীক্ষিত সোয়াদিঘি খাল সংস্কারের কাজ শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল। শনিবার শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাঁকটিয়া এলাকায় ওই খাল খননের সময় দক্ষিণ পাড়ে ধস নামে। খালপাড়ে অবস্থিত কংক্রিটের টয়লেট, গাছপালা হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে। ...

সরকারি একাধিক পরিবহণ নিগমকে এক ছাতার তলায় আনার ঘোষণাই সার। গত ১৩ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্ন কার্যত অধরাই থেকে গিয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা  কর্মে সফলতা। ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগের প্রচেষ্টায় সফলতা। ভ্রমণ যোগ আছে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৫৬: দ্বিতীয় মোঘল সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যু
১৮৩১: ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদনায় প্রথম বাংলা সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রকাশিত
১৮৩৫: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
১৮৬৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী পাঞ্জাব কেশরী লালা লাজপত রাইয়ের জন্ম
১৮৮২: কলকাতা-বোম্বাই টেলিফোন (দুরালাপনি) চালু হয়। কলকাতার প্রথম এক্সচেন্জ সেন্ট্রাল এক্সচেন্জ উদ্বোধন করেন ই বারিং
১৮৯৮: ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ভগিনী নিবেদিতা
১৯১১: বিশিষ্ট নট ও নাট্যকার মহেন্দ্র গুপ্তর জন্ম
১৯২৫: সুরকার তথা সঙ্গীত পরিচালক নচিকেতা ঘোষের জন্ম
১৯২৫: বিজ্ঞানী রাজা রামান্নার জন্ম
১৯৩০: সঙ্গীতশিল্পী যশরাজের জন্ম
১৯৩৩: বলিউড অভিনেতা মনমোহনের জন্ম
১৯৩৭: সঙ্গীতশিল্পী সুমন কল্যাণপুরের জন্ম
১৯৮৬: অভিনেত্রী শ্রুতি হাসানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৫৩ টাকা ৮৭.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৭৫ টাকা ১০৯.৪৯ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৯ টাকা ৯২.১৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮০,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮০,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৬,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী ৩৩/২০ রাত্রি ৭/৩৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র ৬/৩৫ দিবা ৮/৫৯। সূর্যোদয় ৬/২১/৯, সূর্যাস্ত ৫/১৮/৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩২ গতে ১০/৪৪ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৬ গতে ২/২৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৭ গতে ৪/৩৫ মধ্যে। রাত্রি ৬/১১ মধ্যে পুনঃ ৮/৪৮ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৩ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
১৪ মাঘ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫। চতুর্দ্দশী রাত্রি ৭/৩১। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৯/১। সূর্যোদয় ৬/২৪, সূর্যাস্ত ৫/১৭। অমৃতযোগ দিবা ৮/২৫ গতে ১০/৪১ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/২৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৪৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২০ মধ্যে ও ৮/৫২ গতে ১১/২৪ মধ্যে ও ১/৫৬ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৬ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৬ গতে ৮/৩৪ মধ্যে।  
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টি২০: ভারতের বিরুদ্ধে ২৬ রানে জয়ী ইংল্যান্ড

11:39:25 PM

তৃতীয় টি২০: ২ রানে আউট জুরেল, ভারত ১৪০/৯ (১৯.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:24:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৭ রানে আউট সামি, ভারত ১৪০/৮ (১৯ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:23:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৪০ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৩১/৭ (১৮.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

10:19:00 PM

তৃতীয় টি২০: ৬ রানে আউট ওয়াশিংটন, ভারত ৮৫/৫ (১২.১ ওভার), টার্গেট ১৭২

09:48:00 PM

মুম্বইতে মাদকসহ পাকড়াও উগান্ডার ৩ নাগরিক

09:45:00 PM