Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। সে না হয় হল। কিন্তু বান্ধবীর হাতে ধরা হুকোর মুখনল যেই নজরে পড়ল, অমনি তার চোখে যে ধরা দিল রহস্যময় প্রাচ্যের এক নতুন রূপ!  
সেকালের কলকাতায় হুঁকো শৌখিন সুন্দরীর সাবলীল টান দেওয়া দেখে সে ছবি কথার পরিবর্তে রং-তুলির রেখায় ফুটিয়ে তোলার ইচ্ছে প্রকাশ করা হয়েছিল ১৭৮৪ সালে প্রকাশিত সোফিয়া গোল্ডবার্নের ‘হার্টলে হাউস’ উপন্যাসে। লেখিকা তার সঙ্গে জানাচ্ছেন যে, এদেশের অভিজাত মহিলা মহলে সুসজ্জিত হুঁকোয় টান দেওয়া ছিল খুব সাধারণ এক রীতি। সেই হুঁকোয় সাধারণ জলের পরিবর্তে তাতে ভরা হতো গোলাপ জল। চীনে মাটির ছিলিমের উপরে বসানো থাকত রুপোর ফিলিগ্রি কাজ করা ছিদ্রযুক্ত ঢাকনা। আলবোলা বা লম্বা সুসজ্জিত নল ধূমপানকারীর নাগালের মধ্যে এনে দিত মৌতাত। 
নবাব বাদশাদের অন্দরমহলে মহিলাদের হুঁকো ব্যবহারের প্রচলন ছিল বহু দিন। তাদের থেকেই এদেশীয় মেমসাহেবরা এই নেশা রপ্ত করেন। এমন মনে করার সব থেকে বড় প্রমাণ কলকাতার ইতিহাসের বিখ্যাত ‘বেগম’ জনসন। পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লর্ড লিভারপুলের মাতামহী এই মহিলার সখ্য ছিল সিরাজ-উদ-দৌলার মা আমিনা বেগমের সঙ্গে। সেই সুবাদে নিজের পরিচয়ে ‘বেগম’ শব্দটির মতো দৈনন্দিন আচার ব্যবহারেও যুক্ত করেছিলেন নানা নবাবি আদব কায়দা। দেশি কায়দায় বিছানো ফরাসের ওপর তাকিয়া হেলান দিয়ে আলবোলায় টান দিতে দিতে তিনি গল্প করতেন নিজের রামধনু রঙে রাঙানো দীর্ঘ জীবন কাহিনির। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনত সেকালের কলকাতা।   
অষ্টাদশ শতকের কলকাতার খানাপিনা আসরে বা পার্টিতে কোনও মহিলা যদি সমবেত পুরুষদের মধ্যে কারও হুঁকোর স্বাদগ্রহণ করার প্রস্তাব দিতেন, সেটা সেই পুরুষের জন্য সর্বোচ্চ  প্রশংসা হিসেবে বিবেচিত হতো। সামাজিক মেলামেশার সুশীল রীতি হিসাবে মহিলার হাতে আলবোলা তুলে দেওয়ার আগে একটি নতুন মুখপত্র বা নলের মুখ লাগিয়ে দিতেন সেই সৌভাগ্যবান ভদ্রলোক। সব সময় হুঁকোর অতিরিক্ত মুখপত্র পকেটে নিয়ে ভোজসভায় হাজির হতেন সেকালের ‘লেডি-কিলার’ সাহেবরা। সেগুলি আর অনেক সময় সোনা দিয়ে তৈরি হতো। দামি হীরে জহরত বসানো সোনার হুঁকো রীতিমতো বিক্রি হতো কলকাতায়। শহরের বিখ্যাত মণিকার পঞ্চাশ হাজার টাকা দামের হুঁকো বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিতেন দৈনিক সংবাদপত্রের পাতায়।  প্রিয় পুরুষের হুঁকোয় টান দিতে না চাইলেও মহিলা মহলে অনুরাগ প্রদর্শনের আরও একটি চালু রীতির সঙ্গে জুড়ে ছিল হুঁকো। মহিলারা নিজের স্বামী বা প্রিয় পুরুষের হুঁকো বসানোর সুন্দর ম্যাট নিজের হাতে বুনে দিতেন।   
মেমসাহেবদের তামাকের আসক্তির আরও একটি ঘটনা বলে সাহেবদের কথায় যাব। ১৮২৯ সালে মিসেস ফেন্টন নামে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর এক কর্তার স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় পা রাখলেন। শহরে তাদের প্রথম ক’দিন থাকার ব্যবস্থা হয় পূর্বপরিচিত মিঃ ক্লিল্যান্ডের গার্ডেনরিচের বাড়িতে। প্রতিটি খানার শেষে বাড়ির বউ-ঝিদের সমবেত চুরুট প্রজ্বলন দেখে অতিথি ভদ্রমহিলা যে আশ্চর্য হওয়ার কথা লিখেছিলেন, সেটাই মনে হয় আজকের লব্জে ‘কালচারাল শক’।   
সাহেবদের মধ্যে হুঁকোর জনপ্রিয়তা ছিল প্রায় সর্বব্যাপী। সামাজিক ভোজে দেখা যেত যে ডেজার্ট পরিবেশন করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় অতিথিদের ব্যক্তিগত হুঁকোবরদার হুঁকো নিয়ে প্রবেশ করত খাওয়ার জায়গায়। তারপরেই জায়গাটা ভরে যেত ধোঁয়া আর আলবোলায় টান দেওয়ার ‘গুড়ুক গুড়ুক’ শব্দে। এই শব্দের জন্যই সাহেবরা হুঁকোর নাম দিয়েছিলেন ‘huble-buble’। হুঁকো ছাড়া স্বয়ং বড়লাটের ভোজসভার আয়োজনও সম্পূর্ণ হতো না। ১৭৭৯ সালে সস্ত্রীক গভর্নর জেনারেল হেস্টিংস কলকাতার অভিজাত নাগরিকদের একটি ভোজসভার আয়োজন করেছিলেন। সেই পার্টির নিমন্ত্রণ পত্রে হুঁকোবরদার ছাড়া অন্য কোনও ভৃত্য না নিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়েছিল অভ্যাগতদের।  
আঠারো শতকের ব্রিটিশ কেরানিকুলের সদস্যরা বার্ষিক দু’শো পাউন্ড মাইনে পেলেও হুঁকোবরদার সহ তাম্বাকু সেবনের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা বজায় রাখতেন। তবে পাঠক যদি মনে করেন যে, তার জন্য সাহেবদের প্রচুর খরচ করতে হতো, তা কিন্তু নয়। সপ্তদশ শতকের পর্তুগিজ পর্যটক সেবেস্তিয়ান মেনেরিক দেখেছিলেন যে, ভারতের আরও নানা জায়গার সঙ্গে বাংলাতেও তামাক উৎপাদন হতো। সুতরাং তামাকের দাম খুব বেশি ছিল না। ১৭৫৯ সালে কলকাতার জমিদার হলওয়েল সাহেব গৃহসহায়কদের যে মজুরির তালিকা অনুমোদন করেছিলেন, সেখানে হুঁকোবরদারের মজুরি আলাদা করে নির্দিষ্ট করা না থাকলেও বোঝা যায় যে, তাদের মজুরিও খুব বেশি ছিল না। কারণ সর্বোচ্চ মাসিক মজুরি হিসাবে ৫ টাকা দেওয়া হতো বাড়ির মুখ্য খানসামাকে। 
১৮১১ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক কাব্যসংগ্রহে হুঁকো নিয়ে পুরো একটি কবিতার দেখা মেলে। পেশার তাগিদে বিদেশ বিভুঁইয়ে পড়ে থাকা নামহীন কবি তার প্রাণের শান্তি, মনের আরাম আর আত্মার আত্মীয় খুঁজে পেয়েছিলেন হুঁকোর মধ্যে। সাহেবদের কাছে হুঁকোর সঠিক মর্ম বুঝতে সেই কবিতার একটি স্তবক পড়ে দেখুন— 
‘When thoughts of home come o’er my mind—
Of distant friends I’ve left behind,
In what can I then comfort find?—
My Hookah.’
 উনিশ শতকের মাঝের দশকগুলি পর্যন্ত হুঁকো বিলাসী সাহেবদের খোঁজ পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখায়। সংখ্যাটা অবশ্যই আগের শতক থেকে কমে এসেছিল। বাস্টিড সাহেব তার পুরনো কলকাতার স্মৃতিচারণে ১৮৬৬ সাল পর্যন্ত হুঁকোর ব্যবহারের কথা শুনিয়েছেন উচ্চকোটির শ্বেতাঙ্গ সমাজে। তবে উনিশ শতক থেকেই সর্বজনীন জায়গায় হুঁকোর ধোঁয়া নিয়ে টুকটাক বিরক্তি ছাপা হতে থাকে খবরের কাগজে। হুঁকোর ধোঁয়ায় প্রচণ্ড বিরক্ত এক পত্রলেখক ১৮২২ সালে ‘ক্যালকাটা জার্নাল’ পত্রিকায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে দাবি করেছেন চিঠিটি প্রতি মাসে একবার করে ছাপার, যতদিন না সমাজ থেকে প্রথাটি একেবারে নির্বাসিত হয়!
উনিশ শতকের শেষ বা তারও খানিক আগে থেকে সাহেবদের মধ্যে হুঁকো টানার প্রচলন উঠে গেলেও এদেশীয় সমাজে এই নেশা টিকে ছিল একবিংশ শতকের শুরুর দিকেও। তবে আজকাল রথের মেলার ঘাড় নাড়া বুড়ো ছাড়া কারও হাতেই আর হুঁকো দেখা যায় না। 
04th  August, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
একনজরে
অনিয়মিত রেল চলাচল, বিভিন্ন রেল স্টেশনের উন্নতিকরণ সহ একাধিক দাবিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...

ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচ খেলতে বুধবার জামশেদপুর যাচ্ছে মোহন বাগান। প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব এফসি। তবে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার জেমি ম্যাকলারেন ও আশিক কুরুনিয়ানকে পাচ্ছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ...

কুসংস্কার-বিরোধী, যুক্তিবাদী চিকিৎসক নরেন্দ্র দাভোলকরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দেশজুড়ে ন্যাশনাল সায়েন্স টেম্পার ডে (এনএসটিডি) পালিত হল। এনএসটিডির সপ্তম বর্ষে জোর দেওয়া হয়েছে কলকাতা সায়েন্স টেম্পার ডিক্লারেশনের উপরে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM