Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। সুজয়িতা তাই, এই মাঝবয়সেও দারুণ উত্তেজিত।
চিরকালই সুজয়িতা বন্ধুবৎসল। ওর এত ভালো নামটাকে কেটেছেটে কলেজের বন্ধুরা ‘সুজি’ বানিয়ে দিলেও ও রাগ করেনি। বরং নামের অমন অপভ্রংশ শুনে ওর মা যখন বলেছিল, ‘ছিঃ! আমার দাদার দেওয়া অমন সুন্দর নামটাকে ওরা এমন বদখত বানিয়ে দিল! ছোট করে ডাকতে চাইলে জয়ী তো বলা যায়। সুজি বলে ডাকলে তুই সাড়া দিবি না।’ 
সুজয়িতা বলেছিল, ‘থাক না মা! ওটা ওদের ভালোবেসে দেওয়া নাম, ওরা যা বলে ডেকে খুশি হয়, ডাকুক না।’ সুজয়িতা নামটা কেবল থেকে গেল কলেজের খাতাপত্রে। বন্ধুদের কাছে ও সুজিই।
সেই সুজি এতগুলো বছর পর দেশে পা রাখবে আর বন্ধুদের সেই খবরটা না জানিয়ে পারে! নিজেই কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সুজয়িতাদের বাড়ি বাঁকুড়ায়। স্কুলের পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ও কলকাতার কলেজে ভর্তি হয়েছিল। কলেজ, ইউনিভার্সিটির পাঁচটা বছর কলকাতাতে হস্টেলে-মেসে কাটিয়ে, বিয়ের পর ফ্রান্সে থিতু হয়েছিল। তারপর চোদ্দোটা বছর কেটে গিয়েছে। রাইন নদী দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল, জল গড়িয়েছে গঙ্গা ভাগীরথী দিয়েও। সুজয়িতার জীবনও চলেছে অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে। অবশেষে সব কিছু ঝেড়ে ফেলে একেবারে চলে 
আসছে ও। 
প্যারিস থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় নামতে নামতে বিকেল হয়ে যাবে, তাই সুজয়িতা ঠিক করেছে আজকের দিনটা কলকাতাতে থেকে যাবে। বন্ধুরা যারা কলকাতায় আছে তাদের সঙ্গে দেখা করে, আড্ডা মেরে পরদিন বাঁকুড়ায় ফিরবে। তাতে ফুসফুসে অনেকটা অক্সিজেন ঢুকবে। টিকিট কাটা হয়ে যাবার পরই দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিল বন্ধুদের। এমনকী, আজ দিল্লিতে নামার পর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটাতে মেসেজও করেছিল। অথচ এয়ারপোর্টের বাইরে পা রেখে দেখতে পেল একমাত্র জিষ্ণুকে। 
‘শুধু তুই? আর কেউই আসতে পারল না?’ সুজয়িতার গলায় স্পষ্ট হতাশা।
‘জুঁই আর কুণালের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল খানিক আগে। ওরা বলেছে আসবে। তবে একটু দেরি হবে। আর বাকিদের কথা জানি না।’
সুজয়িতার উৎসাহে তখন ভাটার টান। সেইসঙ্গে খানিকটা অভিমানের মেঘও ঘনালো বুকের ভেতরে। ওর মুখে অন্ধকার জমাট বাঁধতে দেখে জিষ্ণু বলল, ‘ঘাবড়াচ্ছিস কেন? ম্যায় হুঁ না! আমরা কোথাও বসি চল। ওখানকার লোকেশনটা শেয়ার করে দেব গ্রুপে। যারা আসতে চাইবে চলে আসতে পারবে।’
কথাটা মনে ধরল সুজয়িতার। জিষ্ণু গাড়ি এনেছিল। ওর গাড়িতে নিজের ঢাউস দুটো ট্রলি তুলে জিষ্ণুর পাশের সিটে গা ছেড়ে দিল সুজয়িতা। চোদ্দো বছরে অনেক বদলে গেছে কলকাতা। ফ্লাইওভার উড়াল দিয়েছে যত্রতত্র, মেট্রোরেল ডাবল প্রোমোশন পেয়েছে।
জিষ্ণু ফার্স্ট ইয়ারে পড়াকালীন সুজয়িতার ভালো বন্ধু ছিল। সেকেন্ড ইয়ারে উঠে ওর মধ্যে প্রেমিক প্রেমিক ভাব দেখা দিল। সুজয়িতা বুঝত সবই, কিন্তু পাত্তা দেয়নি। বরং কিছুদিন জিষ্ণুকে এড়িয়ে চলেছিল। ফলে জিষ্ণুও নিজের আবেগ সংবরণ করে নিয়েছিল। আর দেবদাস সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়নি। পরবর্তীকালে এই সামান্য চিত্তদৌর্বল্যের কথা জিষ্ণু মনে রাখেনি, ভুলে গিয়েছে সুজয়িতাও।
‘হ্যাঁ রে, তুই এত বছর বাদে ফিরছিস তাও আবার একলা, ব্যাপার কী?’ 
অনেক বছর পর যোগাযোগ হলেও বন্ধুরা বন্ধুই থেকে যায়। আর তাদের সহজাত অধিকার থাকে খোলা মনে যেকোনও কথা জিজ্ঞাসা করার। প্রশ্নটা একেবারে ব্যক্তিগত হলেও জিষ্ণু সরাসরি জিজ্ঞাসা করতে কুণ্ঠা বোধ করল না, আর সুজয়িতাও শুনে রাগ করল না। 
‘দোকলা যিনি ছিলেন তার সঙ্গে পোষায়নি রে! ওই চ্যাপ্টারটা অনেকদিন ক্লোজড।’
‘ওহ! আই অ্যাম সরি। মানে জানতাম 
না তো।’
‘ধুসস! আমার নিজেরই কোনও দুঃখ নেই এ নিয়ে, তুই খামোকা দুঃখ পেতে যাস কোন দুঃখে! এই বেশ ভালো আছি, একেবারে বিন্দাস!’
‘বেশ, তাহলে আমিও দুঃখটা ফিরিয়ে নিলাম। তা তোর বিবাহের বাই প্রডাক্ট কোথায়?’
‘বাই প্রোডাক্ট!’ ভুরু কুঁচকে গেল সুজয়িতার। পরক্ষণে মানেটা বুঝতে পেরে সশব্দে হেসে ফেলল।
‘তোর মাথায় আসেও বটে! বাই প্রোডাক্ট নেই! সেটাও একটা বড় বাঁচোয়া। নইলে আষ্টেপিষ্টে বাধা পড়ে যেতাম , দড়ি কেটে উড়ে যেতে পারতাম না।’
কথা বলতে বলতে ওরা বেশ খানিকটা চলে এসেছিল। একটা ভালো রেস্তরাঁর সামনে গাড়ি থামাল জিষ্ণু।
ওরা ভেতরে ঢুকে বসতে না বসতেই আকাশ কালো হয়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে নামল তুমুল বৃষ্টি। সুজয়িতা বলল, ‘আহা! এমন না হলে চলে? কবি কি আর এমনি এমনি লিখেছেন— সে আমাদের বাংলাদেশ আমাদেরই বাংলা 
রে! আহা!’
‘এটা বর্ষার কবিতা ছিল নাকি!’ জিষ্ণু ভুরু কুঁচকাল।
‘সে না হোক! যা মুখে এল, বললাম মনের আনন্দে। তুই থাম দেখি, মাস্টারমশাইয়ের মতো ভুল ধরতে আসিস না!’
ঘণ্টা দেড়েক পেরিয়ে যাবার পরও বৃষ্টি কমল না দেখে সুজয়িতার মুখে চিন্তার ছাপ। খানিক আগে কুণাল আর জুঁই আলাদা আলাদাভাবে ফোন করে জানিয়েছে, ইচ্ছে থাকলেও এত বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বেরতে পারছে না। সুজয়িতা দেখল, কুণাল আর জুঁই ভুল কিছু বলেনি। দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে এখানেও হাঁটুজল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। কলকাতার এই সমস্যা আর মিটল না। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই কলকাতা ভেনিস হয়ে যায়।
বৃষ্টি তখনও ধরেনি। ইতিমধ্যে বাইরে অন্ধকারও নেমে গিয়েছে। রাস্তার আলোগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম আলোর প্রসাধনী মেখে জলের ফোঁটাগুলো বকুলফুলের মতো 
ঝরে পড়ছিল।
তিন নম্বর কফির কাপে একটা চুমুক দিয়ে উদ্বিগ্ন গলায় সুজয়িতা বলল, ‘আমি তো খুব বিপদে পড়ে গেলাম রে।’
‘কীসের বিপদ?’
‘আমি তো ভেবেছিলাম রাতটা কোনও হোটেলে কাটাব। কাল বাঁকুড়ার ট্রেন ধরব। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি হল, এই জল ভেঙে কোথায় হোটেল খুঁজতে যাব?’
‘আমি আছি তো! অত ভয় পাচ্ছিস কেন?’ জিষ্ণু আশ্বাস দিল।
‘সে তো জানি যে তুই আছিস, হোটেলে পৌঁছে দিবি। কিন্তু তুই-ই বা এই জলের মধ্যে হোটেল খুঁজতে যাবি কী করে? ইঞ্জিনে জল ঢুকে গেলেই তো গেল! গাড়ি তখন নৌকা হয়ে যাবে।’
‘সামনেই আমার ফ্ল্যাট, তেঘরিয়ায়। আজ রাতটা ওখানেই থেকে যা। রেশমি আছে, লোপা আছে, তোর কোনও অসুবিধা হবে না।’
‘তোর বউ-মেয়ে? তারা তো চেনে না আমাকে!’
‘চেনে না, চিনে যাবে। তুই এমন কিছু সুখাদ্য নোস যে, ওরা তোকে খেয়ে নেবে! চল, তোকে বাড়িতে এন্ট্রি করিয়ে দিয়ে আমাকে অফিসে ঢুকতে হবে। একটা প্রজেক্ট চলছে, খুব ইম্পর্ট্যান্ট, আমাকে সারারাত ওখানেই থাকতে হবে।’
সুজয়িতার ক্লান্ত লাগছিল খুব, ঘুমও পাচ্ছিল। তাই আর কথা বাড়াল না। একটা রাতের তো ব্যাপার, গিয়ে দু’একটা সৌজন্যমূলক কথা বলে বিছানায় চলে যাবে। যা খাওয়া হয়েছে এতক্ষণ ধরে, তাতে আর রাতে কিছু খাওয়ার দরকার নেই, তাড়াতাড়ি  ঘুমিয়ে পড়া যাবে।

জিষ্ণুদের বাড়ির গলিতেও হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গিয়েছে। জলে পা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে সুজয়িতা বলল, ‘মনে হচ্ছে কলকাতার শেপটা কড়াইয়ের মতো হয়ে গেছে।’
দুটো ভারী ট্রলি ব্যাগ জল থেকে বাঁচাতে উঁচু করে ধরে আগে আগে যাচ্ছিল জিষ্ণু, পেছনে না তাকিয়েই বলল, ‘পুকুর-টুকুর যেখানে যা ছিল সব বুজিয়ে ফ্ল্যাট উঠে যাচ্ছে, জলগুলো কোথায় যাবে বল!’
লিফ্ট তিনতলায় দাঁড়াল। একটা বন্ধ ফ্ল্যাটের সামনে গিয়ে পকেট হাতড়ে জিষ্ণুকে চাবি বের করতে দেখে সুজয়িতা বলল, ‘তুই যে বললি, বাড়িতে তোর মেয়ে-বউ আছে?’
‘রেশমিরা কাছেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেছিল দুপুরে। মেসেজ করল বৃষ্টিতে আটকে পড়েছে। এসে যাবে’খন। তুই নিশ্চিন্তে থাক। আমিও সব বলে দিয়েছি ওদের।’
সুজয়িতার থাকার ব্যবস্থা করে জিষ্ণু বেরিয়ে গেল। ওকে এখন এই জল ঠেলে সল্টলেকে যেতে হবে। বেরনোর সময় বলে গেল, ‘তুই রেস্ট নে। রেশমিরা যখন আসে আসবে, ওদের কাছে ডুপ্লিকেট চাবি আছে, ঢুকে পড়বে। ফ্রিজে খাবার আছে, যা খাবি গরম করে খেয়ে নিস।’
‘আবার কী খাব! মাথা খারাপ তোর! আমি বরং একটু ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ি, তোর বউকে বলে দিস, ফিরে এসে আমাকে যেন ডাকে।’
ক্লান্ত শরীর বিছানায় ঠেকাতে না ঠেকাতেই ঘুমিয়ে পড়ল সুজয়িতা।
অনেক রাতে ঘুমটা ভেঙে গেল। দেখল, পুরো বাড়ি অন্ধকারে ডুবে আছে। সময় দেখার জন্য মোবাইলটা অন করে জিষ্ণুর মেসেজ দেখতে পেল— ‘রেশমি জানিয়েছে এত জলের মধ্যে গাড়ি পাচ্ছে না, তাই আজ ফিরতে পারছে না। তুই শান্তিতে ঘুমো।’ আবারও গভীর ঘুমে 
তলিয়ে গেল।
পরদিন আটটায় ঘুম ভাঙল সুজয়িতার, প্রায় বারো ঘণ্টা ঘুমিয়ে শরীরটা ফ্রেশ লাগছে। 
অন্যের রান্নাঘরে নিজের জন্য চা বানাতে বানাতে সুজয়িতা ভাবছিল, বাড়িতে গেস্ট আছে, জিষ্ণুর বউয়ের তো উচিত ছিল সকালে তাড়াতাড়ি চলে আসা কিংবা একবার ফোন করে কথা বলা। তাহলে কি ওর বাড়িতে হুট করে চলে আসাটা রেশমি পছন্দ করেনি? নিশ্চয়ই তাই। রেশমির ব্যবহার তো সেটাই বলছে।
এটা মনে হতেই মুখটা তেতো হয়ে গেল সুজয়িতার। 
খানিকবাদে জিষ্ণুর ফোন এল, ‘কী রে উঠেছিস? ঘুম হয়েছে তো ঠিকঠাক?’
‘দারুণ ঘুমিয়েছি। তুই কখন আসবি? আমি বেরব তো, বাড়ি ফিরব।’
‘এই তো ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আসছি।’
‘একটা সত্যি কথা বলবি? তোর বউয়ের মনে হয় আমার এখানে আসাটা পছন্দ হয়নি, 
তাই না?’
‘আরে না না! ওসব কিছু নয়। আমি আসছি, ওদের সঙ্গে নিয়েই আসছি।’
ফ্ল্যাটটা ঘুরে দেখছিল সুজয়িতা আর ভাবছিল জিষ্ণুর বউটা বেশ গোছানো স্বভাবের। বাড়িতে কোথাও এলোমেলো করে রাখা জামাকাপড় নেই। ফলে ফ্ল্যাটটা বেশ পরিষ্কার, ছিমছাম। সারা বাড়িতে একটাও ছবি নেই, অন্তত ওর মেয়ের এটাই যা একটু আশ্চর্যের!
ন’টার মধ্যে চলে এল জিষ্ণু, সুজয়িতা ততক্ষণে তৈরি হয়ে গিয়েছে। ও একবার ভেবেছিল ব্রেকফাস্ট কিছু বানিয়ে রাখবে। কিন্তু অচেনা কারও রান্নাঘর ব্যবহার করার আগে তার অনুমতি নেওয়া উচিত। বিশেষত এক্ষেত্রে জিষ্ণুর বউয়ের যখন অতিথিকে পছন্দ নয় বলেই মনে হচ্ছে, তাই আর ওই পথে হাঁটেনি। আসলে সুজয়িতা এখন এখান থেকে পালাতে পারলে বাঁচে। 
টেবিলের ওপর ঠোঙাটা রেখে জিষ্ণু বলল, ‘নে গরম গরম হিংয়ের কচুরি, আর সঙ্গে আলুর চচ্চড়ি। দারুণ বানায় এরা, শিগগিরি খেয়ে নে, ঠান্ডা করিস না।’
হিংয়ের কচুরি সুজয়িতার ভীষণ প্রিয়। খুশি মনে খেতে খেতে বলল, ‘আহা! কতদিন পর খেলাম রে তোর কল্যাণে!’
‘জানি। সেই জন্যই তো নিয়ে এলাম।’
‘কী জানিস?’
‘হিংয়ের কচুরি তোর প্রিয় আর এতবছর সেটা খেতে পাসনি।’
‘তোর মনে আছে?’ খাওয়া থামিয়ে অবাক হয়ে তাকাল সুজয়িতা।
‘থাকবে না? এই তো সেদিনের কথা। রাস্তায় হিংয়ের কচুরি ভাজতে দেখলেই তোর কচুরি নিয়ে আদেখলাপনার কথা মনে পড়ে যায়।’
সুজয়িতা ঠোঁট ওল্টাল।
জিষ্ণু বলেছিল, আসার সময় বউ আর মেয়েকে নিয়ে আসবে, অথচ ফিরেছে একলাই। সুজয়িতা বুঝল, রেশমি আসতে চায়নি, নিশ্চয়ই ওর এখানে থাকা নিয়ে ওদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তাই এ নিয়ে আর কোনও কথা জিজ্ঞাসা করে বন্ধুকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চাইল না ও। ব্রেকফাস্ট করেই বেরিয়ে পড়ল। জিষ্ণু  স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসতে চেয়েছিল, সুজয়িতাই রাজি হল না, ‘তুই সারারাত ঘুমাসনি, এখন টেনে ঘুম লাগা। আমি ঠিক চলে যাব।’ তবে মনে মনে ভাবল, আজ আর ঘুম হয়েছে তোর! আমি বেরিয়ে গেছি খবর পেলেই বউ ঢুকবে আর তেড়ে ঝগড়া লাগাবে।
কী যেন একটা অসঙ্গতি মনের মধ্যে খচখচ করছিল। ব্যাপারটা পরিষ্কার করে নেওয়ার জন্য ট্যাক্সিতে যেতে যেতে জুঁইকে ফোনে ধরল।
‘হ্যাঁ রে, জিষ্ণুর কি বউয়ের সঙ্গে গণ্ডগোল? ওর বউ মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকে?’ সুজয়িতার মন বলছে, আসলে এটাই ঘটনা, লজ্জায় জিষ্ণু কিছু বলেনি।
‘কার বউ-মেয়ে?’ গাড়ির হর্ন ভেদ করে জুঁইয়ের চিৎকার কানে এল সুজয়িতার।
‘জিষ্ণুর জিষ্ণুর।’
‘জিষ্ণুর আবার বউ-মেয়ে কোথায় পেলি? ও তো বিয়ে করেনি বলেই এতকাল জানতাম।’
সুজয়িতা প্রচণ্ড অবাক হয়ে গেল। তারপর রাগ এসে সেই জায়গাটার দখল নিল। শুধু শুধু এমন মিথ্যে বলার কারণটা কী! ট্যাক্সিকে মুখ ঘোরাতে বলল।
দরজা খুলে সুজয়িতাকে দেখে অবাক হয়ে গেল জিষ্ণু।
‘তুই? কিছু ফেলে গেছিস?’
জিষ্ণুর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ঝাঁঝিয়ে উঠল সুজয়িতা।
‘জুঁই বলল তুই বিয়েই করিসনি। অথচ কাল থেকে আমাকে রেশমি-লোপা, বউ-মেয়ে কত গল্প শোনালি। এত মিথ্যে বলার কারণটা কী?’
‘বাড়িতে বউ-মেয়ে আছে এটা না বললে তুই কি আমার এখানে থাকতে রাজি হতিস? ওরকম দুর্যোগের মধ্যে তোকে কোথায় ছেড়ে দিতাম আমি? তাই গল্পটা বানালাম। একটা ভালো কাজের জন্য এটুকু মিথ্যে বললে ঠাকুর পাপ দেয় না।’
সুজয়িতার রাগ পড়ে গেল জিষ্ণুর জবাব শুনে। এ কী ছেলেমানুষি কাণ্ড! ওকে দরজা থেকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকে বসল ও। জিষ্ণুকে হুকুম করল,  ‘দরজাটা বন্ধ করে এখানে এসে বস।’
জিষ্ণু লাজুক মুখে আজ্ঞা পালন করল।
‘বিয়ে করিসনি কেন?’
‘মেয়ে পেলাম কই? যাকে করব ভেবেছিলাম, সে তো অন্যের হাত ধরে বিদেশে পাড়ি দিল।’
সুজয়িতা হাসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছিল না। একটু পরে ধাতস্থ হয়ে বলল, ‘বাঁকুড়ার ট্রেনটা তো মিস হয়ে গেল তোর মিথ্যে কথার চক্করে। ভাবছি, আজকের দিনটা এখানেই থেকে যাই, কী বলিস?’
‘শুধু আজ কেন ম্যাডাম! যদি চান, জীবনের বাদবাকি দিনগুলো এখানেই থেকে যেতে পারেন।’
21st  July, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
একনজরে
ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

রপ্তানি ক্ষেত্রে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির খনিজ ও আকরিকের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে ওঠার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। মঙ্গলবার শহরে সিআইআই আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, পূর্ব ভারতের উন্নয়নে কেন্দ্র আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে। ...

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে এলন মাস্ককে মন্ত্রিসভার সদস্য করবেন। সোমবার এমনটাই ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বলেন, ‘এলন খুব বুদ্ধিমান ছেলে। ...

প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM