Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আমির খসরু ও বসন্ত উৎসব
সমৃদ্ধ দত্ত

সুফি সাধক হজরত নিজামউদ্দিনের কাছে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শান্তির খোঁজে। স্বস্তির সন্ধানে। নিবেদিত প্রাণ নিয়ে তাঁরা সকল দুঃখ-দুর্দশা, ক্ষোভ ক্রোধের আহুতি দিতে চায় এখানে। এই নিজামউদ্দিনের কাছে। তিনি তো সাধারণ সাধক নন। আজমির দরগার খাজা মইনউদ্দিন চিস্তি। তারপর  খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকি। যাঁর পরিচয় কুতব সাহিব। দিল্লির মেহরৌলিতে তাঁর পবিত্র দরগা। তারপর বাবা ফরিদ। পাকিস্তানের পাকপিত্তানে তাঁর দরগা। আর সেই পথ ধরেই এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছেন খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া। যাঁর দরগা দিল্লির কেন্দ্রস্থলে। অতএব এটাই স্বাভাবিক যে, ইচ্ছাপূরণ অথবা হৃদয়কে শান্ত করার স্পর্শ পাওয়া যাবে তাঁর কাছেই। 
অথচ এহেন খাজা নিজামউদ্দিন সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গিয়েছেন কেন? আজকাল তিনি কোনও কথা বলেন না। বললেও খুব কম। দশবার ডাকলে একবার সাড়া দেন। তাঁর দোয়া পেতে দরবারে আসছে রোজই কয়েকশো মানুষ। সুলতানের বার্তাবাহক এসে এসে ফিরে যাচ্ছে। কেন? কারণ মহাসাধক নিজামউদ্দিন আউলিয়ার প্রাণের থেকে প্রিয় ভাগ্নের মৃত্যু হয়েছে সদ্য। ওরকম এক তাজা ভালো মনের বালকের মৃত্যু যেন নিজামউদ্দিন আউলিয়ার বেঁচে থাকার ইচ্ছাই কেড়ে নিয়েছে। তিনি জানেন এবং বলেনও সকলকে যে, এই দুনিয়া কয়েকদিনের সরাইখানা। এখানে এসে তাই এমন কাজ করে যেতে হয়, এমন এক নিজের ভাবমূর্তি রেখে যেতে হয়, যাতে মৃত্যুর পর সকলেই এক ফোঁটা চোখের জল ফেলে। সক঩লেই তোমাকে মনে করে উচ্চারণ করে যে, হ্যাঁ, মানুষটা ভালো ছিল। ছিল সুভদ্র। তাই আজ যাকে অপমান করছ,  মনে রেখ কাল যখন তুমি থাকবে না, সে তোমাকে একজন অপমানকারী, উদ্ধত মানুষ হিসেবেই জানবে। ঈশ্বরে সমর্পিত কর সব দুঃখ। সব আনন্দ। তোমার হৃদয় যেন কোনও বিষাদ অনুভূতিকে ধারণ করে না রাখে।
এহেন সাধক নিজামউদ্দিনকে এরকম মনমরা দেখে তাঁর ভক্ত ও শিষ্যরা সকলেই প্রচণ্ড কষ্টে আছে। ১২৩৮ থেকে ১৩২৫ সাল পর্যন্ত জীবনকাল ছিল হজরত নিজামউদ্দিনের। তাঁর জীবনাবসানের পর সেই স্থানের নাম আজকের নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগা। তিনি সকলের বেদনা দূর করেন কোমল কণ্ঠের বাণী শুনিয়ে। আর হজরত নিজামউদ্দিনের নিজের বেদনা বোধ কিংবা মন খারাপের সময়টায় কাকে দরকার হয় তাঁর। প্রিয়তম শিষ্য আমির খসরুর। এরকম গায়ক, এরকম কবি, এরকম ঈশ্বরদত্ত প্রতিভা আর এই অনুভূতি এই দুনিয়ায় কার কার আছে? 
সুলতানের দরবারে একবার করে রোজ যেতেই হয়। খিলজিদের সভাসদ তিনি। কিন্তু বাকি সময়টায় আমির খসরুর গানের চর্চা, লেখালেখি আর  ঈশ্বরভজনা চলে গুরুর দরবারেই। অর্থাৎ খাজা নিজামউদ্দিনের কাছে। সেই আমির খসরু চেষ্টা করছেন কয়েকদিন ধরে। তাও পারছেন না। তাকিউদ্দিন নুহ ছিল তাঁর বোনের সন্তান। সর্বদাই খাজাজির সঙ্গে সঙ্গেই থাকত। কয়েকদিনের অসুস্থতায় তাঁর মৃত্যু হল। আর নিজামউদ্দিন আউলিয়ার জীবনের সব রং যেন কেড়ে নিয়ে গেল সেই মৃত্যুদূত। 
আমির খসরুর আর মন নেই গানবাজনায়। তিনি তিনতারা বাদ্যযন্ত্রকে নিয়ে একটা স্বপ্ন দেখছেন। ভাবছেন এটাকে কীভাবে আরও তার যুক্ত করা সম্ভব। সব মিলিয়ে নানাবিধ সুর পাওয়া যাবে সেই নতুন যন্ত্র থেকে। সেটাই মাথার মধ্যে ঘুরছে তাঁর। কিন্তু স্বয়ং খাজাজি এরকম নিরাশার অন্ধকারে ডুবে গেলে তিনি কীভাবে জীবনে সুরের সন্ধানে ব্রতী হবেন? তাই আমির খসরু পথে পথে ঘুরছেন। ভাবছেন। কী করা যায়?
হঠাৎ দেখতে পেলেন একদল মেয়ে চলেছে। তাদের রঙিন পোশাক। আর প্রত্যেকের হাতে একটি করে ডালা। সরু সরু বেত দিয়ে তৈরি ঝুড়ি। সেই ঝুড়িতে সর্ষের ফুল। সঙ্গে গাঁদা। সেও হলুদ। এটা কীকরম হল? সকলের পরনে হলুদ রঙের পোশাক। আবার ফুলও সব হলুদ। এরা যে হিন্দু ঘরের নারী সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আবার গুনগুন করে সকলে কিছু একটা গানও গাইছে। কানহা...মোহন... এসব শব্দ ভেসে আসছে। তার মানে কৃষ্ণের আরাধনা? 
জায়গাটা কোথায়? খাজা চিল্লা খানখার পাশের রাস্তায়। গুরুদ্বার দমদমা সাহিবের কাছে। যা হুমায়ুন টম্বের পিছনে। কিন্তু সেসব তো আর তখন ছিল না। গুরুদ্বার দমদমা সাহিব অথবা হুমায়ুন টম্ব  দিল্লিতে আসবে অনেক পরে। কিন্তু আমির খসরু যেখানে বসে এই মেয়েদের দেখলেন, সেই স্থান এই চত্বরেই ছিল বলে তিনি নিজেই লিখেছিলেন। 
আমির খসুরু তাদের কাছে দ্রুত গিয়ে প্রশ্ন করলেন, তোমরা কোথায় যাচ্ছ এভাবে? এর আগেও দেখেছি? 
মেয়েরা উত্তর দিল, মন্দিরে যাই আমরা। পুজো করতে। 
খসরু বলেন, আর এই ফুল?
তারা বলে, এই ফুল ছড়াই আমাদের দেবতার চরণে। তাঁর শরীরকে স্নান করানো হয় ফুলের স্পর্শে। 
খসরুর কাছে হজরত নিজামউদ্দিন একপ্রকার ঈশ্বরই। অতএব তিনি এক মুহূর্ত মেয়েদের কথা শুনে জানতে চাইলেন, এই যে তোমরা ফুল ছড়াও, এতে তোমাদের দেবতা খুশি হন?
মেয়েরা অবাক হয়ে বলে, নিশ্চয়ই। আমাদের ফুল ছড়ানোর ইচ্ছা তাহলে জাগ্রত হয় কেন? তিনিই নিশ্চয়ই আমাদের মনের মধ্যে এই ইচ্ছাটা প্রবেশ করিয়েছেন?
এই সাধারণ মেয়েদের মুখে এরকম গভীর জীবনদর্শনের কথা শুনে মোহিত হলেন আমির খসরু। তিনি দ্রুত ফিরলেন নিজের ঘরে। লিখলেন বসন্তকালের আগমনের বার্তাবাহী গান আর গীতিস্তবক। আর চলে গেলেন হজরতের দরগায়। তার আগে শিষ্যরা সকলে মিলে ঠিক করা হল, বসন্ত পঞ্চমীর দিন হবে এক অনুষ্ঠান। আনা হবে হলুদ ফুলের সম্ভার। সকলেই পরবে হলুদ রঙের পোশাক। আর হজরত নিজামউদ্দিনকে হলুদ ফুলের আসরে বরণ করে নিয়ে আমির খসরু শোনালেন, 
‘সকল বন ফুল রাহি সরসো
উমভা ফুটে তেসু ফুলে
কোয়েল বোলে দোয়ার দোয়ার
অর গোরি করত শৃঙ্গার...’
নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মন থেকে এই রঙের উৎসব দেখে একটা পাথর নেমে গেল। তিনি উপলব্ধি করলেন প্রকৃতির এই আশ্চর্য রূপ রস গন্ধ আর রংকে। প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে নিজেকে মানুষকে আনন্দ দেবে বলে। আমরা মানুষ ক্ষুদ্র স্বার্থে সেদিকে তাকিয়ে দেখছি না। 
সেই শুরু। সাড়ে সাতশো বছরের বেশি সময় ধরে দিল্লির বিখ্যাত নিজামউদ্দিন আউলিয়া দরগায় চলছে বসন্ত পঞ্চমীর এই উৎসব। যে উৎসবে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ই সমানভাবে অংশ নেয়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কাওয়ালি ও হিন্দবা সঙ্গীত। হিন্দবা সঙ্গীত আবার কী? 
কাওয়ালির আবিষ্কর্তা আমির খসরু ফারসি, উর্দুর পাশাপাশি বিশুদ্ধ হিন্দুস্তানি ভাষায় গীত রচনা করতেন। সেই গানকে তিনি আখ্যা দিতেন হিন্দবা। অর্থাৎ হিন্দুস্তানের নিজস্ব সঙ্গীত। 
নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মনে জমে ওঠা হতাশার অন্ধকারকে দূর করেছিলেন আমির খসরু। অতএব তাঁর মনোবাসনা ছিল, আমার কবরের পাশেই যেন থাকে খসরুর খবর। আমরা পাশাপাশি 
থাকতে চাই। 
তাই হয়েছে। নিজামউদ্দিন দরগায় আমির খসরু শায়িত আছেন। আর প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর পর দরগায় শুরু হয় বিখ্যাত কাওয়ালি অনুষ্ঠান। ঠিক খসরুর 
সমাধির কাছেই! 
28th  July, 2024
ঘাটশিলার বীরেশ
রাজেশ কুমার

ব্যাগ বোঁচকা আর এক কিলো পুঁটিমাছ নিয়ে সকাল সকাল পড়লাম এক অশান্তিতে। হয়েছেটা কী, দু’দিনের জন্য ঘুরতে এসেছিলাম ঘাটশিলা। ঠিক ঘুরতে না বলে শনির দশা কাটাতেই বলা ভালো। অনেক দিন বেড়াতে যাব, বেড়াতে যাব ভাবলেও যাওয়া হচ্ছিল না কোথাও। কিছু না কিছু বিপত্তি এসে হাজির হচ্ছিল ঠিক। বিশদ

18th  August, 2024
অভিশপ্ত কুলধারা

অলৌকিক তকমা স্থান-নামের সঙ্গে আলাদা মাত্রা যোগ করে। অলৌকিক ব্যাপার নিয়ে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী দু’পক্ষেরই নিজস্ব দাবিদাওয়া আর মতামত অন্তহীন।
  বিশদ

11th  August, 2024
দিল্লি দরবার
সমৃদ্ধ দত্ত

এমন কিছু নতুনত্ব নয়। এরকম দরবার এবং উৎসব আগেও হয়েছে। একবার সেই ১৮৭৭ সালে। ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বেশ কয়েক বছর পর মহারানি ভিক্টোরিয়ার ‘বিশেষ অভিষেক’ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল।
বিশদ

11th  August, 2024
হেড অফিসের বড়বাবু

বার দশেক হোঁচট খেয়ে প্রায় পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে পার্থ এসে দাঁড়াল অফিসের গেটে। পার্থ বড়ুয়া। জুনিয়র অফিসার।
বিশদ

11th  August, 2024
ছোট গল্প: মাগুরমারি সাঁকো
সৌমিত্র চৌধুরী

বাঁকের মুখে স্টিয়ারিং ডান দিকে ঘুরাতেই চোখে পড়ল। একটা সাঁকো। মনে হচ্ছে বেশ পুরনো। দূর থেকে ব্রেকে আলতো করে পা ছোঁয়াল বিপুল। চাকা গড়িয়ে গড়িয়ে কিছুদূর এগল। পুলের কাছে আসতেই ব্রেকে আরও একটু চাপ দিয়ে থামিয়ে দিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল বিপুলের। বিশদ

04th  August, 2024
গুপ্ত রাজধানী: লালকেল্লা
সমৃদ্ধ দত্ত

জায়গাটা অনেকটাই কম। যেভাবে সাম্রাজ্য ছড়াচ্ছে আর হিন্দুস্তানের বাইরে থেকে আরও দলে দলে সমস্ত স্তরের মানুষ ভাগ্যান্বেষণে ক্রমাগত এসেই চলেছে, এরপর তো রাজধানীটাই ঩ঘিঞ্জি হয়ে যাবে। আরও বেশি খোলামেলা জায়গা দরকার। কোথায় নিয়ে যাওয়া যায় রাজধানী? বিশদ

04th  August, 2024
অতীতের আয়না: সাহেবদের হুঁকো বিলাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

মহিলা দিন কয়েক হয়েছে বিলেত থেকে এসেছেন এদেশে। এদেশীয় এক বিদুষী মেমসাহেবের সঙ্গে মহিলার বন্ধুত্ব হয়েছে। তার মতো খাঁটি ইংলিশ নন, তবে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা হওয়ায় বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে এসে দেখেন শ্রীমতী হেয়ার-ড্রেসারের তত্ত্বাবধানে কবরী সজ্জায় ব্যস্ত। বিশদ

04th  August, 2024
ছোট গল্প: জামাইয়ের মোবাইল 
বিপুল মজুমদার

হ্যালো অর্পি, শোন মা, সামনের জামাইষষ্ঠীতে ওঙ্কারকে একটা স্মার্টফোন দিতে চায় তোর বাবা। তা তোদের যদি কোনও চয়েস থাকে, ইয়ে মানে কোনও কালার বা কোম্পানি, তাড়াতাড়ি সেটা জানিয়ে দিস তো ভালো হয়।’ বিশদ

28th  July, 2024
আজও রহস্য: ন্যাশনাল লাইব্রেরির অশরীরী 
সমুদ্র বসু

বেলভিডিয়ার গার্ডেন হাউস, আলিপুর। এই নামে না চিনলেও ন্যাশনাল লাইব্রেরি কলকাতা বললে সহজেই চিনবেন অধিকাংশ মানুষ। এই গ্রন্থাগার ভবন ও সংলগ্ন এলাকাটির পোশাকি নাম বেলভেডিয়ার এস্টেট। বেলভিডিয়ার হল গথিক ঘরানার বিশেষ স্থাপত্য। বিশদ

28th  July, 2024
জিষ্ণুর বউ
নন্দিনী  নাগ

রামচন্দ্র চোদ্দো বছর বনবাসে কাটিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরেছিলেন, আর সুজয়িতা বনের বদলে ভিনদেশে কাটিয়ে আজ ফিরছে স্বদেশে।  এই চোদ্দো বছরে যে মেয়ে একবারের জন্যেও আসতে পারেনি, আজ সে আসছে পাকাপাকিভাবে। ফরাসি দেশের পাট পুরোপুরি চুকিয়ে দিয়ে। বিশদ

21st  July, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দেবী যোগমায়া মন্দির
সমৃদ্ধ দত্ত

দ্বিতীয় আকবর শাহের দুর্ভাগ্য যে, পুত্র মির্জা জাহাঙ্গিরকে কিছুতেই বশে আনতে পারলেন না। মাথা ঠান্ডা রাখা যে, সাম্রাজ্য চালানোর সবথেকে বড় শর্ত, এটা সকলে বুঝতে পারে না। ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে গিয়ে সর্বস্ব হারাতে হয়েছে, এই ইতিহাস মুঘল বংশে বহু দেখা যায়। বিশদ

21st  July, 2024
বর্ষা এল, মাছ ধরতে চল
অমিতাভ পুরকায়স্থ 

 

শ্যামপুকুরের কৃষ্ণকুমার মিত্রের গাছগাছালি ঘেরা পুকুর সহ নিরিবিলি এক বাগানবাড়ি ছিল দমদমে। বাগানের মালিকের নিমন্ত্রণেই সেখানে একবার বেড়াতে গিয়েছিলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়, পূর্ণচন্দ্র চক্রবর্তী সহ কয়েকজন শিল্পী সাহিত্যিক বন্ধু। পূর্ণচন্দ্র ছাড়া বাকিদের মাছ ধরার নেশা ছিল। বিশদ

21st  July, 2024
বেগ বেগমের সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

এটা কী করলেন বাদশা! এরকম এক ভরা বর্ষায় বাংলা-বিহারে যখন নদীগুলো ফুঁসে উঠে জমি, জনপদ ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তখন পর্যন্ত কেউ যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করে?
বিশদ

14th  July, 2024
মাছের হাঁড়ি
সৌরভ হোসেন

টালির চালার ফুটো দিয়ে রোদগুলি ঘুলঘুলি হয়ে পড়ছে যে ডাপখানায়, বাঁশের তৈরি সে ডাপখানাতেই রাখা আছে হাঁড়িটা। একদিকের কানা বসানো।
বিশদ

14th  July, 2024
একনজরে
প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করল ক্ষুব্ধ জনতা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চৌরঙ্গি এলাকায় এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের চ্যাংরাবান্ধা অঞ্চল সভাপতি জছিরুদ্দিন মহম্মদ ওরফে খাটোকে গ্রামবাসীদের একাংশ ঘেরাও করে রাখেন। ...

মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র হাত ধরতে চায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (মিম)। চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। ...

ইস্কো কারখানার সম্প্রসারণ নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের জনশুনানিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কর্মসংস্থান না দেওয়া, এলাকার উন্নয়ন না করা সহ একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষজন। ...

অনিয়মিত রেল চলাচল, বিভিন্ন রেল স্টেশনের উন্নতিকরণ সহ একাধিক দাবিতে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রেল অবরোধের ডাক দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পুজোপাঠে ও সাধুসঙ্গে মানসিক শান্তিলাভ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কর্মোন্নতি ও উপার্জন বৃদ্ধি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস
১৬১৩- বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর মৃত্যু
১৯০৮ - ভারতীয় বাঙালি বিজ্ঞানী তথা কৃষিতে জৈব সার ব্যবহারের পথিকৃৎ পরমনাথ ভাদুড়ীর জন্ম
১৯১১- লিওনার্দো দা ভিঞ্চির  মোনালিসা ছবিটি লুভারস মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায়
১৯৩১- গায়ক বিষ্ণু দিগম্বর পালুসকরের মৃত্যু
১৯৭২- বন সংরক্ষণ আইন চালু হল
১৯৭৮- ভিনু মানকড়ের মৃত্যু
১৯৭৮- অভিনেত্রী ভূমিকা চাওলার জন্ম
১৯৮৬- জামাইকার স্প্রিন্টার উসেইন বোল্টের জন্ম
১৯৯৫- ভারতের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী সুব্রহ্মণ্যম চন্দ্রশেখরের মৃত্যু
২০০৬- বিশিষ্ট সানাইবাদক ওস্তাদ বিসমিল্লা খানের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৪ টাকা ৮৪.৭৮ টাকা
পাউন্ড ১০৭.১৪ টাকা ১১০.৬৮ টাকা
ইউরো ৯১.৩৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭১,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৫,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৫,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া ২৯/৩০ অপরাহ্ন ৫/৭। পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র ৪৮/৮ রাত্রি ১২/৩৪। সূর্যোদয় ৫/১৯/১৬, সূর্যাস্ত ৬/০/১৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ৯/৩৩ গতে ১১/১৪ মধ্যে পুনঃ ৩/২৮ গতে ৫/৯ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৯/১ মধ্যে পুনঃ ১/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৬ গতে ৩/২৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১ গতে ১০/৩১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৪ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৯ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৩০ গতে ৩/৫৫ মধ্যে। 
৪ ভাদ্র, ১৪৩১, বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪। দ্বিতীয়া রাত্রি ৮/১৬। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ৬/২৬ পরে পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৫১। সূর্যোদয় ৫/১৮, সূর্যাস্ত ৬/৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৯/৩০ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে ও ১/৩০ গতে ৫/১৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৩৫ গতে ৩/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৪৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/২৯ গতে ১০/৫ মধ্যে ও ১১/৪১ গতে ১/১৬ মধ্যে। কালরাত্রি ২/২৯ গতে ৩/৫৪ মধ্যে। 
১৬ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
২০৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:57:35 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন সুপার হলে সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

11:01:43 PM

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন ডাঃ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়

10:46:34 PM

আর জি কর কাণ্ড: আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের দাবি মেনে চার আধিকারিককে বদলি করল স্বাস্থ্য ভবন

10:41:39 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর

10:05:02 PM

অন্ধ্রপ্রদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫

10:02:32 PM