Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বাকি সব গুছিয়ে আনার জন্য!’ নাকের উপর নেমে আসা চশমাটা একটু ঠেলে ঠাকুরমশাই বললেন, ‘অ্যাঁ! বাঙালি হয়ে এটাও জানো না যে, ভাদ্রমাসে এসব শুভ কাজ করতে নেই! মলমাস বলে কতা! তা তোমরা পড়াশোনা জানা বড়ঘরের মানুষ! এসব জানবেই বা কেন!’
আমার কাছেও অনেকেই আসেন বিয়ে নিয়ে কথা বলতে। তাঁদের অধিকাংশই প্রথমে জিজ্ঞেস করেন, ‘আচ্ছা, অমুক মাসটি, অমুক দিনটি, অমুক সময়টি শুভ তো? ওই মাসটি মলমাস নয় তো? পৌষমাসে পনেরো তারিখের আগে কোনও হল পাচ্ছি না, জানেন! কী হবে! পনেরোই ডিসেম্বরের পর তো মলমাস পড়ে যাচ্ছে!’ শুভ-অশুভ, এই কথাগুলি পেরিয়ে মলমাস কথাটিতে যাই। এটি একটি বিশুদ্ধ অঙ্ক দ্বারা সৃষ্ট ভাবনামাত্র। অনেকটা ইংরেজি লিপ ইয়ারের মতো। প্রতি চার বছরে ফেব্রুয়ারি মাসে একটি দিন বাড়ানো হয় হিসেবের সুবিধার জন্য। মলমাসও তাই। প্রতি বছরে একাধিক মলমাস হওয়া তো দূরের কথা, সব বছরে মলমাস থাকেও না। মাসের হিসেব, বছরের হিসেব ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একরকম। আমাদের ভারতবর্ষের আবার আলাদা দু’রকম। চান্দ্র মাস এবং সৌর মাস।
ভারতীয় প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যা অনুযায়ী পৃথিবীর চারপাশে সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের প্রায় ২৭.৩ দিন সময় লাগে। পৃথিবী প্রতি ৩৬৫.২৪২২ দিনে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী ও চাঁদ ২৭.৩ দিনে সূর্যের চারপাশে প্রায় ১/১২ পথ পদ্ধতি হিসাবে সরে গিয়েছে। এর অর্থ হল এক পূর্ণিমা থেকে পরবর্তী পূর্ণিমা পর্যন্ত, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর কক্ষপথের বক্ররেখার কারণে চাঁদকে আবার পূর্ণিমা রূপে আবির্ভূত হওয়ার আগে ২.২ অতিরিক্ত দিন ভ্রমণ করতে হবে। এটি চান্দ্র বছর এবং সৌর বছরের মধ্যে বছরে ১০.৮৭ দিনের পার্থক্য তৈরি করে। এই পার্থক্যের জন্য পূরণ করতে, গড়ে প্রতি ৩২.৫ মাস পরে অতিরিক্ত একটি মাস যোগ করা হয়। এবং প্রায় তিন বছর পর এমন একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয় বলে একে অধিক মাস বলেও অভিহিত করা হয়। এই অতিরিক্ত মাসকেই মূলত মলমাস বলা হতো। এর সঙ্গে ভালো বা খারাপের যোগ থাকতেই পারে না।
সাধারণ হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ না-করা পর্যন্ত কোনও শুভ কার্য শুরু হয় না। এক্ষেত্রে মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি যে, বৈদিক যুগে হিন্দু ধর্ম বলে কোনও ধর্মের উল্লেখ নেই। আসলে দিন যত এগিয়েছে, আমরা সামাজিক ধারায় যেন আরও পিছিয়ে পড়েছি। গ্রহ-নক্ষত্রের গতিধারা, পূর্ণিমা-অমাবস্যা, গ্রহণের সঙ্গে মানুষের জীবনের যোগ যুক্ত করেছি। পুরোটাই অত্যন্ত সচেতনভাবে। জীবনযাত্রা যত জটিল হবে, তত বেশি করে আমাদের ব্রাহ্মণদের, সমাজপতিদের কাছে ছুটতে হবে। এই সময় এমন কাজ করা যায় তো? করলে আমার পরিবারের কারুর কোনও বিপদ আসবে না তো? আর যদি করতেই হয়, তবে কীভাবে, কত বড় যজ্ঞ বা শান্তি স্বস্ত্যয়ন করলে তা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে? এ যেন ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার এবং দুর্নীতি প্রতিষ্ঠা করে টাকা লুন্ঠনের নিদারুণ উপায়। দরিদ্র হলে আসলে তার সবটাই অশুভ।
এক মাসে দু’টি অমাবস্যা পড়লে সেই মাসটিকে দুষ্ট বা মলিন মাস অর্থাৎ মলমাস বলা হয়। একবার সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে, জীবনবোধ দিয়ে ভেবে দেখুন তো, অমাবস্যার সঙ্গে কাজ করা বা না করার কোনও যোগ থাকতে পারে? আজ পর্যন্ত যত কাজ, যেগুলিকে আমরা উৎসবের মতো করে পালন করি, তা বিয়ে, গৃহপ্রবেশ বা অন্নপ্রাশন—যাই হোক না কেন, যাঁরা যাঁরা পাঁজি দেখে, প্রচলিত ধারায় দিনক্ষণ মেনে সম্পন্ন করেছেন, সবার সব কিছু ঠিকঠাক হয়েছে তো? আর এই সব কিছু ভারতবর্ষের মধ্যেই হয়?  যেমন, নির্ভয়ার ঘটনায় কারা যেন বলেছিল, মেয়েটি রাতে বেরিয়েছিল কেন? ধর্ষকদের ভাই বলে ডাকেননি কেন? কৃষ্ণনাম করেনি কেন? তাদেরই তৈরি করা শাস্ত্র তৈরি করেছে শুভ-অশুভের এমন আশ্চর্য হিসেব! যা মানুষের হাতে নেই! অথচ মানুষ ভয় পায়! অজানাকে ভয়। অচেনাকে ভয়। আর সেই না জানা থেকেই অন্ধ ভক্তি।
চৈত্র, কার্তিক, ভাদ্র আর পৌষমাসে এদিকে লক্ষ্মীপুজো হয়। ভাদ্র মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কৃষ্ণের জন্মদিন পালন করা হয়। রাধার জন্মও কল্পনা করা হয়েছে এই ভাদ্র মাসেই। আবার মহারাষ্ট্রের সবথেকে বড় উৎসব গণেশ পুজোও এ মাসেই হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষ মৃতদের পুজোর জন্য সংরক্ষিত। এই সময়টিকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। ঋষি পঞ্চমীও এই মাসেই পালন করা হয়। এতগুলো পুজো বা উৎসব যে মাসে পালিত হয়, সেই মাসটিকে অশুভ বলে লাঞ্ছিত করাই বা কেন? তাছাড়া ঈশ্বরে যিনি বিশ্বাস করেন, তিনি কী করে মনে করতে পারেন যে সর্বমঙ্গলময় ঈশ্বর সময়কে শুভ-অশুভতে ভাগ করেছেন? আর যাঁরা বোঝেন, ঈশ্বরের অস্তিত্ব একটি কল্পনামাত্র, তাঁদের তো এই সব কিছু নিয়ে মাথা ঘামানোর কথাই না!
আমাদের বাংলা ভাষায় প্রতিটি মাসের নাম এসেছে কোনও না কোনও নক্ষত্রের নামে। যেমন পুষ্যা নক্ষত্রের নাম থেকে পৌষ। ঠিক তেমনই পূর্ব ভাদ্রপদ, ‍উত্তর ভাদ্রপদ থেকে এসেছে ভাদ্র মাসের নাম। আর ভাদ্র মাত্রেই তো অধিমাসও নয়। কিন্তু দশচক্রে ভগবানও ভূত হয়, এই নিয়মে ভাদ্রমাসকে অধি বা মলমাস হয়ে বসে আছে। আর ওই যুক্তির ব্যাখ্যাকে চাপা দিয়ে উঠে এসেছে অন্ধকার মাসের তত্ত্ব। দুষ্ট মাসের তত্ত্ব। ঠিক যেমন সব জেনেও আমরা রাসায়নিক সার দেওয়া খাবার খাই বা রাস্তার জাঙ্ক ফুডের দোকানে দাঁড়িয়ে রোল, চাউমিন, মোমো, পিৎজা খেয়ে তার পরেই অ্যাসিড, পেটব্যথার জন্য ওষুধ কিনতে ছুটি... আর শেষে ভর্তি হই হাসপাতালে; এও যেমন একটা চক্র। এই সমস্ত অন্ধ বিশ্বাস ছড়িয়ে, অশুভ শক্তির বিপদের কথা বলে আমাদের মানসিক ভাবে দুর্বল করে দেওয়া হয়, যাতে আমরা ছুটি শুভ শক্তির নাম করে ব্যবসা করা অশুভ শক্তির দালালদের কাছে।
নিজেকে প্রশ্ন করুন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশ্ন করুন। ইস্কুলে ছেলেমেয়েদেরও প্রশ্ন করতে উৎসাহ দেওয়া হোক। শরীরের যেমন হজমশক্তি বাড়ানো দরকার, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়াম দরকার, ঠিক তেমনই মানসিক হজমশক্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য যে কোনও বিষয় গভীরে গিয়ে বোঝা দরকার। উপলব্ধি করা দরকার।
শ্রবণ-মনন-নিদিধ্যাসন। এই ছিল প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার পদ্ধতি। আগে ভালো করে শোনো। সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করো। বার বার চর্চা করো। তার পরে সেই বিষয়ের অর্থকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের সহায়তায় উপলব্ধি করো। কিন্তু মেনে নেওয়ার অভ্যাসটি আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে। সেই ‘সোনার কেল্লা’য় জটায়ু মেনে নিয়েছিলেন ফেলুদার কথা। কোনও প্রশ্ন নয়। তারপরেও তাঁকে থামানো যায়নি। মনের মধ্যে গজিয়ে ওঠা প্রশ্ন করেই ফেলেছিলেন। আমরা করি না। ছেলেমেয়েদের প্রথমেই চুপ করিয়ে দিই। নিজেদের মনে প্রশ্ন জাগলেও অধিকাংশ সময়েই চুপ করে থাকি। কী জানি বাবা, ঝামেলা বাড়িয়ে কাজ কী! যদি কিছু খারাপ হয়, গোলমাল হয়, শুধু শুধু দোষ ঘাড়ে নেওয়ার দরকার কী! বরং মেনে নাও। সেই একটি জনপ্রিয় গান আছে না—‘কথা বলো না, কেউ শব্দ করো না, ভগবান নিদ্রা গিয়েছেন, গোলযোগ সইতে পারেন না!’ ২০২৪ সালে এসেও আমাদের সেই অবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থারও গোড়াতেই গলদ। মুখস্থ করো। আত্মস্থ নয়। কারণ আত্মস্থ করতে গেলেই প্রশ্ন তৈরি হবে যে। তাই মেনে নিতে শেখাও। বুঝতে হবে না, পালন করুক। যাঁরা অচেতনভাবে এই সব মেনে চলেন, তাঁদের কথা তবু আলাদা।  কিন্তু এইসব আশ্চর্য লোকাচার যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরাই ভয়ানক বিপজ্জনক। কারণ তাঁরা সবথেকে ভালো জানেন যে, শুভ-অশুভ বলে কিছু হয় না সেভাবে। আর সেই কারণেই দুর্বলদের লুট করার জন্য তাঁরা অনায়াস দক্ষতায় এই সমস্ত অপবিশ্বাসের বীজ মানুষের মনে পুঁতে দেন।  
08th  September, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

হারানো বইয়ের খোঁজে

সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে।
বিশদ

17th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
শুভ বিজয়া
কৌশিক মজুমদার 

বিজয়ার থেকেই ধীরে ধীরে দিনগুলো, রাতগুলো কেমন অদ্ভুত ঝিমধরা ক্লান্ত লাগে। প্রতি মুহূর্তে মনে হয় যেন এবার আরও অনেক কিছু করার ছিল, জীবনপাত্র উছলিয়া ভরার ছিল। ভরা হল না।  বিশদ

20th  October, 2024
শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়
সোমা চক্রবর্তী

১৯৮৬। তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। ছুটিতে দু’বেলা আর অন্যান্য দিন সন্ধ্যায় পড়তে বসা— এই ছিল রোজের রুটিন। পুজোর অপেক্ষায় থাকতাম সারা বছর। কারণ, আমাদের বাড়িতে নিয়ম ষষ্ঠী থেকে নবমী বই ছোঁয়া যাবে না। দশমীর দিন যাত্রা করে আবার পড়া শুরু। বিশদ

20th  October, 2024
নানা রঙের দশভুজা
দেবযানী বসু 

মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা! বেদ, পুরাণ, তন্ত্র, মহাকাব্য—সর্বত্র তাঁর মহিমার জয়গান। মতভেদও কম নেই। আর তা শুধু আবির্ভাব নয়, গাত্রবর্ণ নিয়েও। বেদ-পুরাণের বর্ণনায় দেবী গৌরবর্ণা, স্বর্ণবর্ণা, পীতবর্ণা, অতসীবর্ণা। বিশদ

06th  October, 2024
পুজোর টানে ফেরা
সুকান্ত ঘোষ

মহালয়ার ভোর। ঘুম থেকে উঠেই ঘরে চালিয়ে দিয়েছি ‘বীরেনবাবু স্পেশাল’। বেশ জোরে। খানিক পরেই দরজায় টোকা। খুলতেই দেখি, আমার ডানপাশের ঘরের জোসেফ ও বাঁ পাশের ঘর থেকে ফাউস্টো ঘুম ঘুম চোখে দাঁড়িয়ে। ঘরে ঢুকল দু’জনে। বিশদ

29th  September, 2024
কল্যাণীর বিভূতিভূষণ

মুরাতিপুর গ্রাম। তাঁর মামার বাড়ি। জন্মস্থানও। গ্রামটি আর নেই। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকীতে এমন অনেক অজানা কাহিনি লিখলেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

22nd  September, 2024
স্বপ্ন হলেও সত্যি
কলহার মুখোপাধ্যায়

মামা বলল, ‘আগে ভালো করে লাটাই ধরতে শেখ, তারপর ঘুড়ি ওড়াবি।’ বাবা বলল, ‘আগে ভালো করে সিট বেল্ট বাঁধতে শেখ, তারপর গাড়ির স্টিয়ারিং ধরবি।’   পাড়ার ন্যাপাদা বলল, ‘মাঠে ঠিকমতো দৌড়তে শেখ আগে, তারপর বলে পা দিবি
বিশদ

15th  September, 2024
ঘুড়ির পিছে ঘোরাঘুরি
রজত চক্রবর্তী

আরও আরও উপরে। আরও উপরে। ওই আমাদের বাড়ি ছোট হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বুল্টিদের বাড়ির ছাদ ছোট্ট হয়ে গিয়েছে। দড়িতে টাঙানো বুল্টির লাল জংলা ফ্রক আর দেখা যাচ্ছে না। করদের মাঠ, পুকুর, আম-জাম-পাকুড়-লিচুগাছেদের ভিড়, বাড়িগুলো সব ছোট ছোট, শুধু ছাদের পর ছাদ।
বিশদ

15th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।
বিশদ

01st  September, 2024
একনজরে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে শান্তনু ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার কলকাতার বিধাননগরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ওই ব্যক্তি। ...

ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কুরাম জেলায় আলিজাই ও বাগান জনগোষ্ঠীর মধ্যে হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩৭ জনের। ...

গত ৯ নভেম্বর আইএসএলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছে ইস্ট বেঙ্গল। দীর্ঘ বিরতির পর আগামী ২৯ নভেম্বর সাউল, ক্লেটনদের প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড। অর্থাৎ প্রায় ...

নিজের বুথে দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিতে হবে। কোনও অজুহাত শোনা হবে না। দিন-রাত পড়ে থাকতে হবে বুথ আঁকড়ে। মাদারিহাটে বিজেপির ‘গড়’ ভাঙতে কর্মীদের এমনই নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাতেই হল বাজিমাত। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫২৪: বিশ্বখ্যাত নাবিক ভাস্কোদাগামার মৃত্যু
১৬৩৯: ডেরিনিয়ার হরফ প্রথমবারের মত শুক্রগ্রহের গতিবিধি লক্ষ্য করেন।
১৭১৫: টেমস নদীর জল জমে বরফ হয়ে যায়
১৭৫৯: ভিসুভিয়াসে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়
১৮০০: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রকৃত কর্মযাত্রার সূচনা
১৮৩১: ব্রিটিশ পদার্থ-বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে বৈদ্যুতিক আবেশ আবিষ্কার করেন
১৮৫৯: চার্লস ডারউইনের লেখা ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস’ প্রকাশিত হল
১৮৮৮: মার্কিন সাহিত্যিক ডেল কার্নেগির জন্ম
১৯২৬:পণ্ডিচেরিতে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম
১৯৩১: অভিনেতা রবি ঘোষের জন্ম
১৯৩৫: অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার সেলিম খানের জন্ম
১৯৪৪: অভিনেতা ও পরিচালক অমল পালেকরের জন্ম
১৯৪৫: অর্থনীতিবিদ মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়ার জন্ম
১৯৫৫: ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার ইয়ান বথামের জন্ম
১৯৬১: লেখিকা এবং সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায়ের জন্ম
১৯৮১: অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির জন্ম
১৯৮৬: ফুটবলার সুব্রত পালের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৬৭ টাকা ৮৫.৪১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫৫ টাকা ১০৮.২৭ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৯ টাকা ৯০.২৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
23rd  November, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৮,৬৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪। নবমী ৪০/৫৩ রাত্রি ১০/২০। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র ৪০/৪৫ রাত্রি ১০/১৭। সূর্যোদয় ৫/৫৯/১৪, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৮/৫৩ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৫ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/৩৬ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২১ গতে ৪/৫ মধ্যে। বারবেলা ১০/২ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১/১ গতে ২/৪০ মধ্যে। 
৮ অগ্রহায়ণ,১৪৩১, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪। নবমী রাত্রি ১১/৫৮। পূর্ব ফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৪০। সূর্যোদয় ৬/১, সূর্যাস্ত ৪/৪৭। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৮ গতে ৯/৫ মধ্যে ও ১১/৫৪ গতে ২/৪৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩১ গতে ৯/১৯ মধ্যে ও ১২/০ গতে ১/৪৭ মধ্যে ও ২/৪১ গতে ৬/২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৬ গতে ৪/৮ মধ্যে। বারবেলা ১০/৪ গতে ১২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১/৪ গতে ২/৪৩ মধ্যে। 
২১ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বৈভব আরোরাকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকায় কিনল কেকেআর

11:54:47 PM

মানব সুথারকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল গুজরাত টাইটান্স

11:05:00 PM

কার্তিকেয়া সিংকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল রাজস্থান রয়্যালস

11:04:00 PM

নিলামে আনসোল্ড রইলেন পীযূস চাওলা

11:03:00 PM

ময়াঙ্ক মার্কেণ্ডেকে ৩০ লক্ষ টাকায় কিনল কেকেআর

11:02:00 PM

করণ শর্মাকে ৫০ লক্ষ টাকায় কিনল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স

11:01:00 PM