Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

যব ছোড় চলে...

আজ, ১ সেপ্টেম্বর নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুদিন। ১৩৭ বছর আগে নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু ঘিরে আজও রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। মেটিয়াবুরুজ ঘুরে সেই অতীতের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার।

গঙ্গার বাঁকে এক মাটির কেল্লা! নবাবি জুবানে ‘মাটিয়া বুর্জ’। কালে কালে সেটাই এসে ঠেকেছে মেটিয়াবুরুজে। ভরা বাজার, ভিড়ে ঠাসা ওস্তাগর ও ঘুড়ি সাম্রাজ্যকে আজও কেউ কেউ ‘দ্বিতীয় লখনউ’ বলে থাকেন। যদিও সেই অতীত আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। টিমটিম করে জ্বলছে কিছু স্মারক। 
মেটিয়াবুরুজ মানে নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের হাজারো কাহিনি। যে কাহিনির শুরু আছে, শেষ নেই। নির্বাসিত নবাব এই কলকাতার বুকে গড়ে তুলেছিলেন দ্বিতীয় লখনউ। উনিশ শতকে হুতোম লিখেছিলেন, ‘লক্ষ্ণৌর বাদশা কয়েদ থেকে খালাস হয়ে মুচিখোলায় আসায় শহর বড় গুলজার হয়ে উঠলো।’ কেমন ছিল সে ‘গুলজার’ শহর? এখানেই আশৈশব কাটানো বিখ্যাত লেখক ও কবি আব্দুল হালিম শররের স্মৃতিতে ধরা আছে সেই ছবি। ‘নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের উদ্যোগেই মেটিয়াবুরুজ হয়ে উঠেছিল এক অসামান্য নগরী। একদম পরিকল্পনামাফিক তৈরি করা হয়েছিল রাস্তা। সেই রাস্তা রাতের বেলা সেজে উঠত নিজস্ব গ্যাসের আলোয়। ছিল নিজস্ব বাজার, দূর্গ, মিনার।’ ওয়াজেদ আলি শাহের মৃত্যুর পর এই ‘দ্বিতীয় লখনউ’কে ধূলিসাৎ করে দেয় ইংরেজরা। ধ্বংস করা হয় নবাবের মহল, প্রাসাদ, চিড়িয়াখানা। এমনকী নির্বাসিত নবাবের অস্তিত্ব পর্যন্ত ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার বন্দোবস্ত করে। কিন্তু কেন?
এই প্রশ্নের খুঁজতেই এক পড়ন্ত বিকেলে হাজির হয়েছিলাম মেটিয়াবুরুজে। সফরসঙ্গী হয়েছিলেন স্বয়ং নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের উত্তরসূরি কামরান আলি মির্জা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ইতিহাস ভালোবাসেন। পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে তাঁর চর্চাও যথেষ্ট। তাঁর বয়ানে কিছুটা সময়ের জন্য ফিরে গিয়েছিলাম ফেলে আসা সেই নবাবী আমলে।
ইতিহাস ও দলিল দস্তাবেজ ঘেঁটে জানা যায়, নবাবের মৃত্যু নাকি হয়েছিল রহস্যজনকভাবে। তাঁর খাবারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল সেযুগে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন বেশ কিছু সংবাদপত্রে লেখালেখিও হয়েছিল।
ওয়াজেদ আলি শাহের সঙ্গে ইংরেজদের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত লর্ড ডালহৌসির একটি চিঠিকে ঘিরে। আওয়ধ তথা অযোধ্যার সিংহাসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য নবাবকে রীতিমতো অপমানজনক একটি পত্র পাঠান তিনি। আসলে পলাশীর যুদ্ধের ঠিক পর থেকেই দেশীয় স্বাধীন রাজ্যগুলিকে ছলে বলে কৌশলে দখল করে চলছিল ইংরেজরা। একশো বছর ধরে চলছিল সেই পরম্পরা। অযোধ্যাও সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি। 
লর্ড ডালহৌসি সেই সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে জানালেন, নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ অত্যন্ত বিলাসী। খানাপিনা বিলাসব্যসনে মেতে থাকেন। এতে প্রজারা খুব অসন্তুষ্ট। প্রজারা যদি হঠাৎ করে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তো নবাব তাদের মোকাবিলা করতে পারবেন না। ইংরেজদের পক্ষেও সেই গৃহযুদ্ধ সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র এই কারণেই রাজ্য হারালেন নবাব।
৬ মে, ১৮৫৬। জেনারেল ম্যাকলয়েড নামে একটি জাহাজে করে কলকাতার পশ্চিমে গঙ্গার তীরে বিচালিঘাটে পা রাখলেন রাজ্যহারা নবাব। মেটিয়াবুরুজ বা গার্ডেনরিচে অবশ্য এলেন পরে। সেখানে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হল নদীতীরে গড়ে ওঠা ইউরোপীয় মহল্লার ১১ নম্বর বাগান বাড়িতে। সেটি ছিল বর্ধমানের রাজা মহতাব চাঁদের সম্পত্তি। তাঁর কাছ থেকেই বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়। নবাবের আগে সেখানে থাকতেন সুপ্রিম কোর্টের চিফ জাস্টিস স্যার লরেন্স পিল। এই এলাকার প্রতি তিনি এতটাই মোহিত হন, দেশে ফিরে নিজের বাড়ির নাম দেন ‘গার্ডেনরিচ’। নির্বাসিত নবাবও বারান্দা থেকে গঙ্গার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল লখনউর গোমতী নদীর কথা। 
তখন রাজ্য ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েননি ওয়াজেদ আলি শাহ। কলকাতায় বড়লাটের সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলবেন বলে স্থির করেন। কিন্তু বড়লাটের সাফ জবাব, লন্ডন থেকে রানি ভিক্টোরিয়া যদি অনুমতি দেন, তাহলেই একমাত্র রাজত্ব ফেরানো সম্ভব। অসুস্থতার কারণে নবাবের পক্ষে তা সম্ভব হল না। মা এবং ভাইকে পাঠালেন লন্ডনে, মহারানি ভিক্টোরিয়ার কাছে। 
নির্বাসিত নবাবের এই সিদ্ধান্তে প্রমাদ গুনল ব্রিটিশরা। কারণ, রানির কাছে দরবার করলে তিনি যদি নবাবকে রাজত্ব ফিরিয়ে দেন! তাই ইংরেজরা নবাবকে বোঝালেন, রানি প্রস্তাব নাকচ করে দিলে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে যে মোটা অঙ্কের পেনশন দেওয়ার কথা ভাবছে, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে। ওয়াজেদ আলি শাহ পড়লেন দোটানায়। রাজ্য হারিয়েছেন। এখন পেনশনও যদি বন্ধ হয়ে যায়... সেটা তো খুব কষ্টের হবে। ভীত নবাব কী আর করবেন, মা ও ভাইকে দেশে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করে চিঠি লিখলেন।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য কেউ ফিরলেন না। মক্কা হয়ে ভারতে ফেরার পথে প্যারিসে মারা যান নবাবের মা। ভাইয়ের মৃত্যু হয় যাত্রাপথে। অসহায় নির্বাসিত নবাবের সামনে ইংরেজদের দেওয়া বাৎসরিক বারো লক্ষ টাকার পেনশনে সম্মতি দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় রইল না। চার কোটির রাজস্ব পাওয়া নবাবকে মাসিক ১ লক্ষ টাকার পেনশনে জীবন কাটাতে বাধ্য করা হল। একেই বলে ভাগ্য!
এদিকে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভারতে স্বাধীনতার জন্য প্রথম সংঘবদ্ধ সংগ্রাম... সিপাহী বিদ্রোহ! ১৮৫৭ সাল। মহাবিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ল আসমুদ্রহিমাচল। আর সেই সঙ্গে নির্বাসিত নবাবের ভাগ্যেও আবার এক বিপর্যয় এসে উপস্থিত। কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের ভিতরে গুপ্তচরবৃত্তি করতে গিয়ে ধরা পড়ল আবদুল সুবহান নামে এক যুবক। তাঁকে জেরা করে জানা গেল, কলকাতা থেকে ব্রিটিশ বিতাড়নের পরিকল্পনা করছেন ওয়াজেদ আলি শাহ এবং দিল্লির মোঘল সম্রাট বৃদ্ধ বাহাদুর শাহ জাফর। সেনা অভ্যুত্থান ঘটতে চলেছে। ব্যস! আগুনে ঘি পড়ল। মুহূর্তের মধ্যে পাঁচশো সৈন্য ঘিরে ফেলল মেটিয়াবুরুজ। গ্রেপ্তার হলেন অযোধ্যার নির্বাসিত নবাব। যদিও এবিষয়ে বিন্দুমাত্র জানতেন না তিনি। সিপাহী বিদ্রোহের সমর্থকও ছিলেন না।
ওয়াজেদ আলি শাহকে বন্দি করে রাখা হল ফোর্ট উইলিয়ামে। শোনা যায়, অন্ধকার কক্ষে বেশ কয়েকমাস পোকামাকড়ের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। নবাবের এক বেগম ছিলেন হজরত মহল। তাঁকে তালাক দিয়েছিলেন ওয়াজেদ আলি শাহ। কলকাতাতেও নিয়ে আসেননি। সেই হজরত মহলই বারো বছরের পুত্র বিরজিস কাদিরকে লখনউয়ের মসনদে বসিয়ে সিপাহী বিদ্রোহে যোগ দেন। পরে ইংরেজরা লখনউ দখল করলে পুত্রকে নিয়ে তিনি পালিয়ে যান নেপালে। এই ঘটনা ইংরেজদের মনে যথেষ্ট শঙ্কা সৃষ্টি করেছিল। নবাব হয়ে উঠেছিলেন তাদের সন্দেহের পাত্র, এক অদ্ভুত কাঁটার মতো। 
২৫ মাস ফোর্ট উইলিয়ামে বন্দি থাকলেন নবাব। বিদ্রোহের আগুন নেভার আট মাস পর মিলল মুক্তি, তাও শর্তসাপেক্ষে। এরপর আর কী করবেন? ব্রিটিশদের বাৎসরিক ১২ লক্ষ টাকার পেনশনের শর্ত মেনে নেওয়া ছাড়া। আর সেই টাকাতেই গড়ে উঠল ‘দ্বিতীয় লখনউ’।
মেটিয়াবুরুজে ওয়াজেদ আলি শাহ প্রথম গড়েছিলেন ‘সুলতানখানা’। তারপর একে একে গড়ে ওঠে বড় বড় প্রাসাদ, মসজিদ, হাজারো স্থাপত্য। ইংরেজদের চোখ কপালে উঠল। তাদের পাত্তা না দিয়েই মেটিয়াবুরুজে আসতে থাকল দাস-দাসী, রক্ষী, খোজা, নর্তকী, গণিকা থেকে কামার, কুমোর সহ নবাবের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভৃত্যদল। ছ’হাজারের মত লোকজন নিয়ে শুরু হল নবাবিয়ানা। শ্রীপান্থের কলমে অমলিন হয়ে রয়েছে সেই ইতিহাস, ‘ব্রিটিশ সরকার থেকে পাওয়া মাসে এক লাখ টাকার পেনশন সাহায্যে তিনি মেটিয়াবুরুজে একের পর এক প্রাসাদ বানাতে শুরু করেন— মুরাসা মঞ্জিল, নূর মঞ্জিল, আদালত মঞ্জিল ইত্যাদি। শুরু হল এক নতুন জীবন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রমে ক্রমে শিল্প-সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে ওঠে কলকাতা।’ লখনউ থেকে এলেন নবাবের বেগম সাহেবারা। সঙ্গে এল লখনউয়ের পান এবং সেই পান প্রস্তুতকারক একদল কারিগর। আজও সেইসব পান দোকান সাক্ষী দিয়ে চলেছে ‘নবাবি পান’-এর।
ওয়াজেদ আলি শাহের শখ ছিল ঘুড়ি ওড়ানো। ঘুড়ি ওড়ানোর কাজে ব্যবহার করার জন্য যে বিপুল পরিমাণ সুতো গার্ডেনরিচে এনেছিলেন, তা দিয়েই পরে এখানে শুরু হয় পোশাকের বড় ব্যবসা। গড়ে ওঠে ‘ভারতের বৃহত্তম দর্জিপাড়া’। একে একে তাঁর হাত ধরে এল হরেক রকমের খাবার। তার মধ্যে সেরা ‘দমপোক্ত বিরিয়ানি’। মানে, কম আঁচে বানানো বিরিয়ানি। জনশ্রুতি, কলকাতার বিরিয়ানিতে আলুর ব্যবহার শুরু হয় তাঁর আমলে।
নবাব নিজে গাইতেন। গজল লিখতেন। গানে সুর দিতেন। অনেক যন্ত্রও বাজাতে পারতেন। ‘তারিখ-ই-পরিখানা’ গ্রন্থে নবাব লিখেছেন সেকালের বিখ্যাত সেতার শিল্পী কুতুব আলি খানের কাছে সেতার শেখার কথা। ঠুমরির টানে মেটিয়াবুরুজে পা রাখতেন পাথুরিয়াঘাটার রাজবাড়ির রাজা সৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুরও। নবাবের মেহফিলে উপস্থিত থাকতেন যদুভট্টের মতো সঙ্গীতজ্ঞরা। নবাব নিজে অনেকগুলি ঠুমরি রচনা করেছিলেন। একটি তো সেযুগে লোকের মুখে মুখে ফিরত... ‘যব ছোড় চলে লখনউ নগরী/ তব হাল আদম পর কেয়া গুজরি...।’ 
ভালো কত্থকও নাচতে পারতেন নির্বাসিত নবাব। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের পূর্বপুরুষ পণ্ডিত দুর্গাপ্রসাদ ও ঠাকুরপ্রসাদের কাছে তালিম নিয়েছিলেন। লখনউ ঘরানার কত্থকশিল্পীরা তো নবাবের সূত্রেই কলকাতায় আসেন। ‘মুসাম্মি বা বানি’ নামে কত্থক নিয়ে একটি সচিত্র বই লেখেন ওয়াজেদ আলি শাহ। মেটিয়াবুরুজে লিথোগ্রাফ করে ছাপা হয় সেই বই। সেজন্য নিজস্ব ছাপাখানাও নির্মাণ করিয়েছিলেন। ইতিহাস বলছে, চল্লিশের বেশি বই লিখেছিলেন নবাব। শিক্ষার প্রসারে তৈরি করেছিলেন ‘মাদ্রাসা সুলতান এ আয়াধ’। সেখানে শুধু ইসলামের শিক্ষা নয়, শেখানো হতো বিজ্ঞান। ঘোড়সওয়ারি আর শরীর তৈরির কসরতের সঙ্গে সঙ্গে চলত ক্যালিগ্রাফির তালিমও।
নাটকেও ছিল নবাবের বিশেষ রুচি। প্রথম আধুনিক উর্দু নাটকের জন্ম তাঁর হাত ধরেই। ‘কৃষ্ণ’ ছিলেন ওয়াজেদ আলি শাহের আদর্শ। কৃষ্ণের রাসলীলা থেকেই লখনউতে গল্পনির্ভর নৃত্যনাট্য ‘রহস’-এর সৃষ্টি। লখনউ ঘরানার গণ্ডি ছাড়িয়ে নির্বাসিত নবাবই এই ‘রহস’কে কলকাতা মহলে সমাদৃত করেন। 
আলিপুর চিড়িয়াখানার অনেক আগে, সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে এ শহরের প্রথম পশুশালাও তৈরি করেছিলেন ওয়াজেদ আলি শাহ। বাঘ, সরীসৃপ, অসংখ্য পাখি—কী না ছিল সেখানে। নবাবের অন্যান্য শখের মধ্যে ছিল কবুতরবাজি, ভেড়ার লড়াই, মোরগ লড়াই আর বুলবুলির লড়াই। এমনকী ২৪ হাজার টাকা দিয়ে একজোড়া পায়রাও কিনেছিলেন। একবার তাঁর চিড়িয়াখানা থেকে একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী উধাও হয়ে যায়। নদী পার হওয়ার সময় গুলিতে নিহত হয় বাঘটি। শোনা যায়, এশিয়াটিক সোসাইটির কিউরেটর ব্লিথের মাধ্যমে নবাবের চিড়িয়াখানার জন্তু-জানোয়ারের খোঁজ নিতেন নাকি স্বয়ং চালর্স ডারউইন। 
ওয়াজেদ আলি শাহ যতদিন জীবিত ছিলেন, মেটিয়াবুরুজে টিকে ছিল মুঘল দরবারি সংস্কৃতির ছায়া। এমনকী লখনউয়ের সাংস্কৃতিক জীবনে হিন্দুদের পুরাণ, উপকথা, লোকগাথার বিশেষ প্রভাব ছিল তাঁর জন্যই। সে এক সম্প্রীতির সামাজ্য!
নবাব নিজের খেয়ালে মেতে থাকলেও ইংরেজদের কড়া নজর ছিল তাঁর উপর। শোনা যায়, ভারতের শেষ বাদশাহ, বৃদ্ধ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ দিল্লি থেকে বিতাড়িত হয়ে জাহাজে করে বর্মার রেঙ্গুনে আশ্রয় নেন। সেই যাত্রাপথে তিনি থেমেছিলেন এই গার্ডেনরিচে।
ওয়াজেদ আলি শাহের এই নবাবিয়ানাকে চিরতরে শেষ করতে চাইছিল ইংরেজরা। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটো। প্রথমত, নবাবের বিলাসিতার অজুহাত সামনে রেখে বাৎসরিক ১২ লক্ষ টাকা পেনশন বন্ধ করা। সে যুগে ১২ লক্ষ মানে আজকের হিসেবে কত বুঝে নিন! আর দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, সাধারণ জনমানসে নবাবের প্রভাবকে পুরোপুরিভাবে মিটিয়ে ফেলা। রাজা বা নবাব ব্যক্তি হিসেবে যেমনই হোন, প্রজাদের কাছে তিনি নবাব বা রাজা। তাই ওয়াজেদ আলি শাহের জন্য শাসক হিসেবে ইংরেজরা সম্মান পাচ্ছিল না। লেখিকা রোজি লেওয়েলিন জোন্স তো সেই কারণেই নবাব ওয়াজেদ আলি শাহকে আখ্যা দিয়েছেন, ‘দ্য লাস্ট কিং ইন ইন্ডিয়া’।
১৮৭৪ সালে আমেরিকার বিখ্যাত একটি দৈনিক সংবাদপত্র লিখছে, ‘কিছু আইনি ব্যাপার ছাড়া আওয়ধের প্রাক্তন নবাবের গড়ে তোলা নকল রাজত্বে ব্রিটিশদের মাথা গলানো চলে না। সে-রাজত্ব ছোট। কিন্তু আঁটোসাঁটো। ছ’হাজার প্রজা নিয়ে দিব্যি চলে রাজপাট। মাসিক এক লক্ষ টাকার পেনশনে নবাবের খাইখরচার শেষ নেই। ফলে ধারকর্জও বেলাগাম। তাই ধার মেটানো, ভাতা বাড়ানো নিয়ে সাহেবদের সঙ্গে বিস্তর গোল বাঁধে।’
ইংরেজরা যখন দেখলেন তাঁদের উপস্থিতিতেই নির্বাসিত নবাব দ্বিতীয় রাজত্ব গড়ে ফেলেছেন, তখন সাদা চামড়ার কপালে ভাঁজ পড়ল। ব্রিটিশদের কাছে তিনি হয়ে উঠলেন ‘বিশেষ মাথাব্যথা’র কারণ। সুতরাং শুরু হল নবাবকে হত্যার ষড়যন্ত্র। এবিষয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন ওয়াজিদ আলি শাহ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অঞ্জুম কাদির। বেশ কিছু নথি এবং কাগজপত্র সহযোগে তিনি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন, নির্বাসিত নবাবের মৃত্যু হয়েছিল বিষ প্রয়োগের কারণে। ‘হাউস অব আওয়ধ’ও এই বিষয়ে বেশ কিছু নথিপত্র পেশ করেছে। মির্জা আলি আজহারও নিজের বইয়ে এই তথ্য উল্লেখ করেছেন। 
ওয়াজেদ আলি শাহের হত্যার মূল মস্তিষ্ক ছিলেন ইংরেজ কর্নেল ডব্লিউ এফ প্রিডক্স। তিনি মেটিয়াবুরুজ এলাকার প্রশাসক ছিলেন। নবাবের দরবারে ছিল তাঁর নিয়মিত যাতায়াত। সভায় যোগদানও করতেন। শুধু তা-ই নয়, নবাবের আত্মীয়স্বজন থেকে দরবারের কর্মচারী সবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রিডক্সের। তবে তাঁদের সবচেয়ে খাস ছিলেন নবাবের প্রধান উজির মুনসারিমুদ-দৌলা, যিনি ‘ল্যাংড়া মুন্সি’ নামে খ্যাত। তিনিই নবাবের হত্যার মূল সূত্রধর।
বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য নথিকে একসূত্রে বেঁধে অঞ্জুম কাদিরের দাবি, ১৯১৩ সালের আওয়ধ পেনশন পেপারের রিপোর্ট, মৃত্যুর পরে মেটিয়াবুরুজের একটি বিদ্রোহ এবং ল্যাংড়া মুন্সির বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভই নবাবের মৃত্যুকে রহস্যময় করে তোলে। তিনি এক জায়গায় লিখছেন, ‘একশো বছর আগে ঘটে যাওয়া হত্যার কোনও চূড়ান্ত প্রমাণ এখন সম্ভব নয়। সমস্ত সাক্ষী মৃত, এবং কোনও পোস্টমর্টেম করা যাবে না। কিন্তু সমসাময়িক কথোপকথন, সেসময়ের বেশ কিছু নথিপত্র এবং জনসাধারণের বিশ্বাস দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি, তাকে খুন করা হয়েছিল।’
১ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৭। ১৩৭ বছর আগে, নির্বাসিত নবাবের মৃত্যুদিনের কথায় এবার আসা যাক। সেদিন সকালে সিবতাইনাবাদ ইমামবাড়ার প্রার্থনায় যোগদান করেছিলেন ওয়াজেদ আলি শাহ। প্রাসাদ থেকে আধা মাইল পথ, হেঁটেই এসেছিলেন। সারা দিনের ব্যস্ত কর্মকাণ্ড শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি। পেটের রোগের জন্য হাকিম দ্বারা প্রস্তুত করা যে বিশেষ ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছিলেন, সেটি খেয়ে নেন। তারপর হুঁকো সেবন করতে বসেন। ঠিক সেই সময়ই ল্যাংড়া মুন্সি এসে বলেন, হাকিমের ওষুধ আরও একটু খেলে নবাব সুস্থ বোধ করবেন। এই বলে জোর করেই নাকি তিনি ওষুধের নামে বিষ পান করান ওয়াজেদ আলি শাহকে। কেউ কেউ অবশ্য বলেন, নবাবকে জলের সঙ্গে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। যা-ই হোক, বিষ পানের সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নবাব। শোনা যায়, শেষ মুহূর্তে নাকি একটি কাগজ-কলম চেয়েছিলেন, প্রজাদের  উদ্দেশে কিছু লেখার জন্য। কিন্তু ল্যাংড়া মুন্সি তাঁকে সেই সুযোগ দেয়নি।
নবাবের মৃত্যুর পরদিনই মেটিয়াবুরুজজুড়ে বিদ্রোহ দেখা দেয়। সবাই ল্যাংড়া মুন্সিকে অভিশাপ দিতে থাকে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী। নিয়মমাফিক বিদ্রোহ দমনে শক্তিপ্রয়োগ করে ইংরেজ সরকার। তাতেই ল্যাংড়া মুন্সির বিরুদ্ধে ক্ষোভ মুহূর্তে পরিণত হয় জনরোষে। আসরে নামেন কর্নেল প্রিডক্স। তিনিই বাৎসরিক মোটা অঙ্কের পেনশনের বন্দোবস্ত করে ল্যাংড়া মুন্সিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। 
আশ্চর্যের বিষয়, একজন নবাবের আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হলেও ব্রিটিশ সরকার এবিষয়ে কোনও তদন্তের নির্দেশ দেয়নি। ভারতের ভাইসরয় তখন লর্ড ডাফরিন। সেদিন তিনি ছিলেন সিমলায়, সঙ্গে কলকাতার কমিশনার। কর্নেল প্রিডক্স টেলিগ্রাম করে নবাবের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন তাঁদের। এরপরই ব্রিটিশ সরকার সবচেয়ে মারাত্মক কাজটি শুরু করে। নবাবের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর ছিল তারা। ‘দ্বিতীয় লখনউ’য়ের একের পর এক প্রাসাদ বিক্রি করে দেওয়া হয়। ভাঙা পড়ে কিছু প্রাসাদ। নবাবের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিলামে তোলা হয়। অধিকাংশ জিনিসপত্র হারিয়ে যায়। কালের গ্রাসে ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায় মিনি লখনউ। 
 
01st  September, 2024
মলমাস
রোহিণী ধর্মপাল 

জিন্স পরিহিতা রীতিমতো আধুনিকা বললেন, ‘ঠাকুরমশাই, গৃহপ্রবেশে কোনও ত্রুটি রাখতে চাই না। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ হলে আমাদের খুব সুবিধা হয়।’ অফিসের ফোন আসায় একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন সঙ্গী যুবক। এবার ফোনটা মিউট করে সুবেশ ছেলেটি বললেন, ‘তারপরেই আসলে আবার আমাদের অস্ট্রেলিয়া ফিরতে হবে তো! বিশদ

08th  September, 2024
মলিন মানুষ
সন্দীপন বিশ্বাস

সারা বাড়ি আনন্দে গমগম করছে। আত্মীয়-স্বজনদের ভিড়ে যেন উৎসবের হাট বসেছে। বাড়ির একমাত্র ছেলে শুভদীপের বিয়ে। বিয়ের দিন সবাই সেজেগুজে প্রস্তুত। এখনই বর বেরবে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। বাবা তাড়া দিচ্ছে শুভদীপকে। ‘তাড়াতাড়ি বেরো। এতটা পথ যেতে হবে। সময়মতো পৌঁছতে না পারলে সমস্যা হয়ে যাবে।’  বিশদ

08th  September, 2024
বর্ষামঙ্গল
শ্যামল চক্রবর্তী

কেশববাবু ছাতা কিনেছেন। প্রয়োজনে নয়, দুঃখে! হেড অফিসের ছোটবাবু কেশব দে রিটায়ার করার পর থেকেই দিনরাত স্ত্রীর গঞ্জনা শুনতে শুনতে, এক বর্ষার সকালে বেরিয়ে পড়েছেন। গণশার দোকানে পাউরুটি আর ঘুগনি দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে মেট্রোগামী অটোতে চেপে বসলেন। বিশদ

25th  August, 2024
কেন মেঘ আসে...
কলহার মুখোপাধ্যায়

‘মেঘের পরে মেঘ জমেছে...’, তবে এই তো আর ক’দিন। এক কী দেড় মাস! তার মধ্যেই দুগ্গা চলে আসবে। তখন আকাশ ফুঁড়ে রোদ্দুর। মেঘগুলোর রং যাবে সব পাল্টে। আইসক্রিম আইসক্রিম মেঘ চড়ে বেড়াবে আকাশে। তখন মালতির একটু স্বস্তি। বিশদ

25th  August, 2024
’৪২-এর কলকাতা

‘ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো...’ গান্ধীজির ডাকে ১৯৪২ সালের আগস্টে রাস্তায় নেমেছিল কলকাতাও। আম বাঙালির প্রতিবাদের সেই ইতিহাস ফিরে দেখলেন সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত। বিশদ

18th  August, 2024
মৃত্যুর মুখোমুখি

কারাগারের নিস্তব্ধতা চিরে ছুটে আসছে শব্দ। মুজফ্‌ফরপুর জেলের কোনায় কোনায় তখনও জমাট বাঁধা অন্ধকার। কনডেমড সেলের মেঝেয় চুঁইয়ে পড়েছে সামান্য আলোর রেখা। সেই আলোয় স্পষ্ট দূরের অন্ধকারে শক্ত কাঠের পাটাতনে দুলতে থাকা মরণ-রজ্জু। বিশদ

18th  August, 2024
বেগম, কন্যা ও রবীন্দ্রনাথ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘ম্যাডাম, আমাদের সোর্স খুব কিন্তু কনফার্মড! খুব ডেলিকেটও। বাইরে এই খবরটা চলে গেলে সমস্যা হবে।’ বললেন আর এন কাও। রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (র)-এর প্রধান জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। কী করা উচিত? ম্যাডাম হলেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্দিরা গান্ধী চিন্তিত মুখে বললেন, ‘তাহলে আমাদের কোনও অফিসারকে এর মধ্যে ইনভলভ করার দরকার নেই। আপনি নিজেই যান।’ 
বিশদ

11th  August, 2024
পদ্মাপারে চীনের ফুটপ্রিন্ট

আমেরিকাকে ‘সবক’ শেখাতে শেখ হাসিনা জড়িয়ে ধরেছিলেন চীনকে। তাঁর শেষ চীন সফর—৮ জুলাই।বেজিংয়ের জন্য বাংলাদেশের দুয়ার হাট করে খুলে দিয়েছিলেন হাসিনা।
বিশদ

11th  August, 2024
অবন ঠাকুরের বাগানবাড়ি

কলকাতার খুব কাছেই কোন্নগরে গঙ্গার পশ্চিম তীরে ‘অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাগানবাড়ি’, যেন একটুকরো ছোট্ট শান্তিনিকেতন। ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইয়ে যে বাড়ির স্মৃতিচারণ করেছেন অবন ঠাকুর। সেই বাগান বাড়ি ঘুরে তার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার বিশদ

04th  August, 2024
রং কই রং দাও? গুরুর আদেশ! রং তুলি নিয়ে বসলেন নন্দলাল। তারপর..? 
সুশোভন অধিকারী, প্রাক্তন কিউরেটর নন্দন, কলাভবন বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন 

শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক সত্ত্বা ছিল। তিনি যেমন কড়া শিক্ষক, তেমনই ছিলেন ছাত্র অন্তঃপ্রাণ। শিল্পের জন্যই তিনি নিবেদিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর কাকা-ভাইপোর সম্পর্ক। বয়সের ব্যবধান মাত্র ১০ বছর। কিন্তু, লেখায় রবীন্দ্রনাথ, আঁকায় অবন ঠাকুর, এ এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। বিশদ

04th  August, 2024
উত্তমপুরুষ: সিঁড়ি থেকে নামার সময় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন উত্তমদা
রঞ্জিত মল্লিক

উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার গোটা পাঁচেক ছবি করার সৌভাগ্য হয়েছিল। প্রথম ছবি ছিল ‘মৌচাক’। আর শেষ ছবি ‘ওগো বধু সুন্দরী’। প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভালো, আমি এরকম সারা ভারতে দেখিনি। পৃথিবীতেও আর কোথাও আছে কিনা জানি না। বিশদ

28th  July, 2024
উত্তমপুরুষ: হাত নাড়তে নাড়তে ইডেনে নামলেন উত্তম জেঠু 
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

বাবার (শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে যখন উত্তম কুমার কাজ করছেন, আমি তখন খুবই ছোট। কাজেই উত্তম কুমার কী, কেন, সেই বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহই ছিল না। বিশদ

28th  July, 2024
ট্রাম্প ফিভার!
মৃণালকান্তি দাস

১৯৮১ সালের ৩০ মার্চ। আমি থেরাপিস্টের অফিসে বসে রয়েছি। একটু পরেই আমার শরীরে থেরাপি দেওয়া হবে। আচমকা এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট হুড়মুড় করে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলেন। প্রথমে আমি খুবই রেগে গিয়েছিলাম। আমি ভাবলাম, ‘লোকটা আর সময় পেল না! আমার থেরাপি সেশনে ফট করে ঢুকে পড়ল?’ বিশদ

21st  July, 2024
ট্রাম্প জিতলে হারবে আমেরিকা!

আমেরিকার রিপাবলিকান দলের নেতা রোনাল্ড রেগ্যান সম্পর্কে বাজারে একটি গল্প প্রচলিত আছে। রেগ্যান ছিলেন বি-মুভির সাধারণ এক অভিনেতা। বরাতজোরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর নাকি একদিন হোয়াইট হাউসে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ন্যান্সি, আমি কি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছি, না ওই ভূমিকায় অভিনয় করছি?’ বিশদ

21st  July, 2024
একনজরে
ডেঙ্গুর আঁতুড়ঘর হিসেবে চিহ্নিত প্রায় তিন লক্ষ জায়গায় এখনও সমস্যা মেটানো বাকি! অর্থাৎ, বহু জায়গায় ডেঙ্গুর মশার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ...

শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর বয়স ছিল ১৪ বছর। মাঝের এই সময়ে ভূস্বর্গের উপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে। এম-টেকের ছাত্র ভাট ইরফান আহমেদের ...

পুজো অনুদান প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। পুজো কমিটিগুলি চেক ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবই জমা দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে ঢাকি থেকে মাইক, আলোকসজ্জার। পুজোর যাবতীয় খুঁটিনাটি বুকিং এখনই না সেরে ফেললে পরে সমস্যায় পড়তে হবে, বুঝতে পারছেন ...

এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে ‘ফাঁকিবাজ’ চিকিৎসকদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রীতিমতো বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স ঘেটে গত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ওয়ার্ল্ড ফাস্ট এইড ডে
বিশ্ব মনোসংযোগ দিবস
১৫০১: বিখ্যাত ডেভিড মূর্তি নির্মান শুরু করেন মাইকেল এঞ্জেলো
১৬০৯: অভিযাত্রী হেনরী হাডসন আমেরিকার নিউ জার্সিতে একটি নদী খুঁজে পান, পরবর্তীতে নদীটির নাম রাখা হয় হাডসন নদী, স্থানীয় আদিবাসীরা নদীটিকে ডাকতো মু-হে-কুন-নে-তুক নামে
১৭৮০: বহুতল ভবনে উঠানামা করার জন্য ব্যবহৃত এলিভেটর বা লিফ্ট আবিস্কৃত হয়
১৭৮৮: নিউ ইয়র্ক সিটি আমেরিকার প্রথম রাজধানী হয়।
১৮৯৪: সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম
১৯১০: কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন
১৯২৯: ৬৩ দিন অনশনের পর বিপ্লবী যতীন দাস লাহোর কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন
১৯১২: রাজনীতিক ফিরোজ গান্ধীর জন্ম
১৯১৩: মার্কিন দৌড়বীর জেসি ওয়েন্সের জন্ম
১৯৩১: বিশিষ্ট বাঙালি ইতিহাসবিদ নিমাইসাধন বসুর জন্ম
১৯৫৯: চাঁদে নামল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনিক-২
১৯৬৯: বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার শেন ওয়ার্নের জন্ম
১৯৭১: সুরকার জয়কিষেনের মৃত্যু
১৯৭৩: ইতালীয় ফুটবলার ফাভিয়ো কানাভারো’র জন্ম
১৯৮৯: জার্মান ফুটবলার থমাস মুলারের জন্ম
২০১৪:  প্রণোদিত প্রজননের জনক ডঃ হীরালাল চৌধুরীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৪ টাকা ৮৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ১০৮.২৩ টাকা ১১১.৭৮ টাকা
ইউরো ৯১.১৫ টাকা ৯৪.৩৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৭ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী ৪৫/১০ রাত্রি ১১/৩৩। মূলা নক্ষত্র ৪১/৮ রাত্রি ৯/৫৩। সূর্যোদয় ৫/২৫/৫৯, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/৫৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১১/৪৪ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ১০/১৯ গতে ১২/৪৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
২৬ ভাদ্র, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। নবমী সন্ধ্যা ৬/১৮। মূলা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৯। সূর্যোদয় ৫/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৪৩। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪২ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৮ গতে ৫/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১/২ মধ্যে। 
৮ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
অসমে দখল বিরোধী অভিযানে গিয়ে অশান্তি, পুলিসের গুলিতে হত ২, জখম ৩০

10:03:00 PM

মালদহের কালিয়াচকের মোজামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী আসাদুল্লা বিশ্বাসকে দিল্লিতে গ্রেপ্তার করল পুলিস

10:02:00 PM

মেট্রোর লাইন ধরে হাঁটছিলেন তরুণী!
মেট্রোর লাইন ধরেই হাঁটা শুরু করেছিলেন তরুণী। বিষয়টি নজরে আসতেই ...বিশদ

10:01:00 PM

বিমানে চেপে মালকানগিরিতে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি

08:44:00 PM

প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরি, শোকপ্রকাশ সোনিয়া গান্ধীর

08:41:00 PM

মালকানগিরিতে বৈঠক ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির, রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ আহুজা

08:35:00 PM