Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

১৮৯৭ সাল। স্থান- উত্তর কলকাতার বাগবাজারে শ্রীরামকৃষ্ণের গৃহীভক্ত বলরাম বসুর বাড়ি। আমেরিকা থেকে ফিরে এসে সেখানে কয়েকদিনের জন্য বাস করছেন স্বামী বিবেকানন্দ। একদিন সকালে স্বামী বিবেকানন্দের গৃহীভক্ত শ্রী শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী এসেছেন দেখা করতে। শরচ্চন্দ্র শাস্ত্রজ্ঞ, আচারনিষ্ঠ ব্রাহ্মণ। তাঁর সঙ্গে সেদিন ঋগ্বেদের সায়ন ভাষ্য নিয়ে আলোচনা চলছে বিবেকানন্দের। স্বামিজী শিষ্যকে ম্যাক্সমুলার সম্বন্ধে বলে চলেছেন। তখন ম্যাক্সমুলার সবে ঋগ্বেদের অনুবাদ করেছেন। এই কার্যে ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি কাশীতে শত শত পণ্ডিতকে মাসোহারা দিয়ে নিয়োগ করেছিল—সে কথাই বলছেন স্বামিজী। এইভাবে ঋগ্বেদের ইতিহাস আর বিষয়বস্তু নিয়ে যখন মেতে উঠেছেন গুরু-শিষ্য, তখন হঠাৎ  ঘর্মাক্ত কলেবরে সেখানে উপস্থিত হলেন নাট্য সম্রাট গিরিশচন্দ্র ঘোষ। বলরাম বসুর পাশের বাড়িটিই যে তাঁর। গিরিশ ঘোষের আগমন মাত্রই বেদ পাঠে একটু ছেদ পড়ল। গিরিশ ঘোষ আর বিবেকানন্দ—দু’জনে অসম বয়সের মানুষ হলেও বেশ একটা সখ্যতার সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে। বিবেকানন্দের কাছে গিরিশ ঘোষ ছিলেন ‘জি সি’। আর গিরিশ ঘোষের কাছে আজীবন বিবেকানন্দ ছিলেন স্নেহের নরেন। 
গিরিশ ঘোষ বেদপাঠের মধ্যে উপস্থিত হতেই স্বামিজী তাঁকে অভ্যর্থনা করলেন। তারপর কুশলাদি বিনিময়ের পর আবার বেদপাঠে ডুবে গেলেন। শিষ্যের সঙ্গে এবার গিরিশ ঘোষও অবাক বিস্ময়ে শুনতে লাগলেন সেই বেদব্যখ্যা। হঠাৎ বিবেকানন্দ গিরিশ ঘোষকে উদ্দ্যেশ করে বলে উঠলেন, ‘কি জি সি, এসব তো কিছু পড়লে না—কেবল কেষ্ট-বিষ্টু নিয়েই দিন কাটালে?’ নরেনের মুখে একথা শুনে গিরিশবাবু উত্তর দিলেন, ‘কি আর পড়ব ভাই? অত অবসরও নেই, সময়ও নেই, বুদ্ধিও নেই যে ওতে সেঁধুব। তবে  ঠাকুরের কৃপায় ওসব বেদবেদান্ত মাথায় রেখে এবার পাড়ি মারব।’ এই বলে প্রকাণ্ড ঋগ্বেদখানি  বারবার মাথায় ঠেকিয়ে বলতে লাগলেন, ‘জয় বেদরূপী শ্রীরামকৃষ্ণের জয়’।
এই অবধি ঠিক ছিল। কিন্তু এর পরেই এল সেই চরম মুহূর্ত। হঠাৎ গিরিশ ঘোষ বলতে শুরু করলেন, ‘তা হাঁ হে নরেন।  জগতে যে এত দুঃখ কষ্ট, তার সম্বন্ধে কি বেদে কিছু লেখা আছে? ঐ অমুকের বাড়ির গিন্নি-এককালে যার বাড়িতে রোজ পঞ্চাশখানি পাতা পড়ত, সে আজ তিন দিন হাঁড়ি চাপায় নি। ঐ অমুকের বাড়ির কুলস্ত্রীকে গুণ্ডাগুলো অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। ঐ অমুকের বাড়িতে ভ্রূণহত্যা হয়েছে,অমুক জুয়োচুরি করে বিধবার সর্বস্ব হরণ করেছে- এ সকল রহিত করবার কোন উপায় তোমার বেদে আছে কি?’ গিরিশবাবু যত সমাজের সেই বিভীষিকা বর্ণনা করতে লাগলেন ততই স্বামীজির মুখমণ্ডল গম্ভীর হয়ে উঠতে লাগল, অবশেষে সেই পদ্মপলাশ নয়ন ভরে উঠল করুণার অশ্রুতে। তাঁর মনের এই আবেগ যাতে প্রকাশ না হয়ে যায়, তাই তিনি বেদপাঠ ছেড়ে দ্রুত উঠে বাইরে চলে গেলেন। শিষ্যের এতক্ষণ মনে হচ্ছিল সাক্ষাৎ শঙ্করের সম্মুখে বসে বেদপাঠ শুনছেন। কিন্তু পরে দেখলেন জীবের দুঃখের কথা শুনে তাঁর ভাবের পরিবর্তন।  তথাগত বুদ্ধের মতো জীবের দুঃখে গলে যাওয়া। শিষ্যের স্তব্ধ হয়ে বসে থাকা দেখে এবার গিরিশ ঘোষ তাঁকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘দেখলি! কত বড় প্রাণ! তোর স্বামীজিকে কেবল বেদজ্ঞ পণ্ডিত বলে মানি না, ঐ যে জীবের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল, এই মহাপ্রাণতার জন্য মানি। চোখের সামনে দেখলি তো, মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথাগুলো শুনে করুণায় হৃদয় পূর্ণ হয়ে স্বামীজির বেদ-বেদান্ত সব কোথায় উড়ে গেল!’
গিরিশ ঘোষের কথা খুব একটা মানলেন না শিষ্য। বেশ বেদ পাঠ হচ্ছিল। কতগুলো মায়ার জগতের ছাইভস্ম কথা তুলে স্বামীজির মন খারাপ করিয়ে দিলেন গিরিশ ঘোষ। অভিযোগ করলেন তিনি, কিন্তু ভক্ত ভৈরব গিরিশ ঘোষ অকুতোভয়। ধমক দিয়ে বলে উঠলেন, ‘জগতে এত দুঃখ কষ্ট আর উনি চুপ করে বসে বেদ পড়ছেন! রেখে তোর বেদ-বেদান্ত।’ গিরিশ শুনেছিলেন, দক্ষিণেশ্বরে একদিন কোনও ভক্ত শ্রীরামকৃষ্ণ সম্মুখে উন্নত শির নরেন্দ্রনাথকে অহংকারী হিসেবে দাগিয়েছিলেন। জবাবে শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘এ অহংকার নয়, এ হল তেজ। এই তেজ যেদিন দুঃখের সংস্পর্শে আসবে, সেদিন তা করুণা হয়ে বয়ে যাবে।’ দুঃখের সম্মুখীন হয়েছিলেন যুবক নরেন্দ্রনাথ। পিতা বিশ্বনাথ দত্তের মৃত্যুর পর, আত্মীয় স্বজনের নিষ্ঠুরতা তিনি দেখেছেন। বড় কাছ থেকে অনুভব করেছেন  অসহায়, দরিদ্র মানুষের পেটের জ্বালাকে। দিনের পর দিন বাইরে নিমন্ত্রণ আছে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। সমস্ত দিন কাটিয়েছেন রাস্তার কলের জল খেয়ে। মনের মধ্যে প্রশ্ন, ‘শিবের সংসারে এত অশিবের তাণ্ডব কেন?’ এই প্রশ্ন নিয়েই তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ মুখে শুনেছেন, ‘প্রতিমায় পুজো হয় আর জীয়ন্ত মানুষে হয় না?’ সেই তো, মানুষের মধ্যে তো তিনিই অধিষ্ঠান করেন! বিবেকানন্দ আরও গভীরভাবে এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে। ‘‘জীবে দয়া’ কেন? কীটানুকীট আমরা, আমরা দয়া করব কী করে? জীবকে পূজা করতে হবে, সেবা করতে হবে। কারণ প্রতিটি জীবই হল শিব।’ তাই পরবর্তী কালে বিবেকানন্দ বলছেন, বড় বড় মন্দিরগুলির দ্বার উঠছে, পড়ছে। দেবপূজা হচ্ছে আর জ্যান্ত দেবতা বিনা অন্নে, রোগে ক্ষয়ে মারা যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কেবল মন্দির ও তার অর্থকে ইঙ্গিত করেন নি তিনি। তার সঙ্গে রমতা সাধু সমাজকেও কথার চাবুকে আঘাত করেছেন। যে সময় এই পুণ্যভূমির  অধিকাংশ মানুষ, এক পাল গরিবগুর্বের দল  একবেলা খেতে পায়, অন্যবেলা মহুয়া ফুলের রস খেয়ে থাকে, সেখানে অসংখ্য সাধু সেই সমাজ থেকেই পুষ্টি লাভ করে। কিন্তু সেই অসহায় মানুষগুলির জন্য  তাদের কি কিছু করণীয় নেই? ১৮৯৭ এর ১ মে, তিনি এই সাধু সমাজের উপরও সামাজিক দায়িত্ব ন্যস্ত করেছিলেন। তৈরি হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশন। 
‘শিব জ্ঞানে জীব সেবা’র মধ্য দিয়ে তিনি সন্ন্যাস ও সমাজকে বড় কাছাকাছি এনে ফেললেন। ‘শিব জ্ঞানে জীব সেবার’ আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করে তিনি জানালেন, সেবাকে পূজা রূপে পালন করলে, সেই সেবা— সেবাযোগে পরিণত হয় এবং তার মধ্য দিয়েই আত্মমুক্তি লাভ সম্ভব। সন্ন্যাসী সঙ্ঘের কথা আমরা বৌদ্ধ যুগে দেখেছি। তথাগত বুদ্ধ সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে ভিক্ষু ও শ্রমণশ্রেণিকে বহুজনের হিতের জন্য, সুখের জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। স্বামীজিও সন্ন্যাসীদের সেই একই উদ্দেশ্যে সঙ্ঘের মধ্যে বাঁধলেন। শিকাগো ধর্ম সম্মেলনের পর তিনি মিসেস লায়নকে বলেছিলেন, ‘এখানে এসে আমি সঙ্ঘের প্রেমে পড়েছি।’ বুদ্ধজন্মের পাঁচশ বছর পর খ্রিস্টের আগমন। যে খ্রিস্টান মিশনারীদেরও দেখেছেন স্বামীজি। বুদ্ধের সেবা আর খ্রিষ্টান মিশনারীদের সেবা— দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা দিয়ে স্থাপন করলেন রামকৃষ্ণ মিশন।
শ্রীরামকৃষ্ণ লীলাশেষে ১৮৮৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয় প্রথম রামকৃষ্ণ মঠ—বরাহনগর মঠ। তার ঠিক দশ বছর পর সৃষ্টি হল রামকৃষ্ণ মিশন। ১৮৯৭ এর ১ মে, বাগবাজারের বলরাম বসুর ভবনেই এই মিশনের সূচনা। সেদিন অপরাহ্ন তিনটের সময় শ্রীরামকৃষ্ণের বহুভক্ত বলরাম ভবনে সমাগত হয়েছিলেন। সকলে সমবেত হলে স্বামীজি বললেন, ‘নানা দেশ ঘুরে আমার ধারণা হয়েছে, সঙ্ঘ ব্যতীত কোন বড় কাজ হতে পারে না।’ কিন্তু এর সঙ্গে স্বামীজি এটাও বলেন, সাধারণের সম্মতি নিয়ে, ভোটের মাধ্যমে  কোনও সঙ্ঘ পরিচালনা করা সেই সময়ে খুব কঠিন ব্যাপার। কারণ, মানুষ তখনও ততটা শিক্ষিত নয়। রামকৃষ্ণ মিশনের মাধ্যমে তিনি গৃহী ও সন্ন্যাসী দুই আশ্রমবাসীকেই সংযুক্ত করেছিলেন। স্বামীজি বলেছিলেন, ‘আমরা যাঁর নামে সন্ন্যাসী হয়েছি, আপনারা যাঁকে জীবনের আদর্শ  করে সংসারাশ্রমে কার্যক্ষেত্রে রয়েছেন, সেই শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, যাঁর দেহাবসানের কিছু বছরের মধ্যে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জগতে তাঁর পুণ্য নাম ও অদ্ভুত  জীবনের আশ্চর্য প্রসার হয়েছে; এই সঙ্ঘ তাঁর নামেই প্রতিষ্ঠিত। তাই রামকৃষ্ণ মিশন।’ এই মিশনের মূল কার্য ছিল প্রচার। মাধ্যম হল সেবা। গৃহ বিবাগী সন্ন্যাসী হয়েও স্বামীজি জানিয়েছিলেন, ‘মানুষের আধ্যাত্মিক ও সাংসারিক উন্নতি জন্য এই সঙ্ঘের সন্ন্যাসীরা দায়বদ্ধ থাকবে।’ মঠের সদস্য যেমন শুধুমাত্র সন্ন্যাসীরা, মিশনের সদস্য তেমন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে গৃহীরাও সংযুক্ত হবেন। রামকৃষ্ণ মিশন সত্যই ছিল এক বৈপ্লবিক মিশন। 
১ মের শুভ সূচনার দিন থেকে বিবেকানন্দের তৈরি এই মিশন নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। প্রথম এই কাজে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্বামী যোগানন্দ। স্বামীজীর গুরুভাই। ‘নরেন এ-কাজ ঠাকুরের ভাব অনুসারী তো? না, তোমার নিজের খেয়াল।’ গুরুভাইয়ের মুখে এই প্রশ্ন শুনে বিবেকানন্দ এক অসাধারণ কথা ভবিষ্যৎ মানব সমাজের জন্য রেখে গেলেন। তিনি বললেন, ‘শ্রীরামকৃষ্ণ অনন্তভাবময়, তাঁর ভক্তরা তাঁকে দক্ষিণেশ্বরের কুঠুরীর মধ্যে আবদ্ধ করে রাখলে হবে না।’ এ ব্যাপারে স্বামী বিবেকানন্দের পিছনে ছিলেন শ্রীমা সারদাদেবী
 স্বামী অখণ্ডানন্দ মুর্শিদাবাদ জেলার সারগাছিতে প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষের মধ্যে প্রথম মিশনারী কাজ শুরু করলেন। তার সঙ্গে বারাণসীতেও হাসপাতাল খোলা হল। শ্রীমা সেখানে গিয়ে জানালেন, এই সেবা কাজ শ্রীরামকৃষ্ণ অনুমোদিত। ‘নরেন যা করেছে, ঠিক করেছে। এখানে সাক্ষাৎ নারায়ণ মানব দেহে সেবা নিচ্ছেন।’ কেবল এই কথাটি বলেই ক্ষান্ত হননি শ্রীমা সারদাদেবী। তিনি দশ টাকার একটি নোটও সেবাকাজে দান করেছিলেন। যে ঐতিহাসিক নোটটি এখনও বারাণসী আশ্রমে সযত্নে রক্ষিত আছে। বিবেকানন্দের রামকৃষ্ণ মিশন গঠন স্বামী যোগানন্দের মতো অনেক বিশিষ্ট শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তকে দ্বন্দ্বে ফেলেছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃতের রূপকার শ্রীম বা মহেন্দ্রনাথ গুপ্ত। তিনি প্রকাশ্যেই অনেককে বলতেন, ‘এ ঠাকুরের ভাবের কাজ নয়। নরেন নিজের মতো তৈরি করেছে।’ শ্রীমা যখন বারাণসী রামকৃষ্ণ মিশনের কাজকে শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবানুসারী বলে দশটাকা সেবা কাজের জন্য দিলেন, তখন শ্রীম বা মাস্টারমশাইও কাশী আশ্রমে রয়েছেন। শ্রীমায়ের কথা তাঁকে জানানো হলে তিনি সেই সন্দেহ থেকে মুক্ত হন।
রামকৃষ্ণ মিশন তৈরি এবং রামকৃষ্ণ সঙ্ঘ গঠন করে তা পরবর্তী প্রজন্মে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বিবেকানন্দের কাছে সহজ ছিল না। মূলত এ ক্ষেত্রে তাঁকে কাঁটার উপর দিয়ে চলতে হয়েছিল। পরিব্রজ্যার সময় হাতরাসের স্টেশনমাস্টার স্বামী সদানন্দকে দীক্ষা দিলেন। এই স্বামী সদানন্দই ভগিনী নিবেদিতার সঙ্গে প্লেগ মহামারীতে উল্লেখযোগ্য সেবাকাজ করেছিলেন। কিন্তু তিনি স্বামীজির শিষ্যরূপে যখন বরানগর মঠে এলেন তখন ‘নরেন আবার মন্ত্র দিচ্ছে!’—এই কথা বলে বরানগর মঠে তাঁকে বাস না করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গৃহীভক্তের একাংশ। তাই নরেনের শিষ্য ব্যাপারটি সেই সময় খুব প্রকাশ্যে জাহির করতেন না কেউ।
আবার স্বামীজি দেহরক্ষার পরে এই মিশনারী কাজের জন্য বিরাট এক সঙ্কটের পর্যায়ও অতিক্রম করেছে রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, বেলুড় মঠ। স্বামীজির শিষ্য  স্বামী নির্মলানন্দকে পাঠানো হল ব্যাঙ্গালোর আশ্রমের দায়িত্বে। আশ্রমটি গঠিত হয়েছিল শ্রীরামকৃষ্ণ-এর সাক্ষাৎ পার্ষদ স্বামী রামকৃষ্ণানন্দের তত্ত্বাবধানে। স্বামী আত্মানন্দের কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে। দক্ষিণ ভারত তখন স্বামী বিবেকানন্দের জ্বালাময়ী ভাষণে উত্তপ্ত। স্বামী অভেদানন্দ সেই আগুনে আরও সুরারোপ করলেন। প্রেরণা যেন জ্বলন্ত অগ্নিসম প্রবাহিত হল। স্বামী নির্মলানন্দ সেখানে পৌঁছে আশ্রমের জন্য পাওয়া জমির মধ্যে একটি ছাত্রাবাস নির্মাণের রাজ শুরু করলেন। ব্যাঙ্গালোর রামকৃষ্ণ আশ্রম—মঠ কেন্দ্র। তারই পাশে মিশন কেন্দ্র শুরু হল। বেলুড় মূল কার্যালয় কিন্তু কিছু জানল না। প্রথম অধ্যক্ষ স্বামী ব্রহ্মানন্দ ব্যাঙ্গালোরে এসে ব্যাপারটি স্বচক্ষে দেখলেন। মঠে ফিরে গিয়ে সম্পাদক স্বামী সারদানন্দকেও জানালেন যে, মঠ সেন্টারে তুলসী (স্বামী নির্মলানন্দ) মিশন সেন্টার তৈরি করছে। তাঁর কথায় একটি আশঙ্কা লুকিয়ে ছিল। সেই আশঙ্কাই কিছু বছর পর সত্য বলে প্রমাণিত হল। ছাত্রাবাস করেছেন বলে সমস্ত ব্যাঙ্গালোর আশ্রমটিই নিজের বলে দাবি করে বসলেন স্বামী নির্মলানন্দ। বেলুড় মঠের মূল কার্যালয় থেকে কেবল তিনি বিচ্ছিন্নই হলেন না, একটা মামলার সূচনা হল। এই মামলায় জয়ী হওয়ার পর থেকে শাখাকেন্দ্র ও মিশনারী কার্য বিষয়ে অনেক সাবধানী হয়ে উঠল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। শাখাকেন্দ্র ও মূলকেন্দ্রের মধ্যে সুস্পষ্ট যোগাযোগ স্থাপিত হল। তৈরি হল সংবিধান। অবশ্য এখন মঠ সেন্টারেও সেবামূলক কার্য সম্পন্ন করা হয়। প্রথম দিকে দুই ধরনের কেন্দ্রে বেশ পার্থক্য রাখা হতো। 
বস্তুতপক্ষে মঠ ও মিশন পৃথক কোনও বিষয় নয়। আত্মমুক্তি হল এ দু’টির মধ্যে সংযোগ সেতু। কেবল সন্ন্যাসীদের নয়, প্রতিটি মানুষের লক্ষ্য আত্মমুক্তি। অসুস্থ পীড়িত, অসহায় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে এই আত্মমুক্তির পথই দেখিয়েছেন বিবেকানন্দ। এই মিশন গঠনে তাঁর সংগ্রাম ছিল যন্ত্রণাময়। বারংবার সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন তিনি। কিন্তু সঙ্গে ছিলেন তাঁর গুরুভাইরা। আর ছিলেন শ্রীমা সারদাদেবী। তাঁরই আঁচলের আশ্রয়ে থেকে বিবেকানন্দ বলতে পেরেছিলেন, ‘দরিদ্রদেবো ভব, মুর্খদেবো ভব’। দরিদ্র ও মূর্খ তোমার উপাস্য হোক। রামকৃষ্ণ মিশনের এই হল প্রধান উদ্দেশ্য। 
12th  May, 2024
এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রাক্‌ বর্ষার মাঝারি বৃষ্টি স্বস্তি দিল মালদহবাসীকে। জুড়োলো দহন জ্বালা। বুধবার ভোরে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে জেলার বেশ কিছু জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টি নামে। ...

ছোট শিল্প সংস্থাগুলি যাতে শেয়ার বাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারে, তার জন্য ‘এসএমই আইপিও’ চালু হয় ২০১২ সালে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ এই সুবিধা করে দেয়। ছোট শিল্প সংস্থাগুলি যাতে প্রথমবারের জন্য বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারে, ...

ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বহর বাড়াতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে লেনদেনের সুযোগ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য তারা ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ...

নিজেদের এলাকার বুথের ফলাফলের উপর তৃণমূল নেতাদের ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। অতীতে দেখা গিয়েছে, অনেক তাবড় নেতার বুথে দল ফল খারাপ করেছে। তারপরও তাঁরা বহাল তবিয়তে ক্ষমতায় থেকে গিয়েছেন। সংগঠনের তাঁরাই শেষ কথা। এবার সেটা হবে না। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কচ্ছপ দিবস
১৪৯৮ - পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের কালিকট বন্দরে এসেছিলেন
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে
১৮১৮ - প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ আজকের দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান
১৮২৯- বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৪ - ভারতে ফলিত গণিতের জনক বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেনের জন্ম 
১৯০২ - কিউবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই দিনে সকল মার্কিন সেনা কিউবা ত্যাগ করে
১৯০৫ - বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৬- নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু
১৯১৮- ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম
১৯১৯- জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর জন্ম
১৯২৮- বিশিষ্ট তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দীর জন্ম
১৯৩০ - বাঙালী প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন
১৯৫১- বিশিষ্ট দাবাড়ু আনাতোলি কারাপোভের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৪ টাকা ১০৭.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪।  পূর্ণিমা ৩৬/৫ রাত্রি ৭/২৩। বিশাখা নক্ষত্র ১০/৪৫ দিবা ৯/১৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। 
৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৬/৪৮। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৮/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
১৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার উপর হামলা, কাঠগড়ায় বিজেপি
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার এক্তারপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অম্বিকেশ মান্নার ...বিশদ

06:30:00 PM

ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:21:55 PM

একবছর আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:19:19 PM

মোদি জিতলে এটাই ভারতবর্ষে শেষ নির্বাচন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:11:43 PM

সবার সার্টিফিকেট বহাল থাকবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:09:11 PM

সারাদেশে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে বামেরা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:07:47 PM