কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পানিহাটি, কামারহাটি পুরসভা সহ দমদম লোকসভার অন্তর্গত বিভিন্ন পুরসভা এলাকায় গরমে পানীয় জলের সঙ্কট প্রকট হয়েছিল। পানিহাটিতে জলের দাবিতে অনশনও করতে দেখা গিয়েছিল বাসিন্দাদের। তৃণমূল নেতারাও সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। বিরোধীরা পানিহাটি সহ বিভিন্ন পুরসভা এলাকার পানীয় জল, আবর্জনা, নিকাশি, বেহাল রাস্তা সহ নানা সমস্যাকে লোকসভা ভোটের প্রচারে তুলে ধরছে। এদিন খড়দহে বি টি রোড সংলগ্ন সূর্য সেন খেলার মাঠ ও পানিহাটির আগরপাড়া বিবেকানন্দ সমিতি ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী জনসভা করেন। পানিহাটির সভায় তিনি বলেন, ‘পানিহাটি ও কামারহাটিতে ঢেলে কাজ হয়েছে। পানীয় জল সবার বাড়ি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবে। নিকাশি সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে।’ খড়দহের সভা থেকে বলেন, ‘খড়দহ, পানিহাটি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জলের কাজ, খেলাধুলার জন্য পরিকাঠামো উন্নয়ন, ফুটবল অ্যাকাডেমি, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ সহ নানা কাজ হয়েছে। দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক দেখলে বুঝবেন বাংলা কীভাবে বদলে গিয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়া, বিমানবন্দর, তারাতলা, মাঝেরহাট, জোকা, টালিগঞ্জ, নিউ গড়িয়া পর্যন্ত এই যে মেট্রোরেল দেখছেন, এসব আমার তৈরি। বারাকপুর পর্যন্ত মেট্রো নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। আমাদের দল ক্ষমতায় এলে এই পরিকল্পনা রূপয়াণের চেষ্টা করব।’ তারপর বলেন, ‘বুঝতে হবে, এটা লোকসভার ভোট। দেশের পরিস্থিতি কী, তা অনুধাবন করতে হবে।’
খড়দহের সভায় তিনি কাছে ডেকে নেন প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে। পরে বলেন, ‘বিধানসভা ভোটের ফলাফল বের হওয়ার আগে কাজল মারা গেল। ওঁর মৃত্যু আমার জীবনে একটা মর্মান্তিক ঘটনা। খড়দহে তার অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করতে হবে।’ পানিহাটির সভায় বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে কথা বলে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। শরীরের দিকে নজর রেখে বিভিন্ন সভায় থাকার পরামর্শ দেন তাঁকে।