কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরে জাল বোনার কাজ করছেন অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম এলাকার বাসিন্দা কৃপাসিন্ধু বেহারা। বুধবার দুপুরে জাল বুনতে ব্যস্ত ছিলেন মাঝবয়সি কৃপাসিন্ধু। তার ফাঁকেই মুখ তুলে বললেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাকদ্বীপে জাল বোনার কাজ করছি। ৯ মাস কাজ করে যে টাকা রোজগার করি, তাতে সারা বছরের খরচ চলে যায়। এত বছর ধরে আসছি কোনও সমস্যা হয়নি।’
সুন্দরবন পুলিস জেলার বিভিন্ন মৎস্যজীবী ইউনিয়ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ, নামখানা ও রায়দিঘি এলাকায় মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা প্রায় দু’হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। কাকদ্বীপে কাজ করছেন অন্তত এক হাজার শ্রমিক। নামখানা ও রায়দিঘি এলাকায় পাঁচশো জন করে শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই রাজ্যে মাছ ধরার জাল বোনেন। এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা মূলত অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার বাসিন্দা। বছরের ন’মাস তাঁরা বাংলায় থাকেন। তিন মাসের জন্য বাড়ি ফিরে যান। বছরের পর বছর এভাবেই ভিনরাজ্যের দু’হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ঠিকানা বাংলা।
ওড়িশার বালেশ্বরের গোপীনাথপুর থেকে কাজ করতে এসেছেন পবিত্র মল্লিক। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে কাকদ্বীপে জাল বোনার কাজ করছেন। তাঁর কথায়, ‘এই এলাকায় কোনও সমস্যা নেই, বরং প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে। মৎস্যবন্দরগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হলে এই এলাকার বাসিন্দারা আর ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাবেন না।’ তবে স্থানীয় অথবা পরিযায়ী শ্রমিকদের কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে মৎস্যবন্দরগুলির পরিকাঠামো নিয়ে। তাঁদের দাবি, মৎস্যবন্দরগুলিতে ঢালাই করে দিয়ে মাথার উপরে শেড তৈরি করে দেওয়া হোক। তাহলে ডাঙায় থাকা মৎস্যজীবীদের গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না। এখন বন্দরগুলিতে শেড না থাকায়, রোদে ও বৃষ্টিতে ডাঙার মৎস্যজীবীদের কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হয়।