কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
নাবালক ছেলের হাতে বিলাসবহুল বিদেশি পোরসে গাড়ি তুলে দিয়েছিলেন বিশাল। আর সেই গাড়ি নিয়ে মদ্যপ অবস্থায় ধাক্কা মেরে ছেলে কেড়ে নিয়েছে দু’টি তরতাজা প্রাণ। অভিযুক্ত নাবালকের বাবাকে মঙ্গলবার ছত্রপতি শম্ভাজিনগর থেকে গ্রেপ্তার করে পুনে পুলিস। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিসের তরফে বিশালকে সাতদিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হয়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক। জানা গিয়েছে, ঘাতক পোরসে গাড়িটি মার্চে কেনা হলেও তার রেজিস্ট্রেশন করানো হয়নি।
এদিকে ঘটনার মাত্র ১৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত নাবালককে জামিন দেওয়া নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। খোদ মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুনে পুলিসের তরফে বোর্ডের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। এদিনই অভিযুক্ত নাবালককে বোর্ডের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছিল। এর আগে, অভিযুক্ত নাবালককে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গণ্য করার জন্য দায়রা আদালতে গিয়েছিল পুনে পুলিস। আদালত পুলিসকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের কাছে ফেরত পাঠায়। এদিন, নাবালকের জামিন নিয়েও সাফাই দিয়েছে বোর্ড। নাবালকের দাদু সুরেন্দ্রকুমার আগরওয়াল সাড়ে সাত হাজার টাকার বন্ডে নাতিকে জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে বোর্ড জানিয়েছে। দাদু আশ্বাস দিয়েছিলেন, এরপর নাতিকে বদসঙ্গ থেকে দূরে রাখবেন। অন্যদিকে, দাদুর সঙ্গে অপরাধ জগতের যোগসূত্রও সামনে এসেছে। সুরেন্দ্রকুমার আগরওয়ালের সঙ্গে মাফিয়া ডন ছোটা রাজনের যোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।