Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জিপিও ২৫০

সুদীপ্ত রায়চৌধুরী: বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলে সবে আড়মোড়া ভাঙছে শহর, তার মধ্যেই ট্যাক্সি চেপে মায়ের সঙ্গে জিপিওতে এসে হাজির তিন্নি। কিছুটা জেদ ধরেই এসেছে। খবরের কাগজে জিপিও’র ২৫০ বছর নিয়ে খবরটা দেখেছিল। তাই দোলের দিন থেকেই বায়না জুড়েছিল। মেয়ের মন রাখতে তাকে নিয়ে এসেছেন প্রতিমাদেবী। জিপিওর রোটান্ডায় উঠেই চোখ কপালে তিন্নির। কী মোটা মোটা থাম! ছাদটাও কত্ত উঁচুতে। এর আগে বেশ কয়েকবার সামনে দিয়ে গেলেও ভিতরে ঢোকা হয়নি। চারিদিকে চোখ বোলাতে বোলাতেই দুই প্রজন্ম পা রাখল প্রদর্শনীর প্রাণকেন্দ্রে।
২৫০ বছরের প্রদর্শনী
ঘরে ঢোকার আগেই অবাক ক্লাস ফাইভের এই খুদে। দরজার ডানপাশে রাখা একটা রকেট! না, মানে ঠিক রকেট নয়, একটা মডেল। তার মাঝখানে রয়েছে লাল রঙের একটা লেটার বক্স। দু’পাশে নীল রঙের রকেটের দু’টি অংশ। আর লেটার বক্সের মাথার কালো অংশের উপরে আটকানো নীলরঙা রকেটের উপরের অংশ। ‘এটা কী! লেটার বক্স নাকি রকেট?’—প্রশ্ন তিন্নির। উত্তর শোনার মতো ধৈর্য অবশ্য তার নেই। ততক্ষণে চোখ চলে গিয়েছে ঘরের মাঝে। কালো পাথরের রানারের মূর্তিতে। দেখলেই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতাটা মনে পড়ে যায়।
রানারের মূর্তির চারদিকে লাল ফিতের বৃত্তাকার ব্যারিকেড। ভিতরে চারটি মডেল। মায়ের হাত ধরে পায়ে পায়ে ডানদিকে সরে এল তিন্নি। একটা নৌকা রাখা। একদিকে বসে মাঝি। হাতে বৈঠা। ছইয়ের একপাশে বসে আরও একটি লোক। চিঠির বস্তা নিয়ে। নৌকার গায়ে একদিকে হিন্দি ও অন্যদিকে ইংরেজিতে লেখা ‘মেইল বোট’। বাঁ-পাশে পালকি কাঁধে খালি গায়ে দু’টি লোক। ভিতরে বসার জায়গায় ছোটখাটো চিঠির পাহাড়। তার পাশে একটি গোরুর গাড়ি। ডানপাশে ট্রেনের একটা বগি। লালরঙের। লেখা, ‘রেলওয়ে মেইল সার্ভিস।’ গেট থেকে বস্তা নামাচ্ছেন ডাক বিভাগের এক কর্মী। ‘এভাবে চিঠি বিলি হতো?’ খুদে দর্শনার্থীর প্রশ্ন শুনে এগিয়ে আসলেন জিপিওর এক কর্মী। বললেন, ‘আগে তো এখনকার মতো গাড়িঘোড়া সেভাবে কিছু ছিল না মা। তাই প্রথমে নৌকা করে, পরে পালকি ও গোরুর গাড়িই ছিল ভরসা। ১৮৫৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর লর্ড ডালহৌসি প্রতিটি রেল কোম্পানিকে বিশেষ কোচে চিঠি ও পার্সেল বহন করার নির্দেশ দেন।’
রাজ্যের এই প্রধান ডাকঘর ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১৫৫ বছরের ইতিহাস। মায়ের মুখে একথা শুনেই ভ্রুতে ভাঁজ পড়ল তিন্নির। ‘তাহলে ২৫০ বছর কেন?’ উত্তর হাতড়াচ্ছিলেন প্রতিমাদেবী। আবারও মুশকিল আসান সেই কর্মীই। জানালেন, আসলে গোড়াতেই এই বাড়িতে চালু হয়নি জিপিও। জিপিও হিসেবে কলকাতায় প্রথম যে পোস্ট অফিস খোলা হয়েছিল তা এবার ২৫০ বছর ছুঁল। তারই উদযাপন করা হয়েছে।
শুনতে শুনতে তিন্নির চোখ গেল দেওয়ালের ধারে রাখা কয়েকটি কাচের শোকেস ও পাশের বোর্ডে। ভিতরে রাখা পুরনো সময়ের ৩২টি পোস্টকার্ড। বোর্ডে আটকানো নানান ছবি। কোনওটা এই জিপিওর, আগেকার। কোনওটা আবার অন্য কোনও জায়গার পোস্ট অফিসের। আর রয়েছে জিপিওর বাড়িটির নানান রেপ্লিকা। তার কোনওটি শোলা বা মাটির, কোনওটি আবার কাঠের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে তৈরি।
ফিলাটেলিক ব্যুরোতে ঢুঁ
প্রদর্শনী ঘোরা শেষ। মা-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিমাদেবী এলেন ফিলাটেলিক ব্যুরোতে। এক সময় নিয়মিত স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতেন। কাউন্টারে এসে জানতে পারলেন, প্রকাশিত হয়েছে ১৪টি বিশেষ পোস্টকার্ড ও সাতটি কভার। সবক’টি অবশ্য স্টকে নেই। ২৫০ বছরের লোগোবিশিষ্ট পিকচার-পোস্টকার্ড মিললেও ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ ও ‘বঙ্গতরী’ নামাঙ্কিত পোস্টকার্ড শেষ। তা পেতে অপেক্ষা করতে হবে কয়েকদিন। তাই শেষ পর্যন্ত কিনলেন ‘ট্রান্সপোর্টেশন অব মেইলস থ্রু এজেস’, ‘গ্র্যান্ড ক্লক অব কলকাতা জিপিও’, ‘পোস্ট বক্স থ্রু এজেস’ ও ‘ব্যাজেস অব পোস্ট অফিস’ নামাঙ্কিত বিশেষ কভার।
গন্তব্য পোস্টাল মিউজিয়াম
‘এখনই কী বাড়ি ফিরতে হবে?’ মাকে প্রশ্ন করল তিন্নি। প্রতিমাদেবী উত্তর দেওয়ার আগেই একটা অন্য পরামর্শ দিলেন কাউন্টারে থাকা পোস্টাল কর্মী। ‘পাশের বাড়িতেই রয়েছে পোস্টাল মিউজিয়াম। ঘুরে দেখতে পারেন।’ নতুন গন্তব্য পেয়ে আনন্দে তিন্নি তো প্রায় নেচে উঠল। জিপিও থেকে বেরিয়ে পশ্চিমদিকে কয়েক পা এগতেই লাল ইটের একটি বাড়ি। ইতালীয় ধাঁচের। ভিতরে ঢুকলেই চোখ চলে যায় একটি মার্বেল ফলকে। তাতে লেখা, ১৮৮৫ সালে ‘ডিরেক্টর জেনারেল অব দি পোস্ট অফিস অব ইন্ডিয়া’র এই অফিসটি তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে ডিরেক্টর জেনারেল ছিলেন ফ্রেডরিক রাসেল হগ। এঁর সঙ্গে হগ মার্কেটের কোনও যোগ আছে নাকি! গুগলের শরণাপন্ন হয়ে তাজ্জব প্রতিমাদেবী। আন্দাজ ঠিক। স্যার স্টুয়ার্ট সন্ডার্স হগ—যাঁর নামে আমাদের হগ মার্কেট বা নিউ মার্কেট, সেই ব্যক্তি ফ্রেডরিকের আপন দাদা!
সংগ্রহশালাতেও ঢোকার মুখে ডানদিকে রানারের একটি মূর্তি। দরজা ঠেলে ঢুকতেই বাঁদিকে তিনটি ঘর। তারই একটিতে রয়েছে বিতর্কিত ব্ল্যাক হোলে নিহত সেনাদের স্মৃতিতে লর্ড কার্জনের তৈরি কালো মার্বেল স্মারক। তা দেখতে দেখতেই মেয়েকে ‘অন্ধকূপ হত্যা’র ইতিহাস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পাঠও দিলেন মা। ব্রিটিশ আমলে বিদেশ থেকে ডাক নিয়ে আসত জাহাজ। সেই খবর পৌঁছে দিতে হুগলি নদীতীরে ওড়ানো হতো পতাকা। বাজানো হতো বিউগল। পতাকা উত্তোলনের সেই যন্ত্র, বিভিন্ন মাপের বিউগল রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। এছাড়াও রয়েছে রানারের ব্যবহৃত পোশাক, তলোয়ার, ঘণ্টা বাঁধা বর্শার ফলা, লণ্ঠন, দাঁড়িপাল্লা এবং কলকাতার ডেপুটি পোস্টমাস্টার, প্রেসিডেন্সি পোস্টমাস্টার, মেইল পিওন, বয় রানারের বেল্ট। সঙ্গে খুঁত থাকা পয়সা বাতিল করার জন্য কয়েন কাটার যন্ত্র, পুরনো কলকাতার মানচিত্র, টেলিগ্রাফ যন্ত্র, নানা ধরনের টেলিফোন, ডাকবাক্স, সিল, স্ট্যাম্প। বাড়ি তৈরির সময় উদ্ধার হওয়া মিশকালো একটি ছোট কামান দেখে তিন্নি তো হা! ডানপাশের বড় হলঘরে দীনবন্ধু মিত্র, বিজ্ঞানী সিভি রমনের বড় ছবি। দু’জনেই যুক্ত ছিলেন ডাকবিভাগের সঙ্গে। পাশাপাশি রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বাক্ষরিত সেভিংস বইও। রবি ঠাকুরের ছবি-লেখা দেখলেও সই প্রথমবার দেখল তিন্নি।
ঘুরতে ঘুরতে চোখ আটকাল নীল রঙের একটি বোর্ডে। পাশে একটা পোস্টার। সেখানে খালি গা-সাদা ধুতি পরা একজনের সঙ্গে কথা বলছেন শিবঠাকুর! উপরে বড় বড় লেখা—‘কুইনাইন ম্যালেরিয়ার একমাত্র ঔষধ।’ এমন পোস্টার তিন্নি কখনও দেখেনি। পাশে নীলরঙা বোর্ডে লেখা—‘ম্যালেরিয়া কম্পজ্বর কিম্বা প্লীহাজ্বর প্রতিকারের জন্য কুইনাইন। একমাত্র অব্যর্থ মহৌষধ ইহাই সেবন কর। গভর্ণমেন্টের বিশুদ্ধ কুইনাইন এখানে পোষ্ট আফিস এবং রেল ষ্টেসনে পাওয়া যায়। প্রত্যেক শিশিতে ২০টী বড়ী থাকে। মূল্য চার আনা।’ বিষয়টি বোঝালেন প্রতিমাদেবী— ১৯ শতকের শেষদিকে ম্যালেরিয়ার দাপট ছিল মারাত্মক। তখন এনামেল প্লেটে হাতে লেখা এমন বিজ্ঞাপন দেখা যেত ডাকঘরে।
শেষবেলায় ‘ডাকঘর কাফে’
তিন ধাপে ইতিহাস সফর শেষে বেশ ক্লান্ত তিন্নি। অগত্যা মেয়েকে নিয়ে ডাকঘর কাফেতে এলেন প্রতিমাদেবী। পোশাকি নাম ‘শিউলি পোস্টাল কাফে।’ এও যেন প্রদর্শশালার একফালি অংশ। কফি, স্যান্ডউইচে আহার-পর্ব সেরে দু’জনে ঘুরে ঘুরে দেখলেন কাফের চার দেওয়াল। কোথাও নানান স্ট্যাম্পের বড় প্রতিকৃতি, কোথাও বা সুদৃশ্য তৈলচিত্রের মধ্যে ইনসেট করা স্ট্যাম্পের ছবি। মাথার উপরে ঝাড়লণ্ঠন আর দেওয়ালে সাজানো ঢাল-বর্শা। তিন্নি ব্যস্ত হয়ে উঠল সে সব মোবাইলবন্দি করতে।
সারাদিনের এই সফর হোয়াটসঅ্যাপে বন্ধুদের না পাঠালে চলে!
 
31st  March, 2024
এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
একনজরে
আগামী ১২ জুন শুরু হচ্ছে ট্রান্সফার উইন্ডো। দলবদলের মরশুমে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন অসংখ্য লাল-হলুদ সমর্থক। সোশাল সাইটে তারকা ফুটবলারদের নাম নিয়ে জোরদার চর্চা। কোন পথে এগচ্ছে মশালবাহিনী? খোলামেলা নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। ...

মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রাক্‌ বর্ষার মাঝারি বৃষ্টি স্বস্তি দিল মালদহবাসীকে। জুড়োলো দহন জ্বালা। বুধবার ভোরে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে জেলার বেশ কিছু জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টি নামে। ...

ব্যাঙ্কিং পরিষেবার বহর বাড়াতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে লেনদেনের সুযোগ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য তারা ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ...

পশ্চিমবঙ্গে কাজ রয়েছে। রয়েছে সুষ্ঠু পরিবেশ। এখানে খুঁজলেই কাজ পাওয়া যায়। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বক্তব্য স্পষ্ট। যা এক কথায় নস্যাৎ করে দিচ্ছে বিরোধীদের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কচ্ছপ দিবস
১৪৯৮ - পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা উত্তমাশা অন্তরীপ হয়ে ভারতের কালিকট বন্দরে এসেছিলেন
১৬০৯ - শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে
১৮১৮ - প্রথম বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ আজকের দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়। সম্পাদক ছিলেন জন ক্লার্ক মার্শম্যান
১৮২৯- বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৮৯৪ - ভারতে ফলিত গণিতের জনক বিজ্ঞানী নিখিলরঞ্জন সেনের জন্ম 
১৯০২ - কিউবা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এই দিনে সকল মার্কিন সেনা কিউবা ত্যাগ করে
১৯০৫ - বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রতিষ্ঠাতা ও গণিতবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯০৬- নাট্যকার হেনরিক ইবসেনের মৃত্যু
১৯১৮- ইংরেজ ক্রিকেটার ডেনিস কম্পটনের জন্ম
১৯১৯- জয়পুরের রাজমাতা গায়ত্রী দেবীর জন্ম
১৯২৮- বিশিষ্ট তবলিয়া রাধাকান্ত নন্দীর জন্ম
১৯৩০ - বাঙালী প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু 
১৯৩২ - ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন
১৯৫১- বিশিষ্ট দাবাড়ু আনাতোলি কারাপোভের জন্ম
১৯৮৩ - এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৯ টাকা ৮৪.২৩ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৪ টাকা ১০৭.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৯২ টাকা ৯২.০৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৬০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,২৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৩,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৩,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪।  পূর্ণিমা ৩৬/৫ রাত্রি ৭/২৩। বিশাখা নক্ষত্র ১০/৪৫ দিবা ৯/১৫। সূর্যোদয় ৪/৫৭/৩৭, সূর্যাস্ত ৬/৯/৫। অমৃতযোগ দিবা ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫২ গতে ৯/২ মধ্যে পুনঃ ১১/১৫ গতে ২/৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/৫১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। 
৯ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪। পূর্ণিমা সন্ধ্যা ৬/৪৮। বিশাখা নক্ষত্র দিবা ৮/৫৮। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সূর্যাস্ত ৬/১২। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে ৬/১২ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২ গতে ৯/১০ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ২/৬ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ২/৫৩ গতে ৬/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
১৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার উপর হামলা, কাঠগড়ায় বিজেপি
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার এক্তারপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অম্বিকেশ মান্নার ...বিশদ

06:30:00 PM

ইডি-সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছেন, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:21:55 PM

একবছর আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, নাম না করে তাপস রায় প্রসঙ্গে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:19:19 PM

মোদি জিতলে এটাই ভারতবর্ষে শেষ নির্বাচন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:11:43 PM

সবার সার্টিফিকেট বহাল থাকবে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:09:11 PM

সারাদেশে বিজেপিকে মদত দিচ্ছে বামেরা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

06:07:47 PM