Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার।
আমি—আজকের এই শুভ দিনে তো ‘শুভ নববর্ষ’ বলতে পারতেন! শুনতে মিষ্টি লাগে, বলতেও।
চণ্ডীবাবু—আরে আমিও তো তাই চাই। মিষ্টি মিষ্টি সম্পর্ক। অনেকটা আপনার আর আমার বন্ধুত্বের মতোই। ইংরেজি আর বাংলা ভাষা হাত ধরাধরি করে চলবে, সাহিত্য করবে, গান করবে, নাটক করবে—আহা একটা বেশ ব্যাপারের মতো ব্যাপার।
আমি—হ্যাঁ, তা হয়তো ঠিকই। তবে এখন বেশিরভাগ শিক্ষিত বাঙালি তো বাংলাটাই ঠিকঠাক করে বলতে পারেন না। অনেকে আবার বলতে চানও না। একটা অদ্ভুত মিশ্র ভাষায় কথা বলেন। খেলোয়াড়,অভিনেতাদের সাক্ষাৎকারগুলি শুনেছেন তো! প্রায় সবাই এই মিশ্র ভাষায় কথা বলেন। আর টিভিতে এইসব দেখেশুনে পাড়ায় পাড়ায় ছেলেমেয়েদের মধ্যেও হিড়িক পড়ে গিয়েছে এইভাবে কথা বলার। আসলে অদ্ভুতভাবে বাংলা বলে নিজেকে একটু হটকে দেখানোর প্রতিযোগিতায় মেতে উঠছেন অনেকে।
চণ্ডীবাবু—কী আর করবেন বলুন? এই ফ্যাশনের বয়সটারও তো শতবর্ষ হয়ে গেল। এবার তো উদ্‌যাপন করা দরকার। 
আমি—মানে?
চণ্ডীবাবু—এই সেদিন একটা ঩লেখা পড়ছিলাম। সেখানে একটি বিখ্যাত পত্রিকার ১৯৩৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর সংখ্যার সম্পাদকীয়টি রেফার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তাতে কী লেখা হয়েছিল জানেন—‘মাতৃভাষায় কথা বলিতে শিক্ষিত বাঙালি পারে না। সে যে শিক্ষিত, তাহা ইংরেজি মেশানো বাঙলা বলিয়া প্রকাশ করে। ইংরেজি শিক্ষিত এমন বাঙালি অতি অল্পই দেখিয়াছি, যাঁহারা পরস্পরের সহিত সম্পূর্ণ বাঙলায় কথা বলেন। মিশ্র ভাষায় কথা বলাটা যেন সভ্যতার লক্ষণ হইয়া দাঁড়াইয়াছে।’ তাহলে কী দাঁড়াল, শতবর্ষ হচ্ছে কি না? চলুন, একটা উৎসব লাগিয়ে দেওয়া যাক। একটা মিটিং ডাকুন। ছোট্ট একটা কার্যকরী কমিটি। আপনি আহ্বায়ক। এর সঙ্গে দরকার একটা বেশ ক্যাচি নাম। এই যেমন ধরুন, ‘বাঙালির মিশ্রভাষার শতবর্ষ উদযাপন উৎসব।’কেমন হবে বলুন তো? একটু ভাবুন। তারপর ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপে সদস্যপদের জন্য আহ্বান। উফ্‌ফ...জমে যাবে, জমে যাবে। চারদিকে একটা হই হই, রই রই পড়ে যাবে।
চণ্ডীবাবু এরকমই। চায়ের দোকানে এসে আমাকে দেখলেই ওঁনার মাথায় নানান বিষয় নড়েচড়ে ওঠে। তারপর তর্ক-বিতর্ক। মাঝে মাঝে একটু গরমাগরমও হয়। যাঁরা সে সময় উপস্থিত থাকেন, তাঁরাও বেশ উপভোগ করেন। কেউ কেউ আবার মাঝেমধ্যে কিছু কিছু মন্তব্যও ছুড়ে দেন।
আর রয়েছে ‘বাচ্চা’ গোপাল। আমাদের যাঁর যেরকম চা পছন্দের, সেটা বেশ ভালো মনে রাখে। আর নানান হিন্দি সিনেমার গান নিজের মতো করে তৈরি করে নিয়ে গাইতে থাকে। সেই গান গাইতে গাইতেই হাজির হয় চা নিয়ে। এই যেমন এখন, গান শোনা যাচ্ছে গোপালের গলায়— ‘চাহিয়ে, গরম চায়, থোড়া চায় চাহিয়ে...।’
গানটা শুনতে শুনতেই মাথায় একটা ভাবনা ঘুরছিল।
আমি—এখন বাংলা ভাষা তো বাংলা, ইংরেজি আর হিন্দি, তিনটি ভাষার মিশ্রণ হয়ে উঠেছে।
গোপাল—(আমাদের হাতে চায়ের কাপ দিতে দিতে) পিজিয়ে, গরম চায়ে, গরম চায়ে পিজিয়ে...।
গান গাইতে গাইতে বাচ্চা চলে যেতেই মুখচেনা জনৈক ভদ্রলোক বলে উঠলেন, ‘তা চণ্ডীবাবু এই মিশ্র ভাষাটির বয়স কত হল? এটা কি আপনার সমবয়সি?’ 
সেকথা শুনে সমস্বরে হেসে উঠলেন সবাই। চণ্ডীবাবু একটু দমে গিয়ে বললেন, শুনুন, শুনুন। ১৯৩৭ সালে এখানে যে বাংলা সরকার তৈরি হয়েছিল, তার আইনসভায় প্রায় প্রথম থেকেই অনেক সদস্য বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখতে আরম্ভ করেছিলেন।
আমি—ঠিকই। তবে সেই বক্তব্য তো বাংলায় লিপিবদ্ধ করা হতো না। ইংরেজিতে অনুবাদ করা হতো। এমনকী, ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকেও অধ্যক্ষ বলেছিলেন,‘মি. দত্ত, ইউ মাস্ট স্পিক ইন ইংলিশ।’
চণ্ডীবাবু—কিন্তু তাতে কি আইনসভার সদস্যরা দমে গিয়েছিলেন? বরং ক্রমশ বাংলা ভাষায় বক্তার সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাংলা ভাষা ও বাংলা হরফে তা লিপিবদ্ধ করার কাজও শুরু হয়েছিল। তবে হ্যাঁ, ইংরেজিতে বলতে গিয়ে কেউ যদি একটু আটকে যেতেন, তখনই অন্য বাঙালি সদস্যরাই হাসাহাসি করতেন। শুধু তাই নয়, ‘বাংলায় বলুন, বাংলায় বলুন’ চিৎকারও জুড়ে দিতেন।
আমি—হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। সেদিনই অধ্যক্ষ মহাশয় বলেছিলেন যে বাংলাতে বলতে না দিলে আইনসভার বিতর্কগুলিও ঠিক বিতর্ক হয়ে ওঠে না। সবাই অংশগ্রহণ করবেন, তবেই না ঠিকঠাক বিতর্ক হবে। কিন্তু উনি অপারগ। একদিকে ভারত সরকারের আইন আর অন্যদিকে বাংলা ভাষায় শর্টহ্যান্ড জানা কর্মীর অভাব। আর তা না হলে উনি বাংলায় বক্তব্য রাখার ক্ষেত্রে বরং উৎসাহই দিতেন।
চণ্ডীবাবু—এই একটা মোক্ষম কথা বলেছেন। ৮ জুলাই, ১৯৪৩—অর্থাৎ পরাধীন ভারতের আইনসভায় দেওয়া সেই জবাব কিন্তু স্বাধীন ভারতের স্বাধীন বাংলার বিধানসভায় বোধহয় এখনও দেওয়া হয়।
আমি—হ্যাঁ। এমনকী স্বাধীন বাংলার বিধানসভায় বাংলা ভাষায় আলোচিত বিষয়গুলি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হতো না। এনিয়ে প্রশ্ন করাতে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘উই হ্যাভ নো ফান্ডস টু ট্রানস্লেট দ্যাট।’ অন্যদিকে, ‘পশ্চিমবঙ্গের স্বাধীনতার চতুর্থ বার্ষিকী’ উদ্‌যাপন করার জন্য এবং এই সময়কালে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কাজ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার জন্য ২ হাজার কপি পুস্তিকা ছাপানো হয়েছিল। এবং তা হয়েছিল ইংরেজি ভাষায় (২৪ সেপ্টেম্বর,১৯৫১)। আর বাংলা ভাষা নিয়ে প্রশ্ন করলেই সেই ৮ জুলাই,১৯৪৩ সালের উত্তরের ট্র্যাডিশন সমানে চলেছে। যেমন, ১৯৫৮ সালে জ্যোতি বসুর প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় বলেছিলেন, ‘বাংলা স্টেনোগ্রাফার, টাইপিস্ট আর টাইপরাইটারের অভাব।’ তার ২১ বছর পর ১৯৭৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, ‘টাইপিস্ট, স্টেনোগ্রাফারের সমস্যা আছে।’ কিন্তু ১৩৮৬ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ জ্যোতি বসু ঘোষণা করলেন, ‘এদিন থেকে রাজ্য সরকারের সমস্ত কাজকর্মে বাংলা চালু হয়েছে।’ এরও ২২ বছর পরে ১৪০৮ সালের ১লা বৈশাখে ফের বলা হল, ‘এদিন থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসনিক কাজকর্ম বাংলা ভাষায় চালু করা হচ্ছে।’ 
চণ্ডীবাবু—আজও ১লা বৈশাখ। আরও ২৩টা বছর!
জনৈক ভদ্রলোক—আরে মশাই কেবল ‘বাংলা চাই, বাংলা চাই’ বলে চিৎকার করলেই তো আর হয় না! উপযুক্ত পরিভাষা কোথায়? সেই সময়টা তো দিতে হবে।
আমি—জানেন কি, স্বাধীনতার ঠিক পরেই, মানে সেই ১৯৪৭ সালেই বাংলা ভাষা প্রচলনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আর ১৩৫৫ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখেই মানে ১৯৪৮ সালে এই ‘পরিভাষা সংসদ’ তার প্রথম ‘স্তবক’ প্রকাশ করে?
জনৈক ভদ্রলোক —প্রথম স্তবক! মানে? ঠিক বুঝতে পারলাম না।
আমি—মানে ‘প্রথম খণ্ড।’ এবং তারপর থেকে ২১ বছর ধরে ২৭ জুলাই, ১৯৬৯ অবধি আরও পাঁচটি পরিভাষা স্তবক মানে পাঁচ খণ্ড বই প্রকাশিত হয়।
জনৈক ভদ্রলোক—তা সরাসরি প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় খণ্ড না বলে প্রথম স্তবক, দ্বিতীয় স্তবক বলার মানে কী?
আমি—প্রথম খণ্ডের ভূমিকায় তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে যে কেন ‘অধিক মাত্রায়’ সংস্কৃত ভাষার সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি আধিকারিক বা সাধারণ মানুষ, কেউই এই পরিভাষা ব্যবহার করতেই পারলেন না। এবার পুরো বিষয়টা একসঙ্গে ভাবুন। প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষকে বাদ দিলে তার পরের সব মুখ্যমন্ত্রীরাই, তা সে যে রাজনৈতিক দলেরই হোক না কেন, কখনও টাইপরাইটার, টাইপিস্ট আর শর্টহ্যান্ড প্রশিক্ষিত কর্মী না থাকার অজুহাতে বা কখনও অর্থের অভাবের অজুহাতে বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরের প্রশাসনিক ভাষার মর্যাদা দিল না। আর তার সঙ্গে রয়েছে পিলে চমকে যাবার মতো পরিভাষা। অতএব আমার-আপনার মতো শিক্ষিত কর্মচারী এবং আধিকারিকরা যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ ইংরেজি ভাষাতেই চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষরা সেসব কিছুই বুঝতে না পেরে ভোট ছাড়া আর কোনও ক্ষেত্রেই সরাসরি সরকারের সিদ্ধান্তে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। শুধু ভয় পাচ্ছেন।
চণ্ডীবাবু—আরে, সেই কথাটাই তো প্রথম থেকে বলছি। ইংরেজি-বাংলা ভাই-ভাই।
আমি—ভাই-ভাই আর হলাম কোথায়! সত্যি কথা বলতে গেলে বলতে হয়, আমরা সবাই এই স্বাধীন ভারতের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক। যাঁরা ইংরেজি জানেন, তাঁরা প্রথম শ্রেণি, যাঁরা হিন্দি জানেন, তাঁরা দ্বিতীয় আর অবশিষ্ট সব ভাষাগোষ্ঠীর নাগরিকরা তৃতীয় শ্রেণির।
জনৈক ভদ্রলোক —‘হিন্দি’ দ্বিতীয় শ্রেণির ব্যাপারটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এসব কথা বলা কি ঠিক? একটা দেশ, তার একটা নাম থাকবে, পতাকা থাকবে, ধর্ম থাকবে, ভাষা থাকবে—এটাই তো স্বাভাবিক। 
চণ্ডীবাবু—আপনার এই মন্তব্য বড়ই আপত্তিকর। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটা নির্দিষ্ট ভূখণ্ড একটা দেশের সীমারেখা। তার একটা নাম অবশ্যই থাকবে। স্বাধীনতার চিহ্ন হিসেবে একটা পতাকাও থাকবে। কিন্তু দেশ তো মানুষের। তাদের সবার এক ভাষা, এক সংস্কৃতি, এক ধর্ম, বিনোদন, খেলাধূলা, পোশাক পরিচ্ছদ—সবকিছুই কি এক হতে পারে? মানুষ কি ফ্যাক্টরি প্রোডাক্ট যে সবাই এক রকম হবে? বৈচিত্র্যই তো বৈশিষ্ট্য। সেটাই স্বাভাবিক। আপনার মতামতটা নয়।
বছরের প্রথম দিন। পরিবেশটা একটু গম্ভীর হয়ে ওঠার দিকেই যাচ্ছিল। কিন্তু বাঁচিয়ে দিল গোপাল। কাপ নিতে এসেই একটা ডায়লগ ঝেড়ে দিল— ‘আরে সাহেব, টেনশন লেনে কা নেহি, দেনে কা হ্যায়।’ আরও কিছু হয়তো বলতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি ধমক দেওয়ায় কাপ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ফিচেল হেসে চলে গেল। আর এই ফাঁকে আমি ঢুকে পড়লাম আলোচনায়।
আমি—আসলে কী জানেন, ২০১১ সালের শেষ সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৬.৬১ শতাংশ নাগরিক হিন্দি ভাষাকে তাঁদের মাতৃভাষা বলে ঘোষণা করেছেন।
জনৈক ভদ্রলোক—কী যে বলেন! ভারতের অর্ধেকের বেশি জনগণের ভাষা হল হিন্দি।
আমি—আপনি ঠিকই বলছেন। ২০১১ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী, হিন্দিকে মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মাত্র ২৬.৬১ শতাংশ ভারতীয়। তবে এর সঙ্গে আরও ৫৫টি মাতৃভাষা এবং প্রায় দেড় কোটি অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর নাগরিকদের যুক্ত করে ৪৩.৬৩ শতাংশ করে দেওয়া হল। তারপর আরও নানান ফন্দি-ফিকির করে আরও বাড়িয়ে দেখানো হল। 
চণ্ডীবাবু—সত্যিই অবাক লাগে। ওপার বাংলায় ভাষার জন্য বাঙালি প্রাণ দিচ্ছেন। আর এপার বাংলায় বাঙালি জনপ্রতিনিধিদের কেউ বলছেন তাঁকে রাষ্ট্র ভাষায় বক্তব্য রাখতে দেওয়া হোক, তো কেউ বলছেন হিন্দি না শিখলে পিছিয়ে পড়তে হবে। সত্য সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ!!
জনৈক ভদ্রলোক—ঠিকই তো বলেছেন। রাষ্ট্রভাষাতে কথা তো বলতেই হবে। আর সবাইকে জানতেও হবে।
চণ্ডীবাবু—আরে দূর মশাই, ভারতে ইংরেজি আর হিন্দি—দুটোই তো সরকারি যোগাযোগের ভাষা। রাষ্ট্রভাষা কোথায়! তা যাঁরা সরকারিভাবে যোগাযোগ করবেন, তাঁরা তাঁদের সুবিধামতো ভাষা ব্যবহার করবেন। জবরদস্তি করার কী আছে? তবে কে কার কথা শোনে! ১৯৪৯ সালের ভাষা বিতর্কটা একবার সার্চ করে দেখুন, পড়ুন। দেখবেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথাও সেদিন মানা হয়নি। আমরা তো কোন ছাড়!
আমি—যাকগে, যাকগে। এই জন্যই বলেছিলাম যে আমরা সবাই তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক। বিষয়টা তো পুরোপুরি রাজনৈতিক। ভারতের মাত্র পাঁচ- ছ’টি রাজ্যের তথাকথিত হিন্দিভাষীর জনসংখ্যাই তো ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি। অতএব এঁদের সুযোগ-সুবিধা দিলে পরে দিল্লির মসনদ বেশি দূরে থাকে না।
চণ্ডীবাবু—তা বটে। আর আমাদের এখানে বাংলার সরকার বাঙালিদের অধিকার রক্ষায় যদি কোনও উদ্যোগ নেয়, তখনই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে, কীভাবে সেই উদ্যোগকে আটকে দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ধর্মকেও হাতিয়ার করতেও পিছপা হন না তাঁরা। এই দেখুন না, এই বাংলাতেই ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় বা শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের নাম পাল্টে ‘বাংলা’ করার স্বীকৃতি আজও পর্যন্ত এল না। আমরা নাকি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষা, এই বাংলা পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষা, আমাদের বাংলা ভাষা নাকি পৃথিবীর মধুরতম ভাষা!! ধুত্তেরি, ঘেন্না ধরে গেল মশাই!
আমি—আরে না না। ঘেন্না ধরার তো কিছু নেই। সেই যে কবে কবি বলেছেন, ‘আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?’ যাই হোক, আপনি তো বললেন ‘বাংলা মিশ্র ভাষার শতবর্ষ’ উদযাপন করবেন। ব্যস, হয়ে গেল...কত নাচা-গানা হবে, কত কবি কবিতা পড়বেন, আবৃত্তি হবে, নাটক হবে। আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে।...মন খারাপ করলে চলবে? সব হবে, সব হচ্ছেও। শুধু আমাদের মাতৃভাষাটা আমাদের জীবন-জীবিকার ভাষা হয়ে উঠছে না!
চণ্ডীবাবু—আপনি কি ওটা সিরিয়াসলি নিলেন নাকি? জানেনই তো, আপনাকে দেখলেই আমার কেমন যেন একটা তর্ক-বিতর্ক জুড়ে দিতে ইচ্ছে করে। এটা তো একটা রসিকতা। সত্যিই সবাই যদি নিজের নিজের মাতৃভাষায় আর ইংরেজিতে চৌখস হয়ে উঠতে পারতেন, তাহলে দেশীয় ক্ষেত্রেই হোক বা আন্তর্জাতিক—ভারতবাসীকে কেউ আটকাতে পারত না। তবে রাজনীতির কারবারিদের খুব অসুবিধা হতো। সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে চলবে কীভাবে? ওটাকে তো বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। আর ভোটের আগে ‘দিচ্ছি, দেব’ করে যেতেই হবে। দেশকে নিয়ে কে আর ভাবছে বলুন! পুরো দেশটাই তো এখন নানান পার্টি অফিসের সমষ্টি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দূর থেকে ভেসে আসছে গোপালের গলা, ‘লুটে লে, লুটে লে, আও,আও, লুটে লে ...।’
গোপাল—অনেক ঝাড়াঝাড়ি হল। আজকে শুভ নববর্ষের দিনে আরও এক রাউন্ড চা হবে নাকি স্যর?
আমি—নিয়ে আয়, নিয়ে আয়। দেরি করবি না। আজ আবার বাড়িতে অনেক কাজ। 
সেই ভদ্রলোক উঠে চলে যাচ্ছিলেন। চণ্ডীবাবুই হাত ধরে বসালেন।
চণ্ডীবাবু—আরে মশাই, একটু বসে যান। আরেকবার না হয় ‘চা-টা’ খেয়েই যান। চায়ের কিন্তু ফিউচার আছে। আর তার ‘গ্যারান্টি’ও আছে।
কার্টুন : সেন্টু
14th  April, 2024
বাস্তবের সাইবর্গরা
কল্যাণ কুমার দে

মেরিন কর্পে কাজ করতেন ক্লডিয়া মিশেল। মোটরবাইক দুর্ঘটনায় একটি হাত হারিয়ে ফেলেন। সেখানে স্থাপন করা হয় একটি বায়োনিক হাত। সেটিকে যুক্ত করা হয় শরীরের নার্ভাস সিস্টেম বা স্নায়ুতন্ত্রের সঙ্গে। এখন এই যান্ত্রিক হাতে তিনি এতটাই সাবলীল যে ফলের খোসা ছাড়াতেও কোনও অসুবিধা হয় না। বিশদ

টেলিপ্যাথির ১০০ দিন

টেলিপ্যাথির দাম নাকি ৮ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা! ইলন মাস্ক অবশ্য এখনও প্রাইসট্যাগ লাগাননি। কিন্তু তাঁর সংস্থার যুগান্তকারী আবিষ্কার নিউরালিঙ্ক বা এনওয়ান চিপ মস্তিষ্কে বসাতে এতটাই খরচ হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি। সঙ্গে রয়েছে আনুষঙ্গিক বিমা, ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকার। বিশদ

এসো কালবৈশাখী

বৈশাখ শেষের তামাটে বিকেলেই ধেয়ে আসে সর্বনাশী মেঘ। সব লন্ডভন্ড করে দেওয়া সেই ঝড়ের স্মৃতি ও একটুকরো ইতিহাস লিখলেন কৌশিক মজুমদার বিশদ

19th  May, 2024
সেকালের কলকাতার ঝড়বৃষ্টি

‘মনে হচ্ছে দুনিয়া ভাসিয়ে দেবার জন্য স্বর্গের জানলাগুলো খুলে গেছে। ভয়ানক বাজ আর তীব্র বিদ্যুৎ। ইউরোপে এমন বাজের আওয়াজ কোনওদিন শুনিনি। সেখানে বৃষ্টি মানে নেহাত আনন্দ। ঝড় আর বাজের এমন রূপ কেউ চিন্তাও করতে পারে না!’ লিখেছিলেন ফ্যানি পার্কস। বিশদ

19th  May, 2024
রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দের সংগ্রাম
পূর্বা সেনগুপ্ত

বুদ্ধের সেবা আর খ্রিস্টান মিশনারীদের সেবা—দুই সঙ্ঘবদ্ধ সন্ন্যাসীদের অভিজ্ঞতা মিশিয়ে স্থাপিত হয় রামকৃষ্ণ মিশন। বিশদ

12th  May, 2024
বরানগর মঠ: প্রতিষ্ঠা কাহিনি

শ্রীরামকৃষ্ণের দেহাবসানের ১৫ দিনের মাথায় ছেড়ে আসতে হয়েছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। সারদা দেবী গৃহীভক্ত বলরাম বসুর পরিবারের সঙ্গে তীর্থে চললেন। গুরুভাইদের নিয়ে পথে নেমে এসেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। সব ছেড়ে নবীন সন্ন্যাসীদের মঠে যাওয়ার ডাক দিতেন। বিশদ

12th  May, 2024
রবীন্দ্রনাথ ও সত্যজিৎ

শান্তিনিকেতনের লাইব্রেরি তাঁকে সিনেমা সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছিল। প্রকৃতি ও জগৎকে দেখার চোখ খুলে দিয়েছিলেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও নন্দলাল বসু। শান্তিনিকেতন তথা রবীন্দ্র-সাহচর্যেই সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালক। লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস বিশদ

05th  May, 2024
জনমত
সমৃদ্ধ দত্ত

গোরুর গায়ে ‘ভোট দিন’ লিখেছিল কংগ্রেস। বিমান থেকে টারম্যাকে লাফ দেন ইন্দিরা। বাজপেয়ির প্রচারে খরচ ৭০০ কোটি। কিন্তু কী ছিল ভোটের ইস্যু? নেহরু থেকে মোদি... আজ তারই একঝলক। বিশদ

28th  April, 2024
চারুলতার অন্দরমহল

‘আশ্বিনের ‘পরিচয়’ খুলে দেখলুম রুদ্রমশাই আবার আমার পিছনে লেগেছেন।... রুদ্রমশাই সাহিত্য বোঝেন কিনা জানি না; সিনেমা তিনি একেবারেই বোঝেন না। শুধু বোঝেন না নয়; বোঝালেও বোঝেন না।’ পরিচয় পত্রিকায় সত্যজিৎ রায়-অশোক রুদ্রের এই চাপানউতোরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘চারুলতা’।
বিশদ

21st  April, 2024
বিদেশে এখনও আমি ‘চারুলতা’

কতদিন হয়ে গেল। এখনও বিদেশে গেলে প্রায় কেউই আমাকে মাধবী বলে ডাকেন না। কী বলে ডাকে, জানেন? ‘চারুলতা।’ শুধু বিদেশে নয়, দেশের অনেক জায়গাতেও। আজ থেকে ৬০ বছর আগেকার কথা। তখন সবে ‘মহানগর’ ছবির শ্যুটিং শেষ হচ্ছে।
বিশদ

21st  April, 2024
অমলকে দেওয়া চারুর খাতাটা বাবা বাড়িতে বসেই ডিজাইন করেছিলেন

তখন আমার বয়স খুবই কম। ১৯৬৪ সালে ‘চারুলতা’ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ১১ বছর। তাই স্মৃতি যে খুব একটা টাটকা, এমনটাও নয়। বাড়িতে ‘চারুলতা’ নিয়ে বাবাকে খুবই পরিশ্রম করতে দেখেছি।
বিশদ

21st  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
একনজরে
পুনের গাড়ি দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তারই মধ্যে শুক্রবার রাতে বড়সড় গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। এবারের ঘটনাস্থল নাগপুর। বেপরোয়া গতিতে থাকা গাড়িটির ধাক্কায় তিন মাসের শিশু সহ সাতজন জখম হয়েছেন। ...

আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই এগিয়ে রাখছেন ম্যাথু হেডেন ও কেভিন পিটারসেন। রবিবার চিপকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের চেয়ে কেকেআরের জেতার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন তাঁরা। ...

শনিবার নিজের দলের প্রার্থীকেই ভোট দিলেন না বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র মেজিয়ার দুলর্ভপুরের ভোটার। সেখানকার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। কিন্তু, এদিন সৌমিত্র সকাল থেকেই বিষ্ণুপুরে নিজের ফ্ল্যাটকেই ওয়াররুম বানিয়ে পড়ে থাকেন। ...

মাস ছ’য়েকের জন্য ‘সংসার’ পাততে হবে।  তার আগে আস্তানা দেখতে হাজির গুটিকয়েক ওপেন বিল স্টর্ক। কুলিক পক্ষীনিবাসে খাবারের ব্যবস্থা, পরিবেশ, আবহাওয়া কেমন, সবটা ‘খতিয়ে দেখে’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক বা শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম ও সঞ্চয় যোগ। ব্যবসা ও কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি। মনে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৩৯: মোগল সম্রাট মহম্মদ শাহ ও ইরানের নাদির শাহের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের ফলে আফগানিস্তান ভারত থেকে পৃথক হয়ে যায়
১৮০৫: নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ইতালির রাজা হিসাবে রাজ্যাভিষিক্ত হন
১৮৯৭: ব্রাম স্টোকারের উপন্যাস ড্রাকুলা প্রকাশিত হয়
১৯১৩: এমিলি ডানকান ব্রিটেনের প্রথম মহিলা ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত
১৯১৮: জার্জিয়া ও আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা
১৯৪৫: মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের জন্ম
১৯৪৯: মার্কিন কম্পিউটার প্রোগামিং বিশেষজ্ঞ ওয়ার্ড কানিংহামের জন্ম, তিনিই উইকিপিডিয়ার প্রথম সংস্করণ বের করেছিলেন
১৯৬৯: অ্যাপোলো-১০ নভোযানটি আট দিনের সফল ভ্রমণ শেষ করে পৃথিবীতে অবতরণ করে
১৯৭১: মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের কিংবদন্তি ফুটবলার বিমল মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৭২ - অভিনেত্রী রাজলক্ষ্মী দেবীর মৃত্যু
১৯৭৭: ইতালির ফুটবলার লুকা তোনির জন্ম
১৯৯৯: কাশ্মীরের কারগিল সেক্টরে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৪৩ টাকা ৮৪.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯৮ টাকা ১০৭.৪৫ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৭ টাকা ৯১.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
25th  May, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া ৩২/৫৫ অপরাহ্ন ৬/৭। মূলা নক্ষত্র ১৪/৮ দিবা ১০/৩৬। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪২, সূর্যাস্ত ৬/১০/৩৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪২ গতে ৯/২১ মধ্যে পুনঃ ১২/০ গতে ২/৩৮ মধ্যে রাত্রি ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১০/৮ গতে ১২/৩৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২৪ গতে ৫/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৪ গতে ১/১৩ মধ্যে। 
১২ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪। তৃতীয়া সন্ধ্যা ৫/৫৫। মূলা নক্ষত্র দিবা ১০/৪৩। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৫ মধ্যে। 
১৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আগামী ১ জুন বৈঠক ডাকল ইন্ডিয়া জোট

10:55:22 PM

আইপিএল ফাইনাল: হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কেকেআর

10:38:11 PM

আগামী চার ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের

10:36:39 PM

আইপিএল ফাইনাল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশ আয়ারের, কেকেআর ১১১/২ (১০ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:35:44 PM

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন কেকেআর, এক্স হ্যান্ডলে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

10:34:00 PM

আইপিএল ফাইনাল: ৩৯ রানে আউট গুরবাজ, কেকেআর ১০২/২ (৮.৫ ওভার) টার্গেট ১১৪

10:31:15 PM