Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

স্মৃতির পর্দায় দূরদর্শন
জগন্নাথ বসু

বিগত শতাব্দীর অন্যতম বিস্ময়! সেই অক্টাগন থেকে আজকের স্মার্ট, ওএলইডি—টেলিভিশনের বিবর্তন বন্ধ হয়নি এই ফাইভজি যুগেও। আর একসপ্তাহ পরেই ২১ নভেম্বর। ১৯৯৬ সালের এই দিনেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম বিশ্ব টেলিভিশন ফোরাম। সেই থেকে তারিখটি বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পরিচিত। তার আগে এই মাধ্যমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতির পথে হাঁটল ‘বর্তমান’

তখন দূরদর্শনের দু’দল কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড গণ্ডগোল। স্টুডিও অফিসটা ঘিরে রেখেছে আমাদের বিপক্ষের কয়েকজন। তাদের টপকে স্টুডিওতে ঢোকার কোনও উপায় নেই। এদিকে খবর পড়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। সেদিনই প্রথম জানতে পারলাম দূরদর্শন ভবনের মধ্যে থাকা এক গোপন সুড়ঙ্গের কথা। সেটির লুকনো দরজা খোলা হল। সেই প্রায়ান্ধকার সুড়ঙ্গপথে হোঁচট খেতে খেতে কোনওরকমে ট্রান্সমিশন রুম। ক্যামেরা রেডি। লাইভ খবর পড়তে হবে তক্ষুনি। স্ক্রিপ্ট পড়ার সময়  পর্যন্ত হাতে নেই। কপাল থেকে একফোঁটা ঘাম টপ করে জামার কলারে পড়ল, বুঝতে পারলাম। ঠিক তখনই মনিটরে দেখতে পেলাম নিজের মুখ। এয়ার করে দেওয়া হয়েছে আমাকে। প্রায় এক্সটেম্পোতে পড়লাম পুরো খবর। জগন্নাথ বসুকে উপস্থাপক হিসেবে সেই প্রথম দেখল মানুষ। এই কথাটা অনেকেরই কিন্তু জানা নেই। বেশ গা ছমছমে একটা বিষয়, তাই না...
এই ঘটনাটা ঘটছে দূরদর্শনে। কিন্তু আমার কর্মজীবন শুরু রেডিওতে। তখন বেতার তরঙ্গের নিত্য আনাগোনার মধ্যে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে একটু একটু করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে অ্যান্টেনা। বদল আসছে, মালুম হচ্ছিল। কোনও অজানা পথে পা বাড়ানোর একটা চাপা উত্তেজনা থাকে। সেই অনুভূতি নিয়েই এলাম টেলিভিশনের ময়দানে। দীর্ঘদিনের চেনা পরিবেশ ছেড়ে আসাটা খুব সহজ ছিল না। স্বয়ং তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আপনার থেকে রেডিও  পেয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক কিছু দেওয়ার বাকি।’ জবাবে বলেছিলাম, ‘আমায় শূন্য থেকে শুরু করতে দিন।’ রেডিওর কর্তাব্যক্তিরাও ছাড়তে চাননি। তবু বুক ঠুকে চলে এলাম। হাজার হোক, পরিবর্তনই তো জীবনের নিয়ম। রেডিও জগতের অনেকেরই ধারণা ছিল, টিভিতে আমার কেরিয়ার বোধহয় দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ফিরে আসব রেডিওতেই। আমার মনে অবশ্য কোনও সংশয় ছিল না। জানতাম, রেডিওতে আমি যত দক্ষই হই না কেন, এই জগৎ আমার কাছে অচেনা, নতুন। এখানে আমি শুধুই এক ছাত্র। নতুন মাধ্যম চেনা-জানার অসম্ভব খিদে নিয়ে শুরু হল পথচলা।
সালটা ১৯৯২। আমার দুনিয়া বদলাল। বদলাচ্ছিল দূরদর্শনও। সেই সময়ে সাহিত্য মনস্কতা, সৃজনশীলতার পথ ছেড়ে ধীরে ধীরে বাণিজ্যমুখী হয়ে উঠছিল দেশের একমাত্র টেলিভিশন সংস্থা। এর মধ্যেই একদিন জরুরি মিটিং ডাকলেন তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল রতিকান্ত বসু। বুঝিয়ে দিলেন, সময় বদলাচ্ছে। অনুষ্ঠানের জন্য আর মানুষ এসে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকবে না। বরং কোন অনুষ্ঠানের কেমন জনপ্রিয়তা, তার রেটিং, টিআরপি সহ হরেক হিসেবের সঙ্গেই বানাতে হবে চমকদার প্রোমো। সেটি নিয়ে যেতে হবে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। তাঁদের আকৃষ্ট করতে হবে বিজ্ঞাপনের জন্য। বুঝতে পারলাম, বিনোদনের বাণিজ্যিকীকরণের সূচনা হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞাপন সংগ্রহের জন্য চালু হল নতুন এক দপ্তর। প্রধান পদে বসানো হল আমাকেই। একটু গোড়ার কথায় ফিরে আসি। দেশে দূরদর্শনের সূচনাকাল অবশ্য ছিল একদমই অন্যরকম। ১৯৩৬ সালে বিশ্বে প্রথম টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে বিবিসি। তার প্রায় দু’দশক পরে ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে পথ চলা শুরু দূরদর্শনের। ছোট একটি ট্রান্সমিটার নিয়ে অস্থায়ী এক স্টুডিও থেকে প্রথমবার পরীক্ষামূলক সম্প্রচার করা হয়। সহযোগিতা করেছিল ইউনেস্কো। সেই শুরু। সপ্তাহে দু’দিন এক ঘণ্টা করে দূরদর্শনে অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো। ১৯৬৫ সাল থেকে চালু হয় দিনভর সম্প্রচার। অল ইন্ডিয়া রেডিও’র অংশ হিসেবে। সে বছরই প্রথম পাঁচ মিনিট দীর্ঘ খবরের বুলেটিনের সূচনা। পাঠ করতেন প্রতিমা পুরী। দূরদর্শনের প্রথম সংবাদ উপস্থাপিকা। হাতে গোনা দর্শক। তাও প্রবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর আসেন সালমা সুলতান।
একটা সময় পর্যন্ত অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শন ছিল একই ছাতার তলায়। ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল দু’টি সংস্থা আলাদা হয়ে যায়। দূরদর্শনের লোগো কী হবে? তা তৈরি করার দায়িত্ব পড়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের উপর। সেখানকার পড়ুয়াদের মোট ১৪টি নকশার মধ্যে থেকে বঙ্গসন্তান দেবাশিস ভট্টাচার্যের আঁকা লোগোটি পছন্দ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর অনুরোধেই দূরদর্শনের ‘সিগনেচার টিউন’ তৈরি করেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর। ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’-র প্রথম লাইনের সুরের আদলে। কলকাতায় অবশ্য দূরদর্শন আসে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট। শুরু হল দু’ঘণ্টার সম্প্রচার। পর্দায় কলকাতা দূরদর্শনের প্রথম উপস্থাপিকা শর্মিষ্ঠা দাশগুপ্তের মুখ। বললেন, ‘নমস্কার, কলকাতা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু হল ব্যান্ড এক, চ্যানেল চারে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য ও বেতারমন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্ল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, রাজ্যের তথ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। টালিগঞ্জের রাধা ফিল্ম স্টুডিওর একফালি অফিস ছিল তখন টেলিভিশন সেন্টার। সারা দিন ধরে চলত রেকর্ডিং। সন্ধ্যায় ট্রান্সমিশন, ঘোষণা, সংবাদ পাঠ। ১৯৮৬ সালের ১ জুলাই নিজস্ব অফিস পায় কলকাতা দূরদর্শন কেন্দ্র, গল্ফ গ্রিনে। উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী।
ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে দূরদর্শনের। শুধু কলকাতায় নয়, দেশজুড়েই। ১৯৮২ সালের নভেম্বর মাসে এশিয়ান গেমসের আয়োজন করে ভারত। সেই সময় থেকেই শুরু হয় রঙিন ছবির সম্প্রচার। তখন সপ্তাহজুড়ে চলত ‘চিত্রমালা’, ‘সাপ্তাহিকী’, ‘চিত্রহার’, ‘রঙ্গোলি’র মতো নানান অনুষ্ঠান। সঙ্গে ছিল ‘হামলোগ’,‘বুনিয়াদ’-এর মতো সিরিয়াল। যদিও জনপ্রিয়তার নিরিখে নতুন নজির গড়ে ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমাতো টিভি স্ক্রিনের সামনে। দেখানো হতো নানান তথ্যচিত্র। বিভিন্ন বিষয়ের উপর। 
কলকাতা দূরদর্শনে শুরু থেকেই দর্শকদের অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হতো। সেই কারণে সূচনা হয় ‘দর্শকের দরবারে’ অনুষ্ঠানের। দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগের ভার এল পঙ্কজ সাহার কাঁধে। এই অনুষ্ঠানের হাত ধরেই আমজনতার কাছে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। পরবর্তীতে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ভার আসে আমার হাতে। আমি অনুষ্ঠানটিতে কিছুটা বদল আনি। সরাসরি চলে যাই দর্শকদের মাঝে। ঘুরে বেড়াই হরেক জেলায়। এমনই একবার অনুষ্ঠান ছিল বর্ধমানে। অনুষ্ঠানের মধ্যেই দেখা এক গ্রাম্য মানুষের সঙ্গে। পরনে ফতুয়া, ধুতি। কোলে বাচ্চা। জিজ্ঞাসা করলাম, টিভি দেখেন? কোন অনুষ্ঠানটি সবচেয়ে ভালো লাগে? শহুরে কায়দার সেই প্রশ্নের সটান জবাব দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘যাত্রা দেখতে ভালো লাগে। দেখান না ক্যানে?’ টের পেয়েছিলাম, শহুরে ভাবনার বাইরেও একটা দুনিয়া রয়েছে। কলকাতায় বসে তা টের পাওয়া যায় না।
দূরদর্শনের অন্দরের রেষারেষিতে কী হতে পারে, শুরুতে উল্লেখ করেছিলাম। বিষয়টি একটু বিস্তারিত বলি। একটা সময়ে রেডিও-টিভির টানাপোড়েন চরম আকার নিয়েছিল। খবরের বিভাগকে বিপাকে ফেলার মরিয়া চেষ্টাও চালিয়েছিল কয়েকজন। একদিনের ঘটনা এখনও স্মৃতিতে তাজা। খবরের বিভাগের সবাই হাত তুলে নিয়েছে। এর মধ্যেই আমাকে ডেকে পাঠালেন অধিকর্তা। তাঁর সাফ নির্দেশ, খবরের বিভাগ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। আজ আপনাকেই খবর পড়তে হবে। উনি জানতেন, কার্যক্ষেত্রে অফিসার পদে থাকলেও আমি একজন বাচিক শিল্পীও বটে। সেদিন শরীর বিশেষ ভালো ছিল না। তথাপি কর্তার নির্দেশ। উপায় কী! স্টুডিওতে যাব কীভাবে? চার দিক বন্ধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধরা। শেষে এক সুড়ঙ্গ পথের মধ্যে দিয়ে ট্রান্সমিশন রুমে নিয়ে গেলেন স্টেশন ইঞ্জিনিয়ার। আপৎকালীন পরিস্থিতি বলে কথা। অস্থায়ীভাবে সেখান থেকেই হবে সরাসরি সম্প্রচার। পৌঁছনো তো গেল, কিন্তু খবর কোথায়! কী দেখে পড়ব! এদিকে প্রায় সাতটা বাজে। মনে হচ্ছিল, আজ আর বোধহয় খবর পড়া হবে না। এর মধ্যেই হাজির এক চা বিক্রেতা। চা দেওয়ার মধ্যেই লুঙ্গির ভাঁজ থেকে বার করে দিলেন ‘খবর’। মক-শো করার সময় নেই। সরাসরি অন-এয়ার। কাজে লাগল রেডিওর অভ্যাস। নির্ভুলভাবে খবর পড়লাম। সম্প্রচার শেষ হতেই ফোন করলেন তৎকালীন অধিকর্তা। সাধুবাদ দেওয়ার সঙ্গে খবর পরিবেশনের ভারটিও দিলেন তৎকালীন অধিকর্তা। আমার পরে কয়েকটি বুলেটিন পড়েন সহকর্মী অজিত মুখোপাধ্যায়। মজার কথা, তিনিও দূরদর্শনে এসেছিলেন রেডিও থেকেই।
আরও কয়েকজনের কথা না বললে এই ফিরে দেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। তাঁদের মধ্যে একজন অভিজিৎ দাশগুপ্ত। সেই সময়ে দূরদর্শন মাধ্যমটি বুঝে সেই অনুযায়ী কাজ করা খুব সহজসাধ্য ছিল না। অথচ সেই কাজটি খুব সহজেই করতেন অভিজিৎ। তাঁর প্রযোজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে সেই দক্ষতার ছাপ রেখেছিলেন। অন্যদিকে, নিজেদের দক্ষতায় উপস্থাপিকা হিসেবে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন শাশ্বতী গুহঠাকুরতা, চৈতালি দাশগুপ্তরা। কলকাতা দূরদর্শন মানেই একঝাঁক স্মৃতির মন্তাজ। ধীরে ধীরে সময়ের চাদরে ঢেকে গিয়েছে অতীতের দিনগুলি। কেবল টিভির যুগে যাঁদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, তাঁদের দূরদর্শন নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা হয়তো নেই। কিন্তু আমাদের সময়টা ছিল অন্যরকম। আবেগ, ভালোবাসার আর এক নাম ছিল দূরদর্শন, যা আজ শুধুই নস্টালজিয়া। টিআরপির লড়াইয়ে সবাই এখন ছুটছে। দূরদর্শনের সামনে একের পর এক দাপুটে বেসরকারি চ্যানেল। এ চ্যালেঞ্জ কঠিন। তার পরেও দূরদর্শন ফের ঘুরে দাঁড়াবেই। সেই বিশ্বাস লালন করে চলেছি আজও।
13th  November, 2022
হারানো ঐতিহ্য

বাংলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে হাজার  ‘বিপন্ন’ বিস্ময়। প্রচারের আলোর নীচে ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে ইতিহাসের সেই নির্দশনগুলি। আন্তর্জাতিক হেরিটেজ সপ্তাহশেষে খোঁজ নিল ‘বর্তমান’।  বিশদ

27th  November, 2022
বিশ্বকাপের রণাঙ্গন
শেষ সুযোগ
সোমনাথ বসু

ক্যারিংটন গ্রাউন্ডে ফ্রি-কিক অনুশীলনে ব্যস্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বক্সের সামান্য বাইরে পাশাপাশি কয়েক গজ অন্তর বসানো সাতটি বল। নির্দিষ্ট দূরত্বে কৃত্রিম মানবপ্রাচীর। আর দুর্গরক্ষায় ডেভিড ডি গিয়া। এক, দুই, তিন... জালের হদিশ পেলেন না সিআরসেভেন। প্রথম দু’টি জমা পড়ল ডি গিয়ার গ্লাভসে। বিশদ

20th  November, 2022
ঋষি সুলভ
 

বাঙালি রেস্তরাঁর ওয়েটার থেকে প্রধানমন্ত্রী। সেই চমকপ্রদ উত্থানের নেপথ্য কাহিনি লিখলেন মৃণালকান্তি দাস।  বিশদ

06th  November, 2022
রাজার ঘরেও সে ধন নেই
রূপাঞ্জনা দত্ত

ব্রিলিয়ান্ট। ফুলব্রাইট স্কলার। হ্যান্ডসাম। সৎ। আরও যা যা বিশেষণ কাউকে আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করে তোলে, তিনি তা-ই। জন্মসূত্রে বিত্তবান নন। বলা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা ডাক্তার। মা ওষুধের দোকান চালাতেন। তাঁদের ছেলে আজ বৈভবে টেক্কা দেন স্বয়ং রাজা চার্লসকে। বিশদ

06th  November, 2022
ধন্বন্তরি নীলরতন
রজত চক্রবর্তী

চলতি মাসেই ছিল তাঁর জন্মদিন। নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল সেই দিনটি। প্রাতঃস্মরণীয় বাঙালি চিকিৎসকদের মধ্যে তাঁর নাম অগ্রগণ্য। তিনি ডাঃ নীলরতন সরকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একসময়ের শিয়ালদহ মেডিক্যাল স্কুলের নামকরণ করা হয় এই প্রাক্তনীর নামেই যা আমাদের চিরপরিচিত— এনআরএস হাসপাতাল। বিশদ

30th  October, 2022
নানা রূপে কালী
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

 

মহাপরাক্রমী মহাবীর দুই অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভ স্বর্গ-মর্ত-পাতাল ত্রিলোকের অধীশ্বর। ইন্দ্র রাজ্যহীন। দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত। সূর্য, চন্দ্র, কুবের, বরুণ, অগ্নির জন্য যে কাজ নির্দিষ্ট, সেই কাজ করতে লাগল ওই দুই অসুর। পরাজিত, রাজ্যচ্যুত দেবতারা বিপদ থেকে বাঁচতে আদিশক্তি মহাদেবীকে স্মরণ করলেন। বিশদ

23rd  October, 2022
দক্ষিণাকালীর মাহাত্ম্য

সাধক যে মূর্তির সাধনা করছেন, সাধারণভাবে তার তাৎপর্য বোঝা যায় না। আসলে সাধকের মূর্তি বর্ণনায় থাকে গভীর আধ্যাত্মিক সঙ্কেত। দক্ষিণাকালীর যে রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি, পুজো করি— তারও গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক সঙ্কেত। বিশদ

23rd  October, 2022
কাঁটার মুকুট
 

২২ বছর পর হতে চলেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। লড়াইয়ে খাতায় কলমে নেই ‘গান্ধী-নেহরু’ পরিবারের কোনও সদস্য। দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলটির সর্বোচ্চ পদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে নানান জলঘোলা। সোমবার থারুর বনাম খাড়্গের লড়াইয়ের আগে ফের একবার ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলেন 
বিশদ

16th  October, 2022
বাঙালির বাণিজ্যে 
লক্ষ্মীলাভ
শান্তনু বসু

কোনও সন্দেহ নেই উনিশ শতকের নবজাগরণ, পাশ্চাত্যের খোলা হাওয়া এবং সাহেব সংসর্গ এক দল সাহসী বাঙালিকে লক্ষ্মীর সাধনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। বিশদ

09th  October, 2022
মা দুর্গার নৈবেদ্য
লোকনাথ চক্রবর্তী

 

আমরা যা খাই বা গ্রহণ করি, তা যখন দেবতাকে দিই, তখন তাকে বলে নৈবেদ্য। বাড়িতে কেউ এলে তাকে যেমন আমরা হাত-পা ধোয়ার জল দিই, আসন দিই, কিছু খেতেও দিই। সেইরকম পুজোর সময় যে দেবতাকে আমাদের ভদ্রাসনে ডেকে আনি তাঁকেও নানা আচারে-উপচারে সম্মানিত করতে চাই। বিশদ

02nd  October, 2022
প্রথম ফোনটা এল
ভোর চারটে পাঁচে
সায়ম ভদ্র
(বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের নাতি)

প্রথম ফোনটা এল ভোর চারটে পাঁচে। সালটা ১৯৭৬। তার পাঁচ মিনিট আগেই শুরু হয়েছে মহালয়া উপলক্ষে বেতারের প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘দুর্গা-দুর্গতিহারিণীম‌’। যেটি উত্তমকুমারের মহালয়া বলে পরিচিত। আমরা সকলে বাড়ির রেডিওটি চালিয়ে শুনতে বসেছি। সকলে বলতে দিদা, বড় পিসি, মা আর আমি। দাদু আছেন পাশের ঘরে। বিশদ

25th  September, 2022
 মহালয়ার শঙ্খধ্বনি

এক হাতে তুলে বাজাতে বেশ বেগ পেতে হয়, এত ভারী! বয়স দুশো কিংবা তারও বেশি। নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর প্রত্যক্ষ বংশধরদের যে ধারাটি কলকাতার সিমলে অঞ্চলে রয়েছে, তাঁদের মন্দিরে রাখা রয়েছে শঙ্খটি। এই শাঁখটাই বাজানো হয়েছিল আকাশবাণীর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’তে। বিশদ

25th  September, 2022
জাগো দুর্গা... জাগো
দশপ্রহরণধারিণী
কলহার মুখোপাধ্যায়

প্রচুর আলো। গঙ্গার জলে রোদ্দুর পড়লে চোখ ঝলসে যায়। তবে তা সত্ত্বেও আর্চের নীচে এ দিকটায় রোদ তেমন আসতে পারে না। একটু ছায়া ছায়া। ঝুপসি অন্ধকার। ‘মালিশ পার্টি’ না থাকলে কালো কাঠের পাটা পেতে এখানেই শুয়ে থাকে লখেশ্বর। বিশদ

25th  September, 2022
বিদায় এলিজাবেথ
শাসন-হীন এক শাসকের গল্প

বিষণ্ণ বৃষ্টিটা বন্ধ হয়েছিল শেষপর্যন্ত। জলে ধোয়া পরিষ্কার আকাশ। জোড়া রামধনুর দেখা পেতে বেশিক্ষণ লাগেনি। মনে হচ্ছিল ও দুটো বোধহয় বাকিংহাম প্যালেসেরই তোরণ।
বিশদ

18th  September, 2022
একনজরে
পশ্চিমবঙ্গে গত বছর নভেম্বর মাসে জিএসটি আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। এ বছর নভেম্বরে তা ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ...

বগটুইয়ে তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে খুনের ঘটনায় ন’মাসের মাথায় ফেরার আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। ধৃতের নাম সফি শেখ। বৃহস্পতিবার রাতে রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে ধরা হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে ...

আফগানিস্তানের কাবুলে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের উপর হামলা। ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে ওই হামলায় যে নিরাপত্তারক্ষীর দৌলতে পাক দূত বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ...

সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেলেন সঙ্গীতশিল্পী জুবিন নটিয়াল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গায়কের ডান হাতে একটি ছোট অস্ত্রোপচারও হয়েছে। আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত। গায়কের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘জুবিনের কনুই আর পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস
১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম
১৮৮৪: বিশিষ্ট দার্শনিক, রাজনীতিবিদ তথা ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্ম
১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম
১৯৫৬: সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ডা. ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রথমবারের মত মানবদেহে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন
১৯৭৯: হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের মৃত্যু
১৯৮২: কবি বিষ্ণু দে’র মৃত্যু
১৯৮৩: বাংলা ভাষায় প্রথম ‘ছোটদের অভিধান’ প্রকাশ করে বাংলা অ্যাকাডেমি
১৯৮৪: ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনায়  কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারান
২০১১: অভিনেতা দেব আনন্দের মৃত্যু
২০২০: সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন স্মরণে কলকাতার মাঝেরহাটে জয় হিন্দ সেতু নামে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হয়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.৩২ টাকা ৮২.০৬ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৭৯ টাকা ১০১.১৪ টাকা
ইউরো ৮৩.৮৯ টাকা ৮৬.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২। একাদশী ৫৮/৪৪ শেষ রাত্রি ৫/৩৫। রেবতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৫/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৯/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৫ গতে ২/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২৫ গতে উদয়াবধি। 
১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২। দশমী দিবা ৮/২৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ৯/৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৭ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিশ্বকাপ ২০২২: আর্জেন্টিনা-১ : অস্ট্রেলিয়া-০ (৩৫ মিনিট) (ভারতীয় সময় ১:০৫ এ.এম.)

11:59:00 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: ইউএসএ-কে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

10:27:10 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-৩ : ইউএসএ-১ (৮০ মিনিট)

10:12:03 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-২ : ইউএসএ-১ (৭৬ মিনিট)

10:07:28 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-২ : ইউএসএ-০ (হাফ টাইম)

09:21:28 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-১ : ইউএসএ-০ (৯ মিনিট)

08:45:26 PM