Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

জাগো দুর্গা... জাগো
দশপ্রহরণধারিণী
কলহার মুখোপাধ্যায়

প্রচুর আলো। গঙ্গার জলে রোদ্দুর পড়লে চোখ ঝলসে যায়। তবে তা সত্ত্বেও আর্চের নীচে এ দিকটায় রোদ তেমন আসতে পারে না। একটু ছায়া ছায়া। ঝুপসি অন্ধকার। ‘মালিশ পার্টি’ না থাকলে কালো কাঠের পাটা পেতে এখানেই শুয়ে থাকে লখেশ্বর। চোখে রোদ পড়ে। কখনও শরৎ কাটিয়ে দেওয়া কালো মেঘে রোদ ঢাকে। কখনও আইসক্রিমের মতো অবাধ্য মেঘগুলো আকাশে হাবিজাবি জন্তুজানোয়ার এঁকে দেয়। তাদের কয়েকটি অবশ্য কথা শোনে। লখা চাইলেই তার ধাই মায়ের মুখটা স্পষ্ট করে এঁকে দেয় বাধ্য মেঘগুলি। ঠিক তখনই কান্না পায় লখার। এত বছর বাদেও পায়। জীবন ওলটপালট করে দেওয়া মহালয়ার দিনটায় আরও বেশি করে পায়।  
গঙ্গার ঘাটে ঝুপসি অন্ধকার তৈরি করা আর্চগুলি একজন নির্জন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছে লখাকে। এই আর্চ নাকি বহু পুরনো! কোম্পানি আমলের। তার বাবা সুখদেব বা তার বাবারও যখন জন্ম হয়নি, তখন হয়তো তৈরি। এক মালিশ পার্টি বলেছিল, রানি রাসমণি নাকি তৈরি করিয়েছিলেন এই ঘাট। এর পাশের পাশেরটা, যেখানে লখার মতো অনেকে মালিশ করে... সেই ঘাটটির নামও রাসমণি ঘাট। ওখানে থাকে না লখা। একটু দূরে একটু নিভৃতে থাকলেই ভালো। অনেক কথা আজকাল আর ভালো লাগে না। ঘণ্টায় ৪০০ টাকা নেয় মালিশ করতে। দু’-একটা পার্টি এলেই দিব্যি খাওয়া জুটে যায়। মহাজাতি সদনের কাছে ঘর ভাড়া আছে একটা। সেটার ভাড়া উঠে গেলেই ঝাড়া হাত-পা। হিন্দিটা তার পোক্ত। এখানে থাকতে থাকতে বাংলাটাও ঝরঝরে। আর বাপ-পিতেমোর ভাষা উড়িয়াটা তো জন্মসূত্রেই জানা। তবে হিন্দি গানই বেশি শোনে সে। পুরনো গান বাজে সে স্টেশনগুলিতে, সেগুলি সেট করা মোবাইলে। এখন সেই লাইনটা হচ্ছে, ‘উমর সে লম্বি রাস্তোকো মঞ্জিল সে পওছতে দেখা নেহি। জিনে কা বজা কুছ ভি নহি, মরনেকা বাহানা ঢুঁনতা থা হ্যায়, এক আকেলা ইস শহর মে...’। আর একটু পর রেডিওতে মহালয়া শুরু হবে। তারপর তর্পণ করতে হু হু করে আসবে মানুষ। ভিড়ে ছেয়ে যাবে গঙ্গার ঘাট। সেই ভিড়... সেই ঘটনা...। অত ভিড় না হলে তাঁতের শাড়ি পরত বউটা। পুজোর আগে কিনে দেওয়ার বায়না ধরেছিল। দেব, বলেছিল লখা। ‘এক আকেলা ইস শহর মে...’। গানটা শুনলে লখার স্মৃতি এক লহমায় রিওয়াইন্ডে। বাঁধভাঙা নদীর মতো ছুটতে থাকে মন। পিছন পিছন দৌড়েও লখা তার নাগাল পায় না। ঠিক তখনই বাধ্য মেঘগুলি আকাশে ধাই মায়ের ছবি আঁকে। আর শাপভ্রষ্ট শবদেহের মতো আলকাতরা মারা পাটাতনটায় এলিয়ে পড়ে তিরিশ বছরের দেহটা। মাথার উপরের আর্চটা তখন তার সব ছায়া ডেকে নিয়ে আড়াল করে দেয় লখার শরীর। প্রবল তাড়নায় সে ছুটতে থাকে পিছন পানে। স্মৃতি আচ্ছন্ন হয়ে ঘিরে ধরে। চোখে ভাসে বাড়ি... ধাই মা... নতুন বউটার নাকছাবির ঝিলিক...। জন্ম দিতে গিয়ে মা প্রায় মরেই যাচ্ছিল। ধাই মায়ের হাতেই জন্ম। তার কোলেপিঠেই বেড়ে ওঠা। জন্মকালের রক্তরস মাখা হাতে তুলে সেই যে বুকে জড়িয়ে ধরেছিল লখাকে, তারপর আর বুক থেকে নামায়নি। কোনও এক দূর আত্মীয়তা তাদের সঙ্গে। স্বামী হারানোর পর এই গ্রামে এসে ওঠে। বাড়ির পাশে একটা ঘর তাকে দেওয়া দিয়েছিল। সেখানেই একার সংসার। গ্রামের কেউ পোয়াতি হলে দেখাশোনা করত। তার হাত দিয়ে কম বাচ্চা জন্ম নেয়নি! তবে কীভাবে যেন লখা হয়ে গিয়েছিল নিজের ছেলে। লখার বাপ-ঠাকুরদার পেশা ছিল কলকাতা বাবুঘাটে গিয়ে তেল মালিশ করা। ধাই মা সেই পথে যেতে দেয়নি। তিলতিল করে জমানো টাকা দিয়ে ম্যানেজমেন্ট পড়িয়েছিল। পরের ছেলে হলেও লখাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল ধাই মা। অফিসের বাবু হয়ে ওঠা অবশ্য হয়নি। সেই মালিশওয়ালা তকমাই জুটল লখার কপালে। সে ভাগ্যতাড়িত বলেই অসম্পূর্ণ এক মানুষ। না হল ছেলে হয়ে ওঠা, না হয়ে ওঠা হল স্বামী। 
আচ্ছা, পিতৃপুরুষ ছাড়া কি তর্পণ হয় না? এই প্রশ্নটা বড্ড তাড়া করে লখাকে। জিজ্ঞেস করেছে সে অনেক পুরুত মশাইকে। অকাজের মুহূর্তগুলো ঘাটের ধারে বসে থাকে সে। সবাই মোটামুটি একই উত্তর দেয়... শাস্ত্রে আছে। কে লিখেছে এই শাস্ত্র? কেন লেখা হয়েছে? বউটাকে পছন্দ করে এনেছিল ধাই মা নিজে। বাড়ির লোক আপত্তি জানায়নি। ধাই মার ব্যক্তিত্বটা অদ্ভুত। গরিব হলেও তার ছাপ চেহারায়, আচরণে পড়ত না। কাচা কাপড়চোপড় পরে পরিপাটি থাকতেন। ঘরটা তার নামে লিখে দিয়েছিল লখার বাপ-কাকারা। সেই ঘর আর চিলতে উঠোনে ছিল গুছনো সংসার। ওই রাজত্বে লখা ছিল রাজা। নাড়ুটা তার জন্য, জামাটাও তার জন্য কেনা। বিধবার ঘরে মাছ... তাও লখার জন্য। সবাই জানত, লখার দুই মা। সেই ধাই মার দূরেরও দূরের এক আত্মীয়ার মেয়ে টুসি। মেয়েটির ভালো নাম মনেও নেই লখার। স্কুল ফাইনাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল মেয়েটি। বাবা কৃষক। ফলে খাওয়া পরার অভাব ছিল না। মা হারা, বাবার আদরের মেয়েটি সংসারধর্মে পটু। খুব আদরের। লখার পছন্দই হয়েছিল টুসিকে। তবে সবথেকে বেশি মন টেনেছিল ওর নাকছাবি। থেকে থেকেই ঝিলিক দিত। ফলে তাকে স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা মনে হতো লখার। বিধবা হওয়ার পর তাড়িয়ে দেওয়ার সময় যতটুকু গয়না ধাই মা আনতে পেরেছিল শ্বশুরবাড়ি থেকে, তার সবটুকুই দিয়েছিল লখার বউকে। এই দিনটার জন্যই হয়তো বেঁচে ছিল বৃদ্ধা। তাই খেতে না পাওয়ার সময়ে একটা গয়নাও বিক্রি করেনি। নতুন একটা নাকছাবি শুধু কিনেছিল লখা। পাথরটা আরও চকচকে। ঝিলিকও বেশি। নাকছাবি, তার মালিক সেই নাকটা, আর নাকের মালিকের প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে লখা বিয়েটা করে ফেলে। ম্যানেজমেন্ট পড়া ততদিনে প্রায় শেষ। এবার একটা চাকরি জুটে গেলেই ধাই মা নিশ্চিন্ত। এত সুখ কপালে সইলে হয়?
আর্চের ঝুপসি ছায়ায় লখার বেজায় শীত করে। শরীরটা আরও একটু গুটিসুটি মেরে যায়। গঙ্গা থেকে গরম ভাপ উঠছে। কিন্তু তাতে ঠান্ডা কাটে না লখার।  ছটপট করতে করতে উঠে পড়ে লখা। এরকমই একটা দুপুর...। কালো একটা মেঘ তখন ধাই মার মেঘ-মুখ ঢেকে অন্ধকার করে দিয়েছে আকাশ। শ্মশানের মতো অন্ধকার হয়ে ওঠা এ দুপুর, অসহ্য।   
একদিন ভোরে প্রবল চেঁচামেচির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় লখার। টুসি বাইরে থেকে এসে জানাল, ধাই মার সঙ্গে গণ্ডগোল পাশের গ্রামের মহাজনের। ধারের টাকার সুদের কিস্তি দেওয়া নিয়ে। লখা দৌড়য়। মহাজনের লোকজন ততক্ষণে চলে গিয়েছে। ডান হাত কাপড়ে চেপে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে ধাই মা। সাদা কাপড়টায় লাল ক্রমে ধরছে। এক্ষুণি রক্ত না আটকালে প্রাণে বাঁচানো অসম্ভব। হাতে ১৪টা সেলাই পড়ল। তিনদিন প্রায় সংজ্ঞাহীন। পরে জানা গেল, পড়াশোনার টাকা জোগাড়ের জন্য চড়া সুদে টাকা ধার নিয়েছিল ধাই মা। কিস্তি ঠিকঠাকই শোধ হচ্ছিল। কিন্তু বিয়ের সময় তাতে ছেদ পড়ায় মহাজন খেপে ওঠে। সেদিন এসেছিল জমি বন্ধক রাখা কাগজ নিয়ে। ধাই মা-র ঘরের দখল নিতে। থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে মেঝেতে বসে পড়ে লখা।
জ্বরটা আর কমেনি। ডান হাতটা সেপটিক হয়ে যায়। সেখান থেকে গ্যাংগ্রিন।  সেবারই মহালয়ার সকালে সবাই মিলে গঙ্গায় স্নান করতে যাওয়ার কথা ছিল। কলকাতায় আসার দিনও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। তার ঠিক সপ্তাহ দেড়েক আগের এক দুপুরে ধাই মাকে কাঁধে তুলে শ্মশানে নিয়ে গিয়েছিল লখা। সবাই কাঁদছিল। শুধু কাঠের মতো শক্ত হয়ে গিয়েছিল লখা। ধকধক করে জ্বলছিল চোখ দুটো। পুলিস, কেসকাছারি, টাকাপয়সার খেলা বিস্তর হয়েছিল। মহাজনের বিরুদ্ধে কিছুই প্রমাণ করা যায়নি। পড়াশোনা শেষ করেনি লখা। বাবুঘাট এসে মালিশ করা শুরু তখন থেকেই। টুসি থেকে গিয়েছিল গ্রামেই। 
কোনারকের খানিক দূরে তাদের গ্রাম। বউকে বলেছিল, একদিন সূর্যমন্দির দেখাতে নিয়ে যাবে। ধাই মাও যেতে পারবে। আর যাওয়া হয়নি। কলকাতায় গঙ্গার ধারে বসে নাকছাবির ঝিলিকটা লখার মনে ঘাই দিত। ধাই মা মারা যাওয়ার বছর খানেকের মাথায় পুজোর আগে টুসিকে কলকাতায় নিয়ে আসে লখা। মহালয়ার দিন মালিশ বন্ধ। সেদিন বউটাকে গঙ্গায় স্নান করাবে আগেই বলে রেখেছিল। ততদিনে বাবুঘাটে খানিকটা থিতু হতে পেরেছে। মহাজাতি সদনের কাছে ঘরটাও নিয়েছে। সেই ঘরেই পুজোটা কাটাত টুসি। এমনটাই কথা হয়েছিল ঘরের বাকি ভাড়াটেদের সঙ্গে। তারা ওই ক’দিন থাকত হিন্দ সিনেমার পাশে আর একজনের বাড়িতে। পুজোয় তাঁতের শাড়ি কেনা, গঙ্গায় স্নান, কচুরি খেতে যাওয়া, এসি হলে বসে অন্তত একটা হিন্দি সিনেমা, সারারাত ঠাকুর দেখা— এতগুলো প্ল্যান। মহালয়ার আগের দিন নাকচাবিটায় ঝিলিক তুলে স্টেশনে নামল বউ।
সকাল থেকে ভিড় বলে এদিন মালিশ বন্ধ থাকে। মহালয়ার দিন গঙ্গায় ডুব দিলে পুণ্যি হয়, বলত ধাই মা। এই দিনটাতেই টুসি গঙ্গাস্নান করবে বলে বলেছিল। অন্ধকার কাটছে। মাহেন্দ্রক্ষণ। রেডিও চালিয়েছিল লখা। তার পাশে বসল টুসি। সেই প্রথম শুনল, ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির/ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা;/প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত/জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা।/আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীম ছন্দে বেজে ওঠে /রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন।/ তাই আনন্দিতা শ্যামলীমাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন।...’
নাকছাবিতে ঝিলিক তুলে টুসি বলেছিল, ‘গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল গো। এমন গান আগে কখনও শুনিনি।’ পুরোটা শুনে তারপর বেরিয়েছিল ওরা। হাঁটতে হাঁটতে জগন্নাথ ঘাট। মহালয়ার পুণ্য লগ্নে স্নান। তারপর কচুরি খাওয়ার প্ল্যান। 
সকালে সেবার ভিড়টা একটু বেশিই। জগন্নাথ ঘাটে থিকথিক করছে মানুষ। জলে নামার পর কখন যে টুসির হাতটা ভিড়ের চাপে ছেড়ে গিয়েছিল, টের পায়নি লখা। টুসি সাঁতার জানত না। সবাই বলেছিল, সগ্গে  চলে গিয়েছে। লখা থেকে গিয়েছে বাবুঘাটেই।
বহুদিন লখা বাড়ি যায় না। বাবা সেদিন এসে বলে গিয়েছে, মা একটি মেয়ে দেখেছে। বিয়ের কথাবার্তা পাকা করতে দেশের বাড়ি যেতে হবে একদিন। মহালয়ার দিন মালিশ বন্ধ থাকে। ছুটি। সেদিন গেলে সবদিক রক্ষে থাকে। 
অন্ধকার থাকতেই ঘুমটা ভাঙে লখার। মোবাইলে মহিষাসুরমর্দিনী বাজছে। গঙ্গার হাওয়ায় গা শিরশির করছে লখার। ধাই মায়ের জন্য কি তর্পণ করা যায় না? টুসির জন্য? নিজের জন্য? ‘বিমানে বিমানে...’ শুরু হল। আকাশের রং দেখে মনে হচ্ছে আসল নয়। যেন আঁকা ছবি। তাতে ধাই মার ছবিটা আঁকা হচ্ছে। গঙ্গার ঘোলা জলে হালকা লাল রং ধরছে। মেঘের কোণ ছিঁড়ে ঝিলিক দিচ্ছে নাকছাবিটা। ধাই মার মুখ আর নাকছাবিটা কিছুক্ষণের মধ্যে গঙ্গায় এসে মিশবে। ধাই মার শাড়ির গন্ধ, নাকছাবিটা প্রবলভাবে টানছে। গঙ্গার জলে নেমে চলা শুরু করে লখা। মোবাইলটা ঘাটেই রইল। ‘শান্তি দিলে ভরি/দুঃখ রজনী গেল তিমির হরি’— মহালয়া শেষ হচ্ছে। 
ছবি :  সোমনাথ পাল, অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায় 
25th  September, 2022
হারানো ঐতিহ্য

বাংলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে হাজার  ‘বিপন্ন’ বিস্ময়। প্রচারের আলোর নীচে ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে ইতিহাসের সেই নির্দশনগুলি। আন্তর্জাতিক হেরিটেজ সপ্তাহশেষে খোঁজ নিল ‘বর্তমান’।  বিশদ

27th  November, 2022
বিশ্বকাপের রণাঙ্গন
শেষ সুযোগ
সোমনাথ বসু

ক্যারিংটন গ্রাউন্ডে ফ্রি-কিক অনুশীলনে ব্যস্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। বক্সের সামান্য বাইরে পাশাপাশি কয়েক গজ অন্তর বসানো সাতটি বল। নির্দিষ্ট দূরত্বে কৃত্রিম মানবপ্রাচীর। আর দুর্গরক্ষায় ডেভিড ডি গিয়া। এক, দুই, তিন... জালের হদিশ পেলেন না সিআরসেভেন। প্রথম দু’টি জমা পড়ল ডি গিয়ার গ্লাভসে। বিশদ

20th  November, 2022
স্মৃতির পর্দায় দূরদর্শন
জগন্নাথ বসু

বিগত শতাব্দীর অন্যতম বিস্ময়! সেই অক্টাগন থেকে আজকের স্মার্ট, ওএলইডি—টেলিভিশনের বিবর্তন বন্ধ হয়নি এই ফাইভজি যুগেও। আর একসপ্তাহ পরেই ২১ নভেম্বর। ১৯৯৬ সালের এই দিনেই রাষ্ট্রসঙ্ঘে আয়োজিত হয়েছিল প্রথম বিশ্ব টেলিভিশন ফোরাম। সেই থেকে তারিখটি বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে পরিচিত। তার আগে এই মাধ্যমের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতির পথে হাঁটল ‘বর্তমান’
বিশদ

13th  November, 2022
ঋষি সুলভ
 

বাঙালি রেস্তরাঁর ওয়েটার থেকে প্রধানমন্ত্রী। সেই চমকপ্রদ উত্থানের নেপথ্য কাহিনি লিখলেন মৃণালকান্তি দাস।  বিশদ

06th  November, 2022
রাজার ঘরেও সে ধন নেই
রূপাঞ্জনা দত্ত

ব্রিলিয়ান্ট। ফুলব্রাইট স্কলার। হ্যান্ডসাম। সৎ। আরও যা যা বিশেষণ কাউকে আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করে তোলে, তিনি তা-ই। জন্মসূত্রে বিত্তবান নন। বলা যায়, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা ডাক্তার। মা ওষুধের দোকান চালাতেন। তাঁদের ছেলে আজ বৈভবে টেক্কা দেন স্বয়ং রাজা চার্লসকে। বিশদ

06th  November, 2022
ধন্বন্তরি নীলরতন
রজত চক্রবর্তী

চলতি মাসেই ছিল তাঁর জন্মদিন। নিঃশব্দে পেরিয়ে গেল সেই দিনটি। প্রাতঃস্মরণীয় বাঙালি চিকিৎসকদের মধ্যে তাঁর নাম অগ্রগণ্য। তিনি ডাঃ নীলরতন সরকার। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর একসময়ের শিয়ালদহ মেডিক্যাল স্কুলের নামকরণ করা হয় এই প্রাক্তনীর নামেই যা আমাদের চিরপরিচিত— এনআরএস হাসপাতাল। বিশদ

30th  October, 2022
নানা রূপে কালী
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

 

মহাপরাক্রমী মহাবীর দুই অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভ স্বর্গ-মর্ত-পাতাল ত্রিলোকের অধীশ্বর। ইন্দ্র রাজ্যহীন। দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত। সূর্য, চন্দ্র, কুবের, বরুণ, অগ্নির জন্য যে কাজ নির্দিষ্ট, সেই কাজ করতে লাগল ওই দুই অসুর। পরাজিত, রাজ্যচ্যুত দেবতারা বিপদ থেকে বাঁচতে আদিশক্তি মহাদেবীকে স্মরণ করলেন। বিশদ

23rd  October, 2022
দক্ষিণাকালীর মাহাত্ম্য

সাধক যে মূর্তির সাধনা করছেন, সাধারণভাবে তার তাৎপর্য বোঝা যায় না। আসলে সাধকের মূর্তি বর্ণনায় থাকে গভীর আধ্যাত্মিক সঙ্কেত। দক্ষিণাকালীর যে রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি, পুজো করি— তারও গভীরে রয়েছে আধ্যাত্মিক সঙ্কেত। বিশদ

23rd  October, 2022
কাঁটার মুকুট
 

২২ বছর পর হতে চলেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। লড়াইয়ে খাতায় কলমে নেই ‘গান্ধী-নেহরু’ পরিবারের কোনও সদস্য। দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলটির সর্বোচ্চ পদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে হয়েছে নানান জলঘোলা। সোমবার থারুর বনাম খাড়্গের লড়াইয়ের আগে ফের একবার ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলেন 
বিশদ

16th  October, 2022
বাঙালির বাণিজ্যে 
লক্ষ্মীলাভ
শান্তনু বসু

কোনও সন্দেহ নেই উনিশ শতকের নবজাগরণ, পাশ্চাত্যের খোলা হাওয়া এবং সাহেব সংসর্গ এক দল সাহসী বাঙালিকে লক্ষ্মীর সাধনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। বিশদ

09th  October, 2022
মা দুর্গার নৈবেদ্য
লোকনাথ চক্রবর্তী

 

আমরা যা খাই বা গ্রহণ করি, তা যখন দেবতাকে দিই, তখন তাকে বলে নৈবেদ্য। বাড়িতে কেউ এলে তাকে যেমন আমরা হাত-পা ধোয়ার জল দিই, আসন দিই, কিছু খেতেও দিই। সেইরকম পুজোর সময় যে দেবতাকে আমাদের ভদ্রাসনে ডেকে আনি তাঁকেও নানা আচারে-উপচারে সম্মানিত করতে চাই। বিশদ

02nd  October, 2022
প্রথম ফোনটা এল
ভোর চারটে পাঁচে
সায়ম ভদ্র
(বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের নাতি)

প্রথম ফোনটা এল ভোর চারটে পাঁচে। সালটা ১৯৭৬। তার পাঁচ মিনিট আগেই শুরু হয়েছে মহালয়া উপলক্ষে বেতারের প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘দুর্গা-দুর্গতিহারিণীম‌’। যেটি উত্তমকুমারের মহালয়া বলে পরিচিত। আমরা সকলে বাড়ির রেডিওটি চালিয়ে শুনতে বসেছি। সকলে বলতে দিদা, বড় পিসি, মা আর আমি। দাদু আছেন পাশের ঘরে। বিশদ

25th  September, 2022
 মহালয়ার শঙ্খধ্বনি

এক হাতে তুলে বাজাতে বেশ বেগ পেতে হয়, এত ভারী! বয়স দুশো কিংবা তারও বেশি। নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর প্রত্যক্ষ বংশধরদের যে ধারাটি কলকাতার সিমলে অঞ্চলে রয়েছে, তাঁদের মন্দিরে রাখা রয়েছে শঙ্খটি। এই শাঁখটাই বাজানো হয়েছিল আকাশবাণীর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’তে। বিশদ

25th  September, 2022
বিদায় এলিজাবেথ
শাসন-হীন এক শাসকের গল্প

বিষণ্ণ বৃষ্টিটা বন্ধ হয়েছিল শেষপর্যন্ত। জলে ধোয়া পরিষ্কার আকাশ। জোড়া রামধনুর দেখা পেতে বেশিক্ষণ লাগেনি। মনে হচ্ছিল ও দুটো বোধহয় বাকিংহাম প্যালেসেরই তোরণ।
বিশদ

18th  September, 2022
একনজরে
আফগানিস্তানের কাবুলে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের উপর হামলা। ঘটনার কড়া নিন্দা করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে ওই হামলায় যে নিরাপত্তারক্ষীর দৌলতে পাক দূত বেঁচে গিয়েছেন, তাঁরও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ...

পশ্চিমবঙ্গে গত বছর নভেম্বর মাসে জিএসটি আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৮৩ কোটি টাকা। এ বছর নভেম্বরে তা ৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ...

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তবে প্রত্যাবর্তন মঞ্চে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ডাচ-ব্রিগেড। তিন ম্যাচের দু’টিতে জয় ও একটি ড্রয়ের সুবাদে গ্রুপ এ-এর শীর্ষে থেকে নক-আউটে পৌঁছছে লুই ফন গলের দল। ...

সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পেলেন সঙ্গীতশিল্পী জুবিন নটিয়াল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গায়কের ডান হাতে একটি ছোট অস্ত্রোপচারও হয়েছে। আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত। গায়কের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘জুবিনের কনুই আর পাঁজরের হাড় ভেঙেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস
১৮৮২: চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসুর জন্ম
১৮৮৪: বিশিষ্ট দার্শনিক, রাজনীতিবিদ তথা ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্ম
১৮৮৯: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর জন্ম
১৯৫৬: সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৭: দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ডা. ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রথমবারের মত মানবদেহে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন
১৯৭৯: হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের মৃত্যু
১৯৮২: কবি বিষ্ণু দে’র মৃত্যু
১৯৮৩: বাংলা ভাষায় প্রথম ‘ছোটদের অভিধান’ প্রকাশ করে বাংলা অ্যাকাডেমি
১৯৮৪: ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনায়  কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারান
২০১১: অভিনেতা দেব আনন্দের মৃত্যু
২০২০: সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন স্মরণে কলকাতার মাঝেরহাটে জয় হিন্দ সেতু নামে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হয়।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮০.৩২ টাকা ৮২.০৬ টাকা
পাউন্ড ৯৭.৭৯ টাকা ১০১.১৪ টাকা
ইউরো ৮৩.৮৯ টাকা ৮৬.৯৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৪,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫১,৪৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫২,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২। একাদশী ৫৮/৪৪ শেষ রাত্রি ৫/৩৫। রেবতী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/৫/২, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৯/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ২/৩৯ মধ্যে পুনঃ ৩/২২ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪৫ গতে ২/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৩২ গতে ৩/২৫ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৭ গতে ২/৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/২৭ মধ্যে পুনঃ ৪/২৫ গতে উদয়াবধি। 
১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২। দশমী দিবা ৮/২৬। উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্র দিবা ৯/৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১ মধ্যে ও ৭/৪৩ গতে ৯/৫০ মধ্যে ও ১১/৫৭ গতে ২/৫২ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/৪৩ গতে ৩/৩৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ২/৮ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/৪৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/২৮ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৭ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিশ্বকাপ ২০২২: আর্জেন্টিনা-১ : অস্ট্রেলিয়া-০ (৩৫ মিনিট) (ভারতীয় সময় ১:০৫ এ.এম.)

11:59:00 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: ইউএসএ-কে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

10:27:10 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-৩ : ইউএসএ-১ (৮০ মিনিট)

10:12:03 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-২ : ইউএসএ-১ (৭৬ মিনিট)

10:07:28 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-২ : ইউএসএ-০ (হাফ টাইম)

09:21:28 PM

বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডস-১ : ইউএসএ-০ (৯ মিনিট)

08:45:26 PM