দুর্ঘটনা আর আঘাত যোগ আছে; সতর্ক হোন। মানসিক উত্তেজনায় লাগাম দিন, বাক বিতণ্ডা এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মহকুমা হাসপাতালে একটি করে মোট দু’টি মা ক্যান্টিনের জন্য প্রস্তাব পাঠান হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদিত হলেই প্রকল্পটি চালু হবে। এতে অনেক রোগী ও তার পরিজনেরা ওই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে।
প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার দেয় ১০ টাকা এবং ক্রেতা দেয় ৫ টাকা। অর্থাৎ মা ক্যান্টিনে ক্রেতা ৫ টাকা দিলেই ডিম ভাত পাবে।
বাসিন্দারা বলছে, শহরে বড় দু’টি হাসপাতাল আছে। এখানে মহকুমার চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, ডালখোলা ও করণদিঘি এবং সংলগ্ন বিহার থেকেও বহু দরিদ্র মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে। আউটডোরেও বহু রোগী আসে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছ পরিবার সাধারণত নার্সিং হোমে কিংবা প্রাইভেটে চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা করান। কিন্তু দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি হাসপাতালই একমাত্র ভরসা। হাসপাতালে বিনা পয়সার রোগীর চিকিৎসা হয় ঠিকই, কিন্তু রোগীর সঙ্গে পরিবারের লোকজন আসে। তাদের হোটেলে খাওয়াদাওয়া করাতে অনেক খরচ হয়। আর রোগী যদি কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকে, সেক্ষেত্রে খাবারের খরচও বাড়তে থাকে। তাই হাসপাতাল ক্যাম্পাসে মা ক্যান্টিন হলে মাত্র ৫ টাকার বিনিময়ে দুপুরে ডিম ভাত খেতে পারবে। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চল থেকে অনেক দিনমজুর কাজ করতে আসে শহরে। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরে দুপুরে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে কিছু খাবার পেলে তাদের উপকারে আসবে।
হোটেলে সব্জি ভাত খেলে কমকরে ৪০ টাকা খরচ হয়। ফলে দিনমজুর হোটেলে খায় না। কেউ কেউ বাড়ি থেকে শুকনো খাবার নিয়ে আসে, তা খেয়েই দিন কাটিয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে মা ক্যান্টিন তাদের কাছে আশীর্বাদ। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে তাই সাধুবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। বাসিন্দাদের দাবি, শীঘ্রই প্রকল্পটি চালু করুক প্রশাসন।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে প্রকল্পটি চালু হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। কারণ গ্রামাঞ্চল থেকেই প্রচুর মানুষ হাসপাতালে আসে। এখানে এসে ৫ টাকায় ডিম ভাত খাওয়ার পরে গ্রামে গিয়েও এই সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করবে। এতে সরকারের জনদরদি ভাবমূর্তি নিয়ে ভাল বার্তা পৌছবে গ্রামে।