Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

পুজোর ফুলের যন্ত্রণা
বিশ্বজিৎ মাইতি

হাওড়া‑খড়্গপুর রেলওয়ে শাখার বালিচক স্টেশন। মার্চ মাসের এক শুক্রবারের সকালে বেশ কয়েকজনকে ধরেছেন টিটি। বিনা টিকিটে ট্রেন সফর। তাঁদের মধ্যে এক যুবকের হাতে গোটা চারেক বস্তা। হাতে একগুচ্ছ ব্যাগ। গাল ভর্তি দাড়ি। উসকো-খুসকো চুল। পরনে নানান দাগে ভর্তি জামা ও হাফপ্যান্ট। করুণ চোখে আচমকাই নিজের মানিব্যাগ টিটির মুখের সামনে দেখিয়ে ধরা গলায় বলল, ‘স্যার একটা টাকাও নেই। পুরো শরীর চেক করে দেখুন...। পুরনো টিকিট আছে গোটা কয়েক। জেলে ভরুন, না হয় ক্ষমা করে ছেড়ে দিন।’ থমথমে মুখে কিছু সময় চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন টিটি। এরপর ঘাড় নাড়লেন। নিঃশব্দ অনুমতি। স্টেশনের বাইরে বটগাছের তলায় আনমনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সজল জানা... সেই টিকিটহীন যুবক। কিছুক্ষণ পর পাশের দোকান থেকে ৩০ টাকা ধার নিলেন। কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘দাদা, টিটি কি পরিচিত নাকি? কী করেন? পিক পকেট হয়েছে?’ নানান প্রশ্নে কিছু সময় চুপ করে বললেন, ‘সুদে টাকা ধার নিয়ে ফুল লাগিয়েছিলাম বিঘে দু’য়েক জমিতে। পরপর দু’দিন ফুল বিক্রিই হল না। রূপনারায়ণের জলে ফেলে দিয়ে আসতে বাধ্য হলাম। রাত দেড়টায় বাড়ি থেকে ৬০ কেজি ফুল নিয়ে বেরিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার টাকা পর্যন্ত হল না।’ কিছুক্ষণ চুপ। ফের ধরা গলায় বলেন, ‘এখন ফুল চাষের জন্য কীটনাশক, ছেলের ওষুধ কোথা থেকে নিই বলুন তো? এর থেকে টিটি জেলে ভরে দিলেই শান্তি পেতাম!’
শুধু সজলবাবু নন, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং, পিংলা, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার বহু চাষিকেই বছরের বিভিন্ন সময় এমন সঙ্কটের মুখে পড়তে হয়। রাস্তার ধারে, নদী কিংবা খালে এত যত্নের কুইন্টাল কুইন্টাল ফুল ফেলে দিতে হয় বাড়ি ফেরার আগে। একবুক শূন্যতা... পরের দিনের খাবাবের টাকার চিন্তা সঙ্গী হয় নিত্যদিন। অথচ, পাড়ার মোড়ের দোকানে ১০ টাকা দিলে গোটা কয়েক ফুল ও বেলপাতা ধরিয়ে দেয়। গাঁদাফুলের একটা মাঝারি সাইজের মালার দাম নেয় কোথাও দশ টাকা, কোথাও পনেরো টাকা। সামনেই শারদীয়া উৎসব। পদ্ম ছাড়া মায়ের আরাধনার কথা ভাবাই যায় না। পুজোর দিনগুলিতে ওই পদ্ম প্রতি পিস ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। ফুল আজ ব্যবসা। বড় ব্যবসা। প্রচুর টাকার লেনদেন। যার কণামাত্র পৌঁছয় না সজল জানাদের কাছে।
এর শিকড়টা রয়েছে খানিকটা অতীতের পথে। আসলে কয়েক দশক আগেও বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ আমাদের রাজ্যে সেইভাবে হতো না। বাড়ির সামনের বাগানে লাগানো গাছের ফুল দিয়েই হতো দেবসেবা। ভোররাতে ওই ফুল তুলে কিছু মানুষ শহরের বিভিন্ন বাজারে বসতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎসব-অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার বাড়তে শুরু করে গ্রাম থেকে শহরে। আর সেই বাজার ধরতেই ব্যবসায়ীদের উৎসাহে ছয়ের দশক থেকে গ্রাম বাংলার উঁচু ধানের জমিতে ফুলচাষের সূত্রপাত। বর্তমানে গাঁদা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, অপরাজিতা, দোপাটি, চন্দ্রমল্লিক, জবা, গ্ল্যাডিওলাস, করণ, জারবেরাল আস্টার, ডালিয়া, বেল, জুঁই চাষ হচ্ছে। এছাড়া হচ্ছে অ্যাসপেরাস, বটলব্রাস, ঘোড়াপামের মতো নানান বাহারি পাতাও। এক সময় অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা ফুলচাষে রাজ্যে প্রথম ছিল। এখন রাজ্যে প্রথম নদীয়া, দ্বিতীয় পূর্ব মেদিনীপুর, তৃতীয় পশ্চিম মেদিনীপুর, চতুর্থ স্থানে হাওড়া জেলা। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট স্টেশন সংলগ্ন ফুলবাজার, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দেউলিয়া ফুল বাজার ও পাঁশকুড়ার সরকারি ফুল বাজার ছাড়াও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি ফুল বাজার রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর বা হাওড়ায় তেমন কোনও ফুলের বাজার নেই। এছাড়া নদীয়ার বীরনগর, তাহেরপুর, বাদকুল্লা, মাঝেরগ্রামে বড় ফুল বাজার বসে। রাতভর জেগে প্রথমে সাইকেল, তারপর বাস ও ট্রেনে চেপে বাজারে ফুল আনেন চাষিরা। এইসব বাজার থেকে ফুলের বড় অংশ আসে কলকাতার মল্লিকঘাট ফুল বাজারে। মল্লিকঘাট থেকে একাধিক হাত হয়ে ওই ফুল পাড়ার বাজারে পৌঁছয়। ফুলের দামের বিষয়টি ঠিক হয় অন্যান্য কৃষিপণ্যের মতোই। বিয়ে বা পুজোর মরশুম ছাড়া চাষিকে চোখের জল ফেলে ফুল বেচতে হয়। এ বছর বৃষ্টির জন্য সিংহভাগ চাষির ফুল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই ক্ষত মেরামতের আগেই এসেছে পুজোর মরশুম। সেকারণে কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ার ফুল বাজারে এখন কেজিপ্রতি গাঁদা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। তিন ফুট লম্বা ২০টি গাঁদার মালার দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কেজি প্রতি রজনীগন্ধা ৩০০ টাকা, বেল ৩২০ টাকা, জুঁই ৪০০ টাকা, দোপাটি ৩০ টাকা, অপরাজিতা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক হাজার জবা ফুলের দাম ২৫ টাকা, প্রতি পিস গোলাপ ২ টাকা। আর পদ্ম এখন বিকোচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতি পিস।
দেবদেবীর পুজোর দিন বিশেষে ফুলের চাহিদা বাড়ে-কমে। কালীপুজোয় জবা ফুল, শনি পুজোয় নীল অপরাজিতা, মহাদেবের পুজোয় আকন্দ, সাদা ধুতরা ফুল ও ফল, সরস্বতী পুজোয় গাঁদা সহ বিভিন্ন ধরনের হলুদ ফুল, দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোয় পদ্ম। চাষিরাও এই সমীকরণ মাথায় রেখেই চাষ করেন। ফুলের চাষ অন্য যে কোনও চাষের তুলনায় অনেক কঠিন। আমরা কথায় কথায় বলি, ফুলের মতো জীবন। সত্যিই তাই। সামান্য জল জমলেই বেশিরভাগ ফুল গাছ নষ্ট হয়ে যায়। পোকা ও রোগের উপদ্রব থেকে গাছকে বাঁচাতে দিনভর ফুল জমিতে পড়ে থাকতে হয়। গাঁদার মতো বেশ কিছু ফুল প্রতিদিন তুলতে হয়। ফুলের দাম থাকুক বা না থাকুক...। কারণ, ফুল না তুললে নতুন কুঁড়ি আসে না। অথচ সম্পূর্ণভাবে ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রিত বাজারে দাম ওঠাপড়ার কোনও স্থিরতাই নেই। গতকাল যে ফুল ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আজ তা ২ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হতে পারে। এই ফাটকা কাঁধে নিয়েই চাষজমিতে যেতে হয় তাঁদের।
কথা হচ্ছিল নারায়ণচন্দ্র নায়কের সঙ্গে। সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। বললেন, ‘রাজ্যের ফুল চাষ আজও ফুল ব্যবসায়ী ও ওষুধ ব্যবসায়ীরা কন্ট্রোল করে। ঢাল তরোয়ালহীন হর্টিকালচার দপ্তরের কর্মকাণ্ডের সুফল সিংহভাগ চাষিই পায় না। রাজ্যের শতকরা ৯৮ ভাগ বাজারের কোনও পরিকাঠামো নেই। বর্ষায় গোড়ালি সমান জল ও কাদার উপর ফুল রেখে বিক্রি করতে হয় চাষিদের। চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা চাষিদের জন্য কারও কোনও ভাবনা নেই। ফুল থেকে উপজাত সামগ্রী তৈরির কোনও ব্যবস্থা নেই। রজনীগন্ধা থেকে সুগন্ধি তৈরি হলে, গাঁদা থেকে আবির ও রং হলে প্রতিদিন বাজারের ফুলের দাম ওঠা‑পড়ার কেরামতি আটকে যেত। বিকল্প ব্যবস্থা নেই বলেই বছরের বিভিন্ন সময় ফুল ফেলে দিতে বাধ্য হন চাষিরা। কয়েক দশক আগে ইংল্যান্ড সহ বিদেশে ফুল পাঠানোর ব্যবস্থা ছিল। এখন সব বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি পণ্য হিসেবে ফুলকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় কৃষিবিমার সুযোগ নেই। ক্ষতিপূরণও জোটে না চাষিদের। চাষের জন্য কৃষি ঋণও মেলে না। আসলে ফুল চাষ ও চাষিদের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়ার সময় বোধহয় কোনও শাসকেরই নেই।’
ফুলের দামই একমাত্র সমস্যা নয়। গোলাপের সৌরভে বিমোহিত হলেও, আমরা অনেকেই জানি না গোলাপের কাঁটায় চাষির রক্তাক্ত হওয়ার কাহিনী। দেবী দুর্গার পায়ে পদ্ম অঞ্জলি দিই ঠিকই, কিন্তু আমরা জানতে পারি না পদ্ম পুকুর বা নয়ানজুলিতে থাকা পদ্ম তুলতে গিয়ে খরিশের ছোবলে কতজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। আমরা জানতেই পারি না, প্রতিদিন ভোররাতে জাতীয় সড়কের উপরে বসা ফুল বাজারে ফুল আনার সময় কত চাষি ট্রাকের ধাক্কায় মারা গিয়েছেন, স্টেশন লাগোয়া ফুল বাজারে ফুলের বস্তা নিয়ে লাইন পারাপারের সময় কতজন ফুলচাষি ট্রেনে কাটা পড়েছেন। কত রঙিন স্বপ্ন প্রতিদিন ট্রাকের তলায় ও ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ছে, পিষে যাচ্ছে... তার কোনও ইয়ত্তা নেই। তারপরও তাঁরা স্বপ্ন দেখেন ফুলচাষের সঠিক দামটা অন্তত পাওয়ার। সারা বছর চোখের জল ফেলার পর পুজোর মরশুমে অন্তত একটু বেশি টাকায় বিক্রির... যা অন্তত বাজার দরের ধারেকাছে থাকে। তাহলে ছেলেমেয়েগুলোর জন্য হয়তো একটা নতুন জামা হবে। হয়তো মায়ের জন্য একটা শাড়ি হবে...। সাপ‑লুডোর মারপ্যাঁচ খেলতে খেলতে ক্লান্ত চাষি প্রায়শই প্রশ্ন তোলেন, কবে এই স্বপ্ন সত্যি হবে!
22nd  September, 2019
অচেনা অযোধ্যা
সমৃদ্ধ দত্ত

 সরযূ নদীর নয়াঘাটে মাঝেমধ্যেই দেখা যাবে এক টানাপোড়েনের দৃশ্য। গোন্দা জেলার মানকপুর গ্রামের রমাদেবী নিজের মেয়ের সামনে হাতজোড় করে বলছেন, ‘আমাকে ছেড়ে দে রে..আমি কয়েকদিন পর আবার চলে যাব..সত্যি বলছি যাব।’ মেয়ে জানে মায়ের কথার ঠিক নেই। আজ বিশ্বাস করে ছেড়ে দিলে, সত্যিই কবে যাবে, কোনও ঠিক নেই।
বিশদ

বিস্মৃতপ্রায় সুরেন্দ্রনাথ
রজত চক্রবর্তী

কালো পুলিস ভ্যানটা ঢুকতেই উত্তেজিত জনতা যেন তাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। আন্দোলনের নেতৃত্বে স্বয়ং ‘বাংলার বাঘ’ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। হবে নাই বা কেন! বাংলার জাত্যাভিমানকে পরিচিতি দিয়েছিলেন পুলিস ভ্যানের ভিতরে বসে থাকা ব্যক্তিটিই। সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তাঁর জন্মদিন। বিশদ

10th  November, 2019
সুরেন্দ্রনাথের সাংবাদিক সত্ত্বা 
ডাঃ শঙ্করকুমার নাথ

১৮৮৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ‘The Bengalee’ পত্রিকার সম্পাদক সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুদ্রাকার-প্রকাশক রামকুমার দে’র নামে রুল জারি করার নির্দেশ দিল এবং পরের দিন তা কার্যে পরিণত হল। বলা হল— ‘আদালত অবমাননা করার অপরাধে কেন জেলে যাইবেন না, তাহার কারণ প্রদর্শন করুন।’ 
বিশদ

10th  November, 2019
আরাধনা ৫০
সমৃদ্ধ দত্ত

 রবি শর্মার বাড়িতে গুরু দত্ত এসেছেন। প্রায় মধ্যরাত। এত রাতে কী ব্যাপার? রবি শর্মা চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি। গুরু দত্ত বললেন, ‘রবি আমি একটা গান চা‌ই। একটি মানুষ অনেক রাত পর্যন্ত মুশায়রার আসর থেকে বাড়ি ফিরেছে। তার সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে। অপূর্ব সুন্দরী স্ত্রী। সেই মেয়েটি স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে করে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। স্বামী ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে দেখছেন স্ত্রী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
বিশদ

03rd  November, 2019
ডাকাত কালী
সুভাষচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

 কয়েকশো বছর আগের কাহিনী। তখন এখানে চারপাশে ঘন জঙ্গল। বহু জায়গায় সূর্যালোক পর্যন্ত পৌঁছত না। ছিল একাধিক হিংস্র পশুও। পাশেই সরস্বতী নদীর অববাহিকা। সেখানে বহু ডাকাতের বসবাস ছিল। বাংলার বিখ্যাত রঘু ও গগন ডাকাতও এই পথ দিয়ে ডাকাতি করতে যেতেন।
বিশদ

27th  October, 2019
মননে, শিক্ষায় পুরোপুরি বাঙালি

সুইডিশ অ্যাকাডেমি ঘোষণাটা করার পর কিছু সময়ের অপেক্ষা। আগুনের মতো খবরটা ছড়িয়ে গিয়েছিল গোটা দেশে... একজন বাঙালি, একজন ভারতীয় আরও একবার জগৎসভায় দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেনের পর অর্থনীতিতে নোবেল পাচ্ছেন তিনি। বিশদ

20th  October, 2019
অর্থনীতিতে নীতি
অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

 লেখাটা শুরু করা যেতে পারে আমার ছাত্রজীবনে রাশিবিজ্ঞানের ক্লাসে শোনা একটা গল্প দিয়ে। কোনও একসময় ইংল্যান্ডের স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছিল, স্কুলের বাচ্চাদের দুধ খাইয়ে দেখবে তাদের স্বাস্থ্যের উপর তার কোনও সুপ্রভাব পড়ে কি না। সেইমতো স্কুলগুলিতে কোনও একটি ক্লাসের অর্ধেক বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো হয় এবং বাকিদের তা দেওয়া হয়নি। বিশদ

20th  October, 2019
বাহন কথা 
রজত চক্রবর্তী

আকাশে সোনার থালার মতো চাঁদ। বাড়িতে বাড়িতে দোরগোড়া থেকে লতানে ধানের শিষ। এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে চৌকাঠ ডিঙিয়ে, ডাইনিংয়ের পাশ দিয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে... এমনকী সিঁড়ির পাশ দিয়েও উঠেছে দোতলায়। ধানের শিষের পাশে পাশে ছোট্ট ছোট্ট সুন্দর পায়ের ছাপ।  
বিশদ

13th  October, 2019
প্র তি মা র বি ব র্ত ন
সোমনাথ দাস

বর্ষা আর শরৎ এখন মিলেমিশে একাকার। বিশ্ব উষ্ণায়নের কৃপাদৃষ্টিতে শহরবাসীর পক্ষে আর এই দু’টি ঋতুকে আলাদা করা সম্ভব নয়। তবে ভাদ্রের সমাপ্তি এবং আশ্বিনের সূচনা বাঙালির জীবনে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ। মা দুর্গার আগমনবার্তায় আমাদের হৃদয় নেচে ওঠে।   বিশদ

29th  September, 2019
ভো-কাট্টা

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়।  
বিশদ

15th  September, 2019
নির্মাণশিল্পী বিশ্বকর্মা
সন্দীপন বিশ্বাস

জরাসন্ধ তখন প্রবল প্রতাপান্বিত। বারবার মথুরা আক্রমণ করছিলেন। কিন্তু সপ্তদশ প্রচেষ্টাতেও মথুরা জয় করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তাই ফের তিনি মথুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন। কৃষ্ণ অবশ্য জানতেন জরাসন্ধ কিছুতেই মথুরা জয় করতে পারবেন না।
বিশদ

15th  September, 2019
আগুন বাজার
বীরেশ্বর বেরা

 ‘কেন? আপনি যে পটল বেচছেন, এমন পটল তো আমরা ৩০-৩২ টাকায় কিনছি!’ গ্রাম্য যুবক তাঁর আপাত-কাঠিন্যের খোলস ছেড়ে সহজ হয়ে গেলেন হঠাৎ। তেলের টিনের উপর চটের বস্তা বেঁধে টুলের মতো বসার জায়গাটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘বসুন তাহলে, বলি। বিশদ

08th  September, 2019
সমাপ্তি
সমৃদ্ধ দত্ত

মহাত্মা গান্ধীর প্রকাশিত রচনাবলীর খণ্ড সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এ পর্যন্ত জওহরলাল নেহরুর লেখা নিয়ে প্রকাশিত যত রচনা আছে, তা প্রায় ৫০ খণ্ড অতিক্রান্ত। বাবাসাহেব আম্বেদকরের সারা জীবনের যাবতীয় রচনা সমন্বিত করে এখনও পর্যন্ত ১৬টি খণ্ডসংবলিত রচনাবলী প্রকাশ পেয়েছে। 
বিশদ

01st  September, 2019
রাজীব ৭৫
মণিশঙ্কর আইয়ার

 ছিয়াশি সালের ডিসেম্বর। অঝোরে তুষারপাত হচ্ছে। আমরা যাচ্ছি কাশ্মীর। কিন্তু একটা সময় আর্মি জানাল, আর যাওয়া সম্ভব নয়। এত তুষারপাতে হেলিকপ্টার ওড়ানো যাবে না। তাহলে? যাব কী করে? বাকিরাও বলল, দিল্লি ফিরে চলুন। কিন্তু প্রধাননমন্ত্রী বললেন, তা হয় না। যাব যখন বলেছি যেতে হবে। লোকেরা অপেক্ষা করে থাকবে যে!
বিশদ

25th  August, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, আরামবাগ: বিভিন্ন দাবিতে শনিবার আরামবাগে মিছিল করে সিপিএম। সিপিএমের-১ ও ২ নম্বর এরিয়া কমিটির উদ্যোগে এদিন একটি পথসভাও হয়। আরামবাগের ধামসা বাসস্ট্যান্ডে প্রথমে পথসভা ...

ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর: ইনিংস জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল ‘টিম ইন্ডিয়া’। গত সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট ইনিংসের ব্যবধানে জিতেছিল কোহলি বাহিনী। সাফল্য ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকায় লজিস্টিকস বা পণ্য পরিবহণ ও মজুত রাখা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়তে উৎসাহী বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে তাদের। ওই প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত হতে পারে বলে শনিবার দাবি ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়। হাওড়া: এবার আর ব্লক অফিসে নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে জেলা প্রশাসনের সমস্ত বিভাগকে নিয়ে গিয়ে বৈঠক করতে হবে জেলাশাসকদের। বছরে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তত তিন থেকে চারবার যাতে এই বৈঠক করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.০২ টাকা ৭৩.৫৬ টাকা
পাউন্ড ৯০.০৫ টাকা ৯৪.৯০ টাকা
ইউরো ৭৭.১৩ টাকা ৮১.২৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
16th  November, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৭৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৭৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,৩০৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ৩১/১৫ রাত্রি ৬/২৩। পুনর্বসু ৪২/৪৪ রাত্রি ১০/৫৯। সূ উ ৫/৫৪/৩, অ ৪/৪৮/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৭ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৩ গতে ২/৩৮। রাত্রি ৭/২৬ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৮ গতে ১/৩৩ মধ্যে পুনঃ ২/২৪ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ১০/০ গতে ১২/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১২/৫৯ গতে ২/৩৯ মধ্যে।
৩০ কার্তিক ১৪২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, পঞ্চমী ২৮/২৫/৫০ সন্ধ্যা ৫/১৭/৫৯। পুনর্বসু ৪১/৫৬/২২ রাত্রি ১০/৪২/১২, সূ উ ৫/৫৫/৩৯, অ ৪/৪৯/১৪, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ গতে ৮/৫৭ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৭ গতে ৯/১৪ মধ্যে ১১/৫৩ গতে ১/৪০ মধ্যে ও ২/৩৩ গতে ৫/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ১০/০/৪৫ গতে ১১/২২/২৬ মধ্যে, কালবেলা ১১/২২/২৬ গতে ১২/৪৪/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ১/০/৪৫ গতে ২/৩৯/৩ মধ্যে।
১৯ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালো হবে। বৃষ: কর্মপ্রার্থীদের সুখবর ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
আন্তর্জাতিক ছাত্র দিবস১৫২৫ - সিন্ধু প্রদেশের মধ্য দিয়ে মোগল সম্রাট ...বিশদ

07:03:20 PM

সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড 

04:12:19 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের আমিরাবাদ গ্রামে ট্রাকে আগুন লাগাল জঙ্গিরা 

03:21:29 PM

আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেলেন মহঃ সামি 

03:21:00 PM

ইকো পার্কে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের 

03:11:00 PM