Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

স্টেফির হাফ সেঞ্চুরি
প্রীতম দাশগুপ্ত

মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, ক্রিস এভার্টরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই শুরু করেছেন তখন। ঠিক একই সময়ে জার্মানির অখ্যাত শহর ব্রুয়ে বেড়ে উঠছিল স্টিফানি মারিয়া গ্রাফ। ১৯৬৯ সালের ১৪ জুন জার্মানির ম্যানহাইনে জন্ম স্টিফানির। মেয়ের দুষ্টুমি বন্ধের দাওয়াই হিসেবে স্টিফানির বাবা পিটার তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন একটা পুরনো টেনিস র‌্যাকেট। ছোট্ট স্টিফানিকে বলেছিলেন, ‘এটা ঘোরা, দেখ কী সুন্দর লাগছে!’ তারপর থেকে ওই র‌্যাকেটই হয়ে উঠল ছোট্ট মেয়েটার ধ্যান-জ্ঞান। লিভিংরুমের একটা ল্যাম্পও আর অবশিষ্ট রইল না। মা হেইডি তখন বলতেন, ‘যা বাইরে গিয়ে খেল।’ মেয়ের টেনিস প্রেম বুঝতে বাবা পিটার বললেন, ‘আয় আমার সঙ্গে খেল দেখি। যদি টানা ২৫টা হিট করতে পারিস, তবে একটা আইসক্রিম পাবি।’ পিটার নিজেও একসময় টেনিস খেলেছেন। তাই মেয়েকে পরখ করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠল তাঁর। একরত্তি মেয়েটা তো দিব্যি র‌্যালি চালিয়ে যাচ্ছে! ২৫টা শট কখন পেরিয়ে গিয়েছে। তাই মেয়েকে আইসক্রিম দিতেই হল পিটারকে। বেশ কয়েকবার এই ঘটনা ঘটল। শেষে বারবার আইসক্রিম দেওয়ার হাত থেকে বাঁচতে একটা ফন্দি আঁটলেন পিটার। ঠিক করলেন ২৫তম শটটা এত জোরে মারবেন যাতে মেয়ে ধরতেই না পারে। এভাবেই তিন বছরের স্টিফানির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন পিটার। যদিও তিনি ভেবেছিলেন, মেয়ের এই টেনিস প্রেম স্রেফ তাঁর জন্যই। কারণ বাবাকে মেয়ে অসম্ভব ভালোবাসে। তাই বাবার সঙ্গ পেতেই মেয়ে টেনিসে মেতে উঠেছে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলেন মেয়ের মধ্যে একটা প্রতিভা রয়েছে। মেয়ে ফাঁক পেলেই বেসমেন্টকে কোর্ট বানিয়ে দু’দিকে দু’টো চেয়ার রেখে মাঝখানে সুতো টাঙিয়ে সার্ভিস করে।
তিন বছরের স্টিফানির টেনিসের প্রতি এই আকর্ষণ আর প্রতিভার কারণেই পিটার ঠিক করলেন মেয়েকে ভালো করেই টেনিস শেখাবেন। নিজে ইনসিওরেন্সের যে কাজ করছিলেন, সেটা কার্যত ছেড়েই দিলেন। মেয়ের প্রাথমিক কোচ তিনিই। বছর কয়েকের মধ্যেই রিটার্ন পেলেন পিটার। মাত্র ছ’বছর বয়সে প্রতিযোগিতায় প্রথমবার খেতাব জিতল স্টিফানি। ১৩ বছর বয়সে জার্মানির জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন। শুধু তাই নয়, সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং-ও হাসিল করলেন স্টিফানি। অবশ্য সার্কিটে তাঁর পরিচয় স্টিফানি নয়, স্টেফি গ্রাফ। ১৩ বছরের স্টেফির সঙ্গে সেই সময় হঠাৎ করেই একটি হোটেলে দেখা হয়ে গিয়েছিল প্রাক্তন তারকা পোম্যানের। পিটার পোম্যানকে অনুরোধ করে বললেন, ‘স্টিফানির সঙ্গে একটু খেলবেন?’ পিটারের অনুরোধ রেখে খেলতে নামলেন পোম্যান। একটু খেলা কখন যে ৪৫ মিনিট গড়িয়ে গেল টেরই পাননি। কিশোরী স্টেফির ফুটওয়ার্ক আর ফোরহ্যান্ড দেখে মুগ্ধ তিনি। তবে ব্যাকহ্যান্ডটা একটু দুর্বল। এই দুর্বলতা ঢাকার টোটকা স্টেফিকে দিলেন পোম্যান। পেশাদার টেনিস জগতে প্রবেশ করলেন ‘মিস ফোরহ্যান্ড’ স্টেফি গ্রাফ।
পেশাদার জগতে শুরুটা আহামরি হয়নি অবশ্য। ১৯৮২ সালে প্রথম খেলায় তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন প্রাক্তন ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন ট্রেসি অস্টিন। স্টেফিকে হেলায় হারিয়েছিলেন ট্রেসি। তবে কোনও খেতাব জিততে না পারলেও, ১৯৮৫ সালে তাঁর র‌্যাঙ্ক দাঁড়ায় ৬। সেই সময়কার দুই সেরা টেনিস তারকা ক্রিস এভার্ট ও মার্টিনা নাভ্রাতিলোভাকে যে অদূর ভবিষ্যতে স্টেফি চ্যালেঞ্জ জানাতে চলেছেন, তার ইঙ্গিত তখনই পাওয়া গিয়েছিল। তবে ওই এক বছরের মধ্যে ছ’বার ক্রিস এভার্টের কাছে হার মানেন স্টেফি। আর তিনবার নাভ্রাতিলোভার কাছে। প্রতিবারই স্ট্রেট সেটে। এর মধ্যে ১৯৮৫ সালের ইউএস ওপেন সেমিফাইনালও রয়েছে। সেটাই ছিল স্টেফির জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম সেমিফাইনাল। শেষপর্যন্ত সাফল্য আসে ১৯৮৬ সালে। জীবনের প্রথম ডব্লুটিএ খেতাব জয় করেন ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির জার্মান তারকা। কিন্তু গ্র্যান্ড স্ল্যাম কিছুতেই ধরা দিচ্ছিল না। ওই বছরও ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে হারতে হল নাভ্রাতিলোভার কাছে। তবে এবার আর খুব সহজে নয়। তিন সেটের কঠিন লড়াইয়ে জেতেন নাভ্রাতিলোভা। এই ফলে তাই কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না স্টেফি। তাঁর জীবনে তখন একটাই মন্ত্র, টেনিসে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে। তাই আরও বেশি করে পরিশ্রম শুরু হল। প্র্যাকটিস এত সিরিয়াসলি করতেন, যেন মনে হতো গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল খেলছেন। জোরদার করতে শুরু করলেন নিজের সেরা অস্ত্র ফোরহ্যান্ডকে। সিঙ্গল হ্যান্ডেড ব্যাক হ্যান্ড টপ স্পিনকেও কন্ট্রোল করা শুরু হল। লম্বা পায়ের দুরন্ত গতি আর ফুটওয়ার্কে ওই বছরই ক্রিস এভার্ট ও নাভ্রাতিলোভাকে
হারিয়ে টেনিস সার্কিটে নিজের উপস্থিতি প্রমাণ করে দিলেন স্টেফি।
কিন্তু গ্র্যান্ড স্লাম তখনও অধরা। অবশেষে সেই সাফল্য ধরা দিল ১৯৮৭ সালে। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর নাভ্রাতিলোভাকে হারিয়ে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতলেন স্টেফি। অবশ্য সে বছরের উইম্বলডন ফাইনালে নাভ্রাতিলোভার কাছেই হার মানেন তিনি। ১৯৮৮ সাল স্টেফির জীবনে স্মরণীয় তো বটেই, ইতিহাসেও এমন ঘটনা ঘটেনি। ওই বছর চারটে গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জিতেছিলেন স্টেফি। এর মধ্যে ফরাসি ওপেনে প্রতিপক্ষ জাভারেভাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ৬-০, ৬-০’তে। কোনও গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে এমন নজির খুব একটা নেই। খেলার শেষে মজা করে স্টেফি বলেছিলেন, ‘দুঃখিত, বড্ড তাড়াতাড়ি খেলা শেষ হয়ে গেল।’ শুধু তাই নয়, ওই বছর সিওল ওলিম্পিক্সে সোনাও জিতেছিলেন স্টেফি। টেনিস ইতিহসে এই ঘটনা ‘গোল্ডেন স্লাম’ বলে পরিচিত। সিওল ওলিম্পিক্স সোনা জয়ের পর স্টেফি বলেছিলেন, ‘আমি অর্থের জন্য খেলি না। অর্থ কামানোর চেয়ে জেতাটা বেশি পছন্দ করি। আমি সোনার পদক জিততে চেয়েছিলাম। লক্ষ্যপূরণ হওয়ায় আমি খুশি।’ ১৯৮৪ সালের লস এঞ্জেলস ওলিম্পিক্সেও সোনা জিতেছিলেন কিশোরী গ্রাফ। কিন্তু সে বছর টেনিসের সরকারি স্বীকৃতি ছিল না।
স্টেফির জীবনে অনর্থ বয়ে এনেছিল এই অর্থই। স্টিফানির স্টেফিতে উত্থানের পিছনে বাবা পিটার গ্রাফের অবদান রয়েছে। স্টেফির মোটিভেশন ও লড়াইয়ের মনোবল তৈরি করে দিয়েছিলেন পিটারই। স্টেফি নিজেই বলেছিলেন, ‘আমার জীবন থেকে চাপটা নিজের উপর নিয়েছিল বাবা।’ মেয়ের শুধু কোচই ছিলেন না পিটার, মেয়ের সবকিছু দেখভাল করতেন তিনি। মেয়ের রোজগারের যাবতীয় নথি থাকত তাঁর কাছেই। সেই সময় জার্মান আয়কর দপ্তরের নজরে আসে বিপুল পরিমাণ আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন গ্রাফ। কিন্তু স্টেফি নিজে কিছুই জানতেন না। আয়কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ১৯৯৫ সালে গ্রেপ্তার হন পিটার। তাঁর কারাদণ্ড হয়। ১.৩ মিলিয়ন জার্মান ডয়েস মার্ক জরিমানা দেওয়ার পর ১৯৯৭ সালে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
নয়ের দশকের গোড়া থেকেই একদিকে পায়ের চোট আর অন্যদিকে পারিবারিক নানাবিধ কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন স্টেফি। তার প্রভাব পড়ছিল খেলাতেও। ১৯৮৮-১৯৮৯ সালে যেখানে তিনি মোট সাতটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন, সেখানে ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর থেকেই স্টেফির খেলার গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করে। ফরাসি ওপেনের ফাইনালে অ্যারান্থা স্যানচেজ ভিখারিওর কাছে একটি সেট ০-৬ গেমে হার মানেন স্টেফি। নাভ্রাতিলোভা চার বছর পরে স্টেফিকে হারান। শুধু তাই নয়, অনেক অখ্যাতর কাছেও হার মানেন তিনি। একই সময় মঞ্চে আসেন স্টেফির জীবনের সেরা প্রতিদ্বন্দ্বী মনিকা সেলেস। ১৯৯১ সালেই তাঁর কাছ থেকে এক নম্বরের তকমা কেড়ে নেন সেলেস। রেকর্ড ১৮৬ সপ্তাহ এক নম্বর থাকার পর পতন হয় স্টেফির। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মধ্যে আটটি গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব জেতেন সেলেস। এর মধ্যে তিনবার হারিয়েছিলেন স্টেফিকে। ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে জার্মানির হামবুর্গে টেনিস খেলার সময় ‘পাগল’ গ্রাফপ্রেমী গুন্টার পার্শে তাঁর পিঠে ছুরি মারে। ফলে প্রায় বছর দুই কোর্টের বাইরে চলে যেতে হয় মনিকাকে। এই ঘটনার কলঙ্কের বোঝা বইতে হয়েছিল স্টেফিকে। টেনিসই ছিল তাঁর জীবন। কিন্তু একটা ঘটনা সবকিছু ওলটপালট করে দিয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে মনিকাকে দেখতে গিয়েছিলেন স্টেফি। স্টেফি বরাবরই বলেছেন, তিনি যাঁদের বিরুদ্ধে খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে সেরা মনিকাই। হাসপাতালে মনিকাকে জড়িয়ে ধরে শুধু কেঁদেছিলেন কোর্টে আবেগহীন বলে পরিচিত স্টেফি। এমনকী আর খেলতেও চাইছিলেন না। সেদিন স্টেফির রোবটের বর্মটা পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছিল। বলেছিলেন, ‘যা হয়েছিল, তা সমগ্র খেলার জগতের পক্ষেই ভয়ঙ্কর ছিল। আর মনিকার ক্ষেত্রে সেটা ছিল সত্যিই ট্র্যাজেডি।’
২২টা গ্র্যান্ড স্লামের মালিক হলেও, ওই একটা ঘটনা ছিল এক বালতি দুধে একটু চোনা ফেলার মতোই। যে ক্রিস এভার্ট একসময় বলেছিলেন, ‘আমি ছিলাম ক্লে কোর্টে সেরা, আর মার্টিনা ঘাসের কোর্টে। কিন্তু স্টেফি সব কোর্টের সেরা।’ ওই ঘটনার পর সেই এভার্টই বলেছিলেন, ‘সেরা প্রতিদ্বন্দ্বীই তো ছিলেন না!’ মনিকাও হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছিল সেটা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। কিন্তু কে বলতে পারে, আমার কেরিয়ারটা অন্যরকম হতে পারত না!’ ঘটনা হল, মনিকা আহত হওয়ার আগে গ্রাফ জিতেছিলেন ১১টি স্লাম, মনিকা আটটি। আর মনিকার অনুপস্থিতিতে গ্রাফ জেতেন আরও চারটি। ১৯৯৫ সালে মনিকা কোর্টে ফিরে এলেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। ১৯৯৫ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে হারেন স্টেফির কাছেই। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর আর কোনওদিনই গ্র্যান্ড স্লাম জেতেননি সেলেস। ১৯৯৫-৯৬ সালে স্টেফির বিজয়রথ রোখার ক্ষমতা কারও ছিল না। কোর্টে নামলেই যেন ক্ষুধার্ত বাঘের মতো স্টেফি ঝাঁপিয়ে পড়তেন প্রতিপক্ষের উপর। ছ’টি গ্র্যান্ড স্লাম খেলে সবকটি’ই জেতেন তিনি। মহিলাদের টেনিসকে তিনি অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সামান্য সাজপোশোকেই তাঁর গ্ল্যামার ঝলকে উঠত। প্রথম জীবনে খোলা চুলে থাকলেও, পরে ফেট্টি বেঁধে পনি টেলেই দেখা গিয়েছে এই টেনিস সুন্দরীকে। সবসময় তাঁর হাতে থাকত ঘড়ি। খেলার সময় তাঁকে হাসতে কমই দেখা গিয়েছে। একবার হামবুর্গে এক দর্শক বলেছিলেন, ‘স্টেফি একটু হাসো।’ স্টেফির উত্তর ছিল, ‘কোনটা করব? হাসব না খেলব!’ তবে সবচেয়ে মজার ঘটনা ছিল উইম্বলডনে। সেবার সার্ভিসের আগে একজন স্টেফিকে বলেই ফেলেন, ‘আমাকে বিয়ে করবে?’ খানিক থেমে স্টেফি উত্তর দিয়েছিলেন, ‘তোমার কাছে কত অর্থ রয়েছে?’ হাসির রোল পড়ে গিয়েছিল।
১৯৯৭ থেকে পা আর পিঠের চোট স্টেফিকে নড়বড়ে করে দেয়। দীর্ঘদিন কোর্টের বাইরে চলে যেতে হয় তাঁকে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল, স্টেফিকে আর কোনওদিন র‌্যাকেট হাতে দেখা যাবে না বলেই মনে করা হয়েছিল। কিন্তু স্টেফি অন্য ধাতুতে তৈরি। ১৯৯৯ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেন সবদিক থেকেই স্টেফির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। মার্টিনা হিঙ্গিস তখন বিশ্বের এক নম্বর। বহুদিন বাদে গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে উঠেছেন স্টেফি। ফাইনালের আগের দিন হাসতে হাসতেই স্টেফি বলছিলেন, ‘কেউ ভাবতে পারেনি আমি ফাইনাল খেলব। আমি নিজেই ভাবিনি।’ কিন্তু বিশ্বের দু’নম্বর ও তিন নম্বর ড্যাভেনপোর্ট আর সেলেসকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে প্রবেশ করেছিলেন স্টেফি। এবার বিপক্ষে হিঙ্গিস। প্রতিপক্ষকে তাচ্ছিল্য করেই হিঙ্গিস বলেছিলেন, ‘স্টেফি নামটা এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ খেলায় প্রথম সেটেও হেলায় জিতেছিলেন হিঙ্গিস। দ্বিতীয় সেটেও নিজের সার্ভিস ধরে রাখতে পারলেই ফ্রেঞ্চ ওপেন তাঁর। কিন্তু দর্শক তখন ক্রমাগত উৎসাহ দিচ্ছে, ‘স্টেফি, স্টেফি’। এরকম বহু জায়গা থেকেই ম্যাচ ঘুরিয়েছেন ‘ফ্রলাইন ফোরহ্যান্ড’ স্টেফি। স্যানচেজ বা সাবাতিনি এসব ভালোই জানেন। এবার তার সাক্ষী হলেন হিঙ্গিস। ওইখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেট দখল করে ফরাসি ওপেনে এভার্টের জয়ের রেকর্ড ছুঁলেন স্টেফি গ্রাফ। খেলা শেষে হতবাক হিঙ্গিস কাঁদতে কাঁদতে কোর্ট ছাড়েন। কাঁদছিলেন স্টেফিও। কিন্তু এ জল ছিল আনন্দের। একই প্রতিযোগিতায় টপ থ্রি বাছাইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির গড়লেন স্টেফি। এতটা আবেগে ভাসতে কোনওদিনও স্টেফিকে কেউ দেখেনি। ওই বছর উইম্বলডনের ফাইনালেও উঠেছিলেন স্টেফি। কিন্তু হার মানেন। তারপরেই শরীর সঙ্গ দিচ্ছে না জানিয়ে আগস্ট মাসে দুম করে অবসরের কথা ঘোষণা করে দেন।
১৯৯৯ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনে পুরুষ বিভাগের খেতাব জিতেছিলেন আন্দ্রে আগাসি। ব্রুক শিল্ডসের সঙ্গে দু’ বছরের সম্পর্ক তখন ভেঙে গিয়েছে। আর গ্রাফ ছেড়েছেন বহুদিনের বন্ধু রেসিং কার ড্রাইভার মাইকেল বারটেলকে। ব্রুক শিল্ডস একবার আগাসিকে একটি মেয়ের ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘একে বলে পিকচার পারফেক্ট।’ ছবিটা ছিল স্টেফির। আর তখন আগাসির প্র্যাকটিস পার্টনার স্টেফি। মার্চে আগাসি প্রোপোজ করলেন গ্রাফকে। সেই প্রস্তাব ফেরাননি গ্রাফ। অবশ্য স্টেফির পিছনে অনেকদিন ধরেই পরে ছিলেন আগাসি। সালটা ১৯৯২। মেয়েদের উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন স্টেফি। ছেলেদের ফাইনালে আগাসি। ফাইনালের আগেই বন্ধুকে নিয়ে শপিং করতে বেরিয়ে পড়লেন তিনি। জ্যাকেট কিনলেন। বন্ধু তো সেলস গার্লকে বলেই দিলেন, ‘ও জিততে চায়, স্রেফ গ্রাফের সঙ্গে নাচতে পারবে বলে। আগামীকাল জেতার পর স্টেফির সঙ্গে প্রথামাফিক নাচতে হবে যে!’ জিতলেন আগাসি। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে বলরুমে গিয়ে মাথায় বজ্রাঘাত। নাচ বন্ধ। স্বপ্নভঙ্গ। পিটার গ্রাফ একবার বলেছিলেন স্টেফির সঙ্গে কোনও টেনিস খেলোয়াড়ের বিয়ে হলেই ভালো। না হলে ওকে বোঝা মুশকিল। সেটাই হল ২০০১-এর ২২ অক্টোবর। নিঃশব্দে বিয়ে করলেন স্টেফি-আগাসি। চারদিন পরেই প্রথম সন্তান জ্যাডেন গিলের জন্ম। দু’বছর পরে এল কন্যা সন্তান জ্যাজ এলি।
স্টেফি তারপর পুরোদস্তুর মা। লাস ভেগাসের বাড়িতে সন্তানদের বড় করছেন। তাঁদের স্কুলে দিয়ে আসা নিয়ে আসার কাজও নিজে করেছেন। স্বামী-সন্তানদের নিয়েই তাঁর জীবন। টেনিস থেকে কী পেলেন, প্রশ্ন করলে স্টেফির উত্তর একটাই, ‘আমার পরিবার, আমার স্বামী আর আমার সন্তান।’ ২০০৪ সালে হল অব ফেম অনুষ্ঠানে আগাসিও তাই মুক্তকণ্ঠে স্টেফির প্রশংসা করেছিলেন। আগাসি সবসময়ই বলেন, ‘আমি এই প্রার্থনাই করি, যেন ও আমাকে ছেড়ে না যায়।’
প্রচারের আড়ালেই থাকতে ভালোবাসেন স্টেফি। বরাবরই তিনি ইন্ট্রোভার্ট। হারা-জেতায় অভিব্যক্তি কম। কোনও ম্যাচ হারলে ঘর অন্ধকার করে একা সময় কাটাতেন স্টেফি। তবে মনের দিক থেকে ছিলেন ভীষণ বড়। মায়ের সঙ্গে গাড়ি করে যাওয়ার পথে এক ভিখারি স্টেফির কাছে ভিক্ষা চেয়েছিলেন। তাঁর মা বলেছিলেন, অর্থ না দিয়ে ওকে ঘরে আমন্ত্রণ কর। সেই ভিখারির জন্য নিজে রান্না করেছিলেন স্টেফি। পশু বিশেষ করে কুকুর ভীষণ প্রিয় তাঁর। নেশা ফটোগ্রাফির। এখন আশ্রয় ও সহায় সম্বলহীন শিশুদের জন্য ‘চিলড্রেন ফর টুমরো’ নামে সংস্থা তৈরি করেছেন তিনি। ৫০ বছর পূর্ণ করলেন স্টেফি। যাঁরা স্টেফির খেলা দেখেছেন, আজও তাঁকে মিস করেন। সান্ত্বনা একটাই, আমরা ভাগ্যবান, কারণ স্টেফির খেলা দেখেছি।


মোট খেতাব: ১০৭
গ্র্যান্ড স্লাম: ৩১ (ফাইনাল), ২২ (খেতাব)
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ৪, ফ্রেঞ্চ ওপেন ৬,
উইম্বলডন ৭, ইউএস ওপেন ৫
ওলিম্পিক্স: ১৯৮৮ (সোনা), ১৯৯২ (রুপো)
গোল্ডেন স্লাম: ১৯৮৮
ডাবল ব্যাগেল (৬-০, ৬-০) রেকর্ড: ২২ বার
বিশ্বের এক নম্বর ৩৭৭ সপ্তাহ
ডব্লুটিএ চ্যাম্পিয়ন: ৫ বার
ফেড কাপ-১৯৮৭, ১৯৯২
23rd  June, 2019
অচেনা কাশ্মীর
ফিরদৌস হাসান

 ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত তুষারপাত হয়েছে উপত্যকায়। সাদায় মুখ ঢেকেছিল ভূস্বর্গ। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়েছিল পর্যটনও। বরফঢাকা উপত্যকার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চায়! তাই তো জানুয়ারিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কোলাহলে উপত্যকা গমগম করছিল।
বিশদ

14th  July, 2019
জল সঙ্কট 

কল্যাণ বসু: দুধ সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, মাথায় নেহরু টুপি, গলায় মালা ঝুলিয়ে মন্ত্রী দু’হাত জোড় করে হাসিমুখে মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন। চারদিকে জয়ধ্বনি, হাততালি। মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন সবে।  বিশদ

07th  July, 2019
জগন্নাথের ভাণ্ডার
মৃন্ময় চন্দ

‘রথে চ বামনং দৃষ্ট, পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ, রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেই কেল্লা ফতে, পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। আসলে সর্বধর্মের সমন্বয়ে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি এই রথযাত্রা। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের হট প্যান্টের গা ঘেঁষে সাত হাত কাঞ্চীপূরমীয় ঘোমটা টানা অসূর্যমপশ্যা দ্রাবিড়ীয় গৃহবধূও শামিল হন রথের রশি ধরতে। অর্কক্ষেত্র, শঙ্খক্ষেত্র আর শৈবক্ষেত্রের সমাহারে সেই মিলন মহানের সুরটিই সতত প্রতিধ্বনিত নীলাচলে। তাই নীলাচলপতির দর্শনে অক্ষয় বৈকুণ্ঠ লাভের আশায় ভিড়ের ঠেলায় গুঁতো খেতে খেতে চলেন সংসার-বঞ্চিত বাল্যবিধবারা। একই মনোবাসনা নিয়ে চলেছেন অন্ধ, চলেছেন বধির, চলেছেন অথর্ব।
বিশদ

30th  June, 2019
বাঙালি জীবনের গল্পই ছিল তাঁর ছবির বিষয় 
রঞ্জিত মল্লিক

ঢুলুদার সঙ্গে কাজ করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। অমন রসিক মানুষ খুব কমই দেখেছি। মৃণাল সেন কিংবা সত্যজিৎ রায়ের মধ্যেও আমি রসবোধ দেখেছি। কিন্তু ঢুলুদার রসবোধ তুলনাহীন। 
বিশদ

16th  June, 2019
শতবর্ষে স্রষ্টা 
সন্দীপন বিশ্বাস

সবাই তাঁকে চেনেন ঢুলুদা নামে। পোশাকি নাম অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। সেই মানুষটির হাত দিয়ে বেরিয়েছিল ‘আহ্বান’, ‘অগ্নীশ্বর’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’-এর মতো অমর ছবি। আগামী মঙ্গলবার, ১৮ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ।  
বিশদ

16th  June, 2019
ধ্বংসের প্রহর গোনা 
মৃন্ময় চন্দ

আরও একটা বিশ্ব পরিবেশ দিবস গেল। অনেক প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি...। কিন্তু দূষণ বা অবৈজ্ঞানিক নির্মাণ কি কমছে? উদাসীনতায় আজ ধ্বংসের মুখে যে এরাজ্যের সমুদ্রতটও! 
বিশদ

09th  June, 2019
বিরাট সম্ভাবনা ভারতের

রাতুল ঘোষ: প্রায় দেড় মাসব্যাপী সাত দফার লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা হয়েছে। অতঃপর পরবর্তী দেড় মাস আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী ভারতবর্ষের সোয়াশো কোটি জনগণ আন্দোলিত হবেন দ্বাদশ আইসিসি বিশ্বকাপ ঘিরে।
বিশদ

02nd  June, 2019
মোদি ম্যাজিক
সমৃদ্ধ দত্ত

আর নিছক জয় নয়। দেখা যাচ্ছে জয় খুব সহজ তাঁর কাছে। ২০ বছর ধরে কখনও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, কখনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে জিতেই চলেছেন। সুতরাং ওটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। তাহলে এরপর টার্গেট কী? সম্ভবত ইতিহাস সৃষ্টি করা। এক রেকর্ড সৃষ্টি করাই লক্ষ্য হবে নরেন্দ্র মোদির। কিসের রেকর্ড?
বিশদ

26th  May, 2019
ভোটের ভারত 

রাত নামল দশাশ্বমেধ ঘাটে। অন্ধ ভিক্ষুককে প্রতিবন্ধী ফুলবিক্রেতা এসে বলল, চলো ভান্ডারা শুরু হয়েছে। ফুল বিক্রেতার হাত ধরে অন্ধ ভিক্ষুক এগিয়ে গেল বিশ্বনাথ গলির দিকে। পোস্টার, ফ্লেক্স, টিভি চ্যানেল আর সভামঞ্চ থেকে মুখ বাড়িয়ে এসব দেখে গোপনে শ্বাস ফেলল ভোটের ভারত! যে ভারত ঘুরে দেখলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
 
বিশদ

19th  May, 2019
মাসুদনামা

অবশেষে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। ভারতের কূটনীতির কাছে পরাস্ত চীন এবং পাকিস্তান। কীভাবে উত্থান হল তার? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে মোদির লাভই বা কতটা হল? লিখলেন শান্তনু দত্তগুপ্ত
বিশদ

12th  May, 2019
কবিতর্পণ 

তিনি রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী। জোড়াসাঁকো ও শান্তিনিকেতনে শৈশব কাটানোর সুবাদে কবিগুরুকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। যদিও শৈশবের বেশিরভাগ স্মৃতিই কালের নিয়মে ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরণে। তবুও স্মৃতির সরণিতে কিছু ঘটনা ইতিউতি উঁকি মেরে যায়। একসময়ে নিজে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের মতো পরিচালকদের ছবিতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চেও। আজ তিনি অশীতিপর। আরও একটি পঁচিশে বৈশাখের আগে ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্মিতা সিংহের কবিতর্পণের সাক্ষী থাকলেন বর্তমানের প্রতিনিধি অয়নকুমার দত্ত। 
বিশদ

05th  May, 2019
চিরদিনের সেই গান
শতবর্ষে মান্না দে 
হিমাংশু সিংহ

২৫ ডিসেম্বর ২০০৮। কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহ। একসঙ্গে আসরে প্রবাদপ্রতিম দুই শিল্পী। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত মান্না দে ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একজনের বয়স ৮৯ অন্য জনের ৭৭। মঞ্চে দুই মহান শিল্পীর শেষ যুগলবন্দি বলা যায়।  
বিশদ

28th  April, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
একনজরে
 সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: কাজ করার জন্য প্রয়োজন মতো পাইপ কিনতে হবে। তবে তা কিনে ফেলে রাখা যাবে না বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সব এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে প্রতি মাসে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে রিপোর্ট ...

কাবুল, ১৯ জুলাই (এএফপি): কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক বিস্ফোরণে কমপক্ষে আটজন প্রাণ হারালেন। ঘটনায় আরও বহু মানুষ জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সরকারি ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: গ্রামের একমাত্র জল নিকাশির জায়গায় রাইসমিল গড়ে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার রামপুরহাট-১ ব্লকের খরুণ গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানালেন তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এই ব্লকের চাকপাড়া, মালসা ও ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফিবছর বর্ষার সময় আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় থাকি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শনিবার দুপুরে পাঁচলার গাববেড়িয়ায় টোটো ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক শিশুর। তার নাম আমিরুদ্দিন শাহ (৭)। বাড়ি সিদ্ধেশ্বরী সাহাপাড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ওই শিশুটি মায়ের সঙ্গে একটি টোটোয় মাজারে যাচ্ছিল। তখন একটি লরি ওই টোটোয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২০: মা সারদার মৃত্যু
১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম
১৮৯৯: লেখক বনফুল তথা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার বিনির জন্ম
২০১২: বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আহমেদের মূত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৯২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,৪৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ১০/১৮ দিবা ৯/১৪। শতভিষা অহোরাত্র। সূ উ ৫/৬/৩, অ ৬/১৯/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪০ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬ গতে উদয়াবধি।
৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ৪/২৪/৪ দিবা ৬/৫১/২। শতভিষানক্ষত্র ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৫/৫/২৪, অ ৬/২১/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে, বারবেলা ১/২৩/১৫ গতে ৩/২/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৪/৫৮ মধ্যে ও ৪/৪২/২৩ গতে ৬/২১/৫৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪২/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৪/৫৮ গতে ৫/৫/৪১ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: সম্পত্তি লাভের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২০: মা সারদার মৃত্যু১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ...বিশদ

07:03:20 PM

একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলের প্রস্তুতি পর্ব ...বিশদ

05:54:05 PM

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বৈঠক, মিলল না রফাসূত্র

05:05:54 PM

ইন্দোনেশিয়া ওপেন: চেন ইউ ফেইকে হারিয়ে ফাইনালে পি ভি সিন্ধু 

04:32:32 PM

শীলা দীক্ষিত প্রয়াত 
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। ...বিশদ

04:12:00 PM