Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

কবিতর্পণ 

তিনি রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্রী। জোড়াসাঁকো ও শান্তিনিকেতনে শৈশব কাটানোর সুবাদে কবিগুরুকে খুব সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর। যদিও শৈশবের বেশিরভাগ স্মৃতিই কালের নিয়মে ঢাকা পড়েছে ধুলোর আস্তরণে। তবুও স্মৃতির সরণিতে কিছু ঘটনা ইতিউতি উঁকি মেরে যায়। একসময়ে নিজে অভিনয় করেছেন সত্যজিৎ রায়, তপন সিংহের মতো পরিচালকদের ছবিতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছেন মঞ্চেও। আজ তিনি অশীতিপর। আরও একটি পঁচিশে বৈশাখের আগে ঠাকুরবাড়ির কন্যা স্মিতা সিংহের কবিতর্পণের সাক্ষী থাকলেন বর্তমানের প্রতিনিধি অয়নকুমার দত্ত।

‘হাবলুবাবুর মন পাব বলে
করি চকোলেট আমদানি।
আজ শুধু মোর নাম দিয়ে
সাজালেম তার নামদানি।’
এতগুলো দশক পেরিয়ে গিয়েছে, তবুও ওই কটা লাইন আজও ভুলিনি। কারণ, আমার দাদার অটোগ্রাফের খাতায় ওই মজার লাইনগুলো লিখে দিয়েছিলেন আমাদের ‘কত্তাবাবা’ অর্থাৎ স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমরা ঠাকুর পরিবারের ‘পুতি’রা তাঁকে কত্তাবাবা বলেই ডাকতাম। কত্তাবাবা যখন মারা যান, তখন আমার বয়স মাত্র সাত-সাড়ে সাত বছর। তাই ওই ছোট বয়সের সব কথা যেমন আজ মনে নেই, তেমনই রবীন্দ্রনাথ কী সেটা উপলব্ধি করার বয়সও সেটা ছিল না। যখন উপলব্ধি করতে পেরেছি রবীন্দ্রনাথ আসলে কী, তখন অনেকগুলো দিন পেরিয়ে গিয়েছে। তাই আজও আফশোস হয় কত্তাবাবার সঙ্গে যে দিনগুলো কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল, যে পুণ্য বলে তাঁকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম, সেই সময় বয়সটা যদি আরও একটু বেশি হতো, তাহলে হয়তো বিশ্বকবির প্রতিভার সম্যক ধারণা করতে পারতাম। অন্তত এটুকু বুঝতে পারতাম রবীন্দ্রনাথ আসলে কী!
দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মেজছেলে অরুণেন্দ্রনাথ। তাঁর ছেলে অজীন্দ্রনাথ আমার বাবা। মা অমিতা ঠাকুর। আমি দাদার থেকে সাত বছরের ছোট ছিলাম। দাদা জোড়াসাঁকোতে জন্মালেও আমার জন্ম হয়েছিল ধর্মতলা স্ট্রিটে দিদিমার বাড়িতে। মায়ের কাছে শুনেছি, আমার জন্মের পর রবীন্দ্রনাথকে ঘিরে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল। জন্মের পর দেখা গেল, আমার গায়ের রঙটা একটু ময়লা। ব্যাপারটা জোড়াসাঁকোর বাড়িতেও রটে গেল যে, অমিতার মেয়ে কালো হয়েছে। কথাটা কোনওভাবে কত্তাবাবার কানেও উঠেছিল। এরপর মা যখন আমাকে মামাবাড়ি থেকে নিয়ে জোড়াসাঁকোয় ফিরলেন, তখন নাকি রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘অমিতা, তোর মেয়েকে নিয়ে আয় তো, দেখি, শুনছি নাকি কালো হয়েছে।’ মা যখন আমাকে নিয়ে গেলেন উনি দেখে নাকি বলেছিলেন, ‘এ কালো কোথায়? এ তো উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা।’ কৈশোরেই মায়ের কাছে এই গল্পটা শুনেছিলাম। তাই দাদা যখন আমাকে ‘কালো’ বলে রাগাত, আমি বলতাম, আমি মোটেও কালো নই। কারণ স্বয়ং কত্তাবাবা বলে গিয়েছেন, আমি উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা। তখন উজ্জ্বল শ্যামবর্ণার অর্থ কিন্তু পুরোপুরি বুঝতাম না।
১৯৪৫ সাল পর্যন্ত আমার জীবনের বিভিন্ন সময় কলকাতা আর শান্তিনিকেতনের মধ্যে কেটেছে। এর মধ্যে কখনও শান্তিনিকেতনে পড়েছি, আবার কখনও কলকাতার স্কুলে পড়েছি। ’৪৫-এর পর আমার পরিবার পাকাপাকিভাবে জোড়াসাঁকোয় চলে আসে। আর আমিও কলকাতার স্কুলে স্থায়ীভাবে ভর্তি হয়ে যাই। এরপর আর উৎসব-অনুষ্ঠান ছাড়া শান্তিনিকেতন যাওয়া হতো না। যদিও ওখানে গুরুপল্লিতে আমার দিদিমার একটি বাড়ি ছিল। শান্তিনিকেতনে ক্ষিতীশদা, তেজেশদারা পড়াতেন মনে পড়ে। অমর্ত্য সেন শৈশবে আমার সহপাঠী ছিলেন। সেই সময়কার স্মৃতি হাতড়ে আবছা মনে পড়ে উদয়ন বাড়ির বারান্দায় রবীন্দ্রনাথ বসে রয়েছেন। আমরা দর্শক আসনে রয়েছি। কয়েকজন মেয়ে নাচছে। হয়তো কোনও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করা হচ্ছিল। কিন্তু কোন নৃত্যনাট্য, সেটা এত বছর পর আর মনে নেই।
তবে, স্মৃতিতে বেশ উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে পুপে পিসির বিয়ের অনুষ্ঠান। পুপে অর্থাৎ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দত্তক কন্যা নন্দিনী। পুপে পিসির জন্মদাতা বাবা-মা ছিলেন গুজরাতি। তবে, রথীদাদা ও প্রতিমা দিদার কাছে মানুষ হওয়ায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন আমাদের পরিবারেরই একজন। ছিলেন কত্তাবাবার অত্যন্ত স্নেহধন্যা। তাঁর বিয়ে হয়েছিল বম্বের বিখ্যাত খাটাও পরিবারের সঙ্গে। যদিও বড় হয়ে শুনেছিলাম, এই বিয়েতে রবীন্দ্রনাথের অমত ছিল। যাক সে অন্য প্রসঙ্গ। পুপে পিসির বিয়ে হয় শান্তিনিকেতনে। আমাদের ‘সুরপুরী’ বাড়ি বরযাত্রীদের জন্য ছেড়ে দিয়ে আমরা গিয়ে উঠেছিলাম ‘পুনশ্চ’ বাড়িতে। যে ঘরে রিহার্সাল হতো সেই বড় ঘরে বসেছিল বিয়ের আসর। রবীন্দ্রনাথ কন্যা সম্প্রদান করেছিলেন। পুপে পিসির কথায় একটা গল্প মনে পড়ে গেল। ওঁর জন্মদিনে রথীদাদা একটা খেলনা স্টিমার তৈরি করেছিলেন। যেটা লেকে ছাড়ার পর ‘অটোমেটিক’ চলছিল। এই দেখে আমরা শিশুভবনের খুদেরা খুব খুশি হয়েছিলাম। এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, আমাদের ঠাকুর পরিবারে ঠাকুরদা, ঠাকুরমা বলার রীতি ছিল না। আমরা দাদামশায় আর দিদিমা বলতেই অভ্যস্ত ছিলাম। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন আমার বাবার ছোট ঠাকুরদা, তাই তিনি তাঁকে রবিদাদা বলে ডাকতেন। মা অবশ্য আইবুড়ো বেলা থেকেই তাঁকে দাদামশাই বলে ডাকতেন। আসলে আমার দাদু অজিত চক্রবর্তী ছিলেন শান্তিনিকেতনের ইংরেজির শিক্ষক। যদিও তিনি খুব অল্প বয়েসে মারা যান। আমার বাবা-মায়ের বিয়ে কত্তাবাবারই উদ্যোগে হয়েছিল।
শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন স্মৃতিগুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘শ্যামলী’ বাড়িতে যখন রবীন্দ্রনাথ থাকতেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন গান্ধীজি। রবীন্দ্রনাথ-গান্ধী বোঝার মতো বয়স না হলেও মনে আছে, আমরা দু’পাশে লাইন করে দাঁড়িয়েছিলাম গান্ধীজি এলেন।
কত্তাবাবা দাদার অটোগ্রাফ খাতার নাম দিয়েছিলেন ‘নামদানি’, সেই ঘটনা দিয়েই গল্প বলা শুরু করেছিলাম। এ প্রসঙ্গে আর একটা মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমার দাদার ডাক নাম ছিল হাবলু, ভালো নাম অভীন্দ্র। ও যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে ঠেলে দিত। রবীন্দ্রনাথ যখন পুনশ্চ বাড়িতে ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কলকাতার আর্চ বিশপ দেখা করতে গিয়েছিলেন। আমি কত্তাবাবার পাশে বসে থাকা আর্চ বিশপের অটোগ্রাফ নিয়ে এসেছিলাম দাদার জন্য। উনি অটোগ্রাফে লিখেছিলেন ‘ক্যালকাটা ফস’।
যখন রবীন্দ্রনাথ ‘উদীচী’ বাড়িতে থাকতেন, তখন মা প্রতিদিন সন্ধেবেলা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন এবং প্রণাম করে আসতেন আমার স্পষ্ট মনে আছে। দাদা একদিনও না গেলেও ওই সময়গুলোয় আমিই মায়ের সঙ্গী হতাম। আমিও মায়ের দেখাদেখি কত্তাবাবাকে প্রণাম করে আসতাম। ওঁর পাশে বাচ্চার দেওয়ার জন্য বয়েমে লজেন্স রাখা থাকত। আমি প্রণাম করার পরই উনি আমার হাতে দুটো করে লজেন্স দিতেন আর বলতেন, ‘এটা তোর জন্য।’ তারপর আরও দুটো লজেন্স দিয়ে বলতেন, ‘এটা দাদাকে দিবি।’
বীরভূমে তো প্রচণ্ড গরম পড়ে তাই রবীন্দ্রনাথের আমল থেকেই শান্তিনিকেতনে পয়লা বৈশাখ কত্তাবাবার জন্মদিন পালন হয়। সেই ধারা আজও বিশ্বভারতীতে অক্ষুণ্ণ। কত্তাবাবার দু’-একটা জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আবছা স্মৃতি আজও মনে পড়ে। রবীন্দ্রনাথকে যেমন কালো জোব্বাতে আমরা দেখে অভ্যস্ত, সেটা কোনও বিশেষ অতিথি এলে বা শীতকালে পরতেন। এমনিতে বাড়িতে ঝুলওয়ালা পাঞ্জাবি ও লুঙ্গির মতো পোশাক পরতেন। পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিলে করা পাঞ্জাবি, কোচানো ধুতি, উত্তরীয় এবং মালা ও চন্দনে কবি সাজতেন। উপাসনা করতেন, আম্রকুঞ্জে পাঠ করতেন। অনুষ্ঠান শেষে বকুলতলায় শালপাতা পেতে সকলকে বোঁদে, ভেজানো মুগ আর শরবত খাওয়ানো হতো।
১৯৪০ ও ’৪১- এই দু’বছর আমার কলকাতাতেই কেটেছিল। আর শান্তিনিকেতন যাওয়া হয়নি। এই সময় কিছু সময়ের জন্য কত্তাবাবাকে জোড়াসাঁকোর বাড়িতেও পেয়েছি। ওই সময় ভিক্টোরিয়া স্কুলে আমি পড়তাম। ক্লাস টু’য়ে পড়ার সময় শিশু কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা বলে আমি স্কুলে ফার্স্ট হয়েছিলাম। তখন কত্তাবাবা জোড়াসাঁকোতেই ছিলেন। কোন কবিতাটা বলেছিলাম ঠিক মনে পড়ছে না। যাই হোক, স্কুল থেকে ফেরার পর মা বলেছিলেন, ওঁকে প্রণাম করে খবরটা দিয়ে আসতে। আমি যখন ফার্স্ট হওয়ার খবর দিলাম, উনি আমাকে আদর করে বলেছিলেন, ‘তাই বুঝি!’ ওইটুকু বয়সে তো রবীন্দ্রনাথের মাহাত্ম্য বুঝতে পারতাম না। শুধু এটুকু বুঝতাম, কত্তাবাবা আমাদের পরিবারের একজন গুরুজন। উনি অনেক লেখালিখি করেন। ওঁর কবিতা স্কুলে পড়ি, ওঁর গান গাই। এই আফশোসের কথা তো আগেই বলেছি। আরও একটা আফশোস আমার সারা জীবন থাকবে, সেটা আমার নামটা ওঁর দেওয়া নয়। বড় হয়ে মাকে বলতাম, উনি এতো লোকের নামকরণ করেছেন, আর আমার নামটা তুমি কত্তাবাবাকে দিয়ে দেওয়াতে পারলে না? মায়ের কাছে শুনেছি, উনি আমার নামকরণের জন্য রুচিকা সহ আরও দু’-একটা নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু মায়ের পছন্দ ছিল ‘রঞ্জনা’ নামটা। এটা শুনে কত্তাবাবা বলেছিলেন, ‘রঞ্জনা রাখতে পারিস। তবে, শব্দটা অভিধানগত সিদ্ধ নয়। আসলে রঞ্জনের স্ত্রীলিঙ্গ রঞ্জিনী হয়।’ যদিও পরে ভিক্টোরিয়া স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় আমার বাবা-ই নাম লিখে দিয়েছিলেন স্মিতা ঠাকুর।
আমরা যখন জোড়াসাঁকোয় বড় হচ্ছি, তখন ঠাকুরবাড়ির সেই ভরাট সংসার নেই। তখন ওই বাড়িতে অর্থাৎ ৬ নম্বর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রনাথ ও হেমেন্দ্রনাথের পরিবার থাকত। তখনও এই বাড়ি ‘মহর্ষিভবন’ বলে পরিচিতি লাভ করেনি। আর ৫ নম্বর বাড়ি অর্থাৎ যেটা দ্বারকানাথের ‘বৈঠকখানা বাড়ি’ বলে পরিচিত ছিল সেই বাড়িতে থাকত অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ ও সমরেন্দ্রনাথের পরিবার। ৬ নম্বর বাড়ি ছিল ব্রাহ্ম মতালম্বী আর ৫ নম্বর বাড়ি ছিল হিন্দু মতালম্বী। তবে, এর জন্য আত্মীয়তা বা যোগাযোগে কোনও খামতি ছিল না। আমরা ছোটবেলায় ৫ নম্বর বাড়িতে খেলতে যেতাম। অবন ঠাকুরের হাতে সাজানো ছবির মতো বাড়ি ছিল। পরে ওই বাড়ি যখন বিক্রি হয়ে যায়, চোখের সামনে অমন সাজানো বাড়ি ভাঙতে দেখেছি। সে যে কী কষ্টের দিন!
যাই হোক কত্তাবাবার প্রসঙ্গে ফিরে আসি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিন অর্থাৎ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্টের ঘটনা এখনও স্পষ্ট মনে আছে। সেই দিনটা হয়তো জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনে রাখব। সেটা একদিকে যেমন রবীন্দ্রনাথের মৃত্যু, তেমনই আমার জীবনে দেখা প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। অসুস্থ রবীন্দ্রনাথকে কলকাতায় আনা হল। কার্যত কত্তাবাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে অস্ত্রোপচারও করা হয়। ওই সময়গুলোতে প্রতিমা দেবী, রানি চন্দ, বুড়ি পিসি অর্থাৎ মীরা দেবীর মেয়ে নন্দিতা কৃপালিনী সব সময় তাঁর পাশে থেকেছেন। নাতনি অর্থাৎ বুড়ি পিসিকে কত্তাবাবা মজা করে ‘বৃদ্ধা’ বলে ডাকতেন। আমার মাও কাজ সামলে যেতেন কত্তাবাবার সেবা করতে। মনে আছে, অসুস্থ ছোটভাইকে দেখতে এসেছিলেন বর্ণকুমারী দেবী। গরদের শাড়ি পরা ছোট্টখাট্ট একজন মানুষ।
৭ আগস্ট ঠাকুরবাড়ির কোনও বাচ্চা স্কুলে যায়নি। ব্যতিক্রম আমি। আমাকে স্কুলবাসে তুলে দেওয়া হল। সেই সময় রেডিও বুলেটিনে রবীন্দ্রনাথের স্বাস্থ্যের অবস্থার কথা জানানো হতো। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে যখন তাঁর মৃত্যুসংবাদ সম্প্রচারিত হল, সঙ্গে সঙ্গে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হল। কলকাতায় তখন এত জনসংখ্যা নয়, তাতেও কাতারে কাতারে মানুষ জোড়াসাঁকোর দিকে হাঁটা লাগিয়েছেন। স্কুলবাস হ্যারিসন রোড দিয়ে নাখোদা মসজিদ পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল। তারপর বাসের অ্যাটেন্ডেন্ট মঙ্গলদা আমার হাত ধরে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। বাড়ির সামনে লোকারণ্য। পুলিস নেমেছে। বিচিত্রা বাড়ির গেট বন্ধ, দেউড়ির গেট বন্ধ। এমনকী, ৫ নম্বর বাড়ির লোহার গেট দুটোও বন্ধ। মঙ্গলদা পরিচয় দিচ্ছেন, এ ঠাকুর বাড়ির মেয়ে তাতেও গেট খোলার কেউ নেই। শান্তিনিকেতনে থাকার সময় প্রচুর আম-জাম গাছে উঠেছি। সেই বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে ৫ নম্বর বাড়ির বড় গেট পেরিয়ে ওদের বাড়িতে ঢুকি। ৫ নম্বর আর ৬ নম্বর বাড়ির মাঝখানে লোহার রেলিং ছিল। তার মধ্যে বাগানের কাছে একটা রেলিং ভাঙা ছিল। সেটা জানতাম। সেই ভাঙা রেলিং গলে বাড়ি পৌঁছেছিলাম। মা শেষবারের জন্য কত্তাবাবাকে প্রণাম করার জন্য দোতলার ঘরে নিয়ে গিয়েছিল। খাটে শোওয়ানো কত্তাবাবার দেহ। চন্দন আর বড় মালা পরানো। বুড়ি পিসি হাঁটুতে মাথা গুঁজে মেঝেতে বসে রয়েছেন। এদিকে বাইরে হট্টগোল। চিৎকার হচ্ছে, ‘রবীন্দ্রনাথ কি শুধু আপনাদের একার?’ জনতার কাছে গুজব রটেছে, কবির মরদেহ গোপনে শান্তিনিকেতনে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করা হবে। আসলে কবিকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবনীন্দ্রনাথ ও নন্দলাল বসু নতুন খাট তৈরি করাচ্ছিলেন।
কিন্তু, জনতার তর সইল না। হঠাৎ, ধড়মড় করে আওয়াজ। ভেঙে গেল বিচিত্রা বাড়ির গেট। উন্মত্ত জনতা দোতলায় উঠে এল। আবার জোরে আওয়াজ। ভেঙে গেল একপাশের কাঠের সিঁড়ির রেলিং। জনতাই ঘর থেকে কবির দেহ তুলে নিয়ে শ্মশানের দিকে রওনা দেয়। আমাদের পরিবারের কেউ কিচ্ছু করতে পারেনি। দোতলা থেকে আমার নিজের চোখে দেখা, একতলায় নামানোর পর ভিড়ের চাপে রবীন্দ্রনাথের মাথা বালিশ থেকে শানের মেঝেতে আছড়ে পড়ল। কবির স্মৃতি নিজের কাছে রাখার জন্য লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে চুল, দাড়ি ছিঁড়ে নিচ্ছিল। অনেকে এই ঘটনাটাকে মিথ ভাবেন, কিন্তু এটা একদম সত্যি ঘটনা। জনতার ভিড়ে রথীদাদা নিমতলা পর্যন্ত যেতে পারেননি। এমনিতেই উনি একটু নার্ভাস প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। উনি হেঁটে যেতে চেয়েছিলেন। সকলে বোঝান, পদপিষ্ট হয়ে যাবেন। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতি সুবীরেন্দ্রনাথ নৌকা করে নিমতলায় আগে থেকে পৌঁছে গিয়েছিলেন, উনিই কত্তাবাবার মুখাগ্নি করেন। তাই শান্তিনিকেতনে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে রথীদাদার সঙ্গে সুবীরেন্দ্রনাথকেও বসতে হয়েছিল।
কত্তাবাবার মৃত্যুর পর শান্তিনিকেতনে একটা ঘটনা চাক্ষুস করেছিলাম। সেটা বলেই গল্প শেষ করব। তার আগে মায়ের কাছ থেকে শোনা একটা গল্প বলি। আমার জন্মের আগের একটা ঘটনা। ‘তপতী’ নাটকে সুমিত্রার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমার মা। আর রাজার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। মায়ের কাছে শুনেছিলাম, রিহার্সালে কারও আসতে দেরি হলেই কত্তাবাবা টেনশনে খালি দাড়িতে হাত বোলাতেন। আর ওঁর পার্টের সংলাপগুলো লেখা অংশের থেকে বিস্তর বাড়িয়ে, নতুন অংশ যোগ করে বলতেন। তবে, উল্টোদিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যাতে বিপদে না পড়েন, তার জন্য স্ক্রিপ্টের শেষ লাইন যেমন থাকত, ঠিক সেই জায়গায় নিয়ে এসে শেষ করতেন। যাই হোক যে ঘটনাটা বলব বললাম। কত্তাবাবা উদীচী বাড়িতে থাকার সময় লালু নামে একটা কুকুর ওখানেই খেত, থাকত। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর আমরা শান্তিনিকেতনে যখন ফিরে গেলাম, তখন লালু আমাদের বাড়িতেই থাকত। একদিন আমার বাবা গ্রামাফোনে কত্তাবাবার নিজের গলায় রেকর্ড করা একটা আবৃত্তি শুনছিলেন। দেখি, লালু বারান্দায় উঠে এসে চুপ করে গ্রামাফোনের মাইকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। অবিকল ‘হিজ মাস্টারজ ভয়েজ’ (এইচএমভি)-এর লোগোর কুকুরটার মতো।
আজ আমার ছোটবেলায় দেখা শান্তিনিকেতনও সেই রকম নেই। আর জোড়াসাঁকোর বাড়ি তো এখন ইউনিভার্সিটি। তবে, আমার শৈশবে দেখা কত্তাবাবার স্মৃতি আজও মনের মণিকোঠায় অমলিন।
গ্রাফিক্স  সোমনাথ পাল
সহযোগিতায়  স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
05th  May, 2019
অচেনা কাশ্মীর
ফিরদৌস হাসান

 ২০১৪ সালের পর এই প্রথম এত তুষারপাত হয়েছে উপত্যকায়। সাদায় মুখ ঢেকেছিল ভূস্বর্গ। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়েছিল পর্যটনও। বরফঢাকা উপত্যকার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ কে-ই বা হাতছাড়া করতে চায়! তাই তো জানুয়ারিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কোলাহলে উপত্যকা গমগম করছিল।
বিশদ

14th  July, 2019
জল সঙ্কট 

কল্যাণ বসু: দুধ সাদা ধুতি পাঞ্জাবি, মাথায় নেহরু টুপি, গলায় মালা ঝুলিয়ে মন্ত্রী দু’হাত জোড় করে হাসিমুখে মঞ্চের দিকে যাচ্ছেন। চারদিকে জয়ধ্বনি, হাততালি। মঞ্চে উঠে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মন্ত্রী বলতে শুরু করেছেন সবে।  বিশদ

07th  July, 2019
জগন্নাথের ভাণ্ডার
মৃন্ময় চন্দ

‘রথে চ বামনং দৃষ্ট, পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে’। অর্থাৎ, রথের রশি একবার ছুঁতে পারলেই কেল্লা ফতে, পুনর্জন্ম থেকে মুক্তি। আসলে সর্বধর্মের সমন্বয়ে বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এক মূর্ত প্রতিচ্ছবি এই রথযাত্রা। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের হট প্যান্টের গা ঘেঁষে সাত হাত কাঞ্চীপূরমীয় ঘোমটা টানা অসূর্যমপশ্যা দ্রাবিড়ীয় গৃহবধূও শামিল হন রথের রশি ধরতে। অর্কক্ষেত্র, শঙ্খক্ষেত্র আর শৈবক্ষেত্রের সমাহারে সেই মিলন মহানের সুরটিই সতত প্রতিধ্বনিত নীলাচলে। তাই নীলাচলপতির দর্শনে অক্ষয় বৈকুণ্ঠ লাভের আশায় ভিড়ের ঠেলায় গুঁতো খেতে খেতে চলেন সংসার-বঞ্চিত বাল্যবিধবারা। একই মনোবাসনা নিয়ে চলেছেন অন্ধ, চলেছেন বধির, চলেছেন অথর্ব।
বিশদ

30th  June, 2019
স্টেফির হাফ সেঞ্চুরি
প্রীতম দাশগুপ্ত

 মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, ক্রিস এভার্টরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই শুরু করেছেন তখন। ঠিক একই সময়ে জার্মানির অখ্যাত শহর ব্রুয়ে বেড়ে উঠছিল স্টিফানি মারিয়া গ্রাফ। ১৯৬৯ সালের ১৪ জুন জার্মানির ম্যানহাইনে জন্ম স্টিফানির। মেয়ের দুষ্টুমি বন্ধের দাওয়াই হিসেবে স্টিফানির বাবা পিটার তার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন একটা পুরনো টেনিস র‌্যাকেট।
বিশদ

23rd  June, 2019
বাঙালি জীবনের গল্পই ছিল তাঁর ছবির বিষয় 
রঞ্জিত মল্লিক

ঢুলুদার সঙ্গে কাজ করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। অমন রসিক মানুষ খুব কমই দেখেছি। মৃণাল সেন কিংবা সত্যজিৎ রায়ের মধ্যেও আমি রসবোধ দেখেছি। কিন্তু ঢুলুদার রসবোধ তুলনাহীন। 
বিশদ

16th  June, 2019
শতবর্ষে স্রষ্টা 
সন্দীপন বিশ্বাস

সবাই তাঁকে চেনেন ঢুলুদা নামে। পোশাকি নাম অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়। সেই মানুষটির হাত দিয়ে বেরিয়েছিল ‘আহ্বান’, ‘অগ্নীশ্বর’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘মৌচাক’-এর মতো অমর ছবি। আগামী মঙ্গলবার, ১৮ জুন তাঁর জন্মশতবর্ষ।  
বিশদ

16th  June, 2019
ধ্বংসের প্রহর গোনা 
মৃন্ময় চন্দ

আরও একটা বিশ্ব পরিবেশ দিবস গেল। অনেক প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি...। কিন্তু দূষণ বা অবৈজ্ঞানিক নির্মাণ কি কমছে? উদাসীনতায় আজ ধ্বংসের মুখে যে এরাজ্যের সমুদ্রতটও! 
বিশদ

09th  June, 2019
বিরাট সম্ভাবনা ভারতের

রাতুল ঘোষ: প্রায় দেড় মাসব্যাপী সাত দফার লোকসভা নির্বাচন পর্ব শেষ। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা হয়েছে। অতঃপর পরবর্তী দেড় মাস আসমুদ্রহিমাচলব্যাপী ভারতবর্ষের সোয়াশো কোটি জনগণ আন্দোলিত হবেন দ্বাদশ আইসিসি বিশ্বকাপ ঘিরে।
বিশদ

02nd  June, 2019
মোদি ম্যাজিক
সমৃদ্ধ দত্ত

আর নিছক জয় নয়। দেখা যাচ্ছে জয় খুব সহজ তাঁর কাছে। ২০ বছর ধরে কখনও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, কখনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে জিতেই চলেছেন। সুতরাং ওটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। তাহলে এরপর টার্গেট কী? সম্ভবত ইতিহাস সৃষ্টি করা। এক রেকর্ড সৃষ্টি করাই লক্ষ্য হবে নরেন্দ্র মোদির। কিসের রেকর্ড?
বিশদ

26th  May, 2019
ভোটের ভারত 

রাত নামল দশাশ্বমেধ ঘাটে। অন্ধ ভিক্ষুককে প্রতিবন্ধী ফুলবিক্রেতা এসে বলল, চলো ভান্ডারা শুরু হয়েছে। ফুল বিক্রেতার হাত ধরে অন্ধ ভিক্ষুক এগিয়ে গেল বিশ্বনাথ গলির দিকে। পোস্টার, ফ্লেক্স, টিভি চ্যানেল আর সভামঞ্চ থেকে মুখ বাড়িয়ে এসব দেখে গোপনে শ্বাস ফেলল ভোটের ভারত! যে ভারত ঘুরে দেখলেন সমৃদ্ধ দত্ত।
 
বিশদ

19th  May, 2019
মাসুদনামা

অবশেষে আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। ভারতের কূটনীতির কাছে পরাস্ত চীন এবং পাকিস্তান। কীভাবে উত্থান হল তার? রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে মোদির লাভই বা কতটা হল? লিখলেন শান্তনু দত্তগুপ্ত
বিশদ

12th  May, 2019
চিরদিনের সেই গান
শতবর্ষে মান্না দে 
হিমাংশু সিংহ

২৫ ডিসেম্বর ২০০৮। কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহ। একসঙ্গে আসরে প্রবাদপ্রতিম দুই শিল্পী। পদ্মভূষণ ও দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত মান্না দে ও গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একজনের বয়স ৮৯ অন্য জনের ৭৭। মঞ্চে দুই মহান শিল্পীর শেষ যুগলবন্দি বলা যায়।  
বিশদ

28th  April, 2019
রাজনীতির ভাগ্যপরীক্ষা
আকাশদীপ কর্মকার

 এই মুহূর্তে দেশের রাজনীতিতে মুখ্য আলোচিত বিষয় লোকসভা নির্বাচন। রাজনীতিকদের ভাগ্যপরীক্ষা। এই নির্বাচনে দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শক্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভাগ্য পরীক্ষা দেশের হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদেরও।
বিশদ

21st  April, 2019
প্রতীক বদলে ডিজিটাল ছোঁয়া
দেবজ্যোতি রায়

সাহিত্য বা লেখালিখিতে সর্বদা সময়ের দাবিই উঠে আসে। প্রতিফলিত হয় তৎকালীন সময়ের পটভূমি, চরিত্র, চিত্রায়ন। অতীতেও হয়েছে, আধুনিক বা নব্য আধুনিক যুগও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে আধুনিক সাহিত্য বা পটভূমির একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম।
বিশদ

21st  April, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: গ্রামের একমাত্র জল নিকাশির জায়গায় রাইসমিল গড়ে তোলার প্রতিবাদে শুক্রবার রামপুরহাট-১ ব্লকের খরুণ গ্রাম পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানালেন তিনটি গ্রামের বাসিন্দারা। এই ব্লকের চাকপাড়া, মালসা ও ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ফিবছর বর্ষার সময় আমরা খুবই দুশ্চিন্তায় থাকি।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: শনিবার দুপুরে পাঁচলার গাববেড়িয়ায় টোটো ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক শিশুর। তার নাম আমিরুদ্দিন শাহ (৭)। বাড়ি সিদ্ধেশ্বরী সাহাপাড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ওই শিশুটি মায়ের সঙ্গে একটি টোটোয় মাজারে যাচ্ছিল। তখন একটি লরি ওই টোটোয় ...

  কটক, ১৯ জুলাই: একুশতম কমনওয়েলথ টেবল টেনিস প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও মহিলা বিভাগে সোনা জিতল ভারতীয় টিটি দল। শুক্রবার কটকে এই প্রতিযোগিতার পুরুষ বিভাগের ফাইনালে ...

 সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: কাজ করার জন্য প্রয়োজন মতো পাইপ কিনতে হবে। তবে তা কিনে ফেলে রাখা যাবে না বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সব এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে প্রতি মাসে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে রিপোর্ট ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২০: মা সারদার মৃত্যু
১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম
১৮৯৯: লেখক বনফুল তথা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার বিনির জন্ম
২০১২: বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আহমেদের মূত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৯২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,৪৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ১০/১৮ দিবা ৯/১৪। শতভিষা অহোরাত্র। সূ উ ৫/৬/৩, অ ৬/১৯/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪০ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬ গতে উদয়াবধি।
৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ৪/২৪/৪ দিবা ৬/৫১/২। শতভিষানক্ষত্র ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৫/৫/২৪, অ ৬/২১/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে, বারবেলা ১/২৩/১৫ গতে ৩/২/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৪/৫৮ মধ্যে ও ৪/৪২/২৩ গতে ৬/২১/৫৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪২/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৪/৫৮ গতে ৫/৫/৪১ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: সম্পত্তি লাভের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২০: মা সারদার মৃত্যু১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ...বিশদ

07:03:20 PM

একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলের প্রস্তুতি পর্ব ...বিশদ

05:54:05 PM

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বৈঠক, মিলল না রফাসূত্র

05:05:54 PM

ইন্দোনেশিয়া ওপেন: চেন ইউ ফেইকে হারিয়ে ফাইনালে পি ভি সিন্ধু 

04:32:32 PM

শীলা দীক্ষিত প্রয়াত 
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। ...বিশদ

04:12:00 PM