Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জন্ম এবং মৃত্যুর দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি অকস্মাৎ আমার একটি বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এই উপলক্ষে জগতে সকলের চেয়ে পরিচিত যে মৃত্যু তার সঙ্গে আর-একবার নূতন পরিচয় হল। জগৎটা গায়ের চামড়ার মতো আঁকড়ে ধরেছিল, মাঝখানে কোনো ফাঁক ছিল না। মৃত্যু যখন প্রত্যক্ষ হল তখন সেই জগৎটা যেন কিছু দূরে চলে গেল, আমার সঙ্গে আর যেন সে অত্যন্ত সংলগ্ন হয়ে রইল না।
——— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সাম্প্রতিক পাতাল রেলের দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দিয়ে গেছে শহর কলকাতাকে। আমাদের আত্মবিশ্বাসকে একেবারে কাঁপিয়ে দিয়েছে এই ঘটনা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু আসে বারবার, সময়ের সঙ্গে তা সয়েও যায়। মানুষটাকে মনে থেকে যায় খুব কাছের কিছু আত্মীয়-স্বজনের। বাকিদের কাছে বিষয়টা প্রতিদিন দাঁত মাজার মত। সকালের চোখ বোলানো সংবাদপত্র, কিংবা বিকেলের সিরিয়ালের ফাঁকে চটজলদি খবরের চ্যানেল। এর মাঝেই জাল দিয়ে দুভাগ করা ছোট্ট টেবিলে পিংপং বলের মত জীবন আর মৃত্যুর খবর। নিজের গায়ে ছ্যাঁকা না লাগলে পুরোটাই অন্য জগতের, টেবিলের অন্য পাশটার। একটু তলিয়ে ভাবলে কিন্তু বিশ্বজুড়ে দুর্ঘটনায় কত মানুষ মারা যাচ্ছেন সে সংখ্যা চমকে ওঠার মত। এ দুনিয়ায় প্রতিদিন পথ দুর্ঘটনায় মারা যান তিন হাজারের বেশি মানুষ, আর তাদের অর্ধেকের বয়েস সাধারণভাবে ১৫ থেকে ৪৪ এর মধ্যে। শুধু আমাদের দেশেই প্রতিদিন পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা চারশোর মত। সোজা হিসেবে নিজেকে আপনি প্রতিদিন মরতে দেখছেন না, অথবা নিজে মরার কথা ভাবছেন না একেবারেই। কিন্তু এদেশে প্রত্যেকটি দিন কমবেশি চারশো বাড়িতে কান্নার রোল। অন্তর্জাল খুঁজে যা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মার্কিন দেশে প্রতিদিন পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা একশোর কিছুটা বেশি। অঙ্কের তাতে অসুবিধে নেই, কারণ সহজ অনুপাত কষলেই বোঝা যায় ভারতের জনসংখ্যা মার্কিন দেশের থেকে যতটা বেশি তাতে ভারতে বেশি লোক মরার সম্ভাবনা বাড়বেই। আর্থসামাজিক প্রেক্ষিত আলোচনা করলে সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় যোগ হবে। যেখানে খুব সহজেই অনুসিদ্ধান্তে আসা যাবে যে গরিব মানুষের জীবনের দাম কম। ঠিক সেই কারণেই বিহার বা উত্তরপ্রদেশে এনসেফেলাইটিসে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা সহজেই একশো ছাড়িয়ে যায়, যেমনটা ইউরোপ বা আমেরিকায় বছর বছর ঘটে না।
একথা তো মানতেই হবে যে মৃত্যুর সবথেকে বড় কারণ জন্ম। আপাতত বিজ্ঞানের যা অবস্থা তাতে জন্মালে মরতেই হবে। হয়তো বছর পঁচিশ পরে এমন সময় আসবে যখন যন্ত্রপাতি বসিয়ে অমর হওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে, তবে তার খরচ সাধারণ মানুষের নাগালে থাকবে না। অল্প কজন মানুষ সেই সুযোগ পাবেন। ঠিক যেমন কর্কট রোগ থাবা বসালে মার্কিন দেশে গিয়ে অনেক ভালো চিকিৎসা করানো যায়, জীবন লম্বা হয় অনেকটা। কিন্তু আমাদের দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগেরই সঠিক চিকিৎসা করানোর, কিংবা বলা ভালো চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগই নেই। মার্কিন দেশ তাই স্বপ্নের চলচ্ছবিতে ঘুরঘুর করে। তবে জীবন বিজ্ঞানের প্রাথমিক স্তরের বিদ্যায় আপাতত এটুকু সহজবোধ্য যে নিজে কেঁদে ভূমিষ্ঠ হলে ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তার সঙ্গে খোদাই হয়ে যায়। তার পরের কোনও একটা সময় কেউ কাঁদুক বা না কাঁদুক, নশ্বর দেহ ত্যাগ করে পটল খেতে কাগতাড়ুয়া হতেই হবে। বিষয়টায় সবথেকে মুশকিল হল, জন্ম আর মৃত্যু কোনওটাই মানুষের নিজের হাতে নেই। ভাটপাড়ায় গুলিবিদ্ধ ফুচকাওয়ালা তাই পুতিনের ছেলে না হওয়ার জন্যে বিধাতাকে দোষ দিতেই পারে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি না থাকায় ভিড় মেট্রোয় কিংবা বনগাঁ লোকালে ফেরিওয়ালার মৃত্যু শেখায় পূর্ণ সংখ্যা থেকে ভগ্নাংশের অঙ্ক। সমান্তরাল লোহারেখার সারির মাঝে চাঁদের আলোয় চিকচিক করে সস্তার বয়াম-ভাঙা হিরের টুকরো। সঙ্গে মণিমুক্তো লাল-নীল-সবুজ টাকায় দুটো আর গুণ ভুল করা দুটাকায় পাঁচটা চিনির মণ্ড। কাঁধে ঝোলা-বওয়া “চুষতে থাকুন” তখন আর কখনও না ফেরা হলুদ পাখি। গ্রুপ থিয়েটারের আঁতলামোর ফাঁকে নন্দন চত্বরে বেখাপ্পা হাওয়ায় যদৃচ্ছ উড়ে বেড়ায় পথ হারানো লিটল ম্যাগাজিনের পাতা। যেগুলো ছেঁড়ে নি, যাদের ছেঁড়া হয়েছে ঝালমুড়িকে আস্তানা দেওয়ার জন্যে। সে পাতায় ভাসা মৃত্যুর গন্ধ মাখা দীর্ঘ কবিতার ছুটি নেই কোনও।
আসলে মৃত্যু তো বাড়বেই। এখনই এই গ্রহের জনসংখ্যা সাতশো কোটি। গত এগারোই জুলাই গেল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। নামী হোটেলে নৈশভোজের আসরে নড়েচড়ে বসলেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেল দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানসন্ততির সংখ্যা চার থেকে পাঁচ। পাকিস্তানে এ সমস্যা প্রচণ্ড। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুরুগম্ভীর ইংরেজি আলোচনায় গাঢ় অক্ষরে লেখা হল একই অবস্থা নাকি বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ বা কাশ্মীরে। এ সমস্ত তথ্য অর্থনীতির পক্ষে ভীষণ বিপদের। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে বিত্তশালীদের কমসংখ্যক ছেলেমেয়ে এবং নিম্নবিত্তদের বৃহৎ পরিবার অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং সামগ্রিক অসাম্যকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে। উন্নত দেশে রাস্তা দিয়ে মানুষ হাঁটলে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে যায় চলমান যানবাহন। কলকাতার রাজপথে যিশু হেঁটে বেড়ায় অবলীলায়, বাস, ট্রাম, ট্যাক্সির সঙ্গী হয়ে। মানুষ বাড়লে, এবং বিশেষ ভাবে নিম্নবিত্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুতহারে বাড়তে থাকলে জীবনের দাম কমা ভাগের অঙ্কের মতই বাস্তব। সেজন্যে তো ব্যবস্থা নেবে সরকার। কাছের ভারতবর্ষই হোক কিংবা সুদূর সুদান, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সরকারের দায়িত্ব। সমর্থ সরকার সেই দায়িত্ব নেবে, জনপ্রিয়তা কমলেও। আর ভবিষ্যতের দায় যদি না থাকে তাহলে যেমন চলছে তেমনটাই চলুক। বিশ্বের জনসংখ্যা যতদিনে হাজার কোটি ছোঁবে, তার আগেই চীনকে হারিয়ে আমরা পৌঁছব প্রথম স্থানে। সঙ্গে থাকবে আশেপাশের অনুন্নত দেশের মানুষের চাপও। রাজনীতির কচকচিতে মিলেমিশে একাকার হবে শরণার্থী আর অনুপ্রবেশকারী।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যাকে যে মানচিত্রের দেশভাঙা রেখা দিয়ে সমাধান করা যাবে না সে বোধটুকুই এখনও আত্মস্থ হয়নি বিশ্বের সেরা রাষ্ট্রনায়কদের। তবে মৃত্যুর বাস্তবতা এবং নিশ্চয়তার সঙ্গে মনুষ্যত্বকে গুলিয়ে ফেললে খুব ভুল হবে। রাস্তায় ভিড়, পরিষেবা অপ্রতুল, পরিকাঠামো ঝরঝরে এসব কথা বলে মৃত্যুকে যৌক্তিক করার চেষ্টা বড়ই অমানবিক। যে মানুষটি আত্মহত্যা করেন, তার মৃত্যুকেও সম্মান জানানোর দায় থাকে এই সমাজের। মুহূর্তের অসতর্কতায় কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে রাজনীতি হবে সেটাই স্বাভাবিক। কারণ রাজনীতির কারবারিদের এক বড় মূলধন মৃত্যু।
তা বলে প্রয়াত সেই মানুষটিকে অসতর্কতার
জন্যে দুষলে পৌরুষত্ব দেখানো যেতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে মননশীলতার মাথা মাছের বাজারে সস্তায় বিক্রি হবে।
সেই প্রেক্ষিতেই টেলিভিশনে দৈনন্দিন মৃত্যু দেখে সাধারণ মানুষ অভ্যস্ত হয়ে গেলে মুশকিল। সরকারি হাসপাতালে কোনও এক রাতজাগা চিকিৎসক স্বপ্ন খুঁজে পান এক হতদরিদ্র শিশুর জীবন বাঁচানোর উল্লাসে। বাংলাদেশের এক জাহাজ ভর্তি মাল্লা আনন্দে গর্জন করে ওঠেন চারদিন সমুদ্রে ভাসা এ বঙ্গের এক জীবন্ত মাঝিকে উদ্ধার করে। রাস্তার মাঝে চিৎ হয়ে দিবানিদ্রায় মগ্ন বমি-মাখা মদ্যপকে মাথায় জল ঢেলে ফুটপাথে তুলে দেয় কোনও অজানা বন্ধু। তাই কার দায়, কোনও রাজনীতি, নামী বেসরকারি হাসপাতালে কার ভুলে প্রসূতির মৃত্যু, মেট্রো রেলের কামরার ভেতর আর বাইরে ভাগ হওয়ার অসহায়তা, এসব মেনে নিয়েও কাজ করুক সামান্য সহমর্মিতা। একটু শিউড়ে উঠে ভাবা যাক অন্যের এই মৃত্যুটা নিজেরও হতে পারত। আর সেটা যে হয় নি সেখান থেকেই আর একবার জন্মাক প্রতিদিনকার জীবন। মৃত্যু থেকে মুখ ফিরিয়ে নয়, তাকে সামনা-সামনি রুখে দিয়ে—“জগৎটাকে গায়ের চামড়ার মত আঁকড়ে ধরে”।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
ছোটদের বড় করতে হলে আগে শুধরাতে হবে নিজেকে
পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

সব থেকে ভালো হয়, যদি আপনার ‘বাছা’কে নিজের মতো বেড়ে উঠতে দেন। আনন্দে বেড়ে উঠুক। আলো চিনিয়ে দিন, অন্ধকার চিনিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখুন, ঠিকঠাক এগচ্ছে কি না! সামনে পিছনে কত ফাঁদ, চোরাবালি। আপনিই ঈশ্বর, ওকে রক্ষা করুন। ছোটদের ‘বড়’ করতে হলে আগে শুধরাতে হবে নিজেকে। দয়া করে ওর উপর মাতব্বরি করবেন না, হ্যাঁ আমরা মাতব্বরিই করি।
বিশদ

অ্যাপোলো ৫০: গো ফর দ্য মুন
মৃণালকান্তি দাস

 মই বেয়ে লুনার মডিউল ঈগল থেকে চাঁদের বুকে নামতে নামতে নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘একজন মানুষের এই একটি পদক্ষেপ হবে মানবজাতির জন্য এক বিরাট অগ্রযাত্রা।’ সেই ছিল চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন আর মানবজাতির সেদিনের প্রমিথিউস ছিলেন নিল আর্মস্ট্রং। চাঁদের বুকে নিলের পা ফেলার মাধ্যমে মানুষ চাঁদকে জয় করেছিল।
বিশদ

19th  July, 2019
বাঙালির যে সংস্কৃতি হারিয়ে গেল
জিষ্ণু বসু

ইদানীং রাজ্যে একটা গেল গেল রব শোনা যাচ্ছে। বাঙালি তার সংস্কৃতি হারাচ্ছে। বিজেপি ও আরএসএসের দৌরাত্ম্যে বাংলা যে চেহারা নিচ্ছে সেটা এ রাজ্যের সংস্কৃতির পরিপন্থী। বাঙালি বড়জোর ‘জয়দুর্গা’ বলতে পারে, কিন্তু ‘জয় শ্রীরাম’ বলার প্রশ্নই ওঠে না।
বিশদ

18th  July, 2019
পরিবারতান্ত্রিক সঙ্কট 
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছবিটা খুব পরিচিত। নিজের দলের বিরুদ্ধেই ধর্নায় বসেছেন ইন্দিরা গান্ধী। ভাঙতে চলেছে কংগ্রেস। আর তার নেপথ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার সংঘাত। একদিকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা। অন্যদিকে কামরাজ, মোরারজি দেশাই, তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি নিজলিঙ্গাপ্পা। 
বিশদ

16th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

নয়া শিক্ষানীতির কেন্দ্রবিন্দুই হল এই ভারতীয়ত্বের নাম করে মধ্যযুগীয় বাতিল চিন্তা ভাবনার জাবর কাটার প্রচেষ্টা। পঞ্চতন্ত্র, জাতক, হিতোপদেশের গল্পকে তাঁরা স্কুল পাঠ্য করতে চাইছেন, সংস্কৃত শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অথচ ইংরেজি ভাষা শিক্ষাকে গুরুত্বহীন করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। পাঠ্যতালিকায় বহু ব্যক্তির জীবনীচর্চার উল্লেখ আছে, কিন্তু সেই তালিকায় ভারতীয় নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের নাম সযত্নে বাদ দেওয়া হয়েছে। রামমোহন-বিদ্যাসাগরই যে এদেশে প্রথম ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাতিল করে আধুনিক শিক্ষা প্রচলনের জন্য লড়াই করেছিলেন তা কারোর অজানা নয়। ভারতীয় নবজাগরণের এই মনীষীরা যে আরএসএস-বিজেপির চক্ষুশূল তা আজ জলের মতো পরিষ্কার।
বিশদ

15th  July, 2019
সাত শতাংশ বৃদ্ধির ফাঁদে
পি চিদম্বরম

 কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটগুলির মধ্যে ২০১৯-২০ সালের বাজেট স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত জট খুলল। মানুষের মধ্যে এই বাজেট নিয়ে কিংবা আগের বাজেট প্রস্তাবটি নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। অতিশয় ধনীরা (সুপার রিচ ৬৪৬৭) বিরক্ত, তবুও ভয়ে স্পিকটি নট। ধনীদের স্বস্তি এখানেই যে তাঁদের রেয়াত করা হয়ে থাকে।
বিশদ

15th  July, 2019
একটু ভাবুন
শুভা দত্ত

 বিশ্বের চারদিক থেকে পানীয় জল নিয়ে গুরুতর অশনিসংকেত আসার পরও আমাদের এই কলকাতা শহরে তো বটেই, গোটা রাজ্যেই প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ জল অপচয় হয়। আপাতত বেশিরভাগ জায়গায় জলের জোগান স্বাভাবিক আছে বলে সেটা গায়ে লাগছে না। তাই এখনও আসন্ন মহাবিপদের কথাটা ভাবছেন খুব সামান্যজনই। বাদবাকিরা এখনও নির্বিকার, ভয়ডরহীন—দু’জনের সংসারে আড়াই-তিন হাজার লিটার শেষ করে দিচ্ছে দিনে, বাড়ি গাড়ি ধোয়া চালাচ্ছে কর্পোরেশনের পানীয় জলে! আহাম্মক আর কাকে বলে।
বিশদ

14th  July, 2019
বেনোজলের রাজনীতি
তন্ময় মল্লিক

জেলায় জেলায় নব্যদের নিয়ে বিজেপির আদিদের ক্ষোভ রয়েছে। আর এই ক্ষোভের অন্যতম কারণ যোগদানকারীদের বেশিরভাগই এক সময় হয় সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর সদস্য ছিলেন, অথবা তৃণমূলের ‘কাটমানি নেতা’। তাই এই সব নেতাকে নিয়ে স্বচ্ছ রাজনীতির স্লোগান মানুষ বিশ্বাস করবে না। উল্টে লোকসভা ভোটে যাঁরা নীরবে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা ফের নিঃশব্দেই মুখ ফিরিয়ে নেবেন।‘ফ্লোটিং ভোট’ যে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারে, সেটা বিজেপির পোড়খাওয়া নেতারা বুঝতে পারছেন। তাঁরা বলছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর যাঁরা আসছেন তাঁরা কেউই বিজেপির আদর্শের জন্য আসছেন না, আসছেন বাঁচার তাগিদে। কেউ কেউ লুটেপুটে খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখার আশায়।
বিশদ

13th  July, 2019
ঘোষণা ও বাস্তব
সমৃদ্ধ দত্ত

ভারত সরকারের অন্যতম প্রধান একটি প্রকল্পই হল নদী সংযোগ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন নদীকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হবে। যাতে উদ্বৃত্ত জলসম্পন্ন নদী থেকে বাড়তি জল শুকনো নদীতে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বারংবার এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। গোটা প্রকল্প রূপায়ণ করতে অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা দরকার। এদিকে আবার বুলেট ট্রেন করতেও ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! আধুনিক রাষ্ট্রে অবশ্যই দুটোই চাই। কিন্তু বাস্তব প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিচার করলে? কোনটা বেশি জরুরি? বিশদ

12th  July, 2019
মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি দেশকে কোন দিকে নিয়ে চলেছে
তরুণকান্তি নস্কর

 কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর থেকে সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১৯-এর যে খসড়া প্রকাশিত হয়েছে তার যে অংশ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হই চই পড়েছিল তা হল বিদ্যালয় স্তরে ত্রি-ভাষা নীতির মাধ্যমে অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে জোর করে হিন্দি চাপানোর বিষয়টি। তামিলনাড়ুর মানুষের প্রবল আপত্তিতে তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বিশদ

11th  July, 2019
কেন তেরোজন অর্থনীতিবিদ অখুশি হবেন?
পি চিদম্বরম

প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ন পাঁচ বছর আগে তাঁর প্রথম অর্থনৈতিক সমীক্ষা (ইকনমিক সার্ভে ২০১৪-১৫) পেশ করে বলেছিলেন, ‘‘ভারত একটা সুন্দর জায়গায় (সুইট স্পট) পৌঁছে গিয়েছে—জাতির ইতিহাসে এটা বিরল—এইভাবে শেষমেশ দুই সংখ্যার মধ্যমেয়াদি বৃদ্ধির কৌশলে ভর করে এগনো যাবে।’’
বিশদ

08th  July, 2019
জলের জন্য হাহাকার আমাদের কি একটুও ভাবাচ্ছে!
শুভা দত্ত

আমাদের এখনও তেমন অসুবিধে হচ্ছে না। কারণ, কলকাতা মহানগরীতে এখনও পানীয় হোক কি সাধারণ কাজকর্ম সারার জলের অভাব ঘটেনি। ঘটেনি কারণ আমাদের জল জোগান যে মা গঙ্গা, তিনি এখনও বহমান এবং তাঁর বুকের ঘোলা জলে এখনও নিয়ম করে বান ডাকে, জোয়ার-ভাটা খেলে।
বিশদ

07th  July, 2019
একনজরে
নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই (পিটিআই): স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা নিয়ে পরামর্শ চেয়ে আবারও জনতার দরবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার এই আহ্বান জানিয়ে মোদি লিখেছেন, সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনার কথা জানবে গোটা দেশ। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: বন্যা দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতি ঠেকাতে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ত্রিপল বিলি করছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের বিডিও। পাশাপাশি ত্রাণ শিবিরে খাবার বিলিতেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে।  ...

 সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: কাজ করার জন্য প্রয়োজন মতো পাইপ কিনতে হবে। তবে তা কিনে ফেলে রাখা যাবে না বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সব এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখে প্রতি মাসে এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে রিপোর্ট ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯২০: মা সারদার মৃত্যু
১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম
১৮৯৯: লেখক বনফুল তথা বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার বিনির জন্ম
২০১২: বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আহমেদের মূত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৭.৯৫ টাকা ৬৯.৬৪ টাকা
পাউন্ড ৮৪.৭৭ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
ইউরো ৭৬.১০ টাকা ৭৯.০৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৩,৯২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৪,৪৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ১০/১৮ দিবা ৯/১৪। শতভিষা অহোরাত্র। সূ উ ৫/৬/৩, অ ৬/১৯/৩১, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩১ গতে ১/২ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ গতে ১০/৩৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪ গতে ১/৩১ মধ্যে পুনঃ ২/১৪ গতে ৩/৪০ মধ্যে, বারবেলা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১/২২ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৪/৪০ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ৭/৪০ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৬ গতে উদয়াবধি।
৩ শ্রাবণ ১৪২৬, ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, তৃতীয়া ৪/২৪/৪ দিবা ৬/৫১/২। শতভিষানক্ষত্র ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৫/৫/২৪, অ ৬/২১/৫৭, অমৃতযোগ দিবা ৯/৩২ গতে ১/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/২৫ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ১/৩২ মধ্যে ও ২/১৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে, বারবেলা ১/২৩/১৫ গতে ৩/২/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ৬/৪৪/৫৮ মধ্যে ও ৪/৪২/২৩ গতে ৬/২১/৫৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৪২/২৩ মধ্যে ও ৩/৪৪/৫৮ গতে ৫/৫/৪১ মধ্যে। 
১৬ জেল্কদ
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: সম্পত্তি লাভের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৯২০: মা সারদার মৃত্যু১৮৬৩: কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ...বিশদ

07:03:20 PM

একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থলের প্রস্তুতি পর্ব ...বিশদ

05:54:05 PM

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বৈঠক, মিলল না রফাসূত্র

05:05:54 PM

ইন্দোনেশিয়া ওপেন: চেন ইউ ফেইকে হারিয়ে ফাইনালে পি ভি সিন্ধু 

04:32:32 PM

শীলা দীক্ষিত প্রয়াত 
প্রয়াত দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী শীলা দীক্ষিত। ...বিশদ

04:12:00 PM