পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
বিগত লোকসভা ভোটে একযোগে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। একই রাজনৈতিক অবস্থান ছিল বামফ্রন্টের। দুই শিবির সমঝোতার চেষ্টা করলেও দলের একাংশ তাতে আপত্তি জানায়। শেষ পর্যন্ত জোট হয়নি। কংগ্রেস দুটি আসন পেলেও প্রাপ্ত ভোট একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছেছে। উল্টে অভূতপূর্ব উত্থান হয়েছে বিজেপির। গত লোকসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে জোটের আলোচনা ভেস্তে গিয়েছিল প্রধানত উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে কে প্রার্থী দেবে এই প্রশ্নকে ঘিরে। সিপিএম ২০১৪ সালে জেতা ওই আসনে মহম্মদ সেলিমকে প্রার্থী করতে চাইলে বেঁকে বসেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। তাঁর দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত দীপা দাসমুন্সিকে প্রার্থী করায় বাম ও কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই হয়। গোটা রাজ্যে তার জেরে বাম-কংগ্রেস সমঝোতার সম্ভাবনা নষ্ট হয়েছিল। সেদিনের জোট বিরোধী অবস্থান নেওয়া মোহিত সেনগুপ্ত থেকে পুরুলিয়ার নেপাল মাহাত, শঙ্কর মালাকার সহ সব জেলা সভাপতি এদিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বামেদের সঙ্গে আলোচনা জরুরি। তবে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সঙ্গে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির সমন্বয়ের অভাব দূর করা উচিত বলেও সরব হন তাঁরা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবুর দাবি, বৈঠকে ২৬টি সাংগঠনিক জেলার ২৪ জন হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, গত লোকসভা ভোটে দলের অনেকেই চেয়েছিলেন একা লড়াই করে দলের শক্তি যাচাই করতে। কিন্তু ভোটে দুটি আসন জিতলেও কংগ্রেসের ভোট কমে প্রায় পাঁচ শতাংশে নেমে গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে জেলা নেতাদের অভিমত, পরবর্তী বিধানসভা ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখন থেকেই দুই শিবিরের মধ্যে অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের প্রশ্নে কংগ্রেসের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।