উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
পুজোর মরশুমে অফার চলছে আর চৌধুরী অ্যান্ড সন্স, বউবাজারের বিপণিতে। সংস্থার দুই কর্ণধার শ্রীপর্ণা চৌধুরী ও অপর্ণা দত্ত জানালেন, এই অফারে ২২ ক্যারেটের নতুন সব সোনার গয়নাই হলমার্কযুক্ত। এবং এই গয়নার মজুরিতে ফ্ল্যাট ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হীরের গয়নায় হীরের মূল্যের উপর ফ্ল্যাট ১৫ শতাংশ ছাড় মিলবে। কস্টিউম জুয়েলারির নবতম কালেকশন ‘পশ’ ও সিলভার জুয়েলারির কালেকশন ‘আর্জেনশিয়া’-য় পাবেন ফ্ল্যাট ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। পুরনো সোনা বদলেও সোনা কিনতে পারবেন। অফার চলবে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। ১০ অক্টোবর থেকে শোরুম বন্ধ থাকবে। ফের ২১ অক্টোবর শোরুম খুলবে ও ধনতেরসের অফার শুরু হবে। সংস্থার আর কোনও শাখা নেই।
দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতিতে আদ্যা ডেয়ারি
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে শালিমার গ্রুপ অব কোম্পানির আদ্যা ডেয়ারি। খাঁটি ও স্বচ্ছ গুণমানই এদের ইউএসপি। সংস্থার দাবি, এখানে সমস্ত পণ্যই প্রস্তুত করা হয় যত্নশীল প্রযুক্তিতে যা স্বাদ ও বিশুদ্ধতার সঙ্গে কোনও আপস করে না। ২০১৬ সাল থেকে এই ডেয়ারির পথ চলা শুরু। আদ্যা ডেয়ারির কারখানা হাওড়া মুনশিরহাটে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও এদের ব্যবসায়িক পরিষেবা চালু রয়েছে। সংস্থার ব্র্যান্ড ম্যানেজার অনির্বাণ মণ্ডল জানান, ‘দুধ সংগ্রহের পর স্বতন্ত্র স্বচ্ছ প্রযুক্তিতে তাকে ঠান্ডা করে, তার শুদ্ধতা পরীক্ষা করে ফের ল্যাবে পাঠিয়ে তার শুদ্ধতা যাচাই করা হয়। তারপর তা পাস্তুরাইজেশন করে প্যাকেজিং করা হয়। দুধ ছাড়াও ঘি, ছানা, পনির, মাখন ইত্যাদি দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুত করা হয়।’ কলকাতার বড় বড় রিটেল চেন ও ই-কমার্সে আদ্যা ডেয়ারির পণ্য মিলবে।
‘ড্রাইভিং নারী’ প্রকল্প আনছে ইনড্রাইভার
কলকাতায় চালু হল ‘ড্রাইভিং নারী’ প্রোগ্রাম। সৌজন্যে ইনড্রাইভ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক গাড়ির মাধ্যমে মহিলারা ড্রাইভিংকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই প্রকল্পে ইনড্রাইভের সঙ্গে আছে রক্ষা ফাউন্ডেশন, কলকাতা। এই প্রসঙ্গে ইনড্রাইভ-এর এশিয়া প্যাসিফিক কমিউনিকেশন লিড পবিত নন্দা আনন্দ বলেছেন, ‘ইনড্রাইভ-এর ড্রাইভিং নারী প্রোগ্রাম অনেকের জীবন বদলে দিচ্ছে। আমরা মহিলাদের পেশাদার ড্রাইভার হতে উৎসাহিত করছি। এই উদ্যোগ মহিলাদের স্বাধীন ও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সকল মহিলাদের জিপিএস সক্রিয় বৈদ্যুতিক স্কুটি প্রদান করব। ভবিষ্যতে আমরা এই প্রচারাভিযানকে ভারতের অন্যান্য শহরেও প্রসারিত করব।’
ইনড্রাইভ-এর দক্ষিণ এশিয়ার জিটিএম ম্যানেজার অভীক কর্মকার বলেন, ‘‘ড্রাইভিং নারী’ ইনড্রাইভ-এর একটি উদ্যোগ, যা মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। এটি কেবল ড্রাইভিংকে একটি কেরিয়ার হিসেবে মহিলাদের জন্য পথ খুলে দিচ্ছে তা-ই নয়, বরং ড্রাইভিং ক্ষেত্রে লিঙ্গসমতাও প্রতিষ্ঠা করছে।’ ইনড্রাইভ-এর ভারতীয় কান্ট্রি ম্যানেজার প্রতীপ মজুমদার বলেন, ‘মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করছেন ড্রাইভিংও তার ব্যতিক্রম নয়।’ রক্ষা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ট্রাস্টি চৈতালি দাস বলেন, ‘আমরা ইনড্রাইভ-এর সঙ্গে এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে আনন্দিত। বৈদ্যুতিক স্কুটিগুলি বৈদ্যুতিক হওয়ায় তা পরিবেশবান্ধবও।’ ইনড্রাইভ-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এবং বলিউড অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, ‘ড্রাইভিং নারী প্রচারাভিযানের মাধ্যমে ইনড্রাইভার সামাজিক দায়িত্বও পালন করছে।’
নারী নিরাপত্তা প্রসারে সেফটি গ্যাজেটস বাই এক্সবুম
নারী নিরাপত্তার প্রসারে এবার এগিয়ে এল সেফটি গ্যাজেটস বাই এক্সবুম ইউটিলিটিজ। মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ ও নানা কৌশল শেখাতে দু’দিন ব্যাপী এক কর্মসূচির আয়োজন করে এই সংস্থা। সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘আনলিশ দ্য শক্তি উইদিন’ শীর্ষক এই কর্মশালায় শতাধিক মেয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তার মধ্যে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রীরা ছিলেন। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের দ্বারা আত্মরক্ষার নানা অভিনব কৌশল তাঁরা রপ্ত করেন। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আত্মরক্ষা ও যৌন অত্যাচার প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একটি আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী মানসী সিনহা, সেফটিগ্যাজেটস বাই এক্সবুমের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও বিশাল সৌরভ, হেরিটেজ অ্যাকাডেমির মিডিয়া সায়েন্সের ডিন ডঃ মধুপা বক্সি, অন্তরা সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল ও রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারের অ্যাক্টিং সিইও নবীন স্যামুয়েল, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্পোর্টস কিকবক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের উইমেন কমিটির চেয়ারপার্সন মোনালিসা রায় প্রমুখ। এই প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও বিশাল সৌরভ জানান, ‘প্রযুক্তি মেয়েদের পাশে থাকলে তাঁরা আত্মরক্ষায় অনেকটা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। আমাদের নিরাপত্তা গ্যাজেট এবং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলি মেয়েদের অনেকটা সাহায্য করবে। আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে যা কাজে লাগবে।’
প্রথার পুজোর সম্ভার
প্রথা— নামেই বোঝা যাচ্ছে এর শিকড় হল ঐতিহ্য। সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্রের হাতে তৈরি হয়েছিল এই ব্র্যান্ড। বেশ কিছু বছর ধরে শাড়িতে দেশজ নানা ঐতিহ্যের প্রদর্শন করে চলেছে এটি। ভারতীয় তাঁত ও তার মনোগ্রাহী নকশা এই সংস্থার সম্পদ। এদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন কারুশিল্পকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও উত্তরাধিকার তৈরি করাই এই সংস্থার লক্ষ্য। এই সংস্থায় কাপড় তৈরি করেন যাঁরা, সেই তাঁতিরা অত্যন্ত দক্ষ কারিগর। বয়নশিল্পে তাঁদের জ্ঞান এক প্রজন্ম থেকে আর এক প্রজন্মে পৌঁছেছে। এই সংস্থাটি দেশীয় ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন কৌশল ও কারুশিল্পকে সংরক্ষণ, প্রচার এবং ঐতিহ্যবাহী বুনন ও কারিগরদের সৌন্দর্য ও উত্তরাধিকার বহন করে আসছে। পুজোর নানা সম্ভার নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রথা সম্পূর্ণ তৈরি। হাতে বোনা শাড়িই যার মূল আকর্ষণ। এছাড়াও এখানে এলে দেখতে পাবেন নানা প্রদেশের আকর্ষণীয় গয়নাও।