Bartaman Patrika
 

ডিরেকটরস ইউনিটি? অসম্ভব! 

বিশ্ব নাট্যদিবসের প্রাক্কালে বাংলা থিয়েটারের হাল হকিকত বয়ান করলেন অশীতিপর ‘অ্যাঙ্গরি ইয়াং ম্যান’ বিভাস চক্রবর্তী।
‘নেগেটিভ’ লেখার জন্য থিয়েটার-বাজারে আমার কুখ্যাতি আছে। ‘নেগেটিভ’ মানে নিন্দা বা হতাশামূলক আক্রমণাত্মক বা সমালোচনামূলক। যাঁরা এরকমটা মনে করেন তাঁদের বলি, আপনারা একটু ভুল করছেন—সমালোচনামূলক ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও লক্ষ করবেন সেগুলির বেশিরভাগই আত্মসমালোচনামূলক। এখানে ‘আত্ম’ মানে শুধুমাত্র ‘আমি’কেই বোঝাচ্ছে না, আত্ম মানে আমি যে সমাজের বা গোষ্ঠীর মানুষ বা যাঁদের সঙ্গে আমার বসবাস বা নিত্য ওঠাবসা বা একাত্মতা তাঁদেরই বোঝাচ্ছে। তাঁদের চরিত্র-বৈশিষ্ট্য, কার্যকলাপ বা কথাবার্তা যা আমাকে সতত পীড়া দেয়, যন্ত্রণা দেয়, হতাশ করে, ক্রুদ্ধ করে, তাকেই নিন্দা করার ফিকির খুঁজি আমি আমার লেখা বা বলা কথার মাধ্যমে।
সামনে মাত্র কয়েকটি দিন আছে ‘বিশ্বনাট্য দিবস’ পালনের। ইউনেস্কোর বাণী-বিতরণ চলবে, আমরা তার অর্থোদ্ধার বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করব, বিশ্বনাট্যের অট্টালিকার একতলার সিঁড়ির নীচের ঘুপচি থেকে মুখ বার করে আমরা ‘বাইট’ও দেব, প্রশ্ন করব না বাণী দেবার জন্য (১৯৬২ থেকে) ডাক পড়েনি কেন শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত বা বাদল সরকার মহাশয়দের, কিংবা শঙ্খ ঘোষের— বিশ্বমানের বাঙালি নাট্যস্রষ্টা ও নাট্যবিদদের, ঠিক যেমন পূর্ব-বাংলার ভাষা-শহিদদের রক্তের মূল্যে অর্জিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-এর কৃতিত্ব ভাগ করে নেওয়ার হুড়োহুড়িতে আমরা ভুলে যাই স্বাধীন ভারতের শিলচরে বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষায় এগারো বাঙালির আত্মবলিদান। ভুলি আমরা অনেককেই, অনেক কিছুকেই। কংগ্রেস-সখা বা বামেদের ধর্মগুরু সোভিয়েত রাশিয়ার ‘ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ পাবলিশিং হাউজ’ বা ‘রাদুগা পাবলিশারস’ -এর মতো সরকারি প্রকাশনা সংস্থা স্থাপন করে বছরে কয়েকটি বিশ্বমানের বাংলা সাহিত্যগ্রন্থের ইংরাজি অনুবাদ প্রকাশ করতে পারতেন না বাম সরকার? তাতে করে হয়তো বা সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারদাতাদের দোরগোড়া পর্যন্ত পৌঁছতে পারত কয়েকটি বাংলা গ্রন্থ। দাবিদার হতে পারতেন তিন বাঁড়ুজ্জে তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, মানিকদের কোনও একজন, বা সতীনাথ ভাদুড়ির মতো কোনও সাহিত্যিক?
সাহিত্য সৃষ্টির জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন এমন কৃতী মানুষদের মধ্যে কারা কারা নাটক লেখায়ও হাত দিয়েছিলেন তাঁদের নাম কি আমাদের জানা আছে? তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, বনফুল, শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়, ‘রঙরুট’-এর লেখক বরেন বসু, ‘মহাস্থবির জাতক’-এর প্রেমাঙ্কুর আতর্থী এবং পরবর্তী সময়ের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বা বিমল করের নাট্যপ্রীতি ও নাটক রচনা সম্পর্কে আমরা কতটা অবহিত? সাধারণ রঙ্গমঞ্চে ‘সীতা’ দেখার পর শিশির ভাদুড়িকে সশ্রদ্ধ অভিনন্দন জানিয়ে এসেছিলেন যুবক কবি বুদ্ধদেব বসু, যিনি নিজেও পরবর্তীকালে অনেকগুলি অসাধারণ নাটক রচনা করেছেন। আবার একসময় এই মানুষটিই ক্ষয়প্রাপ্ত সাধারণ রঙ্গালয় নিয়ে হাহাকারও ব্যক্ত করেছেন। ‘সীতা’ দেখে ‘কল্লোল’-এর আর এক কবি-সাহিত্যিক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন কবিতা লিখে। এবার কবি-গল্পকার-চলচ্চিত্রকার প্রেমেন্দ্র মিত্রের কথায় আসি। আমার যৌবনকালের সংগ্রহে দেখতে পাচ্ছি ১৯৬৩-তে প্রকাশিত বার্নার্ড ’শ-এর দু-খণ্ডের সরস ও বিরস নাটকের (‘প্লেজ প্লেজান্ট’ এবং ‘প্লেজ আনপ্লেজান্ট’) প্রথম খণ্ডের বঙ্গানুবাদটি রয়েছে। তাতে তিনটি সরস নাটক— প্রেমিক, বিপত্নীকের বাসা ও মিসেস ওয়ারেনের পেশা। গ্রন্থটির সম্পাদক এবং প্রথম দুটি নাটকের অনুবাদক প্রেমেন্দু মিত্র, তৃতীয়টি অনুবাদ করেছিলেন চিদানন্দ দাশগুপ্ত। প্রকাশক সিগনেট প্রেসের কিংবদন্তি প্রকাশক দিলীপ কুমার গুপ্ত, যাঁর জন্মশতবর্ষ সদ্য শেষ হল। প্রচ্ছদ সত্যজিৎ রায়ের। গর্বে আমাদের বুক স্ফীত হয়ে ওঠার কথা— নিয়মিত থিয়েটার করিয়েদের বাইরে এঁদের মতো মানুষরাও বাংলা নাট্য নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেছেন।
আর আমাদের সময়ে আমরা কী করেছি? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবার চোখের সামনে এই সাধারণ রঙ্গালয়কে লুপ্ত হতে দেখেছি। প্রগতিশীল বাম আমলে। একটাই অজুহাত— ওগুলো ব্যক্তি-মালিকানার ব্যবসায়িক থিয়েটার। ওদের ক্ষয়রোগ নিরাময়ের দায়িত্ব আমাদের নয়। সামনে অনেক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত থাকতেও আধ-সেঁকা মার্কসবাদীরা সাধারণ রঙ্গালয়ের গুরুত্বই বুঝে উঠতে পারেননি। আর শিল্প-সংস্কৃতি জগতের কর্তাভজা সমর্থকরা তাঁদেরকে বোঝাবার দায়িত্বও গ্রহণ করেননি। গ্রুপ থিয়েটারের বাবুরা ভাবলেন হাতিবাগান লাটে উঠলে আখেরে তাঁদের কপাল খুলবে। সাধারণ রঙ্গালয় অস্তমিত, গণনাট্য অস্তাচলগামী, বাংলা মায়ের হাতে রইল ‘কমিটেড’ গ্রুপ থিয়েটার যাদের দায়িত্ব হবে বামফ্রন্টকে ভোটযুদ্ধে জিতিয়ে আনা! এটা একটা নীতি হল? কৌশল হল? গ্রুপ থিয়েটারকে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ অর্থাৎ ‘এরা তো সঙ্গে আছেই’ ধরে নিয়ে নয়া কৌশল চালু হল— ‘সিনেমার মাথাভর্তি তেল দিও, থিয়েটারকে দিও কিঞ্চিৎ, না-করিও বঞ্চিৎ।’ আর শেষ পর্যন্ত কৌশলই যখন নীতি হয়ে গেল, তখন যা হওয়ার ছিল তা-ই হল— মজাইল কনকলঙ্কা, মজিল আপনি।
আমাদের গ্রুপ-নাট্যসঙ্গীত এখন—
আরো আরো, প্রভু, আরো, আরো,
এমনি করেই মারো, মারো।
এদিক-ওদিক মোরা পালিয়ে বেড়াই
তোমার সাথে, প্রভু, দেব না লড়াই
একা একা কিছু পাই আর না-পাই
ভাগ্য বলেই মেনে নেবই সবাই
নো লড়াই, প্রভু, নো লড়াই
অভ্যন্তরীণ ছাড়া নেই কোনও লড়াই।
হ্যাঁ, আমরা আসল শত্রুদের বা প্রতিকূল শক্তিকে চিহ্নিত করব না, জোট বাঁধব না, শত্রুকে লড়াই দেব না, একা একা গোপনে বড় হওয়ার চেষ্টা করব— এই হল আমাদের নীতির চোরাপথ। পাগলেও নিজের ভালো বোঝে, কিন্তু আমরা নিজেদের ভালো বুঝতে পারি না— শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে, থিয়েটারের স্বার্থে কোনও সংগঠন গড়তে পারলাম না। চোখের সামনে অ-ব্যাপারীরা যা-খুশি-তাই করে গেল— একটা কোনও আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ হল না, কোনও দিক দিয়ে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা তৈরি হল না, থিয়েটারের নিজেদের দাবি আদায়ের জন্যও এক সঙ্ঘে একসঙ্গে মিলিত হতে পারলাম না। শুধু খামচা-খামচি আকাচা-আকচি করেই ম’লাম।
নিজেদের ব্যর্থতা, যন্ত্রণা, রাগ, ক্ষোভ উগরে দেওয়ার, বা নিজে যা-নয় তাই প্রমাণ করার মাধ্যম হয়েছে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’, যাকে অনেকে আজকাল অ্যান্টি-সোশ্যাল মিডিয়া বলছেন, ভুক্তভোগীরা তো বটেই। চিত্র তারকা নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী এবারকার লোকসভা নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন— তারপর থেকে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় এই দু’জনের নাম করে অসভ্যতা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসভ্য অশিক্ষিত লোকজন। আর এক বিখ্যাত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ইনস্টাগ্রামে তাঁর একটি ছবি পোস্ট করার পর তাঁকে ট্রোল করা হয়েছে বিশ্রীভাবে। তার প্রতিক্রিয়ায় স্বস্তিকা নিজে কী বলছেন শুনুন— ‘সোশ্যাল মিডিয়া হওয়ার পর সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হল সেটার জন্য একটা সরাসরি সংলাপের জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে।... আমার এটা বহুবার মনে হয়েছে যে, এখন লোকেদের মধ্যে কোনও কারণ ছাড়াই অহেতুক এত নেগেটিভিটি আর ঘৃণা চলে এসেছে, সেটা সারা দিনরাত তারা ওগরাতে থাকে। তাদের নিজেদের জীবন নিয়ে তারা অখুশি, নাকি সমাজটাই এরকম একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে সেটা বোঝা দায় হয়ে গিয়েছে। মানে আমি একজন সেলিব্রিটিকে চিনি না, কিন্তু তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফলো’ করি গালাগাল দেব বলে।’ থিয়েটারের ক্ষেত্রেও বাঙালির চরিত্রগত ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা, কুচুটেপনার কোনও শেষ নেই। তাদের নিজেদের হয়তো কোনও ক্ষমতা যোগ্যতাই নেই কোনও বড় প্ল্যাটফর্মে শিল্প সম্পর্কে আলোচনা বা মতামত প্রকাশ করার, তাই ঝাঁকে ঝাঁকে সমালোচক, নাট্যবিদ সমঝদারেরা ফেসবুক-বাহিত হয়ে ধেয়ে আসছে এবং দংশন করছে একে-তাকে অপরকে বা অপছন্দের লোককে— ফ্যাতাড়ুদের ফেসবুকে অবতরণ যাকে বলা যায়। এখানে যাকে-তাকে যা-তা বলার লাইসেন্স আছে। ভালো কাজেও ফেসবুকের ভূমিকা মাঝেমধ্যে লক্ষ করা যায়, কিন্তু বেশিরভাগই নিজেকে জাহির করা এবং অপরকে আঘাত করার জন্য ব্যবহৃত। থিয়েটারে মানুষরা রিহার্সাল কতটা করে বা কামাই করে কতটা জানি না, কিন্তু ফেসবুকে তাদের উপস্থিতি ২৪×৭।
এই প্রসঙ্গে আমি বাংলাদেশের ছবিটা তুলে ধরেই ক্ষান্ত হব। গত ৫ অক্টোবর আমার ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল। ওই সন্ধ্যাতেই শিল্পকলা আকাদেমিতে ‘পদ্মা-গঙ্গা সাংস্কৃতিক উৎসব’ উদ্বোধন করার জন্য। হঠাৎই জানতে পারলাম ওইদিন সকালে মহিলা সমিতির সভাঘরে বাংলাদেশের দুই কৃতী নাট্যজন আমার বন্ধু মামুনুর রশিদ এবং নাসিরুদ্দিন ইউসুফ মঞ্চে বসে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলবেন। শ্রোতা নাট্যজনেরা। আমি ৫ তারিখ দুপুরের বদলে ৪ তারিখ সন্ধ্যার ফ্লাইটে ঢাকা চলে গেলাম ওদের কথা শুনব বলে। অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশের নাট্যজনদের সংস্থা ‘ডিরেক্টস ইউনিট’। দর্শনী ছিল ৫০ টাকা। ২৫০ জনের সভাগৃহটি কানায় কানায় ভর্তি হয়ে উপচে পড়েছিল সেই সকালে। কলকাতার রুদ্রপ্রসাদ এবং অরুণ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে এরকম একটি অনুষ্ঠান আদৌ সম্ভব কিনা আমি নিশ্চিত বলতে পারব না। হলেও, টিকিট না থাকলেও, ৫০ জনের বেশি লোক হবে না এ বিষয়ে নিশ্চিত। তারপর আবার আয়োজক ডিরেকটরস ইউনিটি? একেবারেই অসম্ভব।
 ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায় 
23rd  March, 2019
কলা বিক্রেতা থেকে এক সময় বিদ্যাসুন্দর পালাগানে শহর মাতিয়ে দেন গোপাল উড়ে

বিদ্যাসুন্দর পালায় গোপাল উড়ের সাজসজ্জা, চলনবলন, অভিনয় আর গমক দেখে দর্শকরা ভেবেছিলেন কোনও মহিলা শিল্পী অভিনয় করছেন। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস বিশদ

30th  March, 2019
দাদার কীর্তি 

জনপ্রিয় ছায়াছবি মঞ্চায়ন করা শুধু যে চ্যালেঞ্জিং তা নয়, অনেক বেশি ঝুঁকিরও। আর সেই দূরূহ কাজটি দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে পালন করল নৈহাটি ব্রাত্যজন। তাদের সাম্প্রতিক প্রযোজিত নাটক ‘দাদার কীর্তি’র সফল উপস্থাপনায়। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত এই গল্প নিয়ে তরুণ মজুমদার জনপ্রিয়, সফল বাংলা ছবি উপহার দিয়েছিলেন।  
বিশদ

23rd  March, 2019
থিয়েটার যখন নিরাপদে থাকতে চায়
তখন সে নিজের মৃত্যু পরোয়ানা স্বাক্ষর করে 

চন্দন সেন: ২৭ মার্চ, বিশ্বনাট্য দিবস। এবারে আইটিআই বা ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট প্রবর্তিত এই দিনটার বয়স হল ৫৭ বছর। ফ্রান্সে সূচনা, এখন সব সীমানা ভেঙে ছড়িয়ে পড়েছে এই দিনটাকে স্মরণের উৎসব।  
বিশদ

23rd  March, 2019
বিশ্বনাট্য দিবসের বাণী ২০১৯ 

এবারের বিশ্বনাট্য দিবসের বাণী দিয়েছেন ৫৬ বছর বয়সি আধুনিক কিউবান নাট্যকার, নির্দেশক, নাট্যবিদ ও প্রশিক্ষক কার্লোস কেলদ্রোন।

যখন থেকে আমি থিয়েটার নিয়ে জেগে উঠছি তার বহু আগে থেকেই আমাদের নাট্যগুরুরা সক্রিয় ছিলেন। থিয়েটারকে সামনে রেখেই তাঁরা নিজেদের বাসভূমির আর পরমায়ুর বরাদ্দ বাকি দিনগুলোর কর্মভূমির রূপরেখা তৈরি করছিলেন। তাঁদের অনেকেই আজও অচেনা, অনেকের কথাই আর স্মৃতিতে নেই।
বিশদ

23rd  March, 2019
ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যায় 
একনায়কের শেষরাত

আঠারোশো উননব্বই সালের বিশে এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ শহরে জন্ম হয় হিটলারের। পুরো নাম অ্যাডল্ফ হিটলার। উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালের তিরিশে এপ্রিল জার্মানির বার্লিন শহরে মাত্র ছাপ্পান্ন বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।  বিশদ

16th  March, 2019
যাত্রাকথা ৩
প্রবীণা ঝাঁটা উপহার দিলেন গোবিন্দ অধিকারীকে 

নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে প্রতি বছর কয়েকদিনের জন্য যাত্রাগানের আসর বসত। বিশেষ করে রথযাত্রার সময় হতো পালাগান। তিনি ছিলেন তখনকার পালাগানের বিশেষ অনুরাগী। তখন যাত্রাপালায় বদন অধিকারীর খুব সুখ্যাতি।   বিশদ

16th  March, 2019
আমি চপল ভাদুড়ি না চপলরানি!

 তাঁকে নিয়েই তৈরি হয়েছে একটি নাটক। নিজের চরিত্রেই অভিনয় করছেন তিনি। চপল ভাদুড়ির সঙ্গে কথা বললেন সঞ্জীব বসু। বিশদ

02nd  March, 2019
প্রবীণা ঝাঁটা উপহার দিলেন
গোবিন্দ অধিকারীকে

 যাত্রাওয়ালাদের পালা দেখে চোখের জলে ভাসেন দর্শকরা। কেউ আনন্দে শিল্পীর দিকে ছুঁড়ে দেন টাকাপয়সা, কেউ বা দেন গায়ের চাদর। লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস। বিশদ

02nd  March, 2019
গ্রামজীবনের জ্বলন্ত দলিল
গণদেবতা

 হীনবল, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের চিরটাকালই পায়ের নীচে রেখে চলতে অভ্যস্ত উচ্চশ্রেণীর প্রতিনিধিরা। সমাজসৃষ্টির আদিকাল থেকে এমনটাই ঘটে চলেছে। কিন্তু কখনও কখনও দলিত, নিপীড়িত এইসব মানুষরাই জেগে ওঠে, আন্দোলন করে, অস্ত্র ধরে শোষকের বিরুদ্ধে। এই মানুষগুলোই সমাজের দেবতা—গণদেবতা।
বিশদ

02nd  March, 2019
স্যিলুয়েট ড্রিমের নাটক শুধু নাটক

 গত ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্রীরামপুর রবীন্দ্রসদনে হয়ে গেল স্যিলুয়েট ড্রিম নাট্য সংস্থার নাট্যোৎসব ‘নাটক শুধু নাটক’। তিনদিনে মোট ন’টি নাটক মঞ্চস্থ হয়। বিশদ

02nd  March, 2019
আলিপুর অহনার নাট্যোৎসব

 গত ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনদিনব্যাপী এক নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছিল আলিপুর অহনা নাট্যদল। হাজির ছিলেন নাট্যকার অরূপশঙ্কর মৈত্র, সমালোচক রঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায় অভিনেত্রী ছন্দা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
বিশদ

02nd  March, 2019
 কুমার রায় স্মারক বক্তৃতা

 ২০১০ সালে প্রয়াত হন বহুরূপীর প্রাণপুরুষ কুমার রায়। তারপর থেকেই প্রতি বছর কুমার রায়ের স্মরণে নাট্যবক্তৃতামালার আয়োজন করা শুরু করে বহুরূপী। এবছর তা নবম বর্ষে পদার্পণ করল।
বিশদ

02nd  March, 2019
স্কুল থেকে মঞ্চে 

এক অন্যরকম নাট্য উৎসব। কচিকাঁচারা মাতিয়ে দিল মঞ্চ। পাক্কা অভিনেতাদের মতো অভিনয়ে মন টানল দর্শকের। পারবে নাই বা কেন? সব শিশুর মধ্যেই তো লুকিয়ে থাকে শিল্পীর সত্তা।  
বিশদ

11th  February, 2019
ষষ্ঠ চর্যাপদ উৎসব 

গত ৩ ফেব্রুয়ারি আসানসোল শিল্পাঞ্চলে হয়ে গেল ষষ্ঠ চর্যাপদ নাট্যমেলা। এটির আনুষ্ঠানিক শিরোনাম অবশ্য ‘চর্যাপদ উৎসব’। স্থানীয় বিধায়ক ও দলের সদস্যদের অভিভাবকরা গাছে জল দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। 
বিশদ

11th  February, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 পবিত্র ত্রিবেদি, কলকাতা: বর্ষায় জল জমার দুর্ভোগ থেকে এবারও রেহাই মিলছে না বিধাননগর পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দাদের। সল্টলেকে জল না জমলেও বিধাননগর পুরসভার বাকি অংশে এই সমস্যা এলাকাবাসীর যন্ত্রণার কারণ হয়। ...

গ্রেম স্মিথ : অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান অস্ত্র পেস বোলিং। ওভালে ভারতের বিরুদ্ধে মন্থর, ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে অজিদের এই অস্ত্র কাজ করেনি। অন্য ম্যাচে ভয়ঙ্কর মূর্তিতে আবির্ভূত হলেও মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সের মতো বোলাররা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর বিন্দুমাত্র ত্রাসের সঞ্চার করতে ...

সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা মৎস্য চাষিদের তেলাপিয়া মাছের চাষ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কেন বিজ্ঞানীরা এই মাছের চাষ থেকে চাষিদের বিরত থাকতে বলছেন?  ...

বিএনএ, বাঁকুড়া: এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে কর্মবিরতি শুরু করলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন সকাল থেকে হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,
১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,
১৯৫৭- পাকিস্তানের ক্রিকেটার জাভেদ মিঁয়াদাদের জন্ম,
২০০৩- মার্কিন অভিনেতা গ্রেগরি পেকের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৬৯ টাকা ৭০.৩৮ টাকা
পাউন্ড ৮৬.৫৮ টাকা ৮৯.৮০ টাকা
ইউরো ৭৭.২১ টাকা ৮০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২,৯১৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,২৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩১,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৬,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৬,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৩/৫০ সন্ধ্যা ৬/২৭। হস্তা ১৭/১৯ দিবা ১১/৫১। সূ উ ৪/৫৫/২০, অ ৬/১৭/৬, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/১০ মধ্যে পুনঃ ১/৪৯ গতে ৫/২৩ মধ্যে। রাত্রি ৯/৫০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ১/১২ মধ্যে, বারবেলা ৮/১৬ গতে ৯/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৬ গতে ১/১৬ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬ গতে ৩/৩৬ মধ্যে। 
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১২ জুন ২০১৯, বুধবার, দশমী ৩৫/৫৪/৩৯ রাত্রি ৭/১৭/২৫। হস্তানক্ষত্র ২০/৪৩/৩৩ দিবা ১/১২/৫৮, সূ উ ৪/৫৫/৩৩, অ ৬/১৮/৫১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ গতে ১১/১৩ মধ্যে ও ১/৫৪ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৫৪ মধ্যে ও ১২/১ গতে ১/২৫ মধ্যে, বারবেলা ১১/৩৭/১২ গতে ১/১৭/৩৭ মধ্যে, কালবেলা ৮/১৬/২২ গতে ৯/৫৬/৪৭ মধ্যে, কালরাত্রি ২/১৬/২৩ গতে ৩/৩৫/৫৭ মধ্যে। 
৮ শওয়াল 
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। বৃষ: ভ্রমণ যোগ আছে। মিথুন: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকে দিনে 
বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস,১৯২৯- লেখিকা অ্যান ফ্রাঙ্কের জন্ম,১৯৫৭- পাকিস্তানের ...বিশদ

07:03:20 PM

বিশ্বকাপ: ৪১ রানে পাকিস্তানকে হারাল অস্ট্রেলিয়া 

10:35:44 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ২৩০/৭(৪০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮) 

10:03:16 PM

 বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১৬০/৬(৩০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

09:20:41 PM

বিশ্বকাপ: পাকিস্তান ১১০/২(২০ ওভার)(টার্গেট ৩০৮)

08:34:26 PM