যে কোনও ব্যবসায়িক কর্মে অতিরিক্ত অর্থলাভের প্রবল সম্ভাবনা। শিল্পীদের পক্ষে শুভদিন। ... বিশদ
তিনি জানিয়েছেন, গত জুন মাসে স্টারলাইট প্লেসে লুই ভিতোঁ-র একটি আউটলেটে গিয়েছিলেন সেই মহিলা। পোশাকপরিচ্ছদ খুব সাধারণ হলেও তাঁর হাতে ছিল দামি একটি হ্যান্ডব্যাগ। তবু স্টোরের কর্মীরা তাঁর কোনও কথাই শুনছিলেন না, পাত্তাই দিচ্ছিলেন না তাঁকে। তিনি যা যা চাইছিলেন, সেসব দেখানো তো দূর, শোনাই হচ্ছিল না তাঁর কথা। উল্টে তাঁর দিকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখছিলেন দোকানের কর্মীরা। কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলে তারও জবাব দিচ্ছিলেন না ওখানকার কর্মীরা।
বিষয়টি নিয়ে লুই ভিতোঁ-র হেড অফিসে যোগাযোগ করেন সেই মহিলা। তাতেও দু’মাসে কোনও সদুত্তর মেলেনি। খুবই অপমানিত বোধ করেন তিনি। মনে করেন, এর শেষ দেখে ছাড়বেন।
এরপর মাস দুই পর দুই সঙ্গীকে নিয়ে এবার ধোপদুরস্ত পোশাকে সেই স্টোরে প্রবেশ করেন ওই মহিলা। তাঁরা প্রচুর জিনিসপত্র কেনার জন্য বাছাই করেন। স্টোরের কর্মীরা এত জিনিসের ক্রেতাকে বাড়তি সম্মান দিতে শুরু করে। তাঁর বিল হয় ৬০০০ ইয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৮.৫০ লক্ষ টাকা)। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ থেকে ওই বিপুল অঙ্কের অর্থ বের করে দিয়ে দেন স্টোরের কর্মীদের। হাতের কাজ ফেলে রেখে সব কর্মী মিলে প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে অর্থ গণনা চলে।
যখন টাকা গোনা শেষ, তখন হঠাৎই ওই মহিলা বলে ওঠেন, ‘আমরা আলোচনা করে ঠিক করেছি, এই জিনিসগুলো আজ এখান থেকে কিনব না।’ বলেই অর্থ ফেরত নিয়ে কালবিলম্ব না করে স্টোর ছাড়েন সেই মহিলা!
ভাইরাল এই ঘটনায় নানা মানুষ বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তবে বেশিরভাগই এই মহিলাকে সমর্থন জানিয়েছেন ও লুই ভিতোঁ-র স্টোরের কর্মীদের আচরণের নিন্দা করেছেন।