Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির ওঠাপড়া

হিমাংশু সিংহ: মুখেন মারিতং জগৎ! সিপিএম ধীরে ধীরে ফেসবুকের দলে পরিণত। আর গেরুয়া পার্টি মত্ত বিদ্বেষ, মেরুকরণ আর সাম্প্রদায়িকতার বাজারি বিপণনে। বিধানসভা ভোটের একবছর আগে দুই প্রধান প্রতিপক্ষই বেশ বুঝতে পারছে, এবার পিচে কিছুই নেই। না স্পিন, না পেস। সেই কারণে দু’পক্ষই আগের বারের চেয়েও দিশাহীন। উইকেটে তৃণমূল যে বড় ইনিংস গড়তে চলেছে তা একপ্রকার নিশ্চিত। সিপিএম দলীয় সম্মেলন নিয়েই ক্লান্ত আর বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে হবেন সেই খোঁজেই ধ্বস্ত! দিল্লির জয়ের পর অঙ্গ, বঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে মোদি-অমিত শাহ যতই ঝাঁপান, কট্টর হিন্দুত্ব ছাড়া বঙ্গ বিজেপির আর কিছুই দেওয়ার নেই। এই বঙ্গে তারা এখনও স্রেফ ‘বহিরাগত’। আগমার্কা আরএসএস নয়, দলবদলু নির্ভর।
একুশের ভোটে দু’পক্ষই ভেবেছিল, তৃণমূলকে যা খুশি বলে দেগে দিলেই বুঝি পালাবদল নিশ্চিত। চ্যানেলে চ্যানেলে সান্ধ্য টক-শোতে গলার শির ফুলিয়ে ভাষণ দাও। জানা বিশেষণের ভাণ্ডার দাও উজাড় করে। দল ভাঙো। টাকা ছড়াও। কিন্তু এত কিছুতেই কাজ না-হওয়ায় এখন হতাশা দানা বাঁধছে। যাঁরা তোপ দাগছেন এবং যে ব্যানারের তলায় দাঁড়িয়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন, দু’য়েরই বিশ্বাসযোগ্যতা এই বঙ্গে তলানিতে। তাঁরা নিজেরাও অভিজ্ঞতা থেকে বেশ বুঝতে পারছেন, স্টুডিওর কৃত্রিম যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশের বাইরে বেরলেই সব ইস্যু ফিকে, ধূসর! নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সন্দেশখালি পেরিয়ে আর জি কর, সব ফ্লপ! এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! যতই লোপ্পা ক্যাচ উঠুক, ধরার মতো ফিল্ডার নেই।
সিপিএমের সম্মেলন আছে, দু’শো গালভরা কমিটির বাহার আছে, গঠনতন্ত্র আছে কিন্তু এগারোর পর শুরু হওয়া রক্তক্ষরণ থামানোর দাওয়াই নেই। উল্টে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি বামেদের ভিটেমাটি ছাড়া করেছে। দলের রিপোর্টই বলছে, ২৫ হাজার সদস্য কমেছে। যাঁরা আছেন, তাঁরাও কি সবাই সক্রিয়? বুথে বুথে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ক্ষমতা ধরেন? তাই একটা রাজ্য সম্মেলন কিংবা পার্টি কংগ্রেস দলের এই করুণ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ বাতলাতে পারবে না। ৩৪ বছরের গর্বের অতীত ফেরাতে আরও ৬৮ বছরের ত্যাগ ও সংগ্রাম লাগবে, কমরেডরা প্রস্তুত তো?
পাশাপাশি উনিশ সালের লোকসভা কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের আগের তুলনায় বঙ্গে বিজেপির অবস্থাও আজ শোচনীয়। জেলায় জেলায় তৃণমূল ভেঙে গেরুয়াকে উজ্জীবিত করার পাঁচ বছর আগের ফর্মুলা ভোঁতা। এজেন্সি দিয়ে জেলে পোরার হুমকিতে আর কাজ হওয়ার নয়। ব্রহ্মাস্ত্র একবারই প্রয়োগ করা যায়। স্টেরয়েড রোজ দিতে নেই, কাজ হয় না। আসলে বিজেপি এ রাজ্যে সব তাস খেলে ফেলেছে। ছাব্বিশে আর এক দফা মহা সংগ্রামের আগে তাই নতুন আর কোনও চমক হাতে নেই। সবাই জানে আবার মোদি, অমিত শাহের ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। হাওয়াই জাহাজের চক্কর সকাল থেকেই কাঁপাবে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ। দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া রেখে এই নাটকে বাংলা ও বাঙালির লাভ? 
বরং তৃণমূলকে বুঝে নেওয়ার চেয়ে ঝগড়া থামানোই বঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ। নির্বাচনের পর নির্বাচনে নেতৃত্বের চূড়ান্ত ব্যর্থতা সত্ত্বেও নানা গোষ্ঠী আর উপ দলের স্রোতে আজ বঙ্গ বিজেপির ‘ত্রাহি মধুসূদন’ অবস্থা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছে দিল্লির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। কারণ, সভাপতির নাম ঘোষণামাত্রই আড়াআড়ি ভাগ আরও প্রকট হবে। কোন কূল রাখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ও পরে দু’টি ইস্যু নিঃসন্দেহে গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সন্দেশখালি ও আর জি কর, ডান-বাম নির্বিশেষে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মরা গাঙে কোহিনুরের সন্ধানে। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এমন যেন নির্বাচন ছাড়াই বাংলায় সরকার বদলে যাবে। কিন্তু টানা সাতমাস পরও কই নুড়ি পাথরও তো উঠল না! এই বাংলা মমতার ছিল, আছে এবং থাকবে। আপাতত ছাব্বিশের একবছর আগে এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্য। কথা ছিল, পৌষ সংক্রান্তি কাটলেই একটা তাজা গেরুয়া ব্যক্তিত্বকে সভাপতি হিসেবে পাবে বাংলা। সংক্রান্তি কাটল। বলা হল, দিল্লি নিয়ে অমিত শাহরা বড্ড ব্যস্ত। সবুর করুন। তা ভোট পেরিয়ে দিল্লিরও সরকার গড়া শেষ। এখনও বিজেপির প্রতিষ্ঠিত নিয়ম ভেঙে এ রাজ্যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই সংগঠনের শীর্ষে। বিজেপি জানে, এ রাজ্যে তাঁদের যাবতীয় অস্ত্র একুশে এবং চব্বিশেই ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। আর দু’মাস বাদে যখন দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন তখন মমতা ‘হিন্দু নন’, এ রাজ্যে ‘মোল্লার সরকার’ চলছে—এক ফ্লপ দলবদলু নেতার এহেন আস্ফালন হালে পানি পাবে বলে মনে হয়? এসব সস্তা বাকোয়াস ধোপে টিকবে কি? নাকি বাঙালির মন অতীত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভুলে শুধু বিদ্বেষ আর বিভাজনে সায় দেবে। বিজেপি দিল্লি জয়ের পরে যতই বাংলাকে পাখির চোখ করুক, রেকর্ড দশ এগারো দিন আরএসএস প্রধান বাংলায় থেকে ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে দিয়ে যান—উন্নয়ন নয়, বাংলার সাংস্কৃতিক প্রগতি নয়, একমাত্র ধর্মীয় বিভাজন এবং তাকে উস্কানি দিয়ে একটা বিষাক্ত সমাজ তৈরিতে ইন্ধন দেওয়া ছাড়া এ রাজ্যে বিজেপির আর কোনও কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না। তাই পড়শি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনে তাদের চোখ চকচক করে ওঠে। কারণ, ওতে মেরুকরণ আর এক প্রস্থ ধারালো হবে। কিন্তু খড়কুটো আঁকড়ে ধরে কোনওরকমে ভেসে থাকা যায়, জেতা যায় না!
কী অবস্থা ‘শূন্য’ সিপিএমের? গত কয়েকমাস ধরে জেলায় জেলায় সম্মেলন পর্বে অস্তিত্ব হারানো একটা দল শুধু নিজেদের মধ্যে ঝগড়া আর একে অপরের বিরুদ্ধে ফন্দিফিকির এঁটেই গেল। এই গণ্ডগোল সামাল দিতে না পেরে পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ এবং কোচবিহার জেলায় দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করে পুরনো পক্বকেশ নেতাকেই সম্পাদক পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক অঙ্ক কষেও ওই ফর্মুলা কাজ করেনি উত্তর ২৪ পরগনায়। অসুস্থ জেলা সম্পাদককে সরিয়ে নয়া নেতৃত্বকে মেনে নিতে কার্যত বাধ্য করা হয়েছে আলিমুদ্দিনের কর্তাদের। নতুন বছরে সিপিএমের মধ্যেকার গণ্ডগোল কতটা ভয়ঙ্কর তার প্রমাণ উপ নির্বাচনে বরানগরের পরাজিত প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যকে এক মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগে দল থেকে সাসপেন্ড করা। যে অভিযোগে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিস গ্রেপ্তার না করে ছেড়ে দেয়, সেই অভিযোগে দলের একজন নেতাকে সম্মেলন পর্বে বসিয়ে দেওয়া কোন পবিত্র গঠনতন্ত্রের কুফল? বিশেষ করে দলের এই সঙ্কটময় মুহূর্তে ইন্ধন জুগিয়েছে কারা? তন্ময়বাবুর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে কে? দল না বিরোধীরা? সেলিম বিমান সূর্যকান্তের বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠলে পার্টি তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেবে তো? দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলা কমিটি গঠিত হওয়ার পরদিন একে একে পদত্যাগ প্রমাণ করে শূন্যের অপমান ঘোচানো নয়, অন্তর্দলীয় কূটকচালির মধ্যে দিয়ে ইতিহাস থেকে মুছে যাওয়াই সিপিএমের ভবিতব্য। সেই কারণেই চুরাশি পেরনো বিমান বসুকেও রাজ্য সম্মেলনের আগে বিবৃতি জারি করতে হয়। যদিও তা শোনার লোক পার্টিতে আর বড় একটা আছে বলে মনে হয় না। যখন ভোট রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার তুলনায় শূন্য হয়ে যাওয়া দলের 
সংগঠনে নিজেকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার বাসনা উদগ্র রূপ নেয়, তখন বুঝতে হবে সেই দলের স্বখাত-সলিলে ডুবে মরা ছাড়া আর কোনও গতি নেই। কারণ, নেতৃত্ব জানে, তৃণমূল-বিজেপি বাইনারি এখনই ভাঙবে না। আর ৩৪ বছরে সিপিএম 
নামটা এত ক্লিশে এবং কলঙ্কিত হয়ে গিয়েছে যে যতই মধু ঢালুন, ন্যায়-বিবেকের কথা বলুন না কেন, ভোটে ৩ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি সমর্থন মিলবে না। পড়ে রইল তরুণ প্রজন্ম। মীনাক্ষী, দীপ্সিতা, সৃজন ও ‘কীর্তন’ সম্প্রদায়। তাঁরা কেউই তো রাজনীতিতে নতুন নন। এ পর্যন্ত ভোটে দাঁড়িয়ে এই উজ্জ্বল একঝাঁক পায়রা নিজেদের জামানতটুকুও কি বাঁচাতে পেরেছেন? এভাবে শুরুতেই কঠিন পিচে হারার জন্য খেলতে নামিয়ে মীনাক্ষীদের রাজনৈতিকভাবে শেষ করে দেওয়ার দায় এড়াতে পারে না রাজ্য নেতৃত্ব। 
আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে। যদি না মহারাষ্ট্র কিংবা দিল্লির মতো ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারচুপির আশ্রয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল নিতে না পারে তাহলে এখনই বলে দেওয়া যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ শুধু বছর ঘোরার অপেক্ষা। পাঁচবছর আগের চেয়েও একপেশে ভোট দেখবে এবার বাংলা। সিপিএম শূন্য থেকে এক, বিজেপি ৩০ থেকে ৪০...। আড়াইশোর আশপাশে তৃণমূল।
23rd  February, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
একনজরে
টিউশন পড়তে গিয়ে শিক্ষকের লালসার শিকার কিশোরী। গত তিন বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। অবশেষে গুণধর গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...

আজ ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। তার আগে বৃহস্পতিবার লন্ডনের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সময় কাটালেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও  রানি ক্যামিলা। ...

শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলের জায়গা থেকে হকার উচ্ছেদের কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ...

এবার মালদহের দর্শনীয় স্থান নিয়ে তৈরি হচ্ছে শর্ট ফিল্মস। বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড় থেকে আদিনা, আম থেকে রসকদম্ব, গঙ্গা থেকে মহানন্দার প্রাকৃতিক বৈচিত্র নিয়ে তৈরি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মারাঠি ভাষা দিবস
বিশ্ব এনজিও দিবস
১৭১২- মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ ১-এর মৃত্যু
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু 
১৯৬৭- অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯- পরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৭৬- অভিনেতা শ্রেয়স তালপাড়ের জন্ম
১৯৯৩- অভিনেত্রী তথা যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের জন্ম
১৯৭৭- মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জন্ম

27th  February, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৪৩ টাকা ৮৮.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৮ টাকা ১১২.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৪ টাকা ৯৩.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ০/৩০ প্রাতঃ ৬/১৫ পরে ফাল্গুন শুক্ল প্রতিপদ ৫৩/৫ রাত্রি ৩/১৭। শতভিষা নক্ষত্র ১৯/৩ দিবা ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/২/৫০, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে ৪/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা প্রাতঃ ৬/৫৬ পরে প্রতিপদ শেষরাত্রি ৫/৪। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/৫৮। সূর্যোদয় ৬/৫, সূযাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/১৬ মধ্যে।  
২৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা করতে হবে ইউক্রেনকে, জেলেনস্কিকে বললেন ট্রাম্প

01:23:55 AM

জাতীয় নাগরিক পার্টি(ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) নামের নতুন রাজনৈতিক দল খুলল বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা, আহ্বায়ক হলেন নাহিদ ইসলাম

12:23:12 AM

ডব্লুপিএল: মুম্বইকে ৯ উইকেটে হারাল দিল্লি

10:27:00 PM

ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

10:10:00 PM

বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা, বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবহারকারীদের

10:07:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ওড়িশা ০-মহামেডান ০

09:35:00 PM