Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

আমেরিকান নতুন প্রেসিডেন্ট কে? ডোনাল্ড ট্রাম্প, নাকি স্পেস এক্স-এর মালিক এলন মাস্ক! নাকি মাস্ককে ‘প্রধানমন্ত্রীর’ মতো কোনও অলিখিত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে! ট্রাম্পের নয়া জমানায় এই ধনকুবেরের নজিরবিহীন ভূমিকা দেখে স্তম্ভিত অনেকেই। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, বকলমে কি মাস্ক-ই প্রশাসন চালাবেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউস। সেখানে প্রেসিডেন্টের জন্য রয়েছে বিশেষ একটি টেবিল ও চেয়ার। ওই চেয়ারে বসেই দেশ শাসনের সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন তিনি। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই টেবিলটি ‘রেজল্যুট ডেস্ক’ নামে পরিচিত। আর সেই ‘রেজল্যুট ডেস্ক’ নিয়েই বিতর্ক উস্কে দিয়েছে আমেরিকার প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিন। টাইমের সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে রয়েছে, প্রেসিডেন্টের টেবিল–চেয়ারে বসে আছেন এলন মাস্ক। হাতে কফির কাপ। তাঁর পিছনে দুই পাশে আমেরিকা ও প্রেসিডেনশিয়াল পতাকা। টাইমের এই সংস্করণটিতে ‘ওয়াশিংটনে এলন মাস্কের যুদ্ধের ভিতরের খবর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে। তাতে লেখা, ‘এখনও পর্যন্ত এটাই মনে হচ্ছে, মাস্ক একমাত্র প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়া আর কারও কাছে জবাবদিহির জন্য বাধ্য নন।’
গত কয়েক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টাইমের প্রচ্ছদে এলেন এলন মাস্ক। গত নভেম্বরের সংস্করণের প্রচ্ছদে মাস্কের ছবি দিয়ে শিরোনামে লেখা হয়েছিল ‘নাগরিক মাস্ক: তাঁর কাজের তালিকায় কী কী রয়েছে’। এই দুই প্রচ্ছদে এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে, ট্রাম্প নন, আসলে ক্ষমতায় রয়েছেন এলন মাস্কই। টাইমের এই প্রচ্ছদ নিয়ে ট্রাম্পের কাছে তাঁর অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘টাইম ম্যাগাজিন এখনও চালু আছে? জানতাম না তো!’ ট্রাম্পের কথায়, ‘জানেন তো, এটা এখন একটা নতুন পন্থা। ভুয়ো খবর ছড়ানো। নতুন ভুয়ো খবরটা হল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতা এলন মাস্কের হাতে তুলে দিচ্ছেন।’
ট্রাম্প কি আসলে মাস্ককে গ্রাস করছেন, না মাস্ক গ্রাস করছেন ট্রাম্পকে? এই প্রশ্নটা বহুদিন ধরে ঘোরাঘুরি করছে বিশ্বে। স্বাভাবিক। এভাবে কোনও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে খোলাখুলি সমর্থন করেছেন কোনও শিল্পপতি? আমেরিকায় যা করে দেখিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষ এলন মাস্ক। রাজনীতির এমনই মহিমা, প্রত্যেক সফল নেতার পিছনে এক অদৃশ্য ছায়া থাকে। সেই ছায়া আসলে এক শিল্পপতির। আগে এই শিল্পপতিরা অনেক আড়ালে থেকে সাহায্য করতেন। মিডিয়াকে প্রভাবিত করে, ভোট-প্রচারে টাকা জুগিয়ে, রাজনীতিকদের সঙ্গে সামাজিক সংযোগ করে। এখন একেবারে খোলাখুলি। আমেরিকাতে জন রকাফেলার কিংবা বিল গেটসের মতো শীর্ষ-ধনীরা কখনও আসেননি প্রত্যক্ষ রাজনীতির বৃত্তে।
আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই ট্রাম্পের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে টেসলা, স্পেসএক্স ও এক্সের মালিক ধনকুবের এলন মাস্ককে। নির্বাচন ঘিরে ট্রাম্পের প্রচারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থও ঢেলেছিলেন তিনি। এই আনুগত্যের পুরস্কার দিতে ভোলেননি ট্রাম্প। ক্ষমতা পাকা হওয়ার পর ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডজ) নামে নতুন একটি বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন মাস্ককে। এর উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় ব্যুরোক্র্যাসি মোটামুটি এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনা। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বিষয়সমূহ এবং কর্মক্ষমতার পূর্ণ নিরীক্ষণের মাধ্যমে কঠোর সংস্কারের সুপারিশ করবে সংস্থাটি, এমনটাই চাইছেন ট্রাম্প। দপ্তরটি চলবেও ওয়াশিংটনে মাস্কের স্পেসএক্স অফিস থেকে। মাস্ক অবশ্য বলেছেন, ‘ডজ’ গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি নয়, হুমকি ব্যুরোক্র্যাসির উপর। বিষয়গুলিকে সহজ ভাবে দেখছেন না আমেরিকার নাগরিকরা। ট্রাম্প ও মাস্ক সম্পর্কে গুঞ্জন আরও বেড়েছে আমেরিকান মিডিয়ার সৌজন্যে। বেশ কিছু সংস্থা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, মাস্ক আমেরিকার সম্ভাব্য রাষ্ট্রপ্রধান হতে চলেছেন। ইতিমধ্যে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ সংবাদপত্র মাস্কের জন্য একটা নতুন শব্দবন্ধ তৈরি করে ফেলেছে— ‘কো-প্রেসিডেন্ট’। ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, ‘আমি নিরাপদ, কেন জানেন? ও (এলন) এ দেশে জন্মায়নি। না না, ওসব কিছু হচ্ছে না। এলন অসাধারণ কাজ করছেন।’
এলন মাস্ক শুধু প্রযুক্তি ব্যবসায়ী নন, তিনি আমেরিকার রাজনীতিতেও একটি বিতর্কিত চরিত্র হয়ে উঠেছেন। তাঁর কিছু কর্মকাণ্ড ও মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। যেমন— প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর নাৎসি কায়দায় অভিবাদন (সিগ হেল) নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মার্কিন উন্নয়ন সংস্থা ইউএস-এইডকে ‘অপরাধী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে এটির ‘মৃত্যু’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প-মাস্ক যুগলবন্দির নতুন সিদ্ধান্তে আমেরিকায় শিশুদের ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের বরাদ্দ কমে গিয়েছে। সেটা নাকি রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতা জানতেনই না। মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। ফেসবুক, অ্যাপল, মাইক্রোসফটের মতো বহুপরিচিত সংস্থার মালিকরা রাজনীতি নিয়ে বেশি কথা বলেন না। মাস্ক সেখানে একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
রস্কিল্ড ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অধ্যয়নের সহযোগী অধ্যাপক সোমদীপ সেনের কথায়, মাস্কের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ শুধু আমেরিকাতেই সীমাবদ্ধ নেই। তিনি কট্টর ডানপন্থী ট্রাম্প ও তাঁর মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) আন্দোলনকে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। শুরু করেছেন তাঁর ‘বিশ্বভ্রমণ’। বিভিন্ন দেশে চরম ডানপন্থী মতাদর্শ উস্কে দিচ্ছেন। ব্রিটেনে তাঁর অনুগত নেতাদের ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করছেন। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা দ্য গার্ডিয়ানে আলেকজান্ডার হার্স্ট লিখেছিলেন, এলন মাস্ক ‘এক ব্যক্তির দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’-এ পরিণত হচ্ছেন। এখনই সময় তাঁর লাগাম টেনে ধরার। কিন্তু সেই লাগাম টানবে কে? মাস্কের বিপুল বৈভবের সঙ্গে লড়াইয়ের সাহস কার আছে। মনে রাখবেন, ডলার যদি মিটার হতো, তাহলে মাস্কের টাকায় মঙ্গল গ্রহেও চলে যাওয়া যেত!
ব্যক্তি-পুজোর সংস্কৃতির শুরুটা করেছিলেন স্টিভ জোবস। তিনি অতি সতর্কতা ও যত্নের সঙ্গে বিশ্ববাসীর কাছে নিজের উদার ও কৌতূহলী উদ্ভাবকের ভাবমূর্তি ধরে রেখেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ‘কঠোর-নিয়ন্ত্রিত একটি কর্পোরেশনের’ প্রধান ছিলেন। জোবস গোটা জীবন রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও তাঁর আইকনিক অবস্থান অনুসরণ করে উঠে আসা উত্তরাধিকারীরা তাঁর মূল্যবোধ ও আদর্শকে মোটেও অনুসরণ করেননি। তাঁরা তাঁদের নিজেদের প্রতিপত্তি ও ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিজেদের উদ্যমকে রাজনীতির হাতে সঁপে দিয়েছেন এবং নিজেদের কায়েমি স্বার্থ উদ্ধারের এজেন্ডাগুলিকে উন্মোচিত করে দিয়েছেন। এলন মাস্ক তার সর্বশেষ উদাহরণ।
গত এক বছরে মাস্ক ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ নাইজেল ফারাজের মতো ব্রিটেনের কট্টর ডানপন্থী ব্যক্তিদের বারবার সমর্থন জুগিয়েছেন। মাস্ক তাঁর প্ল্যাটফর্ম এক্স ব্যবহার করছেন ডানপন্থী উগ্রবাদ ছড়ানোর অস্ত্র হিসেবে। বিশ্বব্যাপী কট্টর ডানপন্থা উস্কে দেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জার্মানিতেও হস্তক্ষেপ করেছেন। কট্টর ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-কে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। এএফডি তো সেই চরম ডানপন্থী দল, যারা রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলে এবং ট্রান্স অতলান্তিক সম্পর্ক দুর্বল করতে চায়। তাদের নেতা অ্যালিস ভিডেল বলেছিলেন, হিটলার আসলে কমিউনিস্ট ও সমাজতান্ত্রিক ছিলেন। এই বিতর্কের পরও জানুয়ারির শেষ দিকে জার্মানির হাল্লেতে এক সমাবেশে মাস্ক এএফডিকে জার্মানির ‘শেষ আশার আলো’ বলে উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, অভিবাসন কমানোর মাধ্যমে একমাত্র এএফডি জার্মান সংস্কৃতি রক্ষা করতে পারবে। এই প্রকাশ্য সমর্থন এবং ভিডেলকে প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার মাধ্যমে মাস্ক সম্ভবত এএফডিকে জিতিয়ে আনতে চাইছেন।
ট্রাম্প ইউরোপে কট্টর ডানপন্থীদের উত্থানে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন, যেখানে মাস্কও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছেন। মাস্ক প্রকাশ্যে আর্জেন্তিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেয়ির প্রশংসা করেছেন। মিলেয়ির কঠোর অর্থনৈতিক নীতিগুলি তাঁর ‘ডজ’ নীতির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। মিলেয়ি ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বরে মাস্ক এল সালভাদরের বিতর্কিত নেতা নায়িব বুকেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নায়িব বুকেল কঠোর অপরাধ দমন নীতি ও গণহারে লোকজনকে জেলে পাঠানোর জন্য বিশাল কারাগার বানিয়ে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। সূত্রের খবর, ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকার দণ্ডিত অপরাধীদের বুকেলের কারাগারে পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে। বুকেল বলেছেন, আমেরিকা থেকে ফি নিয়ে তাদের কয়েদিদের রাখার মাধ্যমে তিনি নিজের কারাগার ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চান। গোটা দুনিয়ায় মাস্কের ডানপন্থী প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, তিনি কোনও মন্তব্য না করলেও কিছু দেশে তা প্রভাব ফেলছে। পোল্যান্ডে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোটার মাস্ক–সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিতে চান। যদিও মাস্কের বিশ্বজুড়ে ডানপন্থী বিপ্লবের প্রচেষ্টা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে চিন্তার বিষয় একটাই, বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে মাস্ক অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছেন।
আর গণতান্ত্রিক দেশগুলির কপালে ভাঁজ ফেলছে একটাই শব্দ— ‘মাস্কম্যানিয়া’!
20th  February, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
একনজরে
শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলের জায়গা থেকে হকার উচ্ছেদের কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ...

টিউশন পড়তে গিয়ে শিক্ষকের লালসার শিকার কিশোরী। গত তিন বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। অবশেষে গুণধর গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...

বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সভাধিপতি কাজল শেখের মধ্যে দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অলিন্দে নানা কানাঘুষো শোনা যায়। বহুবার ...

আজ ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। তার আগে বৃহস্পতিবার লন্ডনের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সময় কাটালেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও  রানি ক্যামিলা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মারাঠি ভাষা দিবস
বিশ্ব এনজিও দিবস
১৭১২- মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ ১-এর মৃত্যু
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু 
১৯৬৭- অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯- পরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৭৬- অভিনেতা শ্রেয়স তালপাড়ের জন্ম
১৯৯৩- অভিনেত্রী তথা যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের জন্ম
১৯৭৭- মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জন্ম

27th  February, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৪৩ টাকা ৮৮.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৮ টাকা ১১২.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৪ টাকা ৯৩.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ০/৩০ প্রাতঃ ৬/১৫ পরে ফাল্গুন শুক্ল প্রতিপদ ৫৩/৫ রাত্রি ৩/১৭। শতভিষা নক্ষত্র ১৯/৩ দিবা ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/২/৫০, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে ৪/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা প্রাতঃ ৬/৫৬ পরে প্রতিপদ শেষরাত্রি ৫/৪। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/৫৮। সূর্যোদয় ৬/৫, সূযাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/১৬ মধ্যে।  
২৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা করতে হবে ইউক্রেনকে, জেলেনস্কিকে বললেন ট্রাম্প

01:23:55 AM

জাতীয় নাগরিক পার্টি(ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) নামের নতুন রাজনৈতিক দল খুলল বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা, আহ্বায়ক হলেন নাহিদ ইসলাম

12:23:12 AM

ডব্লুপিএল: মুম্বইকে ৯ উইকেটে হারাল দিল্লি

10:27:00 PM

ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

10:10:00 PM

বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা, বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবহারকারীদের

10:07:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ওড়িশা ০-মহামেডান ০

09:35:00 PM