Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

তন্ময় মল্লিক: ‘আমি দশ বছরের বিধায়ক। গঙ্গারামপুর মণ্ডলের করদহ ও ভিকাহারে যাঁরা মণ্ডল সভাপতি হয়েছেন তাঁদের আমি চিনি না।’ কথাগুলি বিজেপি বিধায়ক সত্যেন রায়ের। সত্যেনবাবু দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের বিধায়ক। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই জেলারই মানুষ। তাঁকে বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি। তবে, সত্যেনবাবুর বিস্ফোরক অভিযোগটি হল, ‘সংগঠন মজবুত করতে তিনি পুরনো কর্মীর নাম দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের না করে যাঁরা তাঁকে একুশের ভোটে হারানোর চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরই বসানো হয়েছে। এঁদের নিয়ে ছাব্বিশে নির্বাচন করলে ফল খারাপ হবে।’ এই কথার অর্থ, বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়ে গিয়েছে ‘তুই বড় না মুই বড়’র জোর লড়াই। এই অবস্থায় বিজেপির বাংলা দখলের দাবি ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন ছাড়া কিছুই নয়।
সত্যেন্দ্রনাথবাবু জনপ্রতিনিধি। তাই তাঁর ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যেও ছিল সংযম। কিন্তু বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা অফিসে ভাঙচুর চালানো নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া। তাঁরা মাটিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন। দল হারলে ভুগতে হয় তাঁদেরই। ফলে দলের কেউ ক্ষতি করতে চাইলে রুখে দাঁড়ান। তাঁদের অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের ভোটাভুটিতে এক নম্বরকে বাদ দিয়ে তিন নম্বরকে সভাপতি করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদ বিক্রি হয়েছে। তাহলে ভোটের নামে এই প্রহসনের কী প্রয়োজন ছিল? 
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন একুশের ভোটে রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির কো-ইনচার্জ তথা গাংনাপুর ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ সভাপতি সুদীপ্ত মণ্ডল। জগন্নাথ সরকারকে জেতানোর ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা প্রায় সকলেই স্বীকার করেন। তিনিও শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুটছেন। তাঁর কথায়, বছর ঘুরলেই নির্বাচন। এখন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কোমর বাঁধার সময়। তার জায়গায় দলের লোকজনের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হচ্ছে। দলবদলু কিছু নেতার মাতব্বরিতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। অবিলম্বে রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।  
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতেও মণ্ডল সভাপতি ইস্যুতে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন বিজেপির কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রায় সর্বত্র। কোথাও পোস্টার পড়ছে। কোথাও অফিসে ভাঙচুর হচ্ছে। এগুলিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবলে ভুল হবে। রাজ্যজুড়ে একের পর এক ঘটনা ঘটলেও থামানো যাচ্ছে না। কারণ লড়াইটা বেঁধেছে বঙ্গ বিজেপির উপরতলায়। তাই থামানোর বদলে বিপক্ষ শিবিরকে শিক্ষা দিতে উস্কানি দিচ্ছে। 
ডানপন্থী দলগুলিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য কংগ্রেস আগেই গিনেস বুকে নাম তুলেছে। এক দশকেরও বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তৃণমূল কংগ্রেসেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মারাত্মক। হাতাহাতি, মারামারি তো হয়ই, খুনোখুনির ঘটনাও ঘটে। তবে, রাজ্যের শাসক দলের একটা সুবিধে আছে। দলের শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে এও বলেন, তৃণমূলের একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। তাই কারও বাড়াবাড়ি মাত্রা ছাড়ালেই ছাঁটা পড়ে ‘ডানা’। ফলে লম্বা, চওড়া কথা বলে প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নেওয়া ‘বেয়াড়া’ নেতারাও এক ধমকেই হয়ে যান ‘সুবোধ বালক’। 
একটা কথা স্বীকার করতেই হবে, প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি ব্লকে, প্রতিটি পঞ্চায়েতে, এমনকী প্রতিটি বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক গোষ্ঠী। কেউ একটা পদ জোগাড় করতে পারলেই জুটে যায় তার সাঙ্গোপাঙ্গ। কারণ বখরা পায় তারাও। ভাগ কে বেশি পাবে, তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। তাতে সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড বিরক্ত। সেই বিরক্তির আঁচ পাওয়া যায় ট্রেনের কামরায়, পাড়ার আড্ডায়। তারপরেও নির্বাচনে জেতে সেই তৃণমূলই। কারণ রাজ্যের মানুষ এখনও তৃণমূলকে ভোট দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই। নির্বাচনের আগে তিনি জেলায় জেলায় ঘোরা শুরু করলেই পাল্টে যায় ছবি। বদলে যায় সব হিসেবনিকেশ। 
এ হেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে লাগে জবরদস্ত ইস্যু এবং মজবুত সংগঠন। এই মুহূর্তে দু’টির কোনওটাই এ রাজ্যের বিরোধীদের নেই। সাম্প্রতিককালের মধ্যে আর জি কর ছিল সরকারের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক আন্দোলন। বাংলার চিকিৎসক কন্যার ধর্ষণ ও মর্মান্তিক খুনের ঘটনাকে যেভাবে বিরোধীরা রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করেছিল, তা নজিরবিহীন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচক্ষণতায় সেই ধারালো অস্ত্রও হয়ে গিয়েছে ভোঁতা। কারণ তিনি আন্দোলনের বিরোধিতা না করে পাশে দাঁড়িয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছেন। ফলে সরকারকে আক্রমণের জায়গাটা ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে গিয়েছে। আক্ষরিক অর্থে এই মুহূর্তে বিরোধীদের হাতে কোনও ইস্যুই নেই। 
এদিকে ‘বিশ্বগুরু’র অবস্থাও দিন দিন করুণ হচ্ছে। ট্রাম্প বাংলাদেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার মোদিজিকে দেওয়ায় গেরুয়া শিবির যৎপরনাস্তি খুশি হয়েছিল। ফের ‘বিশ্বগুরু’র হয়ে ঢাক পেটানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের আর্থিক অনুদান বন্ধ ও ভারতের সমপরিমাণ কর বসানোর হুমকি দিতেই নেতাদের মুখের সেই হাসি উবে গিয়েছে। এরপরেও বিজেপির নেতা কর্মীরা মোদি-মোদি বলে চিৎকার করবেন। কারণ উনিই বিজেপির ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডর। কিন্তু তাতে বাংলায় চিঁড়ে ভিজবে না। কারণ রাজ্যবাসী বুঝে গিয়েছে, মোদির রাজত্বে স্লোগান ছাড়া বাংলার জন্য বরাদ্দ শূন্য।
যেকোনও সরকারের ফাঁকফোকর, দুর্নীতি, স্বজনপোষণের ঘটনাকে সামনে এনে রাজনৈতিক ফায়দা তোলে বিরোধীরা। বাংলাতেও সেই সুযোগ ছিল। তবে, সেই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য দরকার হয় সাংগঠনিক শক্তির। সেকথা মাথায় রেখেই অমিত শাহ বাংলায় এসে সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মিসড কল দিয়ে সদস্য করার সহজতম রাস্তাটিও কাজে লাগাতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। এমনকী, বহু এলাকায় তারা লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশও সদস্য করতে পারেনি। আবার কিছু জায়গায় বিরোধী গোষ্ঠী সুবিধা পেয়ে যাবে, এই আশঙ্কায় মণ্ডল সভাপতির নাম ঘোষণা বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে দলের মধ্যে ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। মণ্ডল সভাপতি ইস্যুতে মুর্শিদাবাদে বিজেপি নেতাদের কুশপুতুল পোড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। কিছু এলাকায় মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তনের দাবি ন্যায্য হওয়া সত্ত্বেও তা মানা হচ্ছে না। কারণ ক্ষোভ-বিক্ষোভের প্রবল আশঙ্কা। ঝুলে থাকা মণ্ডলে কারা নেতৃত্ব দেবে, তা নিয়েও চলছে দুই গোষ্ঠীর টানাপোড়েন। 
তবে, অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপির পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলায়। পূর্ব বর্ধমান জেলার দু’টি লোকসভা আসনেই বিজেপি হেরেছে। বিজেপি কর্মীরা আশা করেছিলেন, ছাব্বিশের লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলা হবে। আনা হবে নতুন মুখ। কিন্তু দুর্গাপুর মহকুমা বাদ দিয়ে এই সাংগঠনিক জেলার অধিকাংশ মণ্ডল সভাপতিকেই ফের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা বেজায় ক্ষুব্ধ। কারণ দিলীপ ঘোষকে লোকসভা নির্বাচনে এখানে এনে একপ্রকার ‘দায়িত্ব’ নিয়ে হারানো হয়েছে। হারের জন্য দিলীপবাবু দলের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। সেই জেলার মণ্ডল সভাপতির তালিকা প্রায় অক্ষত থাকায় অনেকেই বিস্মিত।
বিজেপি সাংগঠনিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলা করার জায়গায় নেই। কিন্তু দলীয় প্রার্থীকে হারানোয় তারা যে পটু, ইতিমধ্যেই তার প্রমাণ মিলেছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে দিলীপবাবু হেরেছেন। আবার একই অঙ্কে তাঁর ছেড়ে আসা মেদিনীপুর লোকসভা আসনে অগ্নিমিত্রা পল পরাজিত হয়েছেন। বঙ্গ রাজনীতিতে এই দু’জন ভিন্ন শিবিরের মানুষ বলেই পরিচিত। এঁদের একজন জিতলে দিল্লির নেতাদের কাছে তাঁর এবং সেই গোষ্ঠীর কদর বেড়ে যেত। তাই বিরোধী পক্ষ যাতে নম্বর বাড়িয়ে নিতে পারে তারজন্য উভয় শিবিরই ছিল যথেষ্ট তৎপর। তবে, পরিশ্রম বিফলে যায়নি। দু’জনই হেরেছেন। ছাব্বিশের ভোটে যে পুনরাবৃত্তি হবে না, তা বিজেপির অতি বড় অন্ধ সমর্থকও বুক ঠুকে বলতে পারবেন না।
বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। নেতাদের চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জে সরগরম হবে টিভি চ্যানেলের সান্ধ্যকালীন আসর। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলবেন বামেরা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
22nd  February, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

21st  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
একনজরে
এবার মালদহের দর্শনীয় স্থান নিয়ে তৈরি হচ্ছে শর্ট ফিল্মস। বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড় থেকে আদিনা, আম থেকে রসকদম্ব, গঙ্গা থেকে মহানন্দার প্রাকৃতিক বৈচিত্র নিয়ে তৈরি ...

বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও সভাধিপতি কাজল শেখের মধ্যে দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে জেলার রাজনৈতিক অলিন্দে নানা কানাঘুষো শোনা যায়। বহুবার ...

আজ ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। তার আগে বৃহস্পতিবার লন্ডনের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সময় কাটালেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও  রানি ক্যামিলা। ...

শ্রীরামপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেলের জায়গা থেকে হকার উচ্ছেদের কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মারাঠি ভাষা দিবস
বিশ্ব এনজিও দিবস
১৭১২- মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ ১-এর মৃত্যু
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু 
১৯৬৭- অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯- পরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৭৬- অভিনেতা শ্রেয়স তালপাড়ের জন্ম
১৯৯৩- অভিনেত্রী তথা যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের জন্ম
১৯৭৭- মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জন্ম

27th  February, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৪৩ টাকা ৮৮.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৮ টাকা ১১২.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৪ টাকা ৯৩.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ০/৩০ প্রাতঃ ৬/১৫ পরে ফাল্গুন শুক্ল প্রতিপদ ৫৩/৫ রাত্রি ৩/১৭। শতভিষা নক্ষত্র ১৯/৩ দিবা ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/২/৫০, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে ৪/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা প্রাতঃ ৬/৫৬ পরে প্রতিপদ শেষরাত্রি ৫/৪। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/৫৮। সূর্যোদয় ৬/৫, সূযাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/১৬ মধ্যে।  
২৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা করতে হবে ইউক্রেনকে, জেলেনস্কিকে বললেন ট্রাম্প

01:23:55 AM

জাতীয় নাগরিক পার্টি(ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) নামের নতুন রাজনৈতিক দল খুলল বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা, আহ্বায়ক হলেন নাহিদ ইসলাম

12:23:12 AM

ডব্লুপিএল: মুম্বইকে ৯ উইকেটে হারাল দিল্লি

10:27:00 PM

ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

10:10:00 PM

বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা, বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবহারকারীদের

10:07:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ওড়িশা ০-মহামেডান ০

09:35:00 PM