Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের এই তৃতীয় সপ্তাহটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আর কিছুদিন পর ৮ মার্চ আসছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। নারী দিবসকে কেন্দ্র করে নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং দমনপীড়ন ও বঞ্চনা সংক্রান্ত নানাবিধ অনুষ্ঠান, সেমিনার, শপথগ্রহণ কিংবা সভা সমাবেশ হবে। কিন্তু এবার কাকতালীয়ভাবে ওই ৮ মার্চ আসার আগেই ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি নতুন সিনেমা রিলিজ হয়েছে। সিনেমার  নাম ‘মিসেস’। হিন্দি সিনেমা। যদিও একটি মালয়ালি চলচ্চিত্র ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন’ অবলম্বনে রিমেক। বিষয়বস্তু হল নারীর স্বাধীনতা, ইচ্ছে অনিচ্ছের মূল্য, আপাত সুখী সংসারের আড়ালে এক আলোকপ্রাপ্তা গৃহবধূর শৃঙ্খলিত তথা অসম্মানের জীবন থেকে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহ ও মুক্তি। 
আমাদের দেশে নারীর বঞ্চনা, শোষণ, দমনপীড়ন, হিংসার ঘটনা বিশেষ করে নিম্নবিত্ত, অনগ্রসর, খেটে খাওয়া শ্রেণি অথবা প্রান্তিক কৃষক মজুরদের সমাজে নিত্যদিনের এক চেনা চিত্র। কিন্তু সেসব সংবাদ ও সন্ধান নাগরিক মধ্যবিত্ত খুব বেশি জানে না। তাই সমাজ আলোড়িত হয় না। এখন নতুন সমাজ যে কোনও বিষয়ে তখনই আলোড়িত হয়, যখন সেটি মোবাইল বাহিত কোনও মাধ্যম থেকে জানা যায়, তাই স্বাভাবিকভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ওই সিনেমা দেখার পর মধ্যবিত্ত সমাজ মেতে উঠেছে আলোচনায়। কেউ বলছে সিনেমায় অতি বাড়াবাড়ি দেখানো হয়েছে এবং গোটা চিত্রনাট্য একমাত্রিক। অর্থাৎ মেয়েটি ভালো।  বাকিরা সকলেই ঩যেন ভিলেন। আবার কেউ বলছেন, এরকম ঘটনা ঘটেই থাকে। অতি সরলীকরণ এবং ক্ষণস্থায়ী প্রতিক্রিয়া হলেও ভালো হোক অথবা মন্দ, অন্তত নারীর অসম্মান ও ক্ষমতায়ন নিয়ে একটি আলোচনা হচ্ছে। কয়েকদিন পর মিলিয়েও যাবে। 
আর দ্বিতীয় যে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাটি ঘটল সেটির অভিঘাত রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবেও 
যথেষ্ট চমকপ্রদ। এগারো বছরের শাসনকালে বহু রাজ্য জয় করেছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ পর্যন্ত কোনও রাজ্যে কোনও নারীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাননি। এই প্রথম দেখা গেল দিল্লিতে এক নারীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। 
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে নারী এই প্রথম নয়। বরং নয়ের দশক থেকে এ পর্যন্ত বারংবার নারী মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সুষমা স্বরাজ, শীলা দীক্ষিত এবং আতিশী মারলেনা। কিন্তু মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি শাসনকালে এখনও পর্যন্ত এগারো বছরে কোনও মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হননি। এই প্রথম এমন সিদ্ধান্ত। যা মোদি এবং বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করছেন যে, নারী ক্ষমতায়ন ও নারীকে নেতৃত্বপ্রদানের ক্ষেত্রে এটা হল তাঁদের দৃপ্ত মনোভাবের প্রমাণ। দিল্লিতে নারী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় অবশ্যই নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ। কারণ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে তিনি নারী ক্ষমতায়নের একটি চমৎকার বার্তা দিলেন।
প্রশ্ন হল, এই সিদ্ধান্তগ্রহণ নিছক প্রতীকী এক উদাহরণ হিসেবেই কি রয়ে যাবে? আদৌ কি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা স্বাধীনতা পাবেন? তিনি কি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দিল্লি শাসন করতে পারবেন? নাকি আদতে  তিনিও হবেন মোদির হাতের পুতুল? বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একক ক্ষমতা নেই। সবটাই পরিচালিত হয় দিল্লি থেকে। সেখানে দিল্লিতে বসে দিল্লি শাসনে মোদি হস্তক্ষেপ করবেন না এটা অসম্ভব বলেই মনে করা যায়। এখানেই মোদির চ্যালেঞ্জ শুরু হচ্ছে এবার। এই প্রথম ভারতের কোনও রাজ্যে বিজেপি একজন নারী মুখ্যমন্ত্রীকে গদিতে বসিয়েছে। এবার তাই বিজেপির কাছে সুযোগ এসেছে প্রমাণ দেওয়ার যে, তারা সত্যিই নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। 
রেখা গুপ্তা দিল্লি শহর ও শহরের সমস্যাকে মোদির তুলনায় বেশি জানেন। কারণ তিনি দিল্লির নাগরিক। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৌলতরাম কলেজ থেকে তিনি পাশ করেছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের তিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি দুইই। ছিলেন একাধিকবার কাউন্সিলার। অতএব তাঁর দিল্লির অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান অনেক বেশি। এই অভিজ্ঞতাকে স্বীকার করে তাঁকে কতটা স্বাধীনতা দেওয়া হবে? তাঁকে কি সফল এক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামী দিনে গড়ে ওঠার সম্পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হবে? নাকি প্রতিনিয়ত তাঁকে রিমোট কন্ট্রোলে চালানো হবে? তারপর ব্যর্থতার দায় তাঁর উপর, সাফল্যের কৃতিত্ব শীর্ষ নেতৃত্ব আদায় করবে? 
এই প্রশ্ন উঠছে কেন? কারণ তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে একজনও নেতা নেত্রী ও সুপ্রশাসকের আবির্ভাব ঘটেনি বিজেপিতে। এগারো বছরের গ্রাফ সেটাই দেখায়। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরম সফল হয়নি। বরং দেখা যায় একটি টার্মের পর অথবা আগেই সেইসব মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজনও তুমুল জনপ্রিয় নেতানেত্রীর আর বিজেপিতে উদ্ভব ঘটেনি। অর্থাৎ যাঁর নামে ভিড় হবে। যাঁকে দেখতে ছুটে আসবে মানুষ।  ক্রমেই বিজেপি এবং মোদি সমার্থক হয়ে উঠেছে। ক্রমেই বিজেপি শাসিত রাজ্য আদতে কেন্দ্রচালিত হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী কিংবা সংগঠনের নেতৃত্ব সর্বদাই মোদিনির্ভর একটি রাজনীতি করতে বাধ্য থাকছেন। এবার দেখা যাক কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের পারফরম্যান্স কেমন? ভারত সরকারের একটি নবরত্নসভা আছে। 
১) অর্থমন্ত্রী। করোনাকাল কেটে গেল। অর্থনীতির কোনও সেক্টর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না। জিডিপি বৃদ্ধিহার ৬ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে।  টাকার  সর্বকালীন রেকর্ড পতন। ১ ডলার ১০০ টাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে দ্রুত। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব কমছে না। 
২) বাণিজ্যমন্ত্রী। ঩বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি চরমে। রপ্তানিহার দেড় বছর ধরে কমে চলেছে। আমদানি বিপুল বাড়ছে। সুতরাং বিদেশি মুদ্রায় টান। 
৩) শ্রমমন্ত্রী। শেষ ত্রৈমাসিকেও বেকারত্বের হার প্রায় ৭ শতাংশ।  কমছে না। নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র নির্মাণ করার স্লোগান দেওয়া হলেও পরিস্থিতির বদল ঘটেনি। তাহলে কী হয়েছে? শ্রমমন্ত্রী বদলে দেওয়া হয়েছে। 
৪) স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এতবড় একটি করোনার মহামারীর পর অন্তত সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা, ওষুধের দাম হ্রাস এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আমূল বদল দেখা যাবে আশা করা গিয়েছিল। বিন্দুমাত্র বদল হয়নি। সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা বাড়ছে না, বাড়ছে শুধু মেডিক্লেমের প্রিমিয়াম। ওষুধ সস্তা হচ্ছে না। সস্তা হচ্ছে মানুষের প্রাণ। 
৫) রেলমন্ত্রী। দেশের রাজধানী স্টেশনে কুম্ভযাত্রীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়ার যে চরম বিপর্যয় দেখা গেল সেটা কোনও ব্যতিক্রম নয়। বিগত কয়েক বছরে সবথেকে ব্যর্থ মন্ত্রকের নাম রেল। 
৬) খাদ্য এবং বিপণনমন্ত্রী। ভারত সরকার 
অথবা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, প্রত্যেকের একটিই উদ্বেগ। মূল্যবৃদ্ধির হার না কমার একমাত্র কারণ খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের দাম কমছে না। ঩ডিমান্ড সাপ্লাইয়ের ভারসাম্যহীনতা, কালোবাজারি প্রতিরোধ এবং পণ্য জোগানের পথ প্রশস্ত করা, একটিও দায়িত্ব এই মন্ত্রক করতে পারছে না। 
৭) বিদেশমন্ত্রী। প্রতিবেশী কোনও দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো নয়। আমেরিকার সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক। একমাত্র কূটনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্য রাষ্ট্র থেকে অস্ত্র, তেল, পণ্য কেনা। ভারত ক্রেতা। অন্য দেশ ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আত্মনির্ভরতার স্লোগান হাস্যকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
৮) শিক্ষামন্ত্রী। ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি 
চালু করে, রাজ্যগুলিকে চাপ দিয়ে চালুর জন্য বাধ্য করা হয়েছে। অথচ এখনও সেই নীতির সার্বিক কাঠামো মসৃণভাবে প্রযুক্তই হতে পারছে না। 
অবিরত বদল ঘটছে। নিত্যনতুন নিয়ম ও বিধি বদল। এবার শোনা যাচ্ছে, উচ্চশিক্ষার প্রবেশিকা পরীক্ষার আবার বদল ঘটবে। অবিরত শুধু এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে এই মন্ত্রকে। 
৯) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  কী এমন দেশের ভাগ্যবদল ঘটেছে সিএএ চালু করে? এই ঢাকঢোল পেটানো আইনের স্ট্যাটাস কী? প্রভাব কী? এবং সর্ববৃহৎ ব্যর্থতা ১৮৭১ সাল থেকে লাগাতার হয়ে আসা সেন্সাস ২০২১ সালে করা গেল না। এখনও চালু করা হল না। একটি রাষ্ট্রের সেন্সাস না থাকলে সেই রাষ্ট্রের কাছে কোনও তথ্যই নেই দেশ সম্পর্কে। কোনও নীতি প্রয়োগ করা যায় না। কীসের ভিত্তিতে চলছে রাষ্ট্র? একটা সেন্সাস করা যাচ্ছে না? 
সুতরাং এই ব্যর্থ নবরত্নসভাকে নিয়ে ভারত সরকার চলছে।  কোনও রদবদল হচ্ছে না। কোনও দায় স্বীকার করা হচ্ছে না। এই মন্ত্রীরা যে ব্যর্থ, সেকথা জনগণ জানে। শাসক মানে না। 
অতএব নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন।  নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
21st  February, 2025
বিশ্বে নতুন ইতিহাসের সূচনা: ভারত কী করবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

কঙ্গো অথবা লিবিয়া। লেবানন কিংবা নাইজেরিয়া।  সারাক্ষণ কেন যুদ্ধ অথবা গৃহযুদ্ধ লেগে থাকে? অভ্যন্তরীণ সংঘাত? দুই গোষ্ঠী, সরকার বনাম বিদ্রোহীর ক্ষমতার লড়াই? গণতন্ত্র বনাম স্বৈরাচার? এসব কারণেই তাবৎ সংঘাত ঘটছে। কিন্তু আসলে সেই কারণ গৌণ। মুখ্য কারণ মিনারেলসের লড়াই।
বিশদ

দুনিয়া কাঁপানো সাত দিন!
মৃণালকান্তি দাস

আমরা জানি না শান্তি আগে আসে, নাকি বসন্ত। কিন্তু আমরা জানি বসন্ত অবশ্যই আসবে। যেখানে সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে, সেখানেও বসন্ত আসবে। ঘাস গজাবে পরিখায়, মৃত সেনাদের হাড়ের ভিতর দিয়ে। পুড়ে যাওয়া সাঁজোয়া যানগুলির উপরেও।
বিশদ

27th  February, 2025
যোগী রাজ্যে ধর্মের বেসাতি
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

 

লাশ, সর্বত্র লাশ। প্রয়াগের সঙ্গম থেকে নয়াদিল্লির স্টেশন—স্তূপাকার লাশ। সরকারি হিসেবে সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৫৫। কিন্তু কে না জানে, বাস্তবের সঙ্গে সরকারি হিসেব কখনওই মেলে না। বাস্তবে সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে যাওয়াও আশ্চর্যের নয়। সেই লাশের স্তূপের উপর দাঁড়িয়েই চলছে মোদি-যোগীর ২ লক্ষ কোটি টাকার বেসাতি— ধর্মের নামে।
বিশদ

26th  February, 2025
প্রয়াগে ঠাকুর, সারদা মা পুণ্যস্নান করেছিলেন
হারাধন চৌধুরী

আজ, মহাশিবরাত্রি এবং ৪৫ দিনের মহাকুম্ভ মেলার শেষদিন। কোটি কোটি ভক্তজনের পুণ্যস্নানকে কেন্দ্র করে অনেকগুলি মর্মান্তিক ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে।
বিশদ

26th  February, 2025
পুণ্যের আশা, রাজনীতির ফল
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভিড়ের স্রোতের মধ্যে বয়ে যেতে যেতেই ডান পা’টা আটকে গেল রামশরণের। কাঁধে একটা ঝোলা, আর ডান হাতে ব্যাগটা থাকায় প্রথমে ঠাহর করতে পারলেন না। ঘাড়টা একটু বেঁকিয়ে দেখতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তাঁর পা’টা চেপে ধরেছে।
বিশদ

25th  February, 2025
বেকারত্ব, উৎপাদন, মুদ্রাস্ফীতি, গরিব উপেক্ষিত
পি চিদম্বরম

সরকারের দেওয়া শুকনো প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আমি সাধারণত সন্দেহ পোষণ করে থাকি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি সময়সূচি মেনটেন করতে পছন্দ করি। আর চাই কাজের শেষে একটি পারফর্ম্যান্স রিপোর্ট থাকবে।
বিশদ

24th  February, 2025
রাজনীতির ওঠাপড়া

এই রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা শূন্যে উড়ে বেড়ানো দিশাহীন বেলুনের মতো! আসলে আসন্ন নির্বাচনে সিপিএম, বিজেপি কেউ ক্ষমতা দখলের জন্য লড়াই করছে না। সিপিএম লড়ছে শূন্যের গ্লানি মোচনের লক্ষ্যে। যদিও তাও খুব সহজ হবে না। আর বিজেপি লড়ছে, গতবারের ৭৭টি আসনের অন্তত অর্ধেক আসনে মানরক্ষার টার্গেট হাতে নিয়ে।
বিশদ

23rd  February, 2025
ছেঁড়া কাঁথা, তবুও লাখপতি হতে চায় বিজেপি

বঙ্গ বিজেপির অবস্থা যত করুণই হোক না কেন, ‘ভোট পুজো’র ঢাকে কাঠি পড়লেই দিল্লির নেতাদের বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে। ফের বাড়বে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা। কিন্তু তাতে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলাবে না। কারণ বিজেপি আছে টিভিতে, বামেরা আছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কিন্তু মমতা আছেন মাঠে, ময়দানে, মানুষের পাশে। তাই মাটি দখলের লড়াইয়ে তিনিই এগিয়ে যান অনায়াসে।
  বিশদ

22nd  February, 2025
‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

21st  February, 2025
মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে।
বিশদ

18th  February, 2025
একনজরে
আজ ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। তার আগে বৃহস্পতিবার লন্ডনের মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সময় কাটালেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস ও  রানি ক্যামিলা। ...

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে মোহন বাগানের অনুশীলন সবে শেষ হয়েছে। পড়ন্ত বিকেলে ফুটবলাররা একে একে বেরিয়ে যে যাঁর গাড়িতে উঠছেন। ই-স্কুটারে দিমিত্রি পেত্রাতোস বেরতেই ঘিরে ...

টিউশন পড়তে গিয়ে শিক্ষকের লালসার শিকার কিশোরী। গত তিন বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে গিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক। অবশেষে গুণধর গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ...

এবার মালদহের দর্শনীয় স্থান নিয়ে তৈরি হচ্ছে শর্ট ফিল্মস। বাংলার প্রাচীন রাজধানী গৌড় থেকে আদিনা, আম থেকে রসকদম্ব, গঙ্গা থেকে মহানন্দার প্রাকৃতিক বৈচিত্র নিয়ে তৈরি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম ও পুনঃ সঞ্চয়। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি বা নতুন কর্ম লাভের সম্ভাবনা। মন ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

মারাঠি ভাষা দিবস
বিশ্ব এনজিও দিবস
১৭১২- মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ ১-এর মৃত্যু
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু 
১৯৬৭- অভিনেতা ববি দেওলের জন্ম
১৯৬৯- পরিচালক বিক্রম ভাটের জন্ম
১৯৭৬- অভিনেতা শ্রেয়স তালপাড়ের জন্ম
১৯৯৩- অভিনেত্রী তথা যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের জন্ম
১৯৭৭- মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার জন্ম

27th  February, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.৪৩ টাকা ৮৮.১৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৬৮ টাকা ১১২.৪৬ টাকা
ইউরো ৮৯.৭৪ টাকা ৯৩.১৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৫,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮১,৮৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৫,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৫,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা ০/৩০ প্রাতঃ ৬/১৫ পরে ফাল্গুন শুক্ল প্রতিপদ ৫৩/৫ রাত্রি ৩/১৭। শতভিষা নক্ষত্র ১৯/৩ দিবা ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/২/৫০, সূর্যাস্ত ৫/৩৫/৫০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ৮/২১ গতে ১০/৪০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৬ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে ৪/২২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/২২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৫ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অমাবস্যা প্রাতঃ ৬/৫৬ পরে প্রতিপদ শেষরাত্রি ৫/৪। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ২/৫৮। সূর্যোদয় ৬/৫, সূযাস্ত ৫/৩৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৬ মধ্যে ও ৮/১৩ গতে ১০/৩৫ মধ্যে ও ১২/৫৭ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/২৬ গতে ৪/১৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২২ মধ্যে ও ৪/১৬ গতে ৬/৫ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫৮ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/১৬ মধ্যে।  
২৯ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমঝোতা করতে হবে ইউক্রেনকে, জেলেনস্কিকে বললেন ট্রাম্প

01:23:55 AM

জাতীয় নাগরিক পার্টি(ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি) নামের নতুন রাজনৈতিক দল খুলল বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্ররা, আহ্বায়ক হলেন নাহিদ ইসলাম

12:23:12 AM

ডব্লুপিএল: মুম্বইকে ৯ উইকেটে হারাল দিল্লি

10:27:00 PM

ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

10:10:00 PM

বিশ্বজুড়ে ব্যাহত হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা, বার্তা আদানপ্রদানে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবহারকারীদের

10:07:00 PM

আইএসএল: ম্যাচ ড্র, ওড়িশা ০-মহামেডান ০

09:35:00 PM