Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি। অন্যদিকে সম্পূর্ণ নিজের টাকায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১৬ লক্ষ নতুন আবাস নির্মাণে বরাদ্দ হল ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ একই রেখে ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে ১ হাজার ৫০০ কোটি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটির পাশাপাশি নদী তীরবর্তী মানুষদের উন্নয়নে ২০০ কোটি ও গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণে ৫০০ কোটি বরাদ্দ প্রমাণ করে যে, রাজ্য সরকার প্রকৃতই এবার পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে বিপন্ন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চায়। আশাকর্মীদের মোবাইল দিতে ২০০ কোটি বরাদ্দ কার্যত তৃণমূল স্তরে প্রশাসনিক কাজে দ্রুততা আনার লক্ষ্যে। যাতে প্রত্যেকটি এলাকায় সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। রাজস্ব ব্যয়ে লাগাম টেনে পরিকাঠামো খাতে খরচের ভারসাম্য চোখে পড়ার মতো। তবে এই বাজেটে কর্মসংস্থান, কৃষি, শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে বরাদ্দ একই। তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে বেড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য। এই ক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগকে সহায়তা দিতেও বরাদ্দ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। একইভাবে কৃষক বন্ধু স্কিমে বরাদ্দ সামান্য কমিয়ে বাংলার কৃষি-সেচ প্রকল্পের বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কৃষি পরিবহণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে বিশ্ব ব্যাঙ্ক পরিচালিত প্রকল্পগুলিতেও বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পে দ্বিগুণ বরাদ্দ করা হয়েছে পরিকাঠামো গড়তে। এমনকী বরাদ্দ বেড়েছে পরিকল্পনা খাতেও। এইসব পদক্ষেপই প্রমাণ করে, রাজ্য সরকার পাইয়ে দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাস না রেখে পরিকাঠামো গড়ার দিকে ঝুঁকেছে। আবার প্রকৃত প্রয়োজন বুঝে সেই সব খাতে বরাদ্দ একই রাখা হয়েছে, অথবা বাড়ানো হয়েছে।
সামাজিক কর্মসূচিই যখন রাজ্যের অন্যতম ফোকাস এবং অর্থনীতি মূলত জনকল্যাণের লক্ষ্যে, তখন স্বাভাবিকভাবেই সেই রাজ্যের বাজেটও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভেবে তৈরি হয়। তার অন্যথা হল না এবারও। রাজ্যের মানুষের হাতে আরও টাকা ও নানা সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ভাবনায় রচিত হল ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট। বিরোধীরা এর সমালোচনা করে ঠিকই, কিন্তু তা স্রেফ রাজনৈতিক কারণে। মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা আর্থিক দায়বদ্ধতা ও আর্থিক সক্ষমতা গড়ে তোলার নামে জনগণকে কার্যত অর্থ না দিয়ে, সেই টাকায় বাজেট ঘাটতি কমিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে বলেন। তাতে লাভ হয় একচেটিয়া বৃহদ্‌পুঁজির। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দর্শন আলাদা। মমতা চান নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দিতে, যাতে রাজ্যের মানুষ ভালো থাকে। এবং তাদের হাতে টাকা থাকলে, রাজ্যে ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে চাহিদাও ঠিক থাকে। এই স্থিরতা বজায় থাকলে বেসরকারি বিনিয়োগও আসবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে।  কৌশলগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচেতনভাবে বেছে নিয়েছেন দু’টি পথই। সেই লক্ষ্যে তিনি সাধারণের জন্য বরাদ্দ বাড়াচ্ছেন এবং একই সঙ্গে বেঙ্গল বিজনেস সামিট করছেন মুকেশ আম্বানি, আদানিদের নিয়ে। আগামী দিনে শিল্প চিত্র তাই উজ্জ্বল, তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। মমতার সরকার তাই শুধুই রাজ্যবাসীকে ভাতাজীবী করে রাখছেন—বিরোধীদের এই অভিযোগ টেকে না। বরং এবারের বাজেট নিয়ে আলোচনার আগে প্রথম প্রয়োজন কেন্দ্রের প্রবল বিমাতৃসুলভ আচরণ নিয়ে কথা বলা। কারণ, এখনও কেন্দ্রের সরকারের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা। ন্যায্য প্রাপ্যটুকু পেলেই এ রাজ্যের পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হতে পারত। সমালোচনার বদলে যদি এক স্বরে রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রাপ্য আদায়ের আন্দোলন হতো, তাহলে প্রকৃতই রাজ্যের উন্নয়নে গতি আসত। সেই দৃষ্টিভঙ্গির অভাবে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে সংকীর্ণ সমালোচনা ও রাজনীতি চলতেই থাকছে।
প্রাপ্য না পেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি মাথা ঝোঁকাবেন না। আর জনগণের পাশ থেকেও সরে যাবেন না। এবারের বাজেটে যেভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু সহ সমস্ত প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে, তাতে এরপর বিস্ময়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতেই পারে, ‘এত প্রস্তাব! টাকা কোথায়? তাহলে কি আরও ঋণ নেবে রাজ্য?’ বাজার অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ এবং বিরোধীরা হয়তো বলবেন, এতে রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল হচ্ছে। ঋণ শোধ না করে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি হচ্ছে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে সব রাজ্যের মধ্যে এই রাজ্যের স্থান ষষ্ঠ। বৃহদ্‌পুঁজির বিকাশ ছাড়াই ঘরোয়া কাজকর্মে, অসংগঠিত  ক্ষেত্রে ও কৃষির মাধ্যমে দেশের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় এগিয়ে। সারা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এই রাজ্য সপ্তম। কৃষি, শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প সহ ১৯টি ক্ষেত্রে এই রাজ্য দেশের মধ্যে প্রথম। স্বভাবতই উন্নয়ন আসছে এবং আসবে এই সব ক্ষেত্রের মাধ্যমে। তাই বাজেটে এই সব ক্ষেত্রেই আরও জোর দেওয়া হল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, এই সব কথার আড়ালে আরও একটা সত্য আছে, যেটা রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। রাজ্য সরকার যত টাকা নানা প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ করছে, যত ভাতা বা অনুদান দিচ্ছে, তার একটা অংশ ফিরছে রাজ্যের কোষাগারেই। প্রতিটি কেনাবেচা বা যে কোনও লেনদেনের উপর প্রাপ্য জিএসটি হিসেবে রাজস্ব আয় বাড়ে এবং তাতে রাজ্যের মানুষকে ভালো রেখেই উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হয়। কিন্তু এইখানেই   চরম আঘাত দিচ্ছে কেন্দ্র। প্রাপ্য জিএসটি বাবদ অর্থ এবং ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা না দিয়ে বাংলার উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে তারা। তাই রাজ্যের উন্নয়নে বিকল্প পথে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও মাঝারি পুঁজির বিকাশ ঘটাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বাজেটের হিসেব জানাচ্ছে, এই রাজ্যের আয় আর ব্যয় প্রায় সমান। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি মাত্র ২ কোটি টাকা ছিল, অর্থাৎ অর্থনীতি পরিচালনায় রাজ্যের যথেষ্ট দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। কিন্তু রাজস্ব ঘাটতি ৩৬ হাজার কোটির বেশি, আর রাজকোষ ঘাটতি ৬৯ হাজার কোটির বেশি। এর সবটাই কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য অর্থ না পাওয়ার কারণে। যে মুহূর্তে বকেয়া অর্থ এসে যাবে, সেই সময় থেকেই রাজ্যের কোষাগারে উদ্বৃত্ত হবে এবং সুদ বাবদ যে ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে, সেটার ‘আসল’ও পরিশোধ করা যাবে। তাই ঋণ বাড়ছে বলে আতঙ্কের কিছু নেই। পাওনা টাকা পেলে রাজ্য তা শোধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
ঠিক এই পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট বিচার করে দেখা দরকার। রাজস্ব ঘাটতি নিয়ন্ত্রণ ও রাজকোষের ঘাটতি কমাতে নিজের রাজস্ব আয়ের সূত্র বাড়াতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কী করলেন? মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের নিরিখে ঋণ ও সুদের অনুপাত কমাতে বা নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে এবং বাংলার মূল ক্ষেত্র বিশেষে বিনিয়োগ একই রেখে তিনি স্থিতবস্থার দিকেই হেঁটেছেন। কর বাবদ ও কর বহির্ভূত রাজস্ব সংগ্রহ বাড়িয়ে উন্নয়নের হার অপরিবর্তিত রেখে দীর্ঘমেয়াদে ঋণের বোঝা কমিয়ে আনতে  এই বাজেট সাজানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই বাজেট রাজ্যের উন্নয়নের গতি ধরে রাখবে। সঠিক পথেই এগিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
  লেখক: সাংবাদিক ও অর্থনীতির বিশ্লেষক
13th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
একনজরে
শুক্রবার সকালে মালদহের গাজোল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীডাঙ্গা এলাকায় তালপুকুরে পাঁচ বিঘার বেশি আয়তনের একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ...

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু করছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটির তৃতীয় বৈঠক। ...

সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস

03:12:53 AM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি, আহত কমপক্ষে ১০

01:05:58 AM

৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাসুদেবপুর থানার পুলিস, গ্রেপ্তার ২

11:48:00 PM

১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে নামল আমেরিকার দ্বিতীয় বিমান

11:46:00 PM

হকি প্রো লিগ: প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩-১ গোলে হারাল স্পেন

11:33:14 PM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতির ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

11:30:00 PM