Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট। অর্থনৈতিক বাজেটের ক্ষেত্রে এটাই প্রথা। কিন্তু সেই বাজেট যদি হয় ধর্মীয়? তখন কোনও সংশোধনী কাজ করে না। কারণ ক্ষমতা দখল এবং ক্ষমতার ভিত পোক্ত করাই ‘ধর্মীয় বাজেটে’র উদ্দেশ্য। এবারের কুম্ভমেলা ছিল বিজেপির সেই ‘ধর্মীয় বাজেটে’রই অঙ্গ। লক্ষ্য হিন্দু ভোট এককাট্টা করা। তবে পদপিষ্টের ঘটনায় বিজেপির বাজেট পাশ হবে কি না, তা আজ দিল্লি বিধানসভার ফলে কিছুটা বোঝা যাবে। 
ফরাসি শব্দ ‘বুগেট’ থেকে ‘বাজেট’ শব্দটির উৎপত্তি। বুগেট কথার বাংলা অর্থ ছোট ব্যাগ। চামড়ার ব্যাগেই নিয়ে যাওয়া হয় বাজেটের নথি। দেশের অর্থনীতি কোন পথে চালিত হবে, তা নির্বাচিত সাংসদদের অবগত করাই বাজেটের উদ্দেশ্য। আইনসভার সদস্য হিসেবে দেশের অর্থনীতির হালহকিকত সর্বপ্রথম জানার অধিকারী তাঁরাই। সংসদে বাজেট পেশ হওয়ার আগে তা ফাঁস হয়ে গেলে বিপন্ন হতে পারে সরকারের ভবিষ্যৎ। তবে আর্থিক বাজেটের চেয়েও অনেক বেশি গোপনীয় বিষয় হল ‘ধর্মীয় বাজেট’। প্রতিবাদ তো দূরের কথা, ‘ধর্মীয় বাজেট’ নিয়ে চর্চার অবকাশ থাকে না। উল্টে প্রতিবাদ করলেই প্রত্যাঘাতের প্রবল আশঙ্কা।
বিজেপি বরাবর ধর্মের উপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে এসেছে। কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে হিন্দুত্বকে অক্টোপাসের চেয়েও জোরে চেপে ধরেছে। পুলওয়ামার কাণ্ড না হলে নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কঠিন ছিল। বারবার জাতীয় ভাবাবেগ সৃষ্টি সম্ভব নয়। সেটা বিজেপি নেতারা জানেন। তাই আবেগ সৃষ্টির জন্য ধর্মকেই হাতিয়ার করেন। ভোট জেতার জন্য ধর্মকে কখনও খুল্লামখুল্লা, কখনও অতি সূক্ষ্মভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে বিজেপি। নির্বাচনী হার্ডেলস টপকানোর জন্য ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করে, যা রাজনীতির পরিভাষায় ‘ধর্মীয় বাজেট’।
এবার মৌনী অমাবস্যার পুণ্যলগ্নে প্রয়াগে অমৃতস্নানের যোগ ছিল ভোর ৩টেয়। তারজন্য কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষ কুম্ভে ভিড় করেছিলেন। তবে, এটা নতুন কিছু নয়। প্রতিবার অসংখ্য মানুষ পুণ্যস্নানের জন্য কুম্ভে ভিড় জমান। কিন্তু এবার নাকি বিরল যোগ ছিল! তাই পুণ্যলাভের সুযোগ যেন হিন্দুরা হাতছাড়া না করে, তারজন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দেশজুড়ে প্রচারের ব্যবস্থা তো ছিলই। পাশাপাশি ব্যক্তিগত মোবাইলেও জানানো হয়েছিল কুম্ভে যাওয়ার আবেদন।
রাজনৈতিক নেতারা সাধারণত দু’ভাবে মানুষকে প্রভাবিত করে থাকেন। এক, নানান আর্থিক সুযোগ সুবিধা ও পরিষেবা প্রদান করে। দুই, ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে। নরেন্দ্র মোদির ১১ বছরের শাসনকালে দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছে, সাধারণ মধ্যবিত্ত ও গরিবদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার রাস্তায় তারা হাঁটবে না। ‘অন্নদাতা’দের চেয়ে কর্পোরেটের ঋণ মকুবেই যে তাদের আগ্রহ বেশি, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
নরেন্দ্র মোদির সরকার যে গিমিকেই বিশ্বাসী, তা বাজেটে ফের একবার প্রমাণ হল। এবারের বাজেটের চমক আয়করে ছাড়। বছরে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁরা উপায় করেন, তাঁদের আর আয়কর দিতে হবে না। বিজেপির ঢাক পেটানো দেখে মনে হচ্ছে, সীতারামন একটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে চাকরিজীবীদের একটা অংশ উপকৃত হবে। কিন্তু সেই সংখ্যাটা দেশের মোট জনসংখ্যার কত ভাগ? একেবারেই নগণ্য। ফলে সাধারণ মানুষকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে সরকারের ভিত মজবুতের জায়গাটায় বিজেপি নেই। ঝুলিতে আছে শুধুই গিমিক। গিমিকে চটজলদি ফল পাওয়া গেলেও কখনও কখনও ‘সাইড এফেক্ট’ মারাত্মক হয়। সেটা গেরুয়া শিবিরের কর্তারা বুঝেছেন বলেই প্রতিটি মেগা ইলেকশনের আগে এমন একটা ইস্যুকে এনে আবেগ তৈরি করে, যার তোড়ে সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক রথী মহারথীও ভেসে যায়।
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে ‘আচ্ছে দিনে’র স্লোগান দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বছরে দু’কোটি বেকারের চাকরি, কালাধন ফিরিয়ে এনে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছিল দেশবাসী। পরিণতি? বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মোদি। এখন বিজেপির কোনও নেতা ভুলেও ‘আচ্ছে দিনে’র কথা মুখে আনেন না। ২০১৯ সালের ভোটে কোনও প্রতিশ্রুতি কাজ করবে না, বিজেপি নেতৃত্ব বুঝেছিল। তাই পুলওয়ামার মতো একটা জঙ্গি হানার ঘটনাকে সামনে রেখে জাতীয় ভাবাবেগ তৈরি করেছিল। প্রচার এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যাতে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় না তুলে মানুষ জাতীয় ভাবাবেগে ভেসে যায়। তখন মনে হয়েছিল, দেশের অখণ্ডতা রক্ষাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কথায় আছে, ‘ফেলিওর ইস দ্য পিলার অব সাকসেস’। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ব্যর্থতাকেই তাঁর সরকারের সাফল্য হিসেবে বারবার তুলে ধরেছেন। কুম্ভের দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যুও তাঁকে বিচলিত করতে পারেনি। তাই পূর্ব কর্মসূচি মেনেই তিনি অবগাহন করেছেন। ভাবখানা এমন, দুর্ঘটনা তো ঘটতেই পারে। হ্যাঁ, এটাই ‘মোদি-স্টাইল’। 
বিজেপির ‘ধর্মীয় বাজেটে’র মূল স্তম্ভ ছিল রামমন্দির নির্মাণ। মন্দিরকে সামনে রেখেই ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে ও ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে ফায়দা লোটার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। তাই ২০২০ সালে রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই মন্দিরের উদ্বোধন করেছিলেন মোদিজিই। শঙ্করাচার্যদের আপত্তিও তিনি গ্রাহ্য করেননি। তাতে নরেন্দ্র মোদির হ্যাটট্রিক হয়েছে, কিন্তু তিনি হয়ে গিয়েছেন ক্র্যাচ নির্ভর প্রধানমন্ত্রী। এই অবস্থায় ‘হাওয়া’ ঘোরাতে হিন্দুভোট এককাট্টা করার জন্য মরিয়া বিজেপি। 
বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার লাগামছাড়া অত্যাচার হচ্ছে। সমস্ত দিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের উস্কানি, হম্বিতম্বি ভারত সরকার মেনে নিচ্ছে। কোনও পদক্ষেপ করছে না। তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, যে নরেন্দ্র মোদি আমেরিকায় গিয়ে ‘ইসবার ট্রাম্প সরকার’ স্লোগান দিয়েছিলেন, তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেন? ভারতবর্ষের সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতা নীতিই কি এর কারণ, নাকি পিছনে আছে অন্য কোনও অঙ্ক! 
অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা অত্যাচারিত হলে এদেশে তার প্রভাব পড়বে। এখানে হিন্দুরা এককাট্টা হবেন। তাতে লাভ বিজেপির। তাই বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগামছাড়া অত্যাচার হলেও মোদিজি ‘স্পিকটি নট’। এটা বিজেপির ‘ধর্মীয় বাজেটে’র অঙ্গ না হলেও বাংলাদেশের ঘটনা তাদের কিছুটা ডিভিডেন্ট দেবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ফলে বাংলাদেশের ঘটনা বিজেপির কাছে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতোই। 
অবশ্য কুম্ভমেলাকে বিশ্বমানের মেলা হিসেবে তুলে ধরাটা ছিল বিজেপির ‘ধর্মীয় বাজেটে’র অঙ্গ। দেশজুড়ে কুম্ভস্নানের জন্য যোগী সরকার প্রচার চালিয়েছে। প্রচার ছাড়াই লক্ষ লক্ষ ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশ নেন। এবারও নিতেন। তবে, প্রচারের দৌলতে সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে নরেন্দ্র মোদির বয়স ৭৫ বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তাই তাঁর উত্তরসূরি নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। সেই দৌড়ে অমিত শাহ যেমন আছেন, তেমনই রয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। কুম্ভমেলা যোগীজির সামনে এনে দিয়েছিল সেই দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। অনেকে মনে করছেন, সেই সুযোগকে পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয়। কিন্তু ২৮ জানুয়ারির রাতের দুর্ঘটনা কি সমস্ত হিসেব গোলমাল করে দিল? তিনি কি দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন?
তবে, তার চেয়েও যে প্রশ্নটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হল এমন একটা মেগা মেলায় বিপুল ভক্ত সমাগম হবে, সেটা সকলেই জানত। তারপরেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল না কেন? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তো কথায় কথায় বিরোধী শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠিয়ে দেয়। সেখানে এমন এক ঐতিহাসিক মেলার নিরাপত্তার জন্য কেন সেনা ও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল না? এটা কি উত্তরপ্রদেশের ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের উপর অতিরিক্ত ভরসার কারণে, নাকি পিছনে রয়েছে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ের কোনও জটিল অঙ্ক?
08th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
একনজরে
সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...

ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক প্রযুক্তি। এই দুই দেশের মধ্যে যে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি। ...

ভালোবাসার দিন। কিন্তু গোলাপ-পারফিউম- চকোলেট নয়, শুক্রবার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ ছিল একরাশ ক্ষোভ এবং বিরক্তি। আসলে আইএসএলে বছরের পর বছর ব্যর্থতা মেনে নিতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস

03:12:53 AM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি, আহত কমপক্ষে ১০

01:05:58 AM

৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাসুদেবপুর থানার পুলিস, গ্রেপ্তার ২

11:48:00 PM

১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে নামল আমেরিকার দ্বিতীয় বিমান

11:46:00 PM

হকি প্রো লিগ: প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩-১ গোলে হারাল স্পেন

11:33:14 PM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতির ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

11:30:00 PM