Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
১৯৯১-এর প্রতিচ্ছবি ২০২৫-এ
২০২৪ সালের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা যাক। ভোটাররা বিজেপিকে তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতায় পাঠিয়েছে, তবে সঙ্গে দিয়ে রেখেছে একটি হুঁশিয়ারি। সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যা তোমার থাকবে কিন্তু তার ভিতরে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না। সংবিধান পাল্টে ফেলার চেষ্টা তুমি করবেন না। তোমাকে শাসনকার্য পরিচালনা করতে হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তুমি বেকারত্ব, দারিদ্র্য, বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি ও কৃষকদের দুর্দশা দূর করবে। যেখানে পরিকাঠামো নেই সেখানে তা গড়ে দেবে এবং যেখানে তা ভেঙে পড়েছে, সেখানে তার পুনর্নির্মাণ করতে হবে তোমাকে। অর্থাৎ মূল সমস্যাগুলির সমাধান তোমাকে একে একে করে যেতে হবে। এটা অবিকল ১৯৯১ সালের পরিস্থিতি—নরসিমা রাও-মনমোহন সিংরা তো এমনই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী-বিদেশমন্ত্রী জুটি সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছিলেন। তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন যুগান্তকারী সংস্কার কর্মযজ্ঞের, যার সূচনা হয় ১৯৯১ সালের ১ জুলাই এবং সংস্কারের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয় ওই বছরের ১৫ আগস্টের মধ্যে (অবমূল্যায়ন, বাণিজ্য সংস্কার, আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্কার, কর সংস্কার এবং শিল্প নীতি)।
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর, গত ২৩ জুলাই নরেন্দ্র মোদি-নির্মলা সীতারামনের প্রথম বাজেট ছিল একটি হতাশাজনক অধ্যায়। তাতে মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধান করার মতো কিছুই ছিল না। যথারীতি অজুহাত দেওয়া হয়েছিল তখন, এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে পরবর্তী প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটেই (তার অর্থ যেমনই হোক) মিলবে যাবতীয় সমস্যার সমাধান। ইতিমধ্যে, অর্থনীতির গতি ধীর হয়েছে, মজুরি বাড়ছে না, কায়েম রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) তার অবস্থান বদলাবে না বলে দিয়েছে, বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (এফডিআই) ‘ইনফ্লো’ কমে গিয়েছে, ফিরে গিয়েছে বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ (এফআইআই) বিনিয়োগ। এখানেই শেষ নয়, ব্যবসা এবং ব্যবসায়ীরা সিঙ্গাপুর, দুবাই এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছে। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, ‘সরকারের সামনে চেঁচিয়ে বলবে কে?’
যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ
সৌভাগ্যক্রমে, প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) ২০২৪-২৫ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষার (ইএস) ভূমিকায় যা বলার বলে দিয়েছেন সোজাসুজি। তাঁর যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ ছিল ‘কাজ শেষ করে ফেলুন’ এবং ‘নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করুন’। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় অধ্যায় রয়েছে মোট ১৩টি। তার মধ্যে থেকে কেবল চারটি বেছে নিয়ে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সুপারিশ সম্পর্কে কিছু বলব। বলব সিইএ কী সুপারিশ করেছিলেন, এবং সে সম্পর্কে সরকারের প্রতিক্রিয়া, নিষ্ক্রিয়তা ইত্যাদি কী ছিল।
প্রথম অধ্যায়ে (অর্থনীতির অবস্থা) তিনি তুলে ধরেছেন অর্থনৈতিক মন্দার কারণগুলি। একইসঙ্গে তিনি সুপারিশ করেছেন যে, প্রতিযোগিতার যোগ্যতা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রকে নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে একেবারে নীচের স্তর থেকে। ওইসঙ্গে রয়েছে সিইএ’র কাঠামোগত সংস্কারেরও সুপারিশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, অর্থমন্ত্রী বেছে নিয়েছিলেন তার উল্টো রাস্তা। বর্তমান প্রকল্পগুলিতে আরও অর্থ ঢেলেছেন! ওইসঙ্গে ঘোষণা করেছেন সাতটি প্রকল্প, আটটি মিশন এবং চারটি তহবিল। ডিরেগুলেশন বা নিয়ন্ত্রণমুক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব মেলেনি। কোনও ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতার যোগ্যতা-শক্তি বৃদ্ধির জন্য কোনও পদক্ষেপের রূপরেখাও ছিল না। তিনি কেবলমাত্র আর্থিক ক্ষেত্রের বাইরের নিয়ন্ত্রণগুলি পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্কার কমিটি (হাই লেভেল কমিটি ফর রেগুলেটরি রিফর্মস) ঘোষণা করতে পারেন। তার মানে, আর্থিক ক্ষেত্র সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং কোনও পর্যালোচনা করা হবে না।
অস্বীকৃতি, আরও অস্বীকৃতি
দেশের জন্য বেকারত্ব, বিশেষ করে যেসব পরিবারে বেকার ছেলেমেয়ে রয়েছে তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জ। ১২ নম্বর অধ্যায়ে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়ন (এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট) ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভে (পিএলএফএস) রিপোর্টের উপর। তাতে দাবি করা হয়েছে যে ২০২৩-২৪ সালে দেশে বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনৈতিক তত্ত্বে এটিকে পূর্ণ কর্মসংস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই ঝুঁকি উপলব্ধি করে, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর কৃষি ক্ষেত্রের বাইরে সাড়ে ৭৮ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে, যখন দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা পৌঁছবে ৯৬ কোটিতে। একদিকে নিয়মিত বা বেতনভোগী চাকরির অনুপাত হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে নিজস্ব ফার্মসহ স্বনিযুক্তির হার। গত সাতবছরে পুরুষদের প্রকৃত মাসিক মজুরি কমেছে—১২,৬৬৫ টাকা থেকে হয়েছে ১১,৮৫৮ টাকা। হ্রাস পেয়েছে স্বনিযুক্ত ব্যক্তিদেরও প্রকৃত মজুরি বা আয়। যাবতীয় বাস্তব প্রমাণ কিন্তু পিএলএফএস-এর দাবিকে সমর্থন করছে না। এই প্রসঙ্গে একেবারে নিম্ন স্তরের চাকরির জন্য বিপুল সংখ্যক আবেদনকারীর কথাটি বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে। অর্থমন্ত্রী কি পিএলএফএস এবং অর্থনৈতিক সমীক্ষার সঙ্গে সহমত পোষণ করেন? এই বিষয়ে তাঁর নীরবতা সত্যকে অস্বীকার করারই শামিল। বাস্তব এটাই যে, জিডিপি মাঝারি গতিতে বৃদ্ধি পেলেও বেকারত্ব বাড়ছে, বিশেষ করে যুব শ্রেণি ও স্নাতকদের ভিতরে এবং চাকরি বা কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যাপারটা থমকে রয়েছে।
‘ডিরেগুলেশন ড্রাইভস গ্রোথ’ শিরোনামে একটি সম্পূর্ণ অধ্যায় (৫ নং) রয়েছে। বিনিয়োগের বর্তমান হার ৩১ শতাংশের কম। ৬.৫ শতাংশের নীচে বৃদ্ধির হার। এই প্রেক্ষিতেই অর্থনৈতিক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০৪৭ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ (ডেভেলপড কান্ট্রি) হয়ে উঠতে পারব না। সরকারের প্রতি ইএস-এর পরামর্শ, ‘ডিরেগুলেশন এজেন্ডা ত্বরান্বিত এবং প্রসারিত’ করতে হবে।  এছাড়া ‘জনগণকে তাদের এজেন্সি ফিরিয়ে দেওয়ার এবং ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করারও’ আহ্বান জানিয়েছে ইএস। ইএস নিয়ন্ত্রণের সীমাবদ্ধতাগুলি চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে ধরা হয়েছে কারখানা সংক্রান্ত নিয়মকানুন এবং ‘ইনফ্লেটেড রেগুলেটরি ক্যাপাসিটি’। ১৯৯১-৯৬ পর্বে নিয়ন্ত্রণমুক্তির কিছু দৃষ্টান্ত দিতে পারি, যেমন ‘সিসিআইঅ্যান্ডই’ তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ‘ফেরা’কে (এফইআরএ) রূপান্তরিত করা হয়েছে ‘ফেমা’তে (এফইএমএ)। একইভাবে, এই অর্থমন্ত্রীও কিছু দপ্তর এবং নিয়ন্ত্রণ বাতিল করতে পারতেন। তিনি এসব এড়িয়ে গিয়েছেন। আমার ধারণা, আগামী একবছরে কিছুই হবে না।
দুর্বলতা
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে এত ঢক্কানিনাদ সত্ত্বেও বলব যে, ভারতের উৎপাদন ক্ষেত্রটি (ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর) ক্ষুদ্র এবং এর বৃদ্ধির হারও দ্রুত নয়। ৭ নং অধ্যায়ে অলোচিত হয়েছে শিল্প। সার্বিক বাণিজ্য সংস্কার প্রসঙ্গে যে তথ্যাদি উঠে এসেছে তা আশাপ্রদ নয়। বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে আমাদের অংশ মাত্র ২.৮ শতাংশ, সেখানে ২৮.৮ শতাংশ অবদান চীনের। উৎপাদন ক্ষেত্রে জিভিএ’র (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড) অংশ ২০১১-১২ সালে ছিল ১৭.৪ শতাংশ। সেটি সেই উচ্চতা থেকে ২০২৩-২৪ সালে ১৪.২ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে অপরিহার্য উচ্চমানের যন্ত্রপাতি আমরা আমদানি করে থাকি। গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে আমাদের ব্যয়ের পরিমাণ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশেরও কম! সেখানে অর্থনৈতিক সমীক্ষার পরামর্শ হল, নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) এবং উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। জোর দিতে হবে কর্মী বাহিনীর স্কিল লেভেল উন্নত করার উপর। ইএস-এর মত, এগিয়ে যাওয়ার পথ এতেই সুগম হবে। তবে এই ব্যাপারে বাজেটের প্রতিক্রিয়া মিলেছে কেবল কিছু স্কিম আর মিশন চালু করার মধ্যে। 
গভর্ন্যান্স বা শাসনব্যবস্থা বলতে বর্তমানে যা চলছে! অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, আছে একটি সরকারও, কিন্তু অনুপস্থিত যেটা তা হল গভর্ন্যান্স বা শাসনব্যবস্থা। প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) হলেন আর একটি উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর।
-লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। 
(মতামত ব্যক্তিগত)
10th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
একনজরে
সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু করছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটির তৃতীয় বৈঠক। ...

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...

ভালোবাসার দিন। কিন্তু গোলাপ-পারফিউম- চকোলেট নয়, শুক্রবার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ ছিল একরাশ ক্ষোভ এবং বিরক্তি। আসলে আইএসএলে বছরের পর বছর ব্যর্থতা মেনে নিতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস

03:12:53 AM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি, আহত কমপক্ষে ১০

01:05:58 AM

৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাসুদেবপুর থানার পুলিস, গ্রেপ্তার ২

11:48:00 PM

১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে নামল আমেরিকার দ্বিতীয় বিমান

11:46:00 PM

হকি প্রো লিগ: প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩-১ গোলে হারাল স্পেন

11:33:14 PM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতির ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

11:30:00 PM