Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাংলায় একটা কথা আছে, চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন। দেখা আর শোনা যদি একসঙ্গে না হয়, তাহলে প্রকৃত বাস্তব নিয়ে একটা সংশয় থেকে যেতেই পারে। চোখ এবং কান একসঙ্গে কাজ করলে সেই সন্দেহ আর থাকে না। মানে, চোখ যেটা দেখল, কানও সেটাই শুনল। চক্ষু ও কর্ণের মধ্যে বিবাদ তৈরি হলে, তার ‘ভঞ্জন’ হয় তখনই। ১১ বছর হতে চলল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ চালাচ্ছেন। কিন্তু আম জনতার চক্ষু-কর্ণের বিবাদ ভঞ্জন কিছুতেই হচ্ছে না। এই এক দশক ধরে আমাদের যা দেখানো হচ্ছে, তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু শোনা যাচ্ছে না। আর যে সব প্রতিশ্রুতি শোনানো হচ্ছে, তা বাস্তব জীবনে ফলতেও দেখা যাচ্ছে না। দেশের অর্থনীতি এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বলে দেখানো হচ্ছে, কিন্তু আমরা সুফল বুঝতে পারছি না। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে গত বছরের ২ কোটি ৯০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি শোনানো হয়েছে। কিন্তু আমরা তা ব্যাঙ্কের পাশবুকে বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারে দেখতে পাইনি। তারপরও অবশ্য খান দুয়েক লোকসভা ভোট এবং একঝাঁক বিধানসভা নির্বাচন জিতে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদি। শেষ সংযোজন দিল্লি। ২৭ বছরের অভিশাপ কাটিয়ে প্রমাণ করেছেন, ‘মোদিই পারে’। কেন পারে? কীভাবে পারে? কম্পিটিশনে একা দৌড়ে পারে? রেসে নামার আগেই বিপক্ষের কোমর ভেঙে দিয়ে পারে? এসব প্রশ্ন অমূলক। দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে রানটাই আসল। কতগুলো ক্যাচ পড়ল, আর কোন দুধুভাতু বোলাররা বল করল, তাতে কিছু আসে যায় না। আপাতত দিল্লি তাঁর। আগেরবার পাঁচ বছরের মেয়াদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনজনকে দফায় দফায় বসাতে হয়েছিল বিজেপিকে। কারণ, দুর্নীতির অভিযোগ। এবং ক্ষোভ। এবার সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলা চড়িয়েই দিল্লিতে শাপমোচন হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আশা করাই যায়, অবস্থা সেই ’৯৩ সালের মতো হবে না। অর্থাৎ, দুর্নীতি ও ক্ষোভের অভিযোগ ছাড়াই পাঁচ বছর রাজধানী শাসন করবে বিজেপি। আর তাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর চতুর্থ স্বপ্নটি সফল হয়েই গেল মোদিজির।
চতুর্থ কেন?
প্রথম স্বপ্ন, ক্ষমতায় এসেই আগে কংগ্রেসের রাজনীতির দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া। নোট বাতিল, নেতাদের জেল যাত্রায় পাঠানো, লাগাতার অভিযোগ এবং আক্রমণ এই কর্মসূচিতে যতটা না তাঁকে সাহায্য করেছে, তার থেকে অনেক বেশি সমর্থন জুগিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এবং এখনও পারলে স্লিপিং পার্টনার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় স্বপ্ন, ইন্দিরা গান্ধীকে ছুঁয়ে ফেলা। প্রধানমন্ত্রিত্বের সংখ্যায় এবং পাকিস্তান বিরোধিতায়। আর তৃতীয় স্বপ্ন, জওহরলাল নেহরু। টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন মোদিজি। চতুর্থ স্বপ্ন ছিল, দিল্লি দখল। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছেন, অথচ রাজধানী হাতছাড়া! এ তো পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে অঙ্কে ফেল করার মতো অবস্থা। তাঁকে জেতাল মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণি। আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডোবাল শিসমহল। নরেন্দ্র মোদি অবশ্য এসব সমীকরণকে অতীত করে বিদেশযাত্রায় মন দিয়েছেন। আরও কয়েকদিন পর ফিরবেন। তারপরই মন দেবেন পঞ্চম স্বপ্নে। সেটা কী? বাংলা দখল। 
এই একটি কাঁটা মোদিজির গলায় এখনও বিঁধে আছে। দিল্লি এবং কার্যত গোটা উত্তর ভারত দখলের পর বাংলার কাঁটা উপড়ে ফেলতে মরিয়া যে তিনি হবেন, সেটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হতে হয় না। অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরের মতো উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে দণ্ড ও ভেদের শাসনে ধরে রেখেছে বিজেপি। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই রাজ্যটিই এখনও বেগ দিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছেন, রাজ্যবাসীকে আবাস দেননি, শাসক তৃণমূলের একের পর এক নেতাকে দুর্নীতির জাল ফেলে ধরেছেন, জেলেও ভরেছেন। তারপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনভিত্তি টলাতে পারেননি। চব্বিশের লোকসভা ভোট তার প্রমাণ। দিল্লি দখল হয়ে গিয়েছে। আর অপেক্ষা নয়। ইতিমধ্যেই অবশ্য কাজে নেমে পড়েছে গেরুয়া ব্রিগেড। তারা জানে, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অস্ত্র অন্য রাজ্যে কাজে দিলেও মমতার বাংলায় চলবে না। এই সমীকরণে তিনিই পথিকৃৎ। উল্টে তাঁর প্রকল্প ধার করে সম্প্রতি বেশ কয়েকটা রাজ্যে জিতেছে বিজেপি। দুর্নীতির অভিযোগ, ইডি, সিবিআই দিয়েও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। তাহলে তো ২০১৬ সালের নারদ কাণ্ডেই সরকার ফেলে দেওয়া যেত। এখানকার মানুষ এখনও এই ভদ্রমহিলার ক্যারিশ্মার উপর অন্য কিছু রাখে না। তাহলে উপায়? মেরুকরণের দাঁত-নখ বেরনোর সময় হয়ে গিয়েছে। গত কয়েকটা বছর যা খানিকটা আবডালে ছিল, তা বেরচ্ছে। বিরোধী দলনেতা এরইমধ্যে হাঁক দিয়েছেন, হিন্দু সরকার গড়বে বিজেপি। ধর্মনিরপেক্ষ দেশে হিন্দু সরকার? মানুষ ভাবছে? এক বছর আগের বাংলা হলেও ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুযোগ আর দিচ্ছে না। পড়শি দেশে মৌলবাদ পাখনা মেলছে। সেই সুযোগটাই পুরোদমে নিচ্ছে বিজেপি। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে চলছে চোরাগোপ্তা উস্কানি। মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, বাংলাদেশের আঁচ সবচেয়ে বেশি পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপর। তাই এখন থেকেই কোমর বাঁধতে হবে। কীভাবে? নিজেদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর পাঠ কিন্তু তারা দিচ্ছে না! উল্টে মুসলিম বিরোধী এজেন্ডার আগুনে ঘি ঢালা হচ্ছে লাগাতার। সেই সঙ্গে বাংলার শাসকের গায়ে সেঁটে দেওয়া হচ্ছে সংখ্যালঘু তোষণের স্টিকার। এক ঢিলে দুই পাখি। একইসঙ্গে বিজেপি আরও একটা পন্থা নিয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ এখন তলে তলে গেরুয়া শিবিরকে সাপোর্ট দিচ্ছে। কীভাবে? কাজে ঢিলে এবং অন্দরের খবর বাহার করে দেওয়া। ফলে মানুষের জন্য কোনও প্রকল্প বা সুবিধা রাজ্য সরকার আনতে গেলে সেটা আগাম ঘোষণা করে দিচ্ছে বঙ্গ বিজেপির হর্তাকর্তারা। মানুষকে বোঝাতে চাইছে, এসব চেনা রাজনীতি। আপনারা এসবে ভুলবেন না। বরং হিন্দুত্ব কীভাবে রক্ষা হয়, সেটা ভাবুন।
ফলে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রশ্ন উঠতেই পারে, এরকম চ্যালেঞ্জ কি আগে সামলাননি তিনি? বিলক্ষণ সামলেছেন। এর থেকে অনেক বেশি এবং আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন। কিন্তু বুঝতে হবে, এবারের ঘনঘটা অন্য সব ঘটনার থেকে আলাদা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি, মৌলবাদী আগ্রাসন, জঙ্গি অনুপ্রবেশ, আবার উদ্বাস্তু আশঙ্কা... তার সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ভোট-রাজনীতি। এটা ধরে নিতে হবে যে, অধুনা ইউনুসের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি ইন্দিরা গান্ধী স্টাইল নেবেন না! কারণ দু’টি। ১) মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে আন্তর্জাতিক মহলে যে ঝড় উঠবে, তা সামলানোর মতো দাপট তাঁর নেই। ২) বাংলাদেশ সংক্রান্ত এই অশান্তি মিটে গেলে ছাব্বিশের ভোটে মেরুকরণ-অস্ত্রের ধার এমনিতেই অনেকটা ভোঁতা হয়ে যাবে। তাই পরের ছেলে পরমানন্দ ফর্মুলাতেই আপাতত চলবে। মূল্য দেবে কে? বাংলার মানুষ। তাই এই পরিস্থিতিতে যাবতীয় সমীকরণ বদলে দিতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রশাসক হিসেবে নয়, নেত্রী হিসেবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়... এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ যাচ্ছে, তার জন্য ঘরে ঘরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে তাঁকেই। তৃণমূল কংগ্রেস মানে কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এর অর্থ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল দল এবং ব্যক্তি মমতার মধ্যে ফারাক কিছু নেই। তৃণমূল না থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। কিন্তু মমতা না থাকলে তৃণমূল আদৌ থাকবে কি না, সন্দেহ আছে। তাই বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে। নিজের চোখে দেখা... প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা সাধারণ ঘরের তৃণমূল সমর্থককে আজও ভিড়ের মধ্যে চিনে নেন তিনি। নাম ধরে ডাকেন। অপারেশনের পর মেয়ে কেমন আছে, জিজ্ঞেস করেন। প্রশাসক হিসেবে নয়। নেত্রী হিসেবে। দিদি হিসেবে। এটাই কিন্তু তাঁর ইউএসপি। তথাকথিত শিক্ষিত একটা শ্রেণি তাঁর সমালোচনা করবে, গাল দেবে। কিন্তু সুবিধা নেওয়ার সময় গলে পড়বে। এটা এখন তাঁরও গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ সময়টা অন্য। বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, কেউ জানে না। হঠাৎ শুরু হওয়া ঝড় হয়তো চলবে পাঁচ-দশ বছর। অথবা কয়েক মাসেই হঠাৎ থেমে যাবে। কিন্তু যতদিন দুর্যোগ থাকবে, বিপর্যয়ের আশঙ্কায় কপালে ভাঁজ পড়বে আমাদেরও। রাজনীতির কারবারিরা তার সুযোগ নেবে। আশঙ্কা যাতে আতঙ্কে বদলে না যায়, সেটা দেখতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। কারণ, তিনিই পারবেন। প্রতিটা ঘরে, প্রত্যেক রাজ্যবাসীর কাছে... চাহিদা হয়তো বেশিই হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এমনটা না হলে যে বাংলা ‘রক্ষা’ করাই কঠিন হয়ে যাবে!
 
11th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
একনজরে
ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...

ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক প্রযুক্তি। এই দুই দেশের মধ্যে যে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি। ...

সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু করছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটির তৃতীয় বৈঠক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস

03:12:53 AM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি, আহত কমপক্ষে ১০

01:05:58 AM

৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাসুদেবপুর থানার পুলিস, গ্রেপ্তার ২

11:48:00 PM

১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে নামল আমেরিকার দ্বিতীয় বিমান

11:46:00 PM

হকি প্রো লিগ: প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩-১ গোলে হারাল স্পেন

11:33:14 PM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতির ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

11:30:00 PM