Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে। কাম্য শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রথম দরকার পুষ্টিকর খাবার। এমন আদর্শ খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন অবশ্যই থাকবে সব্জি, ফলমূল, সুষম খাদ্যশস্য, প্রাণীজ/অপ্রাণীজ প্রোটিন, পরিস্রুত পানীয় জল প্রভৃতি। একই সঙ্গে প্রয়োজন বয়স অনুযায়ী খেলাধুলো, শরীরচর্চা প্রভৃতি। মানসিক বিকাশের জন্য প্রথম প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস এবং স্কুলে আনন্দদায়ক পরিকাঠামো। শুধু কিছু পাঠ্যবই পড়িয়ে দেওয়ার জন্য যেমন তেমন একটি ইট-কাঠ-পাথরের ভবন থাকাই যথেষ্ট নয়, স্কুলকে হতে হবে সর্বার্থেই আনন্দপাঠের স্থান। পরিচ্ছন্ন, পর্যাপ্ত পরিসর ভবনের পাশাপাশি থাকতে হবে ভালো জল ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগার এবং উপযুক্ত খেলার মাঠ। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধিতে উপনীত কন্যাসন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা অবশ্যই রাখতে হবে। এরপর চাই সহযোগিতার নীতিতে সমাজের অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা এবং নানা অভিজ্ঞতা অর্জন। চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটাবার ব্যবস্থাও থাকবে শিক্ষাক্ষেত্রে। আর থাকতে হবে নৈতিক শিক্ষার পাঠ। ‘গুরুকুলে’ এই গুরুদায়িত্ব পালন করবেন কারা? শিক্ষকরা। তাহলে সুশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাও চাই। বলা বাহুল্য, পড়ুয়া এবং শিক্ষকের আদর্শ অনুপাত লঙ্ঘন করলে পাঠদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দামামা দেশজুড়েই বেজে গিয়েছে। এমনই এক সন্ধিক্ষণে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১০৮তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ‘এনইপি ২০২০’-র মাহাত্ম্য নিয়ে। তিনি দাবি করেন, ছোট ছেলেমেয়েদের ‘শিক্ষা’ এবং ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’-এর সামনে ‘ভাষা’ আর কোনও বাধা হবে না। আমাদের দেশের অগুনতি গরিব ছেলেমেয়ে প্রতিবছর ‘স্কুলছুট’ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের এই দুঃখজনক পরিস্থিতির জন্য, ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষার প্রতিবন্ধকতাকে বিশেষভাবে দায়ী করেন। তাঁর বক্তব্য, নয়া শিক্ষা নীতি এই সমস্যার মূলোচ্ছেদ করবে। এই ‘একদা অসম্ভবটি সম্ভব হবে’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির কল্যাণে। তাৎক্ষণিক এবং নির্ভুল ভাষান্তরের সুবিধা আমরা সকলেই উপভোগ করতে পারব। নয়া ব্যবস্থা প্রি-প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার দ্বার খুলে দেবে সবারই সামনে। অতঃপর বেড়ে যাবে প্রিয় বিষয়ে স্নাতক হওয়ার সুযোগটিও।
পুরো ব্যাপারটা কল্পনা করতে সত্যিই ভালো লাগে। কিন্তু তার রূপায়ণ ‘লাও তো বটে কিন্তু আনে কে’ গোছের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে না কি? বুনিয়াদি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো কেমন? সামান্য অনুসন্ধানেই যা বেরিয়ে আসে তাকে ‘শিক্ষাব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা’ বললে অত্যুক্তি হবে না। সরকারের দাবি, সংখ্যাটি নাকি মোদি জমানায় অনেক কমেছে, তারপরেও ২০২৩-২৪ সালে এক শিক্ষকবিশিষ্ট স্কুলের সংখ্যা ছিল লক্ষাধিক। মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থানে এমন স্কুল সবচেয়ে বেশি। অথচ এনইপি ২০২০’র সুপারিশ পড়ুয়া-শিক্ষক অনুপাত হতে হবে ১:৩০। সারা দেশে কয়েক হাজার স্কুলের নিজস্ব বাড়ি নেই। তার মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে পাঠদান চলে গাছের নীচে। এমন প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বিহারে। ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ বিহার বিধানসভায় নীতীশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী চন্দ্রশেখরের বিবৃতি থেকে জানা যায়, সংখ্যাটি ৫,৬৮১ বা ৯ শতাংশ!
ভারতে কত মানুষ গরিব? বিনামূল্যে রেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্যেই তা পরিষ্কার। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ছত্তিশগড় বিধানসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে তিনি সানন্দে ঘোষণা করেন যে, ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ গরিব মানুষকে বিনামূল্যের রেশন বণ্টনের সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হল! হাজার হাজার শিশু স্কুলছুট সাধ করে হয়ে যায় না। তারা শিশু শ্রমিকের অভিশপ্ত জীবনেও প্রবেশ করে না খুশিতে ডগমগ হয়ে। স্কুলছুট এবং শিশু শ্রমের নেপথ্যে রয়েছে বাবা-মায়ের আর্থিক দুর্দশা এবং অস্বাস্থ্যকর বস্তির জীবন। ভারতবাসীর এই দুর্দশা দূর করতেই তৈরি হয়েছে খাদ্যের অধিকার আইন এবং স্কুলপড়ুয়াদের জন্য চালু হয়েছে মিড ডে মিল। কিন্তু মিড ডে মিল সরবরাহের জন্য যে অর্থ মোদি সরকার বাহাদুর বরাদ্দ করেন, তাতে ছেলেমেয়েদের কতটা পুষ্টিকর খাবার দেওয়া সম্ভব? জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। একই বাজার থেকে মিড ডে মিলের উপাদান কেনাকাটা করতে হয়। কিন্তু তার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির রেওয়াজ একেবারেই অনিয়মিত। যেমন দু’বছর বাদে, গত ২৭ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রক মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। কিন্তু মাথাপিছু বৃদ্ধির পরিমাণটা কত? প্রাথমিকে ৭৪ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে ১ টাকা ১২ পয়সা। তাতে বাংলায় মাথাপিছু বর্ধিত বরাদ্দ কত দাঁড়াল? প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৬ টাকা ১৯ পয়সা (তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৩ টাকা ৭১ পয়সা) এবং উচ্চ প্রাথমিকে (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি) ৯ টাকা ২৯ পয়সা (তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৫ টাকা ৫৭ পয়সা)।
এই ভয়াবহ ছবিটারই পাশে রাখব অন্য দুটি চিত্র: পরীক্ষা পে চর্চা এবং কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষার জন্য বরাদ্দ। বছরে একবার পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি (অফলাইন এবং অনলাইন) প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে ২০১৮ থেকে। তথ্যের অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের একটি করে শংসাপত্র দেওয়া হয়। মোদিজির মুখশ্রী সংবলিত ওই সার্টিফিকেট ছাপতে কেন্দ্রীয় কোষাগার থেকে প্রতিবছর খরচ হয় ১ কোটি টাকা। ২০১৮-র হিসেব কেন্দ্র দেয়নি। পরবর্তী ছ’বছরে খরচের পরিমাণ প্রায় ৭৯ কোটি টাকা, তার মধ্যে ৬২ কোটি টাকা কেন্দ্র খরচ করেছে গত তিনবছরে! 
অথচ শিক্ষা এবং গবেষণায় ছাত্রবৃত্তির হাল ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির ছবিটাও হতাশাজনক। কেননা, ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে ১ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং গতবছরের তুলনায় 
বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিমাণ ৬.৫ শতাংশ মাত্র। বৃদ্ধির এই হার গত চারবছরের মধ্যে সবচেয়ে কম! এনইপি ২০২০-তে শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব রয়েছে। শিক্ষাখাতে গতবছর বরাদ্দ করা হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা, যেটা ছিল ২০২৩-২০২৪ সালের চেয়ে ৭.১৪ শতাংশ বেশি। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য শিক্ষাখাতে ব্যয় বাড়িয়ে জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলা জরুরি। গত পাঁচবছরে শিক্ষাখাতে সরকারি ব্যয় বাড়লেও তা লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক দূরেই রয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা দিয়েছে করোনাকালের ২০২১-২২ সাল। সেবার বৃদ্ধির পরিবর্তে, শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ৬.১২ শতাংশ কমানো হয়েছিল! সব মিলিয়ে শিক্ষার জন্য সরকারি ব্যয় জিডিপির ৩-৪ শতাংশের মধ্যে হাঁপিয়ে মরছে। গবেষণা এবং উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) খাতে আমরা ব্যয় করছি জিডিপির ১ শতাংশেরও কম! কেন্দ্রেরই সর্বশেষ আর্থিক রিপোর্টে এনিয়ে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।  
এর পাশে রাখা যাক আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট: বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষায় বরাদ্দ করেছিল তাদের জিডিপির ৬ শতাংশ। প্রতিবেশী চীনের বরাদ্দ আরও বেশি ৬.১৩ শতাংশ। কোভিডের আগে সাধারণ শিক্ষা, গবেষণা এবং বিজ্ঞানশিক্ষায় জার্মানির বাজেট বরাদ্দ ছিল জিডিপির ৯.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমানো হলেও প্রাইমারিসহ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাখাতে অঙ্কটি এখনও ৪.৬ শতাংশ রয়েছে। শিক্ষায় জাপান সরকার খরচ করছে তাদের জিডিপির ৭.৪৩ শতাংশ।
এরপর ভাবুন, আমরা কোন কাণ্ডজ্ঞানে ‘উন্নত’ দেশের পংক্তিতে বসার খোয়াব দেখছি? গাছের গোড়া কেটে আগায় জল সিঞ্চনের সংস্কৃতি কোন ফল প্রসব করবে? যে ‘কীর্তিটি’ মোদিজি হাসি মুখে করে চলেছেন, তা আসলে বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্রকে মদতদান, যা বৈষম্য বৃদ্ধির সঙ্গে ভীষণই মানানসই। কে-১২ শিক্ষাঋণের গল্পটি মাথায় রাখুন, ব্যাপারটি খোলসা হয়ে যাবে। রাষ্ট্র আর কারও দায় নেবে না, যে যারটা বুঝে নাও, দম থাকলে ঋণ করে লড়ে যাও। রেশনের চাল-আটা এবং মিড ডে মিলের সাপোর্ট ছাড়া যেসব পরিবার দিনেই আঁধার দেখে, তারা ঋণ নিয়ে সন্তানকে শিক্ষিত করবে! বলিহারি নীতি!!
রাজনীতিতে ইস্যুর অভাব নেই। কিন্তু শিক্ষাখাতে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় কোনও দলকে অংশ নিতে দেখি না কেন? আগামী দিনে প্রতিটি নির্বাচনে সমস্ত ‘জনপ্রিয়’ ইস্যু বাঁয়ে রেখে শিক্ষাখাতে ব্যয়বৃদ্ধির দাবি সংক্রান্ত প্রতিযোগিতা চলুক। এই প্রশ্নে এগিয়ে আসুক প্রতিটি দলের নির্বাচনী ইস্তাহার। গোড়ার গলদ দূর না-হলে পরিতাপ, আক্ষেপই আমাদের সম্বল রয়ে যাবে অনন্তকাল!
12th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে।
বিশদ

07th  February, 2025
একনজরে
শুক্রবার সকালে মালদহের গাজোল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীডাঙ্গা এলাকায় তালপুকুরে পাঁচ বিঘার বেশি আয়তনের একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ...

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...

‘এক দেশ এক নির্বাচন’ ইস্যুতে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার কাজ শুরু করছে সংসদীয় কমিটি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডাকা হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটির তৃতীয় বৈঠক। ...

ভালোবাসার দিন। কিন্তু গোলাপ-পারফিউম- চকোলেট নয়, শুক্রবার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের জন্য বরাদ্দ ছিল একরাশ ক্ষোভ এবং বিরক্তি। আসলে আইএসএলে বছরের পর বছর ব্যর্থতা মেনে নিতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস

03:12:53 AM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি, আহত কমপক্ষে ১০

01:05:58 AM

৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাসুদেবপুর থানার পুলিস, গ্রেপ্তার ২

11:48:00 PM

১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে নামল আমেরিকার দ্বিতীয় বিমান

11:46:00 PM

হকি প্রো লিগ: প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩-১ গোলে হারাল স্পেন

11:33:14 PM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতির ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

11:30:00 PM