Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

গরিবের সংখ্যা কমানোর নিখুঁত চিত্রনাট্য
সমৃদ্ধ দত্ত

রামমন্দির, ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন, মহিলা সংরক্ষণ আইন, লোকসভা ভোট, চন্দ্রযান, জি টুয়েন্টিতে ভারত বিশ্বগুরু, আজমির শরিফের নীচে শিবমন্দির আছে, কুম্ভমেলা ১৪ বছর পর সহ নানাবিধ উচ্চকিত প্রচার এবং ইভেন্টের আড়ালে ভারী চমৎকার একটি প্লটকে সামনে রেখে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। এতটা সুপরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট রাষ্ট্রীয়ভাবে নিখুঁত ভাবে কার্যকর করা যায়, সেটা বেশ শিক্ষণীয় সমস্ত সরকার ও রাজনৈতিক দলের কাছে। কী সেই চিত্রনাট্য?
প্রথমে বিগত এক বছর ধরে সভা, সমাবেশ, সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীসহ 
ভারত সরকারের নীতি নির্ধারকরা অত্যন্ত নিয়ম করে উচ্চকিত কণ্ঠে বলছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছে। অর্থাৎ ২৫ কোটি মানুষকে 
তুলে আনা সম্ভব হয়েছে গরিবি থেকে। এটা সুশাসনের  প্রমাণ। কিন্তু একটানা এই প্রচার করার পরও 
যদি দেশবাসীর বিশ্বাস না হয়? কারণ হাজার হোক সরকার এবং সরকারের মন্ত্রীরা তো নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করতে এরকম দাবি করতেই পারেন! মানুষ তো ভাবতেই পারে এসব দাবির প্রমাণ কী? মিথ্যাও তো হতে পারে! 
তাই এরপর এসেছে পরবর্তী ধাপ। হঠাৎ গত বছরের শেষভাগে প্রধানমন্ত্রীর একটি সরকারি অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিসার্চ সমীক্ষার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। দেশের আর্থ সামাজিক কিংবা শিল্প অথবা শিক্ষা সহ নানাবিধ বিষয়ে এই এসবিআই রিসার্চ মাঝেমধ্যেই রিপোর্ট প্রকাশ করে। ওই রিসার্চে হঠাৎ এসবিআই কী বলল? বলল, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে গ্রামীণ ভারতের দারিদ্র্য ৪.৮৬ শতাংশ কমে গিয়েছে। আর শহরে গরিব মানুষের সংখ্যা কমেছে ৪ শতাংশ। 
ঠিক তারপরই প্রধানমন্ত্রী সেই এসবিআই রিসার্চকে উদ্ধৃত করে বললেন, এই তো আমরা একাই বলছি না, এসবিআই রিপোর্ট পর্যন্ত বলেছে যে, ভারতে কীভাবে দ্রুত কমে চলেছে গরিব মানুষের সংখ্যা। তারপর থেকে ভারত সরকার বারংবার ওই রিপোর্টই প্রচার করে চলেছে। এসবিআই রিপোর্ট যে এই দাবি করল, তার ভিত্তি কী? কীভাবে বোঝা গেল যে এই চরম মূল্যবৃদ্ধি আর বেকারত্বের যুগে গরিব মানুষের সংখ্যা হু হু করে কমে যাচ্ছে? দেখা যাক এসবিআই রিসার্চের প্রক্রিয়াটি কী! 
এসবিআই রিসার্চ মানদণ্ড স্থির করে জানিয়েছে, যে পরিবার মাসে ১৬৩২ টাকার কম খরচ করে তারা গরিব। এটা গ্রামীণ ভারতের হিসেব। আর শহুরে ভারতে যে পরিবারের ব্যয়ক্ষমতা ১৯৪৪ টাকার বেশি নয়, তারাই গরিব। এই নীতির নাম অ্যানুয়াল হাউসহোল্ড কনজামশান। অর্থাৎ বছরে একটি পরিবার যা খরচ করে। তার মানে হল, একদিনে গ্রামীণ ভারতের যে পরিবার ৫৫ টাকা খরচ করে তারা গরিব। শহরে যারা ৬৫ টাকার মধ্যে খরচ করবে তারাও গরিব। তাহলে কি এই অঙ্কের বেশি যারা খরচ করতে পারে তারা গরিব নয়? হাউসহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভের এই রীতি নিয়ে তাবৎ অর্থনীতিক মহল প্রশ্ন তুলছে। তাদের বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি, টেন্ডুলকর কমিটির দারিদ্র্যসীমা সংক্রান্ত রিপোর্ট ইত্যাদিকে ভিত্তি করে এই যে গরিবের মাপকাঠি তৈরি হয়েছে এটা ত্রুটিপূর্ণ। এভাবে ২০২৪ সালের গরিব নির্ধারণ করা যায় না। 
কিন্তু এসব যুক্তি ভারত সরকার মানতে নারাজ। তারা খুশি এবং এই রিপোর্ট গ্রহণ করেছে অত্যন্ত আনন্দ সহকারে। আর তাই প্রচারও চলছে জোরকদমে। সুতরাং নিত্যদিনের খাবার কেনার জন্য ৬৫ টাকার বেশি যাঁরা ব্যয় করতে সক্ষম তাঁরা আর গরিব নয়। এটাই রাষ্ট্র এখন মনে করছে। 
খুব ভালো কথা। রাষ্ট্র এই মনোভাব নিয়ে সন্তুষ্ট হতেই পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আর একটি সমীক্ষা ভুলে গেলে চলবে না। ভারতে ২০২৪ সালে ২১ কোটি মানুষ দিনে আয় করেন ১০০ টাকার কম। তাঁদের মাসিক আয় তাহলে কত? তাঁরা কত টাকা চাল, ডাল, তেল, সব্জি ও আমিষ কিনতে ব্যয় করতে পারবেন? এই হিসেবের সমাধান কী? তাঁদের জীবন কীভাবে চলে? তাঁদের মধ্যে গরিব কারা? কারা গরিব নয়? কঠিন অঙ্ক। 
মোটামুটি প্লট নির্মাণ করা হয়েছে। এবার চিত্রনাট্যের পরবর্তী ধাপ কী? সেটা দেখা গেল ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালের বাজেটে। কী দেখা গেল? দেখা গেল, বহু বছর পর হঠাৎ মধ্যবিত্তের জন্য ভারত সরকার উদারহস্ত। কল্পতরুর মতো একঝাঁক আয়করে ছাড় দিয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে প্রবল প্রচার আর চর্চার আড়ালে সরকারের বাজেট বরাদ্দের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেল, বাজেটে অর্থমন্ত্রী তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 
১) কৃষিকার্যে ব্যবহৃত সারের উপর সরকার যে ভর্তুকি দেয়, সেই সারে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ২০২৪ সালে। সেটা ২০২৫ সালে দেওয়া হবে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ কৃষকদের চড়া মূল্যের সার কিনতে নিজেকে বেশি খরচ করতে হবে। 
২) খাদ্যে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। খাদ্যে সবথেকে বেশি বরাদ্দ কী কারণে করতে হয়? গরিব কল্যাণ যোজনায় গরিবকে রেশনে বিনামূল্যে চাল-গম দিতে। সেই বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল কেন? কারণ ওই যে এতদিন ধরে আমাদের বলা হয়েছে যে, গরিব কমে গিয়েছে! গরিব যদি কমেই যায়, তাহলে বিনামূল্যে চাল গম কম দিতে হবে!
৩) ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ ৮৬ হাজার কোটি টাকা। যা ২০২৪ সালেও  ছিল। অর্থাৎ বরাদ্দ এক টাকাও বাড়ল না। জনসংখ্যা বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি বাড়ছে। বেকারত্ব বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই ১০০ দিনের কাজের চাহিদা বাড়ছে। তাহলে বরাদ্দ বাড়ানো হল না কেন? কারণ পৃথকভাবে আর একটি উপকাহিনি রচিত হয়ে চলেছিল বিগত তিন বছর ধরে। সেটি হল, হঠাৎ দেখা যাচ্ছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে জব কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে হু হু করে। নানাবিধ করণে। আধার লিংক করা হয়নি কেন? অথবা টেকনিকক্যাল কোনও কারণে ওই জব কার্ড আর বৈধ নয়। কিংবা জাল জব কার্ড ধরা পড়ছে। কত করে জব কর্ড বাতিল হচ্ছে। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর, মাত্র ৬ মাসে ৮৪ লক্ষ জব কার্ড বাতিল। তাহলে তিন বছরে কত বাতিল হয়েছে? কয়েক কোটি। কিন্তু নতুন করে জব কার্ড তো ইস্যুও করা হয়? হ্যাঁ হয়। কিন্তু দেখা যায়, যতগুলি নতুন নাম নথিভুক্ত হয়, ততগুলি বা তার থেকে বেশি নাম বাদ চলে যাচ্ছে। তাহলে কী হয়? তাহলে আর ১০ দিনের কাজের চাহিদার সংখ্যা বাড়ছে না। যত যুক্ত হচ্ছে, ততই বাতিল হচ্ছে অন্যদিক থেকে। সংখ্যা হয় কমছে, অথবা একই থাকবে। তাহলে? তাহলে আর বেশি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করতে হবে কেন? আবেদনকারীর সংখ্যা তো বাড়বে না নিশ্চিত! 
তাহলে মোটামুটি কী দাঁড়ালো? এক বছরে ধরে প্রথমে প্রচার করা হল, গরিবের সংখ্যা কমেছে। তারপর সেটা প্রমাণ করার জন্য এসবিআই রিসার্চ রিপোর্ট দিল। তারপর গরিবকে বিনামূল্যে চাল-গম দেওয়ার বাজেট বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হল। কারণ কাগজে কলমে গরিব কমে গিয়েছে। কৃষকদের বছরে তিনবার ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সেটা জোরদার প্রচার পাচ্ছে। কিন্তু সারে ভর্তুকি কমে গেল! সেই প্রচার ধামাচাপা থাকছে। ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বাড়ছে না। কারণ আবেদনকারীর সংখ্যা বাড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
এই নিখুঁত প্ল্যানে লাভ কার? রাজকোষ থেকে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে সরকারের খরচ কমে যাওয়া। আর তাহলেই বাজেট ঘাটতি কমে যাবে! রাজকোষে টাকা রয়ে যাবে। সেই টাকায় কী করা যাবে? কর্পোরেটের ট্যাক্স মকুব করা যাবে! বাজেট পেপারের একটি অংশে একটি বিভাগ থাকে। তাকে বলা হয় রেভিনিউ ফোরগন। মানে কর্পোরেটকে কর মকুব করতে সরকারের কত টাকা লোকসান হয়েছে? পাঁচ বছরে কত সেই অঙ্ক? ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার কোটি টাকা! 
গরিবের সংখ্যা কমলে কম খরচ করা যাবে। কম খরচ করলে রেভিনিউ ফোরগনের টাকা জোগাড় করা যাবে। সুতরাং নিপুণ চিত্রনাট্য! নিখুঁত ক্ষতিপূরণ! 
07th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
পদ্ম সম্মান ও গেরুয়া রাজনীতি
প্রীতম দাশগুপ্ত

২০২৪-এর লোকসভা ভোট বুঝিয়ে দিয়েছে, স্রেফ মোদি ম্যাজিকে ভরসা করে ম্যাচ জেতা যাবে না। বিভিন্ন দুর্বল রাজ্যে মাটি শক্ত করতে তাই বিজেপি আঞ্চলিক আবেগকেও হাওয়া দিচ্ছে। পাশাপাশি সঙ্ঘের হিন্দুত্ব এজেন্ডা তো থাকছেই। সবচেয়ে মজার কথা হল হিন্দুত্বে ভরসা করার জন্য এতদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা তাঁর নম্বর টু অমিত শাহের বাগ্মিতার উপর নির্ভর করতে হতো।
বিশদ

12th  February, 2025
শিক্ষায় বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা হয় না কেন?
হারাধন চৌধুরী

মোদি সরকারের নয়া জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) ২০২০ ‘হোলিস্টিক প্রগ্রেস’ কথাটির উপর জোর দিয়েছে। শিশুর এই ধরনের উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত কী কী? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং নৈতিক গুণাবলি। এগুলি একত্র হলেই একটি শিশু ‘মানুষ’ হিসেবে জীবনে ‘সফল’ হতে পারবে।
বিশদ

12th  February, 2025
বিভেদ, রাজনীতি... চাই পুরনো ফর্মের মমতাকেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিভাজনের রাজনীতিকে পেড়ে ফেলতে গেলে পুরনো ফর্মে ফিরতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনিই একমাত্র পারেন, বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে। মাটির ঘরের দাওয়ায় বসে মুড়ি খেতে। জাত-ধর্ম বর্ণ না দেখে শিশুকে কোলে তুলে নিতে। সাধারণ মানুষের সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়তে। বোঝাতে... আমি আছি। বাংলার মানুষ কিন্তু এতটুকুই চায় তাঁর কাছে।
বিশদ

11th  February, 2025
উপেক্ষিত কণ্ঠস্বর
পি চিদম্বরম

যতদূর আমি মনে করতে পারি, এতখানি রাজনৈতিকভাবে প্ররোচিত বাজেট এর আগে হয়নি। এমন কোনও বাজেটও এর আগে হয়নি যা অর্থনৈতিক সংস্কার ও পুনর্গঠনের সুযোগ কাজে লাগাতে এতখানি ব্যর্থ হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সময়োপযোগী সংস্কার ও পুনর্গঠনের জন্য দেশবাসী প্রস্তুত ছিল কিন্তু সরকার তাদের হতাশ করেছে।
বিশদ

10th  February, 2025
আপের যাত্রাভঙ্গ করতে নাক কাটল কংগ্রেস
হিমাংশু সিংহ

‘অর লড়ো, জি ভরকে লড়ো ভাই, সমাপ্ত কর দো এক দুসরে কো’। দিল্লির চূড়ান্ত ফল ঘোষণার মাঝপথেই ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টিকে এই তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। দিনের শুরুতেই ট্রেন্ড দেখে একদম ঠিক বলেছেন।
বিশদ

09th  February, 2025
একটি পাপের প্রায়শ্চিত্ত
স্বস্তিনাথ শাস্ত্রী

একেই বোধহয় বলে ‘পোয়েটিক জাস্টিস’! ১৪১ বছর মানুষের জীবনের হিসেবে লম্বা সময় হলেও ইতিহাসের হিসেবে তা সামান্যই। এই প্রায় দেড় শতকে গঙ্গার জল আরও মলিন হয়েছে। বহু পাপের পলি জমেছে মোহানায়। তেমনই একটা পাপ করা হয়েছিল ১৪১ বছর আগে— ১৮৮৩ সালের ২১ জুলাই।
বিশদ

08th  February, 2025
ধর্মীয় বাজেটেই আস্থা বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় বসার পর এটাই ছিল প্রথম বাজেট। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছেন। তা নিয়ে সংসদে আলোচনা চলবে। হবে চুলচেরা বিশ্লেষণও। হয়তো কিছু সংশোধনী আসবে। অথবা সংশোধনী ছাড়াই পাশ হয়ে যাবে বাজেট।
বিশদ

08th  February, 2025
একনজরে
সোনামুখীর একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে শুক্রবার পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম চিরঞ্জিৎ মাঝি। তার বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানা এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, এদিন ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ...

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণের লক্ষ্যে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকে বসবেন ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, দপ্তরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন সহ ডিস্ট্রিক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন কমিটি এবং ব্লক সাব কমিটির সদস্যরা। ...

শুক্রবার সকালে মালদহের গাজোল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীডাঙ্গা এলাকায় তালপুকুরে পাঁচ বিঘার বেশি আয়তনের একটি পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ...

ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক প্রযুক্তি। এই দুই দেশের মধ্যে যে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তি, ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিশেষ কোনও পারিবারিক কারণে মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। কাজকর্মের ক্ষেত্রে বিশেষ  সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৭৫৯: লন্ডনে ব্রিটিশ মিউজিয়াম উদ্বোধন করা হয়
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন, জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম
১৯৭১: ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের মুদ্রার দশমিকীকরণ হয়
২০২২: কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী গীতশ্রী  সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২২: কিংবদন্তি সুরকার তথা সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.০৩ টাকা ৮৭.৭৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.২৮ টাকা ১১১.০৪ টাকা
ইউরো ৮৯.২২ টাকা ৯২.৬১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৬,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৮,০৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া ৩৪/১৩ রাত্রি ১১/৫৩। উত্তরফাল্গুনী  নক্ষত্র ৪৮/৪০ রাত্রি ১/৪০। সূর্যোদয় ৬/১২/২৮, সূর্যাস্ত ৫/২৯/১৮। অমৃতযোগ  দিবা ৯/৫৮ গতে ১২/৫৮ মধ্যে রাত্রি ৮/১ গতে ১০/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১২/১৬ গতে ১/৫৮ মধ্যে পুনঃ ২/৪৯ গতে ৪/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪০ মধ্যে পুনঃ ৪/৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
২ ফাল্গুন, ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। তৃতীয়া রাত্রি ১০/৪০। উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্র রাত্রি ১২/৫৩। সূর্যোদয় ৬/১৫, সূর্যাস্ত ৫/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/৪৯ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৬ গতে ১০/৩৩ মধ্যে ও ১২/১২ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/৩৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৬ গতে ২/৪০ মধ্যে ও ৪/৪ গতে ৫/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪ মধ্যে ও ৪/৩৯ গতে ৬/১৫ মধ্যে।
১৬ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলাদেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু করার বিষয়ে এলন মাস্কের সঙ্গে কথা বললেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস

03:12:53 AM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতি, আহত কমপক্ষে ১০

01:05:58 AM

৭৭ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করল বাসুদেবপুর থানার পুলিস, গ্রেপ্তার ২

11:48:00 PM

১১৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে নামল আমেরিকার দ্বিতীয় বিমান

11:46:00 PM

হকি প্রো লিগ: প্রথম ম্যাচেই ভারতকে ৩-১ গোলে হারাল স্পেন

11:33:14 PM

নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্টের পরিস্থিতির ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

11:30:00 PM