Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে? ঘাটতি কোথায়? অভয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাজা ঘোষণার পর এটাই রাজ্যের সর্বাধিক চর্চিত বিষয়। আদালতের রায়কে ঘিরে তোলপাড় চলছে। কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক, নাকি পরিকল্পিত বিভ্রান্তি সৃষ্টিই ফাঁসি না হওয়ার জন্য দায়ী? বিতর্ক সরিয়ে একটা কথা বলাই যায়, খুনি এক না একাধিক, তা নিয়ে হাওয়া গরম করায় রাজনীতির জল কিঞ্চিৎ ঘোলা হলেও অ্যাডভান্টেজ পেয়ে গিয়েছে অপরাধীই।
অভয়ার ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের রায় দিতে গিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই তিনি সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করলেও ফাঁসির সাজার বদলে দিয়েছেন আমৃত্যু কারাদণ্ড। বিচারক মনে করেছেন, সিবিআই যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করেছে তাতে সঞ্জয়ই একমাত্র অপরাধী। কিন্তু তার অপরাধের মাত্রা সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মোতাবেক বিরলের মধ্যে বিরলতমের পর্যায়ে পড়ে না। তাতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খোদ নির্যাতিতার বাবা, মা সিবিআই তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মা বলেছেন, ‘আমার মেয়েটা বিচার পেল না। সিবিআইয়ের ব্যর্থতায় ন্যায়বিচার পেলাম না। ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। আর কিছু বলার নেই।’
এই হতাশা শুধু অভয়ার বাবা, মায়ের নয়। সিবিআইয়ের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ প্রায় সর্বস্তরেই। তার কারণও আছে। আর জি করের ঘটনার পর এ রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর, 
মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর এবং হুগলি জেলার গুড়াপে তিনটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। রাজ্যের পুলিস তদন্ত করেছে। তিনটির তদন্ত এবং বিচার শেষ হয়েছে আড়াই মাসের মধ্যে। প্রতিটি ঘটনার মূল আসামিরই ফাঁসির সাজা হয়েছে। সেই তুলনায় আর জি করের ঘটনা অনেক বেশি মানুষকে আলোড়িত করেছিল। তারপরেও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে এমন অভিযোগ উঠছে কেন?
এর আগেও বহুবার সিবিআইয়ের তদন্ত ও পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত নিয়ে দেশের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বারবার প্রশ্ন তুলেছে। এমনকী, সিবিআইকে ‘খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি’ বলে কটাক্ষ করে সুপ্রিম কোর্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি নিরপেক্ষ নয়। সিবিআই তদেন্তর উপর কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মানুষ সন্দেহ করছে, আর জি করের তদন্ত নিয়েও কি তাহলে তেমনই কিছু ঘটেছে?
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সঞ্জয় রায়। তাকে ফাঁসি দেওয়া হোক। তারপরেও কেন সিবিআইয়ের দিকেই আঙুল উঠছে? আর জি কর কাণ্ডের রায় কারও পছন্দ না হতেই পারে। 
কিন্তু যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বিচারক অপরাধীকে ফাঁসি দেননি, এমন অভিযোগ কেউ তোলেননি। সেই জায়গাও নেই। কারণ মামলার ফয়সালা হয় তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষীর উপর ভিত্তি করেই। ফলে ফাঁসি দিতে না পারার দায় গিয়ে চেপেছে সিবিআইয়ের উপরেই।
সিবিআই তদন্তে রাজনৈতিক অভিসন্ধির গন্ধ অনেকেই পান। কিন্তু অফিসারদের দক্ষতা নিয়ে কারও কোনও সংশয় নেই। তারপরেও এমন একটা স্পর্শকাতর ঘটনার তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে কেন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে?
এবার একটা রাজনৈতিক অঙ্ক কষা যাক। সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসি হলে কী হতো? আর জি কর আর রাজনৈতিক ইস্যু থাকত না। তখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সঞ্জয়ের সঙ্গে ধনঞ্জয়ের অপরাধের তুলনা টেনে নানা আলোচনা হতো। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা ফের মাথাচাড়া দিত। কাউকে চরম শাস্তি দিলে তার পক্ষে কিছু মানুষের সহানুভূতি তৈরি হয়। তখন সঞ্জয় কী করছে, কী খাচ্ছে, কী বলছে, তার পরিবারের লোকজন কী বলছেন, সেসব নিয়েই হতো আলোচনা। 
কিন্তু এখন কী নিয়ে চর্চা হচ্ছে? ফের ঘুরে ঘিরে আসছে তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সেটিং তত্ত্ব। নতুন করে দেওয়া হচ্ছে লড়াইয়ের ডাক। চিকিৎসকরা ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামছেন। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অভয়ার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করছেন। পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। পুলিস তথ্য নষ্ট করে দেওয়ার জন্যই সিবিআই ঠিকমতো তদন্ত করতে পারল না, এমনটাও বোঝানো হচ্ছে। অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে ঘোষিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি। কেউ কেউ আবার রাত দখল, ভোর দখলের মতো আন্দোলন করার স্বপ্নও দেখছেন। সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা হলে এসব কিছুই হতো না। তাই কি ছাব্বিশ পর্যন্ত আর জি কর ইস্যুকে জিইয়ে রাখার এটাও কোনও কৌশল? প্রশ্নটা তোলা থাকল।
তবে, সঞ্জয়ের অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম প্রমাণের ব্যর্থতার পিছনে আরও একটি কারণ উঠে আসছে। সেটা হল, ধর্ষণ এবং খুন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি। ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু সূত্র ঘুরে বেরিয়েছে, যা তদন্ত প্রক্রিয়াকে ঘেঁটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই ‘এই আমি সোমা বলছি’ অডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই মহিলা এমনভাবে চাপা গলায় বাংলার চিকিৎসক-কন্যার ধর্ষণ এবং খুনের বিবরণ দিয়েছিলেন, যা 
একমাত্র ‘আই উইটনেসে’র পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। নিজের নাম বলার পর এমন নাটক করেছিলেন, যেন তিনি আবেগতাড়িত হয়ে সব বলে ফেলেছেন। বিষয়টি পাঁচকান হলে তাঁর ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাবে, এমন আশঙ্কাও করেছিলেন। এখন বোঝা যাচ্ছে, সবটাই ‘স্ক্রিপ্টেড’।
সেই ‘সোমা’র সন্ধান রাজ্য পুলিস তো বটেই, সিবিআইও পায়নি। তবে একথা হলফ করে বলা যায়, সোমাদেবীর সন্ধান পেলে সিবিআইয়ের তদন্ত কিছুতেই ১৬৫দিন গড়াত না। আর জি করের মর্মান্তিক ও পৈশাচিক ঘটনার সঙ্গে এভাবেই রং ও মশলা মেশানো হয়েছে। উদ্দেশ্য? যে কোনও মূল্যে মাথায় পৌঁছতে হবে। তাই এমন সব গল্প ফাঁদা হয়েছিল, যাতে চিকিৎসককে খুনের সঙ্গে লতায়পাতায় মুখ্যমন্ত্রীর একটা যোগসূত্র তৈরি করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী না হলেও নিদেন পক্ষে সিএমও-র।
এ রাজ্যে কিছু ঘটলেই বিরোধীরা ‘মাথা’ পর্যন্ত পৌঁছতে হবে বলে চিৎকার জুড়ে দেয়। তাই আর জি কর কাণ্ডে স্লোগান তোলা হয়েছিল, ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।’ বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে, এ রাজ্যের ‘মাথা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাদের মাথাব্যথার কারণ। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা তাঁর মজ্জাগত। খাদের কিনারা থেকেও দল এবং সরকারকে তুলে ধরার ক্ষমতা তাঁর আছে। আর সেটা পরীক্ষিত। তাই রাজ্যে খারাপ কিছু ঘটলেই চেষ্টা হয় তাঁকে জড়িয়ে দেওয়ার।
অনেকে মনে করেন, এ রাজ্যে বিরোধীদের খেলতে হচ্ছে মেসির বিরুদ্ধে। ‘ম্যান মার্কিং’ করেও ‘গোল’ আটকাতে পারছে না। তাই খেলে নয়, ‘মেসি’কে জখম করে ম্যাচ জিততে চাইছে। সেই কারণে ফুটবলের দখল নয়, মেসির পায়ে আঘাত করাই তাদের লক্ষ্য। আর জি করের ঘটনাতেও তারা একই ভুল করেছে। অভয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতকে চিহ্নিত করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার চেয়ে ‘মাথা’কে জড়াতেই মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারজন্য তারা নানান বিভ্রান্তিমূলক তথ্যও প্রচার করেছে। তার প্রভাবমুক্ত হয়ে তদন্ত করার ক্ষমতা কি গোয়েন্দাদেরও ছিল না? তাঁরাও কি ‘মাথা’ খুঁজতে গিয়ে কানাগলিতে ঘুরে সময় নষ্ট করেছেন? সেই কারণেই কি পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এবং সিসি টিভির ফুটেজ হাতে থাকা সত্ত্বেও সিবিআই আর জি করের ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ প্রমাণে ব্যর্থ হল?
সিবিআইয়ের ‘ব্যর্থতা’র কারণ নিয়ে আরও চর্চা হবে। চুলচেরা বিশ্লেষণে হয়তো অনেক তথ্য উঠে আসবে। রাজনীতির ময়দান সরগরম হবে। রাজনীতির কারবারিরা হয়তো তাদের অস্ত্রে নতুন করে শান দিতে পারবে, কিন্তু সন্তান হারানোর যন্ত্রণা তাতে একটুও কমবে না। এই মুহূর্তে অভয়ার বাবা-মায়ের বুকের জ্বালা মেটানোর ক্ষমতা একমাত্র আছে সিবিআইয়ের। সেই দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরই।
25th  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
একনজরে
মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সার্বিক উন্নয়নে ভাগীরথীর উপর আমানিগঞ্জ-খোশবাগ ফুটব্রিজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এবার এই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিলেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ...

খালিস্তানি ও গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেন! ব্রিটিশ সরকারের একটি নথি থেকে সেই তথ্যই মিলছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে পড়েছে। সেখানে মোট ছ’টি ক্ষেত্রকে ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য ‘নয়া বিপদ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ...

গভীর রাতে ওয়্যারলেস মেসেজে বদলি করা হল দক্ষিণ গোয়ার পুলিস সুপার সুনীতা সাওয়ান্তকে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির। ...

এক গুছিতে ৫০টি এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২০টি পান এখন থেকে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। সরকারের বেঁধে দেওয়া এই নিয়মের পর অবশেষে লাভের মুখ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
শহীদ দিবস
১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়
১৯০৩- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন লর্ড কার্জন
১৯৩০- কিংবদন্তী ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত) জন্ম
১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার
১৯৪৮- নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত মহাত্মা গান্ধী
১৯৪৮- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নামকরণ হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি
১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়
১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান
২০২০- ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৯৮ টাকা ১০৯.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৪ টাকা ৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮১,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ২৪/৩৫ দিবা ৪/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ২/১৫ দিবা ৭/১৫ পরে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/৪৫ শেষরাত্রি ৫/৫১। সূর্যোদয় ৬/২০/৩১, সূর্যাস্ত ৫/১৯/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৮ মধ্যে।
১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ সন্ধ্যা ৫/৪১। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৫ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
২৯ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাইপাসে তরুণীকে ছুরির কোপ! গ্রেপ্তার ৩

11:33:00 PM

কেজরিওয়াল মিথ্যাচার করেন: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

11:04:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মৃত্যু হয়েছে জয়গাঁর এক যুবকের

10:42:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

10:38:00 PM

দিল্লির বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিলেন অমিত শাহ

09:59:00 PM

এনজেপিতে প্রবেশ করতেই দার্জিলিং মেলে যান্ত্রিক ত্রুটি!

09:49:00 PM