Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার মনষ্কাম কি সিদ্ধ হইবে না?’
এইরূপ তিন বার সেই অন্ধকারসমুদ্র আলোড়িত হইল। তখন উত্তর হইল, ‘তোমার পণ কি?’
প্রত্যুত্তরে বলিল, ‘জীবন তুচ্ছ, সকলেই ত্যাগ করিতে পারে।’
‘আর কি আছে? আর কি দিব?’
তখন উত্তর হইল, ‘ভক্তি।’
—আনন্দমঠ
দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন। আহ্বান করেন তাদের ভ্রাতা ও ভগিনী বলে। তাঁর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘প্রভু! আমি তোমার নিকট ধন, সন্তান বা বিদ্যা চাই না। যদি তোমার ইচ্ছা হয়, আমি শত বিপদের মধ্য দিয়া যাইব; কিন্তু আমার শুধু এই ইচ্ছা পূরণ করিও, কোন পুরস্কারের আশায় নয়, নিঃস্বার্থভাবে শুধু ভালবাসার জন্যই যেন তোমাকে ভালবাসতে পারি।’ এই তো ভক্তি। পরমাত্মার কাছে নিজেকে সমর্পণ করা। কর্মে বিশ্বাস করা। আর সেই কর্ম দেশের জন্য। জাতির জন্য। তাই যদি বলা হয়, স্বামী বিবেকানন্দের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী ভূভারতে খুব বেশি জন্ম নেননি, এতটুকু ভুল হবে না। ধর্ম, কর্ম এবং জাতীয়তাবাদ—এই তিন সূত্রকে এক মালায় গেঁথেছিলেন তিনি। আজ যখন আরএসএস জাতীয়তাবাদের কথা বলে, মনে পড়ে যায় অতীতটা। প্রশ্ন ওঠে, যে জাতীয়তাবাদে স্বামীজি বিশ্বাস করতেন, তার সঙ্গে আরএসএসের সংজ্ঞা মেলে না কেন? যে স্বদেশি আন্দোলনের আগুন বাংলা, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্রে জ্বলে উঠেছিল... ছারখার করে দিয়েছিল ব্রিটিশ শাসকের অহং, তার ধারেকাছে কেন সঙ্ঘকে দেখা যায়নি? জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যার পর প্রতিবাদের মৃদু স্বরও কেন শোনা যায়নি হিন্দু মহাসভার কণ্ঠে? লবণ সত্যাগ্রহ, ভারত ছাড়ো এবং সবশেষে ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট... ভারতের লড়াই এবং প্রাপ্তির সেই সফরে চার আনা ভূমিকাও ছিল না সঙ্ঘের। বরং তারা মানতে চায়নি স্বাধীনতা। ৫২ বছর ধরে তেরঙ্গা ওঠেনি তাদের দপ্তরে। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পৌঁছে তারাই ডাক দিয়েছে ‘ঘর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচির। এই মহান উদ্যোগ ঘোষণা করেছেন কে? নরেন্দ্র মোদি। সঙ্ঘের আদর্শে বেড়ে ওঠা আমাদের ‘রাষ্ট্রনায়ক’। আজ তাঁর দল, তাঁর সরসঙ্ঘই পরম জাতীয়তাবাদী! মানতে হবে? শাসক যখন বলছে... মানতে তো হবেই। তারা যদি বলে, কংগ্রেস স্বাধীনতার জন্য কিছু করেনি। মানতে হবে। তারা যদি বলে, বাংলার ঘরে ঘরে সেই সময় বিপ্লব জন্ম নেয়নি, বাঙালি স্বাধীনতার জন্য কিছু করেনি... মানতে হবে। তারা যদি বলে, ১৯৪৭ সালে অর্জন করা ‘আজাদি ঝুটা’... সেটাও মানতে হবে। কারণ, ওরাই যে এখন আমাদের মাইবাপ। প্রকৃত স্বাধীনতা তাহলে কবে এসেছে? ২২ জানুয়ারি, ২০২৪। সরসঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ঘোষণা করে দিয়েছেন। 
হিন্দু জাতীয়তাবাদ। সঠিক কোনও শব্দবন্ধ যদি সঙ্ঘ এবং বিজেপির জন্য লাগসই হতে পারে, তাহলে এটাই। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এদেশে নতুন নয়। কিন্তু বলতেই হবে, আরএসএস ও বিজেপি একে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। হিন্দুধর্মকে বদলে দিয়েছে হিন্দুত্বে। মনে হতেই পারে, দুটোর ফারাক কোথায়? পার্থক্য আছে। কারণ, হিন্দুধর্ম হল আধার। মনুষ্যত্বের, ত্যাগের, ভক্তির। আর হিন্দুত্ব হল মাধ্যম। রাজনীতির মাধ্যম। ব্যবসার মাধ্যম। স্বার্থসিদ্ধির মাধ্যম। হিন্দুধর্ম কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে খাটো দেখিয়ে নিজেকে জাহির করে না। তাই স্বামীজি হিন্দুর সঙ্গে একসুরে নাম উচ্চারণ করেন ইহুদি এবং জরাথ্রুষ্টীয়দের। বৌদ্ধধর্মের ত্যাগ এবং ভক্তিকে পরমাত্মার কাছে পৌঁছনোর মসৃণ পথ বলে ঘোষণা করেন তিনি। বলেন শ্রীকৃষ্ণের কথাও... ‘মানুষ পদ্মপত্রের মত সংসারে বাস করিবে। পদ্মপত্র জলে থাকে, কিন্তু তাহাতে জল লাগে না; মানুষ তেমনি এই সংসারে থাকিবে, ঈশ্বরে হৃদয় সমর্পণ করিয়া হাতে কাজ করিবে।’ মহাভারতের মতো রাজনৈতিক ‘এপিক’ আর একটিও নেই। ছত্রে ছত্রে ওই মহাকাব্যে ঝরে পড়ে রাজনীতির বারুদ। তাতে কখনও অগ্নিসংযোগ করে দেবকুল, কখনও মানুষ। কিন্তু ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার তো মহাভারতেও করা হয় না! শ্রীকৃষ্ণ দেখিয়ে যান, রাজনীতির থেকে ধর্মকে কীভাবে পৃথক করতে হয়। তাঁর ব্যক্ত করা গীতার প্রতিটা শ্লোক অর্জুনকে কর্ম, ভক্তি এবং কর্তব্যে নিয়োজিত হওয়ার শিক্ষা দেয়। গীতাকে নিছক রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করতে বলে না! আজ সঙ্ঘের তত্ত্ব মেনে নিলে প্রশ্ন করতে হয়, কে ভুল? স্বামী বিবেকানন্দ? নাকি শ্রীকৃষ্ণ? ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের মাধ্যমে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে তারা। ওই মুহূর্ত থেকে নতুন যুগের, নতুন কালচক্রের সূচনার হুংকার দেয়। শ্রীরাম নিজেও কি এই ঔদ্ধত্য মেনে নিতেন? 
সঙ্ঘের হিন্দু জাতীয়তাবাদ ইন্ধন দেয় সাম্প্রদায়িকতায়। আর তার ফল দশকের পর দশক ধরে ভুগতে হয় ভারতকে। কখনও মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুর দৃশ্যে, কখনও সংখ্যালঘুদের অধিকার অস্বীকার করে। সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার কার অনুরাগী ছিলেন? হিন্দু মহাসভার নেতা বি এস মুঞ্জের... যিনি ইতালি গিয়ে দেখা করেছিলেন মুসোলিনির সঙ্গে। পাঠ নিয়েছিলেন ফ্যাসিজমের। হিন্দু মহাসভার এই নেতার প্রভাব আর কার উপর প্রবলভাবে ছিল? বিনায়ক দামোদর সাভারকর। হিন্দুধর্মকে যে হিন্দুত্বে বদলে ফেলা যায়, সেটা দেখিয়েছিলেন তিনিই। মুঞ্জের যদি ফ্যাসিজমের প্রশংসক হন, সাভারকর ছিলেন নাৎসিদের। ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে মানতেন না তিনি। ভারত তাঁর কাছে ছিল হিন্দুরাষ্ট্র। হিন্দুদের পুণ্যভূমি। কাজেই আজ যদি আরএসএস তাঁর সুরেই রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে, সংখ্যালঘুদের অস্বীকার করে এবং দেশের স্বাধীনতার দিনটিকেই ভুলে যেতে যায়, তাতে অস্বাভাবিক কিছু আছে কি? ধর্মের নামে বিভেদের রাজনীতি যে এমনই এক শ্রেণির হাড়েমজ্জায় ঢুকে পড়েছে। আমরা সেটাই হজম করছি। কেউ স্বেচ্ছায়, কেউ নিরুপায় হয়ে, আবার কেউ প্রতিবাদের স্বর হারিয়ে। গণতান্ত্রিক ভারতে তাই স্বাধীনতার গুরুত্ব কেউ অস্বীকার করলেও তাকে ভর্ৎসনা করার কণ্ঠ নেই। শাসক দেশের সংবিধান বদলে দিতে চাইলেও তাকে উপড়ে ফেলার মতো শক্ত কাঁধ নেই। গুটিকয় প্রতিবাদ এই উপমহাদেশের কয়েকটি প্রান্ত থেকে ওঠে, আবার হারিয়ে যায় আগ্রাসী রাজনীতির নিনাদে। আমরা মেনে নিই অসহায়তাকে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, হিন্দুধর্মের নতুন সংজ্ঞাকে। কেন? ভারতীয় নামে যে জাতি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত অবস্থান করে, আজ তারা কি এতই দুর্বল? যে জাতি এক সময় বিদেশি রাজদণ্ড ভেঙে ফেলতে জীবন তুচ্ছ করেছিল, দেশমাতৃকার প্রতি ভক্তিকে হাতিয়ার করে নেমে পড়েছিল নিঃস্বার্থ সংগ্রামে, তারা আজ কোথায়? 
অসহযোগ আন্দোলনের সময় হেডগেওয়ার কারাবরণ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর সাফ কথা ছিল, ব্যক্তি হিসেবে তিনি এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। আরএসএস আদর্শগতভাবে দেয়নি। অর্থাৎ, কৌশলে সঙ্ঘকে স্বাধীনতা সংগ্রামের বাইরে রেখে দিয়েছিলেন তিনি। অথচ, জাতীয়তাবাদের স্ট্যাম্পটুকু জোগাড় করে নিতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। এমন সংগঠনের থেকে আজ ভারতকে ‘প্রকৃত স্বাধীনতা’ শিখতে হবে? 
আন্দামানের জেলে থাকাকালীন ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি দিয়েছিলেন সাভারকর। মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। পেয়েওছিলেন। শর্ত চাপিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। রাজনীতি করতে পারবেন না তিনি। আর রত্নগিরির বাইরে যেতে পারবেন না। মেনে নিয়েছিলেন সাভারকর। শোনা যায়, সে জন্য নাকি তাঁকে মাসোহারাও দেওয়া হতো। রত্নগিরির বাইরে তিনি যাননি ঠিকই, কিন্তু পর্দার আড়াল থেকে হিন্দু মহাসভা এবং সঙ্ঘের জন্য ঘুঁটি সাজিয়ে গিয়েছেন। আর যখন ‘ছাড়পত্র’ পেয়েছেন, ছ’বছরের জন্য হিন্দু মহাসভার সভাপতি পদ অলঙ্কৃত করেছেন সাভারকর। প্রকাশ্যে এনেছেন ‘দ্বিরাষ্ট্র তত্ত্ব’। অর্থাৎ, হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য আলাদা দেশ। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। বিভাজন। আজ তাঁর অনুগামীদের কাছে আমরা শিখব, কবে আমাদের স্বাধীনতা দিবস?
শ্রীকৃষ্ণের বাণী উদ্ধৃত করে স্বামীজি বলেছিলেন, ‘সূত্র যেমন মণিগণের মধ্যে, আমিও সেইরূপ সকল ধর্মের মধ্যে অনুস্যূত। যাহা কিছু অতিশয় পবিত্র ও প্রভাবশালী, মানবজাতির উন্নতিকারক ও পাবনকারী, জানিবে—সেখানেই আমি আছি।’ সর্বধর্ম সমন্বয়ের ডাক দিয়েছিলেন স্বামীজি। যেখানে মারামারি, কাটাকাটি থাকবে না। জাত, বর্ণের ভিত্তিতে মনুষ্যত্বের বিচার হবে না। পরমাত্মার কাছে পৌঁছোনই হবে উদ্দেশ্য। প্রত্যেকের অধিকার সমান হবে। আর... মানুষ প্রকৃতভাবে স্বাধীন হবে। মোহন ভাগবত নিশ্চয়ই তেমন কোনও রাষ্ট্রের কথা বলছেন না? 
21st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
একনজরে
মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সার্বিক উন্নয়নে ভাগীরথীর উপর আমানিগঞ্জ-খোশবাগ ফুটব্রিজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এবার এই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিলেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ...

খালিস্তানি ও গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেন! ব্রিটিশ সরকারের একটি নথি থেকে সেই তথ্যই মিলছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে পড়েছে। সেখানে মোট ছ’টি ক্ষেত্রকে ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য ‘নয়া বিপদ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ...

এক গুছিতে ৫০টি এবং তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২০টি পান এখন থেকে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। সরকারের বেঁধে দেওয়া এই নিয়মের পর অবশেষে লাভের মুখ ...

স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। তারই জেরে হল না ক্লাস। বন্ধ মিড ডে মিলও। বুধবার জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সদরের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
শহীদ দিবস
১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়
১৯০৩- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন লর্ড কার্জন
১৯৩০- কিংবদন্তী ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত) জন্ম
১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার
১৯৪৮- নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত মহাত্মা গান্ধী
১৯৪৮- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নামকরণ হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি
১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়
১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান
২০২০- ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৯৮ টাকা ১০৯.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৪ টাকা ৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮১,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ২৪/৩৫ দিবা ৪/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ২/১৫ দিবা ৭/১৫ পরে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/৪৫ শেষরাত্রি ৫/৫১। সূর্যোদয় ৬/২০/৩১, সূর্যাস্ত ৫/১৯/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৮ মধ্যে।
১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ সন্ধ্যা ৫/৪১। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৫ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
২৯ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাইপাসে তরুণীকে ছুরির কোপ! গ্রেপ্তার ৩

11:33:00 PM

কেজরিওয়াল মিথ্যাচার করেন: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

11:04:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মৃত্যু হয়েছে জয়গাঁর এক যুবকের

10:42:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

10:38:00 PM

দিল্লির বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিলেন অমিত শাহ

09:59:00 PM

এনজেপিতে প্রবেশ করতেই দার্জিলিং মেলে যান্ত্রিক ত্রুটি!

09:49:00 PM