পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,আখিনার সঙ্গে তাঁর সাত বছরের নাতনি থাকত। এলাকায় কারও সঙ্গে তাঁর শত্রুতা ছিল বলে মনে করতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাহলে কেন খুন করা হল, তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। মৃত মহিলার দুটি বিয়ে। প্রথম পক্ষের একটি মেয়ের বিয়ে হয়েছে তিন কিমি দূরে সুজাগঞ্জ গ্রামে। দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। এর আগে বারোগাছিয়াতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। কয়েকবছর হল রানিকামাতে জমি কিনে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন আখিনা। বছরখানেক আগে দ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সেই পক্ষের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। মেয়ের বিয়ে হয়েছে বিহারের আবাদপুর এলাকায়। দুই ছেলে স্ত্রীদের নিয়ে ভিনরাজ্যে কর্মরত। ফাঁকা বাড়িতে প্রথম পক্ষের এক নাতনিকে নিয়েই ঘুমোতেন আখিনা। দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশনের টাকায় চলত তাঁর সব খরচ।
আখিনার নাতনি বলে, এক আততায়ী মুখে কাপড় বেঁধে ঘরে ঢুকেছিল। দিদাকে কোলে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্য একটি ঘরে চলে গেল। আমি ভয়ে চিৎকার করিনি। দিদার মৃতদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিতে চাইছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ফেলেনি।
এদিন পুলিস মৃতার নাতনির বয়ান নিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য জুমারত আলির দাবি, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এলাকায় কারও সঙ্গে শক্রতা ছিল না মহিলার। পুলিস দ্রুত তদন্ত করে ঘটনার কিনারা করুক।
দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে আবাদপুরের রহিমা পারভিনের কথায়, আমি সোমবার মায়ের সঙ্গে দেখা করে গিয়েছি। মঙ্গলবার রাতেও ফোনে ভালোভাবে কথা হয়েছে। কে খুন করল বুঝতে পারছি না। পুলিস খুনিকে দ্রুত শনাক্ত করুক।
চাঁচল থানার এক আধিকারিক বলেন, এক নিকট আত্মীয়কে খুনের ঘটনায় সন্দেহ করে অভিযোগ করেছেন দ্বিতীয় পক্ষের মেয়ে। ঘটনার নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে জানতে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।