পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয় মজনু। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অস্ত্র সহ আটক করা হয় তাকে। দিনহাটা কৃষি মেলা এলাকায় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। পুলিস তার কাছ থেকে একটি দেশি বন্দুক এবং একটি ৩০৩ তাজা গুলি উদ্ধার করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস।
দিনহাটা থানা সূত্রে খবর, বেআইনি অস্ত্র নিয়ে টানা অভিযান চলছে তাদের। এতে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র দিনহাটা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধারও হয়েছে। ইদানিং কিছু নতুন অস্ত্র শহরে আসার খবর মিলছিল পুলিসের কাছে। গোয়েন্দাদের নজরদারি তাই বাড়ানো হয়। ক’দিন আগে পুলিসের কাছে খবর আসে সারাদিন পাগল বেশে ঘুরে বেড়ানো নেশাখোর মজনু অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত। সেই থেকে মজনুর উপর আলাদাভাবে নজরদারি শুরু করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য আসে একজন। সেই অস্ত্র সে সংগ্রহও করে। সেই খবর পেয়ে হাজির হয় পুলিসের দল। অতীর্কিতে পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয় মজনু। তল্লাশি চালিয়ে তার হেফাজত থেকে মেলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ তাজা কার্তুজ।
ইদানিং পুলিসের কড়াকড়িতে অস্ত্র নিয়ে খুব একটা শহরে আসতে পারছিল না দাগিরা। অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত কেউ শহরে এলেই খবর পৌঁছে যাচ্ছিল পুলিসের কাছে। সেই কারণেই পদ্ধতি বদল করে ওই দুষ্কৃতীরা। পাগল বেশে থাকা নেশাখোর মজনুকে সামনে রেখে অস্ত্র ব্যবসা করার পরিকল্পনা নেয় ওই দুষ্কৃতীরা। পাগলের মতো ঘুরে বেড়ানো মজনুকে গুরুত্ব দেয় না কেউ। পাগলের ছদ্মবেশে অস্ত্র নিয়ে দূরের এলাকা থেকে রাতে দিনহাটা শহরে হাজির হয় সে। নির্দিষ্ট ক্রেতার হাতে তা তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। এবারে আর রক্ষা হল না। পুলিসের নজর এড়াতে পারেনি মজনু।
দিনহাটা মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার হয়েছে ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত চলছে। নিজস্ব চিত্র।