পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ
রঘুনাথপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আম্রুত-২ প্রকল্পে সুডা (স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) জল প্রকল্পের কাজ করবে। জল প্রকল্পের জন্য মোট ৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে কাজের জন্য এমইডি (মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট) ৫৯ কোটি টাকার ওয়ার্ক অর্ডার করেছে। সেই টাকায় রঘুনাথপুর ২ নম্বর ব্লকের দামোদরের করগালি ঘাটে জল তোলার জন্য মেশিন বসানো সহ বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ হবে। পরবর্তী সময়ে বাকি টাকায় করগালি ঘাট থেকে রঘুনাথপুর পুরসভা পর্যন্ত জলের পাইপ বসানো, রিজার্ভার ও জল পরিশোধন কেন্দ্র তৈরির কাজ করা হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে নিতুড়িয়ার লক্ষণপুরের ইন্দো-জার্মান প্রকল্প থেকে রঘুনাথপুর পুরসভায় জল সরবরাহ করা হয়। জলস্বাস্থ্য কারিগর দপ্তরের তরফ থেকে সেই জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু সেই প্রকল্পে পুরসভা পর্যাপ্ত জল পায় না। তার জন্য পুরসভা এলাকার মানুষ জলকষ্টে ভোগেন বলে অভিযোগ। পুরসভার দাবি, বর্তমানে যেখানে দৈনিক প্রায় ২৫ লক্ষ লিটার জলের প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে মাত্র ৩ লক্ষ ৬০ লিটারের মতো প্রতিদিন জল পাওয়া যায়। বর্তমানে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পানীয় জলের চাহিদা বেড়েছে। জলের সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েক বছর আগে পুরসভা নিজেরা জল প্রকল্প করতে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু ভূগর্ভের জলস্তরে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায়নি বলে সেই প্রকল্প কার্যকরী হয়নি।
পুরসভার একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আম্রুত-২ প্রকল্পে রঘুনাথপুর পুরসভা অন্তর্ভুক্ত হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় দামোদরের করগালি ঘাট থেকে জল আনা হবে। যার জন্য গত বছর জমি ও জল নিয়ে ডিভিসির সঙ্গে চুক্তিপত্র করা হয়। সেই চুক্তি মতো ডিভিসি পুরসভাকে দৈনিক ১.৯৭ মিলিয়ন গ্যালন জল পুরসভাকে দেবে।
আম্রুত-২ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, করগালি ঘাট থেকে প্রায় ৩ কিমি দূরে দামোদর নদের পাঞ্চেত জলাধার থেকে ২৫ কিমি পাইপ লাইনের মাধ্যমে রঘুনাথপুরে পানীয় জল আসবে। পুরসভা এলাকায় দু’টি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক হবে। একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরি হবে। পুরসভার জল প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কাউন্সিলার প্রণব দেওঘরিয়া বলেন, শিল্প শহরের মান হিসেবে প্রায় ৫০ বছরে একটি পরিসংখ্যান ধরে সার্ভের কাজ করা হয়েছে। পুরসভা এখন যে জনসংখ্যা রয়েছে, তাতে প্রকল্প তৈরি হয়ে গেলে এক একজন মানুষ প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০ লিটার জল পাবেন।
যদিও শহর কংগ্রেস সভাপতি তারকনাথ পরামাণিক বলেন, ১৭ বছর ধরে পুরসভার শাসনকালে ডাম্পিং গ্রাউন্ড, পানীয় জলের সমস্যা দূর করা নিয়ে তৃণমূলের বহু গল্প শুনেছি। তবে পানীয় জলের সমস্যা দূর হলে মানুষ সত্যিই উপকৃত হবেন।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, বরাত পাওয়া সংস্থা প্রকল্পের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। উপকৃত হবে বহু মানুষ।