Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে। যা বিস্ময়কর এবং অকল্পনীয় ছিল কয়েক বছর আগেও। কিন্তু ভারতবাসীর চোখের সামনে অতি দক্ষিণপন্থী, উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতিকে আপাত নিরীহ একটি ফ্যাক্টর পরাস্ত করে দেওয়ার প্রবল আভাস দেখাতে শুরু করেছে। কী সেই ফ্যাক্টর? আর্থিক অনুদান। কোথাও তার নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। কন্যাশ্রী। কোথাও নাম লাডলি লক্ষ্মী যোজনা। কোনও রাজ্যে বলা হয় মাঈয়া সম্মান যোজনা। কেউ বা বলে থাকে লাডলি বহেনা প্রকল্প।  আর তার বাস যাত্রা ফ্রি। কোথাও বলা হচ্ছে ফ্রি বিদ্যুৎ। ফ্রি ল্যাপটপ।  রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার ফ্রি কিংবা অধের্ক দামে। বেকার ভাতা। বয়স্ক ভাতা। চাকরি না পেলে স্টাইপেন্ড। ২০২৫ সালের শুরুতেই দিল্লির ভোট এসে চোখে আঙুল দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাচ্ছে যে, ভারতীয় রাজনীতিতে ফের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। বামপন্থা, দক্ষিণপন্থা, সোশ্যালিজম, কমিউনিজম, জাতিসত্তা এবং ধর্মীয় মেরুকরণ, তাবৎ নীতি আদর্শকে হারিয়ে দিয়ে রমরম করে রাজ্যে রাজ্যে অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাচ্ছে এখন একটিই আদর্শ। পপুলিজম! অর্থাৎ মানুষকে সরাসরি আর্থিক অনুদানসহ নানাবিধ প্রত্যক্ষ সুযোগ সুবিধা প্রদান। এই প্রতিশ্রুতির সামনে হিন্দুরাষ্ট্র অথবা কাস্ট সেন্সাস সব ইস্যু ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং ২০২৫ সালে ভারতকে নতুন দিশায় চালিত করছে একমাত্র পপুলিজম। যে দল যত বেশি অর্থ ও পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে প্রতিষ্ঠা দিতে পারছে, তাদেরই মানুষ ভোট দিচ্ছে। জয় পরাজয়ের নির্ণায়ক আর বামপন্থা, দক্ষিণপন্থা, জাতীয়তাবাদ কিংবা হিন্দু মুসলিম হচ্ছে না। হঠাৎ করে সব দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব ছাপিয়ে জনতার ব্যাঙ্কে ডাইরেক্ট ক্যাশ ট্র্যান্সফার এবং জীবনের নানাবিধ পরিষেবা ফ্রিতে প্রদান করার ঝুলি নিয়ে। কাজ হচ্ছে হাতে হাতে। 
বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারের হিন্দুত্ব প্রজেক্ট ভোটে জেতার ক্ষেত্রে আচমকা বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে। কোনও রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে না যে, বিজেপি এই আর্থিক খয়রাতির সামনে নিজেকে শক্ত করে ধরে রেখে হিন্দুত্বকেই একমাত্র প্রচার এবং ভোটের ইস্যুতে কায়েম থাকতে সমর্থ হয়েছে কিংবা হচ্ছে। পারছে না বিজেপি। বরং আত্মসমর্পণ করছে এই ফ্রি অনুদান দেওয়ার নীতির কাছে। হওয়ার কথা ছিল বিরোধীরা যদি আর্থিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের ময়দানে নামে, তাহলে বিজেপি ততোধিক উচ্চগ্রামে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হিন্দুত্বকে আঁকড়ে ধরেই ধর্মের ভিত্তিতে ভোটের রাজনীতি করবে। কিন্তু কই! সেটা তো হচ্ছে না! মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারকে ভোটের কয়েক মাস আগে ১৫০০ টাকার আর্থিক অনুদান চালু করতে হয়েছে। ঝাড়খণ্ড গরিব রাজ্য। সেখানে বিজেপি এক্সপেরিমেন্ট করেছে। হিন্দুত্বকেই চড়া সুরে প্রচারে ব্যবহার করেছে। কিন্তু হেমন্ত সোরেন তাঁর আর্থিক অনুদানের প্রকল্পকেই জোর দিয়েছেন। এবং বিজেপি পরাস্ত হয়েছে ঝাড়খণ্ডে। অর্থাৎ হেমন্ত সোরেনের মাঈয়া সম্মান যোজনার কাছে হেরে গিয়েছে বিজেপির হিন্দুত্ব। আর তারপরই দেখা যাচ্ছে বিজেপি হিন্দুত্বকে ব্যাকসিটে পাঠিয়ে দিয়েছে। অতএব ঝাড়খণ্ডের তুলনায় অনেক ধনী রাজ্য দেশের রাজধানী দিল্লির আসন্ন ভোটেও আম আদমি পার্টির দেখানো পথেই হাঁটতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়পক্ষই। কেজরিওয়াল বলেছেন মহিলা সম্মান যোজনায় তিনি ক্ষমতায় এসে ২১০০ টাকা করে দেবেন মহিলাদের। কংগ্রেস ও বিজেপি নিলাম ডাকার মতো করে বলেছে, আমরা সরকারে এসে ২৫০০ টাকা করে দেব।  এরকম ফ্রি পরিষেবা এবং সরাসরি আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তাঁর বিরোধিতা ভেসে গিয়ে এখন বিজেপিও এই স্রোতে গা ভাসাতে বাধ্য হয়েছে। অর্থাৎ প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে বিজেপির একান্ত নিজস্ব হিন্দুত্ব এজেন্ডাও পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছে এই নতুন পপুলিজমের রাজনীতিতে।
প্রবল লড়াই শুরু হয়েছে। সকলের চোখের সামনে। অথচ আসলে যেন আড়ালে। একদিকে মনে হচ্ছে ভারত নামক দেশে হিন্দুরাষ্ট্র নামক একটি প্রজেক্ট চলছে। উত্তরাখণ্ডের ন্যায়াসু নামক একটি গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল একটি ঘোষণা। ক্রমেই সেই ঘোষণা ছড়িয়েছে অন্য গ্রামে। গ্রামের প্রবেশদ্বারে একটি  বোর্ড লাগিয়ে বলা হয়েছে হিন্দু ছাড়া এই গ্রামে কেউ যেন না প্রবেশ করে। এই একই বোর্ড একে একে রুদ্রপ্রয়াগ জেলার অন্য গ্রামেও লাগানো হয়েছে। গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় বহু গ্রামের প্রবেশপথে লেখা রয়েছে হিন্দুরাষ্ট্রে আপনাকে স্বাগত জানাই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক মসজিদের নীচে মন্দির আছে বলে রাজ্যে রাজ্যে চলছে প্রবল উত্তেজনা। হিন্দুত্বের আগ্রাসী প্রচার। রাজনীতির সাম্প্রতিক চলন প্রত্যক্ষ করে ধরেই নেওয়া হয়েছে যে, বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবার বাকি রাজনৈতিক দলগুলিকে হারিয়ে দিয়েছে নীতি ও আদর্শে। কারণ,  বামপন্থা পিছিয়ে পড়েছে আগেই। জওহরলাল নেহরুর সমাজতন্ত্র ঘেঁষা অর্থনীতি কিংবা রাজনীতিও ক্রমেই হয়ে গিয়েছিল অতীত। নয়ের দশকে এসেছিল আইডেন্টিটি পলিটিক্স। অর্থাৎ জাতপাতের আইডেন্টিটি রাজনীতির হাত ধরে একে একে আবির্ভূত হয়েছিল নানাবিধ নতুন আঞ্চলিক দল। বিশেষ করে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে। অর্থাৎ হিন্দি হার্টল্যান্ডে। গোটা নয়ের দশক ধরেই চলেছিল যুযুধান দুই ধারা। একদিকে জাতপাতের আঞ্চলিক পলিটিক্স শক্তিশালী হয়েছে। আবার অন্যদিকে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের পর আগ্রাসীভাবে অগ্রসর হয়েছে ধর্মের রাজনীতি। সোজা কথায় হিন্দুত্ব পলিটিক্স। সুফলও পেয়েছে সেই রাজনীতি। বহু বছর ধরে চেষ্টা করার পর অবশেষে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতাসীন হয় বিজেপি জোটের সরকার। টিকে যায় পাঁচ বছর। এই গোটা পর্বে সবথেকে ক্ষতি হয়েছে কংগ্রেসের। তাদের ভোটব্যাঙ্ক চারদিক থেকে লুট হয়ে গিয়েছে। দলিত ভোট ছিনতাই করেছেন কাঁসিরাম, মায়াবতী। যাদব ভোট ছিনিয়ে নিয়েছেন মুলায়ম সিং যাদব, লালু প্রসাদ যাদবরা। উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোট বিজেপির কাছে। মুসলিম ভোটেও যাদব কুলপতিরা ভাগ বসিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে কোনও নির্দিষ্ট ভোটব্যাঙ্ক আর অবশিষ্ট ছিল না। 
এভাবেই আগমন নরেন্দ্র মোদির। ২০১৪ সালের পর থেকে বিজেপির জনপ্রিয়তা এবং হিন্দুত্ব রাজনীতির আকাশছোঁয়া অগ্রগমন ঘটেছে। যখন মনে করা হচ্ছিল মোদি অপ্রতিরোধ্য। ঠিক তখনই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে মোদি ধাক্কা খেলেন। যে বছর রামমন্দির উদ্বোধন হল, ঠিক কয়েকমাসের মধ্যেই বিজেপির জয়যাত্রা থমকে গেল। হয়তো সেটাই ছিল পূর্বাভাস। অর্থাৎ বিজেপির শীর্ষস্তর ছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। 
প্রতি ২৫ বছর অন্তর পাল্টে যাচ্ছে ভারত। ১৯৫০ সালে ভারত নিজস্ব সংবিধান গ্রহণ করেছিল। অগ্রসর হয়েছিল এক নতুন ভারত নির্মাণের পথে।  যার চালিকাশক্তি এবং প্রধান শক্তি ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু ঠিক ২৫ বছর পর সেই ভারতে সবথেকে বড় আঘাত এসেছিল গণতন্ত্রেই। সংবিধান সংশোধন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় ১৯৭৫ সালে। তার আবার ২৫ বছরের মাথায় ১৯৯৮-৯৯ সালে হিন্দুত্ব রাজনীতি প্রথম সিংহাসন দখল করে বুঝিয়ে দিল যে, এবার কংগ্রেসের আকার আয়তন কমবে। বাড়বে বিজেপি। তাই হল। কিন্তু আবার ম্যাজিক ভারতীয় গণতন্ত্রের। কারণ আবার ২৫ বছর পর ২০২৫ সালে এসে দেখা যাচ্ছে হিন্দুত্ব রাজনীতির প্রোপাগান্ডা পলিটিক্স আচমকা ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু কোনও বিকল্প রাজনীতির কাছে নয়। পপুলিস্ট পলিটিক্সের কাছে। অর্থাৎ এখন আর কোনও দলকে নির্দিষ্ট কোনও ইজমের হওয়ার দরকার নেই। কোনও দলের পৃথক কোনও অস্তিত্ব আর দেখা যাচ্ছে না। সকলেই ভোটে জেতার জন্য একটিই অস্ত্র হাতে নিচ্ছে। বেশি বেশি আর্থিক অনুদান ও নানারকম ফ্রি পরিষেবা। এসবের মধ্যে বিজেপি হিন্দুত্বকেও মিশিয়ে দিচ্ছে বটে, কিন্তু তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে হিন্দুত্ব যথেষ্ট নয় আর। যথেষ্ট হলে তো অন্যদের নকল করে এইসব ফ্রি সার্ভিস কিংবা টাকা দেওয়ার প্রকল্প  বিজেপিকেও নিতে হতো না!  সোশ্যালিজম, কমিউনিজম, কাস্ট পলিটিক্স এবং ধর্মীয় মেরুকরণ ক্রমেই পিছনের সারিতে। ভারতের নতুন রাজনীতির নাম ডিবিটি। ডাইরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার! 
24th  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
একনজরে
কের পর এক হারে লিগ টেবিলে সবার শেষে অবস্থান করছে মহমেডান স্পোর্টিং। এমন দুঃসময়ে তিন মাসের বেতন না পেয়ে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আন্দ্রে চেরনিশভ। ...

মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সার্বিক উন্নয়নে ভাগীরথীর উপর আমানিগঞ্জ-খোশবাগ ফুটব্রিজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এবার এই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিলেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ...

হুগলি জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি পরিদর্শন করে গেলেন রাজ্যের অন্যতম অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোশনি সেন। বুধবার তিনি হুগলি জেলায় এসেছিলেন। ...

খালিস্তানি ও গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেন! ব্রিটিশ সরকারের একটি নথি থেকে সেই তথ্যই মিলছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে পড়েছে। সেখানে মোট ছ’টি ক্ষেত্রকে ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য ‘নয়া বিপদ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
শহীদ দিবস
১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়
১৯০৩- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন লর্ড কার্জন
১৯৩০- কিংবদন্তী ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত) জন্ম
১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার
১৯৪৮- নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত মহাত্মা গান্ধী
১৯৪৮- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নামকরণ হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি
১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়
১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান
২০২০- ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৯৮ টাকা ১০৯.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৪ টাকা ৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮১,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ২৪/৩৫ দিবা ৪/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ২/১৫ দিবা ৭/১৫ পরে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/৪৫ শেষরাত্রি ৫/৫১। সূর্যোদয় ৬/২০/৩১, সূর্যাস্ত ৫/১৯/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৮ মধ্যে।
১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ সন্ধ্যা ৫/৪১। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৫ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
২৯ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাইপাসে তরুণীকে ছুরির কোপ! গ্রেপ্তার ৩

11:33:00 PM

কেজরিওয়াল মিথ্যাচার করেন: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

11:04:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মৃত্যু হয়েছে জয়গাঁর এক যুবকের

10:42:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

10:38:00 PM

দিল্লির বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিলেন অমিত শাহ

09:59:00 PM

এনজেপিতে প্রবেশ করতেই দার্জিলিং মেলে যান্ত্রিক ত্রুটি!

09:49:00 PM