Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের আড়াই হাজার টাকা। বার্ধক্যভাতাও প্রথমে ২৫০০ টাকা। সত্তর পেরলেই বেড়ে হবে তিন হাজার। দেওয়ালে পিঠ না ঠেকে গেলে হোলি আর দেওয়ালিতে বিনা পয়সায় গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে হয়! 
দিল্লির বিধানসভা ভোটের আড়াই সপ্তাহ আগে ‘রেউড়ি’ রাজনীতির কট্টর সমালোচক মোদির দলের এমন কাছা খুলে উপুড়হস্ত হওয়ার কারণ কেজরিওয়ালের মোকাবিলায় তারা এবারও দিশাহারা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে আপের উপরই আস্থা রাখছে দিল্লির মানুষ। বিজেপির ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া যে কঠিন তা মানছেন নির্বাচনী পণ্ডিতরাও। ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে বড় দস্তুর এটাই। ক্ষমতায় ফেরার জন্য দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন আর উন্নয়নের চেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয় প্রতিশ্রুতি আর উপঢৌকন।  ২০১৫ সালে আপের স্লোগান ছিল ‘বিজলি হাফ, পানি মাফ’। পরের বার অর্থাৎ কুড়ি সালে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বাসে মেয়েদের বিনা পয়সায় যাতায়াত, পাড়ায় পাড়ায় ক্লিনিক এবং সরকারি স্কুলের মানোন্নয়ন। এবার মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নকল করে মাসে মাসে মহিলাদের মাসোহারা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। লোকসভায় গেরুয়া দলের পক্ষে সাতে সাত হলেও সেই পরিণাম উল্টে যায় বিধানসভায়। গত শুক্রবার আপের মোকাবিলায় বিজেপির রেউড়ি-সর্বস্ব নির্বাচনী ইস্তাহার একটা কথাই প্রমাণ করে কর্পোরেট বিপণন দুনিয়ার মতো ভোটেও ডোল আর ফ্রি-গিফ্টই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। একদা লোকপালের জন্য গলা ফাটানো নেতাও ভোট জেতার চেয়ে ভোট কিনতেই বেশি আগ্রহী। কেজরিওয়ালের সেই চালেই আপাতত মোদি মাত!
সেদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী, উপ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জেলে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে মণীশ সিশোদিয়া। আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে চারিদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সকাল সন্ধে তল্লাশি। দলের মুখ কেজরিওয়াল ৪৫ কোটি টাকায় নিজের জন্য ‘শিসমহল’ বানিয়েছেন বলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছেন প্রকাশ্যে। বাথরুমের কমোডেও বসেছে সোনার জল, চোখ ধাঁধানো বহুমূল্য পাথর, কোটি টাকার পর্দা, জাকুজি, সুইমিং পুল, সবমিলিয়ে পাঁচতারা বন্দোবস্ত! সরকারি অর্থের ব্যাপক নয়ছয়, স্বজনপোষণের অভিযোগ। ইন্ডিয়া জোট ভেঙে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পর দিল্লিতেও কংগ্রেস আলাদা লড়ছে। তৃণমূল ও অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি আপকে সমর্থনও জানিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যেই চড়া দাগের হিন্দুত্ব নিয়ে আসরে সঙ্ঘ। তবু বিজেপির দিল্লি জয়ের আশা এবারও দূরঅস্ত! মোদিজি বেশ বুঝতে পারছেন, লোকসভা ভোটে দু’হাত ভরে সমর্থন দিলেও দিল্লির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিহাস গড়ে তিনি তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসলেও ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেজরিওয়াল বাহিনীর হ্যাটট্রিক পাকা। ঠিক যেন মোদিজির সাফল্যকে সোচ্চারে দুয়ো দিতে তৎপর দিল্লিবাসী। লোকসভা ও বিধানসভায় দিল্লির ভোটারদের এই দু’রকম চরিত্র নিঃসন্দেহে নির্বাচনী পণ্ডিতদের গবেষণার বিষয়। কিন্তু খালি চোখে কারণ একটাই, দশ বছরেও দিল্লিতে নেতা (পড়ুন, মুখ) তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা বিজেপির। 
গেরুয়া শিবির যতই বলুক এই সময়টা এক ঐতিহাসিক কালখণ্ড। বাস্তবে প্রদীপের তলাতেই নিকষ অন্ধকার বাসা বাঁধে। ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪, যদি বলি টানা তিনবার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পরও বিশ্বগুরু থেকে সাধারণ মানুষ হতে চাওয়া নরেন্দ্র মোদির জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কী? বিগত লোকসভা ভোটে বারবার চারশো আসন জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে মাত্র ২৪০ আসনে মুখ থুবড়ে পড়া! নাকি দলের ভরা বসন্তেও দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বারবার ব্যর্থ হওয়ার অশ্রুভরা কিস্‌স্যা? তামিলনাড়ু ও কেরল চষেও পায়ের তলার শক্ত মাটির সন্ধান না পাওয়া? শ্যামাপ্রসাদের বাংলায় কোনওকালেই গেরুয়া রাজনীতির তেমন কদর ছিল না। আজও নেই। ছাব্বিশেও হবে এমন ইঙ্গিত নেই। কারণ কোনও মুখই নেই, সব মুখোশ! তার উপর ১৫ আগস্ট নয়, ২২ জানুয়ারি নাকি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতা দিবস, নাগপুরের তিলক-কাটাদের এই সঙ্কীর্ণ হিন্দুত্ব তত্ত্ব এবং নতুন করে দেশের ইতিহাস লেখার অপচেষ্টা বাংলার মানুষ সদর্পে প্রত্যাখ্যান করছে। ভবিষ্যতেও করবে। হিন্দু-মুসলিম আদায় কাঁচকলার সম্পর্ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল, এই বঙ্গে নৈব নৈব চ। সেই হিসেবে বিজেপি এখনও এই বাংলায় ষোলোআনা বহিরাগত দল। ওদের ভিনদেশি সংস্কৃতিটাই গড় বাঙালির চিন্তাধারার সঙ্গে মেলে না। সেই কারণেই মেরুকরণের গনগনে আঁচে সেঁকেও ভোটবাক্সে ঢেউ তোলাও হয় না। 
বাংলার কথা থাক। কিন্তু খোদ রাজধানী দিল্লিতে? সেখানেও সংগঠন ধরে রাখার মতো ব্যক্তিত্ব কোথায়? মদনলাল খুরানা, সাহিব সিং ভার্মা এবং সুষমা স্বরাজের পর আজও কোনও নতুন মুখ খুঁজে পেল না গেরুয়া শিবির। আসন্ন ৫ ফেব্রুয়ারির ভোটেও দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে কোনও নাম প্রজেক্ট করতে তারা ব্যর্থ। যেমন বাংলায় মমতার সঙ্গে ধারেভারে এঁটে উঠতে পারার মতো কেউ নেই। যেমন তামিলনাড়ুতে এখনও স্ট্যালিনই রাজ্যের মুখ। আর যে রাজ্যে মুখ নেই সেখানে মোদি-অমিত শাহের কারিকুরিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনকে জেলে পুরে, দল ভেঙেও গেরুয়া রাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। বিহারে নীতীশ কুমারের সঙ্গে কখনও বন্ধুত্ব কখনও শত্রুতার রকমারি গোল্লাছুট চলতেই থাকে। বিচ্ছেদ আর হানিমুনের টানাপোড়েনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ অধরাই থেকে যায়। দল ভাঙানো সহজ কিন্তু মুখ তৈরি করা ততটাই কঠিন।
আম আদমি পার্টি দিল্লিতে দীর্ঘ দশ বছর ক্ষমতায়। তার আগে ছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। দিল্লিতে সোনিয়ার দলের শেষ হেভিওয়েট নেত্রী। স্বভাবতই এবার চড়া অ্যান্টি ইনকামবেন্সির মোকাবিলা করতে হচ্ছে আপকে। তার উপর শেষ প্রহরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে কমবয়সি আতিশীর উপর। তাঁকে অশালীন আক্রমণ করে কাজটা সহজ করে দিচ্ছেন কালকাজির বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরি। একবার বলা হচ্ছিল স্মৃতি ইরানিকে এই লড়াইয়ে সামনে আনবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এখনও তেমন কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপির সবচেয়ে বড় অস্বস্তির কারণ দিল্লির জনসংখ্যার ৮১ শতাংশই হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্য উঁকি মেরে পালিয়ে যায়। মুসলিম মাত্র ১৩ শতাংশ। শিখ ৪ শতাংশের মতো। তবু দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বিগত সাতাশ বছরের শাপমুক্তি এবারও কঠিন। বাজপেয়ি জমানা শেষ হওয়ার অনেক আগেই দিল্লি চলে যায় কংগ্রেসের দখলে। ১৯৯৮ সালে। তারপর উপর্যুপ঩রি কংগ্রেস ও আপ জমানা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন কিছু কমলেও এবারও দিল্লি থাকবে কেজরিওয়াল বাহিনীরই হাতে। সত্তরটি আসনের মধ্যে ৬৭ (২০১৫ সাল) কিংবা ৬২ (২০২০ সাল) আসন না হলেও এবারও ৫৫ থেকে ৬০ আসনে জয় পাকা কেজরিওয়াল বাহিনীর।
মহারাষ্ট্র ভোটের পর থেকেই ‘ইন্ডিয়া’ জোট ভাঙছে। কংগ্রেস, আপ এবং এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী, একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। দিল্লির ভোটের পর তা ছত্রখান হয়ে যাবে। পরের বছর অর্থাৎ ছাব্বিশে বাংলার লড়াই। লড়াই তামিলনাড়ু ও কেরলে এর কোনওটিতেই বিজেপি তেমন কোনও ফ্যাক্টর নয়। বাংলায় জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ মুসলিম। নরেন্দ্র মোদির অতিবড় সমর্থকও বিশ্বাস করেন না যে তামিলনাড়ু কিংবা কেরলে অচিরেই দলের পায়ের তলার মাটি শক্ত হবে, বঙ্গ দখল সম্ভব হবে। ক্ষমতা দখল না হোক, অন্তত বিরোধী শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটবে এটুকু সম্ভাবনা নিয়েই আপাতত নাড়াচাড়া। কারণ যে সততার বড়াই করে আম আদমি পার্টি জাতীয় রাজনীতিতে এসেছিল আন্না হাজারেকে সামনে রেখে সেই দুর্নীতির অভিযোগ আজ উল্টে কেজরিওয়াল বাহিনীর দিকেই নিবদ্ধ। জেল খেটেছেন কেজরিওয়াল থেকে সিশোদিয়া। সঞ্জয় সিং থেকে সত্যেন্দ্র যাদব। প্রথমে মাত্র ৪৯ দিনের জন্য কেজরিওয়ালজি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সমর্থনে। তারপর দু’টো ফুল টার্মের সরকার চালাতে আর কারও সাহায্যের প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু একদিন যে লোকপালের দাবিতে রাস্তায় নেমে কেজরিওয়ালরা আন্দোলন করেছিলেন তার কী হল। লোকপাল আইন পাশ হয়েছে প্রয়াত মনমোহন সিংয়ের আমলে। কেউ বলতে পারবেন গত এক দশকে কারা লোকপাল হয়েছেন এবং ক’টা দুর্নীতির ফয়সালা হয়েছে, কিংবা কেজরিওয়ালের আবগারি দুর্নীতি নিয়েই-বা বর্তমান লোকপালের বক্তব্য কী? নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ক্ষমতা দখলের জন্যই! গদিতে বসলে সেই মুহূর্ত থেকেই বদলে যায় হিসেব। নেতানেত্রীদের অগ্রাধিকার—যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা ভোগ। ডান-বাম  কেউ এই হিসেবে ভুল করেন না।
৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ফলে কে জিতবে, তা প্রায় জানা। কিন্তু এক্সিট পোলের পণ্ডিতরা এবারও ব্যর্থ হন কি না নজর থাকবে সেই দিকেও। কারণ ভোটের এক সপ্তাহ আগেই সাধারণ বাজেট। যদি আয়করে বড় ছাড়ের ঘোষণা হয়, মধ্যবিত্ত ঢালাও উপঢৌকন পান, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফলে কিছু প্রভাব পড়তেও পারে। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ আপের জাদু এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে এমন ইঙ্গিত কিন্তু নেই। বঙ্গ বিজয়ের মতো দিল্লি দখলও তাই আপাতত দূরঅস্ত!
19th  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
মেরুকরণের জাতীয়তাবাদ!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কানায় কানায় ভরা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামছে ভারত। দুই ওপেনার ড্রেসিং রুম ছেড়ে বাউন্ডারি লাইনের দিকে এগচ্ছেন। সবার নজর ওই ডাগ আউটের দিকে। এই এলেন বলে...। 
বিশদ

28th  January, 2025
বাজেটের আগে অর্থনীতির হাল কেমন
পি চিদম্বরম

বর্তমান সরকারের একটি যুক্তিসঙ্গত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থনৈতিক দর্শন থাকলে আসন্ন বাজেটের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী করা যেত, যেখানে চমকের প্যাকেজের কোনও জায়গা থাকত না। দুর্ভাগ্যবশত, তা হবে না।
বিশদ

26th  January, 2025
শেষ হাসি হাসবে সংবিধানই
হিমাংশু সিংহ

বীর নেতাজি সুভাষ দেশে ফেরেননি কার চক্রান্তে এবং কোন অভিমানে, তা সবারই জানা। নেতাজি দেশের জন্য জীবন সঁপে দিয়েছিলেন, গদিতে বসে ক্ষমতা ভোগের জন্য লালায়িত হননি। ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছেড়েছিলেন।
বিশদ

26th  January, 2025
ফাঁসি হল না কেন?
তন্ময় মল্লিক

অভয়া কি জাস্টিস পেলেন, নাকি বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদল? আর জি কর কাণ্ডের মামলার তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্কের লড়াই শেষে বিচারক যে রায় দিয়েছেন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, ফাঁসি ও আমৃত্যু কারাবাসের মধ্যে যে দুস্তর ব্যবধান তৈরি হল, তারজন্য দায়ী কে?
বিশদ

25th  January, 2025
সব মতবাদকে হারিয়ে জিতছে আর্থিক ভাতা
সমৃদ্ধ দত্ত

ঠিক যখন মনে করা হচ্ছিল হিন্দুত্ব তথা ধর্মের রাজনীতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিত একটি প্রতিপক্ষের সম্মুখীন হয়ে ধর্মীয় আগ্রাসনের এই রাজনীতি পিছু হটতে শুরু করেছে।
বিশদ

24th  January, 2025
নেতাজিকে আত্মসাৎ করা সহজ নয়!
মৃণালকান্তি দাস

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং আরএসএসের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার— উভয়েরই মধ্যেই ‘গভীর সম্পর্ক ছিল’। এমনই দাবি করেছিলেন সঙ্ঘ নেতা অজয় নন্দী। তাঁর দাবি, হেডগেওয়ার এবং নেতাজি, দু’জনেই দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন।
বিশদ

23rd  January, 2025
একদা বিরুদ্ধরাই আজ নেতাজির স্তুতিগানে সরব
সন্দীপন বিশ্বাস

এক ঘৃণ্য মানসিকতার প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে উঠছি আমরা। দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার চেষ্টা চলছে। অবাক কাণ্ড! একই সময়ে আমাদের পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারও সে দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছে।
বিশদ

22nd  January, 2025
রাজনীতির অধীনত্বে স্বাধীনতা মেলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

দুর্বলের অস্ত্র ভিক্ষা। সে শুধু চায়। আর সবলের হাতিয়ার ভক্তি। ত্যাগ। দুর্বলের চাহিদা নিজের জন্য। আর সবলের... জাতির জন্য। সমাজের জন্য। মানুষের জন্য। তাই সনাতনী ধর্মের ধ্বজা তুলে নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে এক পরিব্রাজক যখন পথে নামেন, তিনি তামাম বিশ্বকে নিজের করে নিতে পারেন।
বিশদ

21st  January, 2025
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

20th  January, 2025
একনজরে
গভীর রাতে ওয়্যারলেস মেসেজে বদলি করা হল দক্ষিণ গোয়ার পুলিস সুপার সুনীতা সাওয়ান্তকে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির। ...

কের পর এক হারে লিগ টেবিলে সবার শেষে অবস্থান করছে মহমেডান স্পোর্টিং। এমন দুঃসময়ে তিন মাসের বেতন না পেয়ে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আন্দ্রে চেরনিশভ। ...

স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। তারই জেরে হল না ক্লাস। বন্ধ মিড ডে মিলও। বুধবার জলপাইগুড়ি পান্ডাপাড়া জুনিয়র বেসিক স্কুলের এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সদরের ...

হুগলি জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি পরিদর্শন করে গেলেন রাজ্যের অন্যতম অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোশনি সেন। বুধবার তিনি হুগলি জেলায় এসেছিলেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
শহীদ দিবস
১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়
১৯০৩- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন লর্ড কার্জন
১৯৩০- কিংবদন্তী ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত) জন্ম
১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার
১৯৪৮- নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত মহাত্মা গান্ধী
১৯৪৮- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নামকরণ হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি
১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়
১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান
২০২০- ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৯৮ টাকা ১০৯.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৪ টাকা ৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮১,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ২৪/৩৫ দিবা ৪/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ২/১৫ দিবা ৭/১৫ পরে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/৪৫ শেষরাত্রি ৫/৫১। সূর্যোদয় ৬/২০/৩১, সূর্যাস্ত ৫/১৯/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৮ মধ্যে।
১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ সন্ধ্যা ৫/৪১। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৫ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
২৯ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাইপাসে তরুণীকে ছুরির কোপ! গ্রেপ্তার ৩

11:33:00 PM

কেজরিওয়াল মিথ্যাচার করেন: দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

11:04:00 PM

পূর্ণকুম্ভ ২০২৫: প্রয়াগরাজে মৃত্যু হয়েছে জয়গাঁর এক যুবকের

10:42:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই

10:38:00 PM

দিল্লির বাল্মীকি মন্দিরে পুজো দিলেন অমিত শাহ

09:59:00 PM

এনজেপিতে প্রবেশ করতেই দার্জিলিং মেলে যান্ত্রিক ত্রুটি!

09:49:00 PM