Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। এক পাশে মমতাবালা ঠাকুরের দোতলা বাড়ি। নীচের তলায় গ্রিলের ফাঁক দিয়ে নজর রাখছেন উর্দিধারী সিকিউরিটি। পাশেই বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর। ঘরের দু’পাশে ঝুলছে দু’টি পেল্লাই ফেস্টুন। সংগঠন ভিন্ন, কিন্তু দাবি এক, ‘বড়মা বীণাপাণিদেবীর স্মৃতিবিজড়িত ঘরকে হেরিটেজ ঘোষণা করতে হবে।’
বড়মায়ের ঘরের বারান্দার গ্রিলে ঝুলছে লোহার চেনে লাগানো মস্ত একটা তালা। দিন কয়েক আগেই এই ঘরের দখল নিয়েছেন বিজেপির বনগাঁর প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। আগে ঘরটি ছিল তাঁর রাজনৈতিক এবং পারিবারিক প্রতিদ্বন্দ্বী মমতাবালা ঠাকুরের দখলে। নির্বাচনের আগে বিতর্ক এড়িয়ে চলাই প্রথা। পাছে ক্ষুণ্ণ হয় ভাবমূর্তি। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর সে সবের ধার ধারেন না। তিনি খুব ভালো করেই জানেন, ঘি তুলতে আঙুল বাঁকাতে হয়। সেটা দাদার জন্য বিধানসভার টিকিট বা কেন্দ্রের মন্ত্রিত্বই হোক, অথবা পারিবারিক ঘর।
ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার হুঙ্কার দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শান্তনুবাবু। এখন সেই ঠাকুরবাড়িতে দু’জন বিজেপির জনপ্রতিনিধি, একজন তৃণমূলের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, বনগাঁ, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয় মতুয়া ভোটে। ঠাকুরবাড়িকে ঘিরেই আবর্তিত হয় এই এলাকার রাজনীতি। সেই ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধির, এমনকী তাঁদের হয়ে কথা বলার মতো কারও দেখা মিলল না। অগত্যা ভোটের ‘হাওয়া’ বোঝার জন্য চায়ের দোকানই ভরসা।
ঠাকুরবাড়ির গেটেই দুলাল হালদারের চায়ের দোকান। দোকানের সামনে বেঞ্চে বসেছিলেন কয়েকজন। সবচেয়ে যিনি প্রবীণ তাঁর নাম চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। বয়স ৮৮। ভোটের খবর জানতে চাওয়ায় এক যুবক চোখের ইশারায় চিত্তরঞ্জনবাবুকে দেখালেন। এই বয়সেও সকাল, বিকেল লাঠিতে ভর দিয়ে তাঁর মন্দিরে আসা চাই-ই চাই। চিত্তরঞ্জনবাবু একসময় বড় মা বীণাপাণিদেবীর কাছের মানুষ ছিলেন। ঠাকুরবাড়ির আদর্শ, ধর্মীয় আবেগ, ঘরোয়া রাজনীতি, পরিবর্তন, সবই দেখেছেন খুব কাছ থেকে।
মতুয়া ভোট কোন দিকে, এই প্রশ্ন শুনে চিত্তরঞ্জনবাবু প্রায় কেঁদে ফেললেন। বললেন, মতুয়ারাও ভোটব্যাঙ্ক হয়ে গেল! হায় রে রাজনীতি! অথচ বড়মা কী বলত জানেন? মানবসেবাই মতুয়াদের ধর্ম। নামে ও প্রেমে যে মাতোয়ারা সেই হল মতুয়া। কেউ এলেই মা বলত, আগে খাইয়ে দে। নাতিপুতি কেউ যেন অভুক্ত না থাকে। মানবসেবাই ছিল মায়ের লক্ষ্য। আর এখন? দখলদারি চলছে। এখন নাম আছে, কিন্তু প্রেম কোথায়? এসব একদম ভালো লাগে না। মন খারাপ হয়ে যায়। জানি না, এর শেষ কোথায়?
এরই মধ্যে কেউ প্রাইভেট কার নিয়ে, কেউ বাইকে চেপে মন্দিরে আসছেন। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে প্রণাম করে কিছুক্ষণ কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বাইক নিয়ে মন্দির চত্বরে এলেন এক যুবক। লম্বা চুল, কপালে তিলক। হরিচাঁদ ঠাকুরের ভক্ত। বাড়ি রানাঘাটের চাকদহে। নাম কিশোর। রানাঘাটে প্রচুর মতুয়ার বাস। মতুয়া ভোট এবার কোনদিকে যাবে? যুবক হেসে বলেন, ‘আমরা ধর্ম নিয়ে থাকি, রাজনীতির চর্চা তেমন করি না। তবে, এবার যা অবস্থা তাতে ভোট কোনও একদিকে যাবে না। লোকজনের মুখে ভাগাভাগির কথা।’
ঠাকুরবাড়ির নিজেদের ভাগাভাগি নাকি 
মতুয়া ভোটের বিভাজন, সেটা কিশোর স্পষ্ট করলেন না। এই ভাগাভাগিতে জুড়ে গিয়েছে সুমিতা 
পোদ্দারের নাম। সুমিতা শুধু মতুয়া পরিবারের 
সন্তানই নন, ঠাকুরবাড়ির উন্নয়নে তাঁর দাদু নির্মল পোদ্দারের ভূমিকা এখনও মানুষ মনে রেখেছে। সেই সুমিতাদেবীই এবার সরাসরি শান্তনু ঠাকুরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বসেছেন।
সুমিতাদেবীর কথায়, আমরা ঠাকুরবাড়ির উন্নতি চাই, হরিচাঁদ ঠাকুরের বংশধরদের নয়। হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুর গরিব মতুয়াদের উন্নতির জন্য কাজ করে গিয়েছেন। তাই তাঁরা আমাদের কাছে ভগবান। কিন্তু যাঁরা ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতিমুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন, তাঁরা কী করছেন? মন্দিরের সামান্য উন্নতিও করেননি। নিজেদের উন্নতি করছেন। বারাকপুরে বিপুল টাকা দিয়ে নিজের আর স্ত্রীর নামে ফ্ল্যাট কিনেছেন। আমরা এই উন্নতি চাই না। আমরা মতুয়ারা ঠাকুরবাড়ির প্রকৃত উন্নতি চাই।
হরিচাঁদ, গুরুচাঁদের উত্তরাধিকারী হিসেবে মতুয়া সমাজের অনেকেই তাঁকে ‘ঠাকুর’ মানেন। এফিডেভিটেও শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, তিনি ধর্মগুরু। আয়ের উৎস প্রণামী। এহেন শান্তনুবাবু ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বারাকপুরে ৩১১১ বর্গফুটের একটি বিশাল ফ্ল্যাট কিনেছেন। সঙ্গে দু’টি গ্যারেজ। যার দাম ১কোটি ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। বিষয়টি সামনে আসায় মতুয়াদের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শান্তনুবাবুর বিরোধীরাও প্রণামীর টাকা মন্দিরের উন্নতিতে খরচ না করে ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে প্রচার চালাচ্ছেন। 
বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা দেবদাস মণ্ডল এখন বনগাঁ বিজেপির জেলা সভাপতি। সিপিএম করার সুবাদে রাজনীতির মারপ্যাঁচ ভালোই বোঝেন। তাঁর শরীরে প্রাচুর্যের ছাপ স্পষ্ট। শান্তনুবাবুকে নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও দেবদাসবাবু শোনালেন অন্যকথা। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদির তো আছেই, শান্তনু ঠাকুরের ‘ফেসভ্যালু’ও কম নয়। শুধু বনগাঁ নয়, বারাসাত, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর সহ বেশকিছু আসনে তাঁর জন্যই বিজেপি অনেকটা সুবিধা পাবে। হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরি হওয়ায় মতুয়ারা তাঁকে ‘দেবতা’ মানেন। যেখানে উনি প্রচার করতে যাচ্ছেন সেখানেই মতুয়ারা তাঁকে আরতি করে বরণ করছেন। ভক্তিভরে প্রণামী দিচ্ছেন। মতুয়াদের আবেগের কাছে বিরোধীদের সমস্ত অপপ্রচার ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।
এবারের ভোটে শান্তনু ঠাকুরের জন্য বিজেপির যদি কেউ একশোভাগ উজাড় করে দিয়ে কাজ করেন তিনি অবশ্যই দেবদাস মণ্ডল। কিন্তু তাঁর দলের অনেক নেতা তেমন আন্তরিক নন। দলের চাপে মাঠে নামলেও মন আছে ভবিষ্যৎ রাজনীতির অঙ্কে। অঙ্ক না বলে ধন্দও বলা যায়। কী সেই ধন্দ? বিজেপি ঠাকুরবাড়িকে ব্যবহার করে দলের বিস্তার ঘটাচ্ছে, নাকি শান্তনু ঠাকুর দলকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রভাব বাড়িয়ে নিচ্ছেন!
আবেগের বাইরে গিয়ে বিজেপিতে যাঁরা মাথা খাটিয়ে রাজনীতি করেন তাঁরা বলছেন, একটা সময় শান্তনু ঠাকুরের বিজেপিকে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে দিল্লি নেতৃত্বের আচরণে মনে হচ্ছে, শান্তনু ঠাকুরকেই দলের বেশি প্রয়োজন। তাঁর কোনও দাবিকে দল অস্বীকার করতে পারছে না। ফলে তিনি যাঁকে চাইছেন, যা চাইছেন, সেটাই হচ্ছে। তাতে দলের সংগঠন দানা বাঁধছে না। কারণ সবাই বুঝে গিয়েছেন, পঞ্চায়েত থেকে বিধায়কের টিকিট, সব ব্যাপারেই শেষকথা বলবেন শান্তনু ঠাকুর। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে। বনগাঁয় বিজেপি জিতলেও তা গেরুয়া শিবিরের জয় হবে না, জিতবেন শান্তনু ঠাকুর। আর আশপাশে হেরে শুধু বনগাঁয় জিতলে তো কথাই নেই। শান্তনু ঠাকুর চলে যাবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। দল হিসেবে বিজেপির এটাই সবচেয়ে ভয়ের ও চিন্তার।
বিজেপিকে ঠাকুরবাড়ির প্রভাব থেকে বের করে আনার লড়াইটা শুরু হয়েছে একুশেই। গাইঘাটা কেন্দ্রে চিকিৎসক সজল বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের চাপে তাঁর দাদা সুব্রত ঠাকুরকে বিজেপি টিকিট দিতে বাধ্য হয়েছিল। তখন থেকেই গাইঘাটা, বনগাঁর রাজনীতিকে ঠাকুরবাড়ির প্রভাবমুক্ত করার লড়াই শুরু। 
সজলবাবু বলেন, আমাদের মতুয়াদের গুরু একজনই, হরিচাঁদ ঠাকুর। শান্তনুবাবু সহজসরল মানুষগুলোকে ধোঁকা দিয়ে ধর্মগুরু সাজতে চাইছেন। আমাদের লড়াইটা তার বিরুদ্ধে। আমরা জানি, একটা আঘাতে পাথর ভাঙা যায় না। কিন্তু অনবরত ঘা দিলে সেটা ভাঙবেই। আর ভাঙনের সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নাগরিকত্বের ধোঁকা সেই ভাঙনকে আরও প্রকট করেছে।
হরিচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসূরিদের প্রতি মতুয়াদের মোহভঙ্গ হবে কি না, সেটা সময়ের উপরে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তবে এলাকা ঘুরে মালুম হয়েছে, ‘ঠাকুর’ ভক্তি কিন্তু মাতৃদুগ্ধের মতো আর খাঁটি নেই।
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
একনজরে
বেসরকারি বিএড কলেজগুলি নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কমেছে। তবে, এবার বেসরকারি ফার্মেসি কলেজগুলি পড়েছে চিন্তায়। ফার্মেসি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া কলেজগুলি পরিদর্শনে আসছে। এই ব্যাপারে কলেজগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কাউন্সিল। ...

ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। সারা দেশের লক্ষ লক্ষ মতুয়া সমাজের কাছে পরম বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার স্থান। কামনা সাগরে একবার ডুব দিতে ছুটে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ভক্তরা। সেই ঠাকুরনগরে সাধারণ মানুষের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ...

ন’বছর ট্রফি নেই। কখনও কখনও প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি নাইট রাইডার্স। তৃতীয় খেতাবের স্বপ্ন বার বার হয়েছে চুরমার। তবুও দলের উপর আস্থা হারাননি শাহরুখ খান। এক্ষেত্রে তিনি ব্যতিক্রমী ...

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে আমেরিকা। রাশিয়ার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস 
৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয়
৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯১৬: বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদারের জন্ম
১৯২১:  বিশিষ্ট হাস্যকৌতুক অভিনেতা অজিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৫: জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথমবারের মত বিশ্বে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৫৯: বিশিষ্ট কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: অনুশীলন সমিতির সদস্য, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক  মাখনলাল সেনের মৃত্যু   
১৯৭০: বলিউড অভিনেত্রী  পূজা বেদীর জন্ম
১৯৭২: কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৩ - নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবার মৃত্যু 
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৮৫ : বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  
১৯৯২: অভিনেত্রী আদা শর্মার জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা ও গায়ক অ্যামি ভির্কের জন্ম
১৯৯৭: দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক
২০১৮: আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ,তবে প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কোনোও খেলা গড়ায়নি



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৩ টাকা ১০৬.২৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৫ টাকা ৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী ৫২/৩৮ রাত্রি ২/৫। মৃগশিরা নক্ষত্র ১৩/৩ দিবা ১০/১৫। সূর্যোদয় ৫/২/৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী শেষরাত্রি ৪/২৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১২/৩১। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/১৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৩ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/০ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪০ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/২ মধ্যে।
২ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বই ৮১/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:57:00 PM

আইপিএল: ৪০ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ৬৫/১ (৬.৫ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:43:00 PM

আইপিএল: মুম্বই ১৭/০ (২ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:32:15 PM

আইপিএল: মুম্বইকে জয়ের জন্য ১৫৮ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

11:05:00 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট রাসেল, কেকেআর ১২৫/৬ (১৩ ওভার), বিপক্ষ মুম্বই

10:44:58 PM

আইপিএল: ৩৩ রানে আউট নীতিশ, কেকেআর ১১৬/৫ (১২ ওভার), বিপক্ষ মুম্বই

10:41:18 PM