Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। অথচ বাংলায় শূন্য হওয়া সত্ত্বেও ৪২টি আসনে প্রার্থী দিলেও তাঁরা ‘ভোট কাটুয়া’ নন! উল্টে তাঁরাই নাকি আসল জোট ‘ইন্ডিয়া’! বাংলায় বিজেপি বিরোধী জোটের ধারক ও বাহক। কিন্তু লোকে বলছে, বঙ্গের ‘ইন্ডিয়া’ই হল আসল ‘ভোট কাটুয়া’। তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ভেঙে বিজেপির সুবিধে করে দেওয়াই জোটের উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের জোর টক্কর এমন আসনে সংখ্যালঘু প্রার্থী দিয়েছে জোট।
একুশের ভোটের আগে সিপিআই(এমএল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেছিলেন, বিজেপিই বামেদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। অধিকাংশ বামপন্থী নেতা সেটাই বিশ্বাস করেন। ব্যতিক্রম একমাত্র সিপিএম। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই চৌপাট হয়েছে তাদের ৩৪ বছরের সুখের রাজ্যপাট। 
তাই তৃণমূলকে ‘শিক্ষা’ দিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল সিপিএম। উদ্দেশ্য, সংখ্যালঘু ভোট ভাঙা। কিন্তু পারেনি। উল্টে নিজেরাই শূন্য হয়েছে। তা সত্ত্বেও মমতা বিরোধী লড়াইয়ে একটুও অরুচি জন্মায়নি। লোকসভা নির্বাচনেও আইএসএফকে সঙ্গী করতে চেয়েছিল। কিন্তু আসন নিয়ে বোঝাপড়া হয়নি। আইএসএফ জোট ছাড়ায় তৃণমূলের মুসলিম ভোটে থাবা বসাতে আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে সিপিএম ও তার দোসর বঙ্গ কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যে বামেদের শুধু হাঁড়ির হাল করেননি, কংগ্রেসকেও সাইনবোর্ডে পরিণত করেছেন। তাই উভয় দলই ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ নীতি মেনে চলছে। একদা কংগ্রেস-সিপিএম সম্পর্কটা আদায় কাঁচকলায় হলেও এখন তারা ‘মিত্র’। উভয়েরই লক্ষ্য সংখ্যালঘু ভোট কেটে তৃণমূলকে দুর্বল করা।
বিধানসভা ভোটে যারা একটি আসনেও জিততে পারে না, তারা লোকসভা ভোটে দারুণ ফল করবে, এমনটা সম্ভবত বাম-কংগ্রেস জোটের অতি বড় সমর্থকও আশা করেন না। তবে জয়, পরাজয় যাই হোক, সব রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে লড়ে। কারণ নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই যাচাই হয় রাজনৈতিক দলগুলির জনসমর্থন। তাই রাজ্যের সব আসনে কংগ্রেস-সিপিএম জোট প্রার্থী দেবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রহস্যটা লুকিয়ে আছে কিছু কেন্দ্রের প্রার্থী নির্বাচন ও তাঁদের কৌশলী প্রচারে।
কংগ্রেস-সিপিএম জোট বেশকিছু আসনে এমন প্রার্থী দিয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূলের ক্ষতি করাই তাদের উদ্দেশ্য। আর বাংলায় তৃণমূলের ক্ষতি হলে লাভ কার? বিজেপির। কারণ এরাজ্যে মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের। কংগ্রেস-সিপিএম জোট যত বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছে এরাজ্যে বিজেপি ততই শক্তিশালী হয়েছে। 
যে কোনও দেশে বা রাজ্যে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। বাংলায় সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই বিজেপির রোষানলে পড়েছেন মমতা। তাঁর গায়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘সংখ্যালঘু তোষণকারী’ তকমা। সেই কাজে বিজেপি কিছুটা সফলও হয়েছে। সিপিএম ও কংগ্রেসের সৌজন্যে বিজেপি এরাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এবার সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের লক্ষ্য সংখ্যালঘু ভোট ভাঙা। সে কাজে সফল হলে বাংলায় তাদের ‘শূন্য’ করে দেওয়ার জ্বালা হয়তো কিছুটা মিটবে, কিন্তু লাভবান হবে কে? সেই বিজেপিই।
অধীর চৌধুরী বরাবর কট্টর মমতা বিরোধী। তিনি কখনওই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডের সখ্য পছন্দ করেন না। জাতীয়স্তরে মোদি বিরোধী জোট নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস হাইকমান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। এমনকী, বাংলায় এককভাবে লড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও হাইকমান্ড মমতার ব্যাপারে আগ্রহী। কিন্তু অধীরবাবু লাগাতার তৃণমূলকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ তাঁর রাজনীতিতে টিকে থাকার একমাত্র শর্ত, মমতা বিরোধিতা। তাই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস হাত মেলাক, সেটা তিনি কখনওই চান না। তার উপর বহরমপুর কেন্দ্রে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে তৃণমূল প্রার্থী করায় অধীরবাবু তেলেবেগুনে জ্বলছেন। অধীরবাবুর সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাবেন ইউসুফ। সম্ভবত সেই আশঙ্কাতেই তৃণমূলের জয়ের পথে কাঁটা ছড়াতে মরিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অনেক অঙ্ক কষে মুর্শিদাবাদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ সেলিম। গতবার এখানে চতুর্থ স্থানে ছিল সিপিএম। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস এই আসনটি সেলিম সাহেবকে ছেড়েছে। হাত শিবিরের আশা, সেলিম মুর্শিদাবাদে প্রার্থী হওয়ায় সংখ্যালঘু ভোট পেতে কংগ্রেসের সুবিধে হবে। তবে, সেই অঙ্ক মিলবে কি না, সেটা বোঝা যাবে ৪ জুন।
গতবার রায়গঞ্জে জিতেছিল বিজেপি। এবার এটা বিজেপির জন্য ‘টাফ সিট’। তাই সিটিং সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে এখানে প্রার্থী করেনি। তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি থেকে আসা কৃষ্ণ কল্যাণীকে। কংগ্রেস প্রার্থী করেছে ২০২১ সালে ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে পরাজিত আলি ইমরান রমজকে(ভিক্টর)। তিনি বামফ্রন্টের প্রাক্তন মন্ত্রী হাফিজ আলি সাইরানির ভাইপো। অনেকেই বলছেন, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট কাটতেই কংগ্রেসের পোড়খাওয়া নেতার বদলে ভিক্টরকে প্রার্থী করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর সংখ্যালঘু প্রভাবিত। এছাড়াও করণদিঘি ও ইসলামপুরে প্রচুর মুসলিম রয়েছেন। রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল এবং বিজেপি দলের প্রার্থীরা হিন্দু। তাই কংগ্রেস বেশি প্রচার চালিয়েছে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এলাকায়। উদ্দেশ্য, মুসলিম ভোট টানা। আর সেটা করতে পারলেই তৃণমূলের ক্ষতি। কিন্তু বেনিফিট? বিজেপির।
মালদহ উত্তর কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপির খগেন মুর্মু। এবারও খগেনবাবুই বিজেপির প্রার্থী। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুলিসের আইজির চাকরি ছেড়ে আসা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আহমেদ। এখানেও সেই একই অঙ্ক। সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করা। কংগ্রেস সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসালে লাভ হবে কার? বিজেপির। দিল্লির ক্ষমতা দখলের দৌড়ে পিছিয়ে পড়বে কে? কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও তৃণমূলকে আটকাতে মরিয়া বঙ্গ কংগ্রেস। কারণ এখানে বিজেপি নয়, কংগ্রেসের টার্গেট মমতা।
গতবার বোলপুরের চেয়ে বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের মার্জিন কম ছিল। অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি। তাই বীরভূমের দু’টি আসনের দিকে নজর ছিল বিজেপির। তারমধ্যে এক নম্বরে বীরভূম কেন্দ্র। গতবার এই কেন্দ্রের দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, সিউড়ি ও রামপুরহাট এলাকায় এগিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সংখ্যালঘু প্রভাবিত হাসন, নলহাটি এবং মুরারইয়ে তৃণমূলের ভালো লিডের জোরে জিতে যান শতাব্দী রায়। এখানেও সংখ্যালঘু ভোট জোট কিছুটা কব্জা করতে পারলেই তৃণমূল চাপে পড়বে। আর তাতে সুবিধা সেই বিজেপিরই। তাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ক্ষতি হবে জোট ‘ইন্ডিয়া’র। সেই জোটের নেতা কে? কংগ্রেস।
বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গ বিজেপি আওয়াজ তুলছে, ‘নো ভোট টু মমতা’। কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সেই সুরে সুর মেলায়নি, কিন্তু তলে তলে সেই কাজই করে যাচ্ছে। উনিশ থেকে শুরু হয়েছে বামের ভোট রামে পাঠানো। ভোট শিফ্টিং করিয়েও মমতাকে টলানো যায়নি। তাই এখন যে কোনওমূ঩ল্যে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ভাঙতে চাইছে। এই কাজে তাদের উৎসাহ জুগিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের ফল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম জোট কিছু এলাকায় সাফল্য পেয়েছে। কিছু পঞ্চায়েত দখলও করেছে। তারমধ্যে কয়েকটি সংখ্যালঘু এলাকায়। সেই অঙ্কেই লোকসভা ভোটে বুক বাঁধছে জোট নেতৃত্ব। 
লোকসভা নির্বাচন শুরু হতেই প্রধানমন্ত্রীর খোলস ছেড়ে মোদি হয়ে উঠেছেন বিজেপি নেতা। বিভাজনের ভিত মজবুত করতে তিনি সরাসরি মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করছেন। আর তাতেই সংখ্যালঘুদের কাছে এটা হয়ে গিয়েছে ‘মোদি, অর নো ভোট টু মোদি’র নির্বাচন। এটা ব্যক্তিগত ঝাল মেটানোর কোনও নির্বাচন নয়। তাই পঞ্চায়েতের জের টেনে লোকসভা ভোটের অঙ্ক কষলে, তা মিলবে না কিছুতেই।
সিপিএম এবং কংগ্রেস জোট যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করতে মরিয়া তখন হাত গুটিয়ে বসে নেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘও। তারা রীতিমতো লিফলেট ছড়িয়ে প্রচার করছে, ‘আঞ্চলিক দলকে সমর্থনের অর্থ, ভোট নষ্ট করা।’ উদ্দেশ্য স্পষ্ট, তৃণমূলকে বাদ দিয়ে ভোট দাও অন্যদের। এর অর্থ, ‘নো ভোট টু মমতা’ ইস্যুতে বাংলায় আরএসএস, সিপিএম-কংগ্রেস মিলেমিশে একাকার। এই জন্যই বলে, সব শেয়ালের এক রা।
04th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
একনজরে
বেসরকারি বিএড কলেজগুলি নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কমেছে। তবে, এবার বেসরকারি ফার্মেসি কলেজগুলি পড়েছে চিন্তায়। ফার্মেসি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া কলেজগুলি পরিদর্শনে আসছে। এই ব্যাপারে কলেজগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কাউন্সিল। ...

একদিকে মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে তীব্র আন্দোলন ও খরা, অন্যদিকে গোপীনাথ মুন্ডের আবেগ। এই দুইয়ের উপরই নির্ভর করছে বিদ লোকসভা কেন্দ্রের ভাগ্য। ২০০৯ সাল থেকে এই ...

লোকসভা ভোটের প্রচারে পশ্চিমবঙ্গের আনাচে কানাচে ঘুরলেও বহরমপুরে এলেন না মোদি কিংবা অমিত শাহ। হাইভোল্টেজ এই কেন্দ্রে বিজেপির তারকা প্রচারক বলতে ছিলেন একমাত্র উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ...

পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট শিলিগুড়িতে। মেয়র গৌতম দেব ও জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্তের ওয়ার্ড সহ ১১টি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস 
৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয়
৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯১৬: বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদারের জন্ম
১৯২১:  বিশিষ্ট হাস্যকৌতুক অভিনেতা অজিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৫: জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথমবারের মত বিশ্বে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৫৯: বিশিষ্ট কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: অনুশীলন সমিতির সদস্য, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক  মাখনলাল সেনের মৃত্যু   
১৯৭০: বলিউড অভিনেত্রী  পূজা বেদীর জন্ম
১৯৭২: কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৩ - নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবার মৃত্যু 
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৮৫ : বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  
১৯৯২: অভিনেত্রী আদা শর্মার জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা ও গায়ক অ্যামি ভির্কের জন্ম
১৯৯৭: দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক
২০১৮: আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ,তবে প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কোনোও খেলা গড়ায়নি



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৩ টাকা ১০৬.২৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৫ টাকা ৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী ৫২/৩৮ রাত্রি ২/৫। মৃগশিরা নক্ষত্র ১৩/৩ দিবা ১০/১৫। সূর্যোদয় ৫/২/৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী শেষরাত্রি ৪/২৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১২/৩১। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/১৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৩ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/০ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪০ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/২ মধ্যে।
২ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বই ৮১/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:57:00 PM

আইপিএল: ৪০ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ৬৫/১ (৬.৫ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:43:00 PM

আইপিএল: মুম্বই ১৭/০ (২ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:32:15 PM

আইপিএল: মুম্বইকে জয়ের জন্য ১৫৮ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

11:05:00 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট রাসেল, কেকেআর ১২৫/৬ (১৩ ওভার), বিপক্ষ মুম্বই

10:44:58 PM

আইপিএল: ৩৩ রানে আউট নীতিশ, কেকেআর ১১৬/৫ (১২ ওভার), বিপক্ষ মুম্বই

10:41:18 PM