Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। সেই প্রশ্ন রাষ্ট্র পরিচালকদের উদ্দেশে। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ পাই না। সেই সব প্রশ্ন তাই ওইসব সর্বোচ্চ পদে থাকা মানুষদের কানে পৌঁছয় না। তাঁরা যা যা বলবেন, আমাদের শুনতে হবে। অথচ আমরা যে তাঁদের কিছু বলব, সেই সুযোগ নেই। অতএব আমরা কী করি! নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করি। আমার পছন্দের দলের হয়ে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থককে আমি আমার অভিযোগ বলি। 
সে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। আমাকে পাল্টা তার দলের হয়ে আক্রমণ করে। তারপর আমরা নিজেদের ঝুলিতে থাকা সব অস্ত্র দিয়ে একে অন্যকে আক্রমণ করি। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে, আমরা যে নানাবিধ ট্যাক্স দিই, জিএসটি দিই, সেস দিই, তার বিনিময়ে আমাদের রাষ্ট্র জীবনযাপনের কোনটা সুনিশ্চিত করে? খাবার? বাসস্থান? নিরাপত্তা? জীবিকা? কিন্তু আমরা তো নিজেরাই এসব দায়িত্ব পালন করার জন্য সকাল থেকে সারাদিন হন্যে হয়ে লেগে পড়ছি যে যার কাজে। সরকার কী করছে? সরকার কী বলে? তারা বলে, এই করদাতাদের টাকায় উন্নতি হয়। রাস্তা, উড়ালপুল, সেতু, যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর কী কী হয়? এই টাকায় গরিবদের জন্য নানাবিধ প্রকল্প করে সরকার। বিনামূল্যে চাল-গম দেয়। কৃষকদের অনুদান দেয়। ভর্তুকি দেয়। আমাদের দ্বিতীয় প্রশ্ন, তাহলে এই কাজগুলিকে এমনভাবে প্রচার করেন কেন যেন মনে হয় দেশবাসীকে খুব উপকার করা হচ্ছে? দেশবাসীর একাংশের টাকায় অন্য অংশের কল্যাণ করা হচ্ছে। আর বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণে খরচ করা হচ্ছে। তাহলে এই যে অংশটি কষ্টার্জিত টাকা সরকারকে দিচ্ছে, তারা সরকারের থেকে বিনিময়ে কী পাচ্ছে? 
আমাদের পরবর্তী প্রশ্ন কয়েকটি ধাঁধা নিয়ে। রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে একরকম। আর সেই প্রতিশ্রুতি পালনের রূপ বদলে যাচ্ছে কেন? এই ম্যাজিকের কারণ কী? যেমন? ২০১৫ সালে ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল ২০২২ সালের মধ্যেই কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। তা হল না। বরং কৃষক আত্মহত্যাই কিছু কিছু রাজ্যে দ্বিগুণ হয়ে গেল! এই তথ্য নতুন নয়। আসল কথা অন্য। প্রশ্ন হল, এই যে ২০১৫ থেকে ২০২২, কথা ছিল, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। সেটা না হয়ে উল্টে এই সময়সীমায় কৃষকদের জন্য সরকারের চালু করা ফসল বিমার প্রিমিয়াম থেকে দেশের প্রথম সারির বিমা কোম্পানিগুলির মুনাফা কীভাবে দ্বিগুণ হয়ে গেল? সরকারের খাতায় ১৩টি বেসরকারি বিমা সংস্থার নাম প্যানেলভুক্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০টি সংস্থা ২০২২ সালের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে ফেলেছে। অথচ সরকারি বিমা সংস্থা ওই একই সময়সীমায় লোকসান করেছে। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। এটা কী ব্যাপার হল? কীভাবে হল? প্রিমিয়াম বাবদ বিমা সংস্থাগুলি আদায় করেছিল প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। আর বিমার টাকা কৃষকদের দেওয়া হয়েছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এই তথ্য নতুন নয়। আগেই জানা। কিন্তু নতুন প্রশ্ন হল, ঠিক তারপরই গত এক দেড় বছরের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি বিমার প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হল কেন? লাভ তো করবে আবার ওইসব বিমা কোম্পানি? প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনা। দুই প্রকল্পেই কৃষকদের প্রদেয় প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন? ভারত সরকার ঘোষণা করেছিল, সকলের ঘরে বিদ্যুৎ যাবে। আর বিদ্যুৎ হবে উদ্বৃত্ত এবং সস্তা। আদতে ২০২৪ সালে আমরা কী দেখেছি? বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির সিংহভাগের বিগত দেড় বছর ধরে ত্রৈমাসিক এবং বার্ষিক মুনাফা দেড় দু-গুণ করে বেড়ে গিয়েছে। এনার্জি সেক্টরের শেয়ার এক ধাক্কায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ সকলের ঘরে বিদ্যুৎ আসেনি। কারণ কী? সকলের ঘরে পানীয় জলের সংযোগ যাবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। কিন্তু বিগত ৬ বছরে গড়ে ২৭ শতাংশ করে বেড়েছে ওয়াটার ইকনমি। মানে বোরওয়েল, বটলড ওয়াটার এবং ট্যাঙ্কার ইন্ডাস্ট্রি। কারণ কী? 
আমাদের সামান্য সঞ্চয়ের টাকা আমরা হয়তো সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করেছি। সেই টাকা নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য করা হয়। সেই টাকা হঠাৎ কোনও কারণে দরকার পড়ল। আমরা ম্যাচিওরিটির আগেই তুলে নিতে চাইলাম। আমাদের থেকে সরকারি ব্যাঙ্কও কিছু পরিমাণ জরিমানা কেটে নেয় কেন? আমার টাকা, আমি তুলে নিতে পারব না? সরকারি ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করতে গেলে, বারংবার মিউচুয়াল ফান্ড কিংবা অন্য শেয়ার মার্কেট লিঙ্কড ইনভেস্টমেন্টের দিকে গ্রাহকদের ঠেলে দিতে চান কেন? সরকারের ফিক্সড ডিপোজিট প্রকল্প অথবা স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পকে সেরকম লাভদায়ক নয় বলে খোদ সরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী অফিসাররাই  কেন সেগুলোয় প্রবেশ করতে উৎসাহপ্রদান করেন না? গ্রাহককে ঝুঁকিবহুল শেয়ার মার্কেটের রিটার্নের দিকে প্রলুব্ধ করা হয় কেন? এরকম মনোভাব আজ থেকে ১০ বছর আগে তো দেখা যেত না সেরকম? ট্রেনের টিকিট কেটেছি। কোনও কারণে যাত্রা করতে পারব না। এত মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করে কেন রেল? ক্যান্সেলেশন চার্জ হিসেবে? এই যে মাঝখানে 
জানা গেল, রেস্তরাঁয় বাধ্যতামূলক পরিষেবা ট্যাক্স দিতে হবে না, সেটা বন্ধ হয়ে গেল কেন? এই যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যের জিএসটি বেশি বেশি, এর কারণ কী?
আমরা এসব প্রশ্ন করতে পারি না। কিন্তু উত্তর জানি। উত্তর হল, রাষ্ট্র বা সরকার আসলে দেশবাসীকে বোকা মনে করে। তাদের থেকে যথাসম্ভব অর্থ আদায় করে নেওয়াই রাষ্ট্রের আপাতত একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা সাম্প্রতিককালে কোনওদিন দেখতে পাইনি যে, সরকার আমাদের কোনও একটি আর্থিক বোঝা কমিয়ে দিল। অনায়াসে পেট্রল ডিজেলের দাম অনেক মাস আগে কমিয়ে দেওয়া যেত। কমানো হয়নি। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করে নিয়েছে সরকার আমাদের থেকে। ভোটের সময় সামান্য কমিয়ে আমাদের আবার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আমরা তোমাদের বোকাই ভাবি। এই যে দাম কমালাম, আমরা চাই ও জানি তোমরা আমাদের এজন্য ভোট দেবে।রাষ্ট্র আমাদের ধর্মীয় সম্প্রদায়ভিত্তিক উস্কানি দিচ্ছে কেন? আমাদের এটা একটা প্রশ্ন। অর্থাৎ রাষ্ট্র তথা সরকার তথা পরিচালকরা ঠিক কী চায়? আমরা একে অন্যের উপর প্রবল আক্রমণাত্মক হয়ে উঠি তাদের ওই গরম গরম প্ররোচনামূলক কথা শুনে? তারপর কী হবে? আমরা আপনাদের কথা শুনে পরস্পরের সঙ্গে মারামারি কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়লাম খুব উত্তেজিত হয়ে গিয়ে। পরস্পরের কিছু কিছু প্রাণহানি হল। সম্পত্তির ক্ষতি হল। বহু জীবন ধ্বংস হয়ে গেল। তারপর কী? আপনারা রাষ্ট্রের সিংহাসনে বসলেন। আমাদের কী লাভ হবে?  
আপনারা উঁচু মঞ্চ থেকে কখনও বলছেন, দেশ ২০৪৭ সালে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নেবে। তাই আমাদের এখন থেকেই পরিশ্রম করতে হবে। স্যাক্রিফাইস করতে হবে। কারণ এটা নাকি কর্তব্যকাল! আমাদের প্রশ্ন, কেন করতে হবে? আপনারা কী এমন স্যাক্রিফাইস করছেন? আমরা আপনাদের ভোট দিচ্ছি, ট্যাক্স দিচ্ছি, জিএসটি 
দিচ্ছি, আপনারা আমাদের জীবনকে আরামদায়ক করে দেবেন বলে। আমরা তো আশা করেছিলাম এমন একটা ব্যবস্থা করে দেবেন, যাতে সকলের আয় এক ধাক্কায় বেড়ে যায়। সকলের চাকরি পাওয়া সুবিধা হয়ে যায়। বেকারত্ব কমে যায়। জিনিসপত্রের দাম কমে যায়। কিছুই তো হল না। ও হ্যাঁ, সেই যে ২০২২ সালের জুন মাসে বলেছিলেন দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি হবে! সব সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ হয়ে যাবে! সেই প্রতিশ্রুতির কী হল? আজকাল আর বলেন না কেন? আমাদের সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করার কথা সত্যিই কি আপনাদের আছে? নাকি আমাদের দাবার বোড়ের মতো অবিরত ব্যবহার করে করে আসলে নিজেদের ভাগ্যকেই বারংবার জিতিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়ে আমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা হতে চা‌ইছেন? 
03rd  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
সনাতন ধর্ম কি এবার শুদ্ধতা হারাবে?
মৃণালকান্তি দাস

ভারতীয় রাজনীতিতে এই শব্দযুগলের আগ্রাসী রূপ এর আগে কেউ দেখেনি। নরেন্দ্র মোদির সৌজন্যে ভারতবাসীর সেই ‘সৌভাগ্য’-ও হল। দেশে দু’দফা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের ভাষণ শুনলে অন্তত তাই-ই মনে হওয়া স্বাভাবিক। বিশদ

09th  May, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

08th  May, 2024
রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

08th  May, 2024
অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
একনজরে
ন’বছর ট্রফি নেই। কখনও কখনও প্রত্যাশার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি নাইট রাইডার্স। তৃতীয় খেতাবের স্বপ্ন বার বার হয়েছে চুরমার। তবুও দলের উপর আস্থা হারাননি শাহরুখ খান। এক্ষেত্রে তিনি ব্যতিক্রমী ...

একদিকে মারাঠা সংরক্ষণ নিয়ে তীব্র আন্দোলন ও খরা, অন্যদিকে গোপীনাথ মুন্ডের আবেগ। এই দুইয়ের উপরই নির্ভর করছে বিদ লোকসভা কেন্দ্রের ভাগ্য। ২০০৯ সাল থেকে এই ...

পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট শিলিগুড়িতে। মেয়র গৌতম দেব ও জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্তের ওয়ার্ড সহ ১১টি ওয়ার্ডে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র। ...

বেসরকারি বিএড কলেজগুলি নিয়ে জটিলতা অনেকটাই কমেছে। তবে, এবার বেসরকারি ফার্মেসি কলেজগুলি পড়েছে চিন্তায়। ফার্মেসি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া কলেজগুলি পরিদর্শনে আসছে। এই ব্যাপারে কলেজগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কাউন্সিল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় প্রযুক্তি দিবস 
৩৩০: কনস্টান্টিনোপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয়
৯১২: আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন
১৮৫৭: ব্রিটিশদের থেকে দিল্লি দখল করল সিপাহী বিদ্রোহের সেনারা
১৯০৪: স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালির জন্ম
১৯১৫: স্বাধীনতা সংগ্রামী বসন্তকুমার বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯১৬: বাঙালি চিত্রশিল্পী নীরদ মজুমদারের জন্ম
১৯২১:  বিশিষ্ট হাস্যকৌতুক অভিনেতা অজিত চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৫: জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথমবারের মত বিশ্বে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়
১৯৫৯: বিশিষ্ট কবি বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৬৫: অনুশীলন সমিতির সদস্য, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক  মাখনলাল সেনের মৃত্যু   
১৯৭০: বলিউড অভিনেত্রী  পূজা বেদীর জন্ম
১৯৭২: কলকাতায় রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়
১৯৮৩ - নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু ধনঞ্জয়দাস কাঠিয়াবাবার মৃত্যু 
১৯৮৪: স্পেনের ফুটবলার আন্দ্রে ইনিয়েস্তার জন্ম
১৯৮৫ : বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু  
১৯৯২: অভিনেত্রী আদা শর্মার জন্ম
১৯৯২: অভিনেতা ও গায়ক অ্যামি ভির্কের জন্ম
১৯৯৭: দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে
১৯৯৮: পোখরানে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করল ভারত
২০১৬: বাগদাদে আইএসের হামলায় হত শতাধিক
২০১৮: আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ,তবে প্রথম দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় কোনোও খেলা গড়ায়নি



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৩ টাকা ১০৬.২৬ টাকা
ইউরো ৮৮.৪৫ টাকা ৯১.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী ৫২/৩৮ রাত্রি ২/৫। মৃগশিরা নক্ষত্র ১৩/৩ দিবা ১০/১৫। সূর্যোদয় ৫/২/৯, সূর্যাস্ত ৬/৩/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৯/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৮/১৬ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৬ গতে ১/২৩ মধ্যে পুনঃ ২/৭ গতে ৩/৩৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৯ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৭/২৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৯ গতে উদয়াবধি।  
২৮ বৈশাখ, ১৪৩১, শনিবার, ১১ মে ২০২৪। চতুর্থী শেষরাত্রি ৪/২৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১২/৩১। সূর্যোদয় ৫/৩, সূর্যাস্ত ৬/৫। অমৃতযোগ দিবা ৯/১৮ গতে ১২/৪৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/১৩ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ১/৪৯ মধ্যে ও ২/০ গতে ৩/৩০ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪০ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৭ মধ্যে ও ৩/৩০ গতে ৫/২ মধ্যে।
২ জেল্কদ

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: মুম্বই ৮১/২ (১০ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:57:00 PM

আইপিএল: ৪০ রানে আউট ঈশান, মুম্বই ৬৫/১ (৬.৫ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:43:00 PM

আইপিএল: মুম্বই ১৭/০ (২ ওভার), টার্গেট ১৫৮

11:32:15 PM

আইপিএল: মুম্বইকে জয়ের জন্য ১৫৮ রানের টার্গেট দিল কেকেআর

11:05:00 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট রাসেল, কেকেআর ১২৫/৬ (১৩ ওভার), বিপক্ষ মুম্বই

10:44:58 PM

আইপিএল: ৩৩ রানে আউট নীতিশ, কেকেআর ১১৬/৫ (১২ ওভার), বিপক্ষ মুম্বই

10:41:18 PM