Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।
মুখে ঩জনস্বার্থের স্লোগান, আর মনে মনে গাইছে ঠাকুরের গান, ‘তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই।’ ‘সোনার হরিণ’ পাওয়ার
বাসনা অনেক সময়ই ডেকে আনে ভয়ঙ্কর বিপদ। সীতার সোনার হরিণের চাহিদাতেই বেঁধেছিল লঙ্কাকাণ্ড। আবার সেই সোনার হরিণেরই নাগাল পাওয়ার চেষ্টা। মহামারীর চোখ রাঙানিকে পরোয়া না করেই চলছে মিটিং, মিছিল। কর্মী সমর্থকদের জীবন সেখানে তুচ্ছ। তা দেখে জাগছে সংশয়, ফের কি এক লঙ্কাকাণ্ডের দোরগোড়ায়?
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। বড়জোর মাস খানেক হবে। হুগলির এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন, ‘করোনা চলে গিয়েছে। দিদিমণি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিজেপিকে আটকাতে লকডাউন করছেন।’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি যখন এই দাবি করেছিলেন তখন রাজ্যে প্রতিদিন গড় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজার। বেপরোয়া মনোভাবের সৌজন্যে এখন
সাড়ে তিন হাজার। শুধু ভাষণে নয়, বিজেপি নেতৃত্বের আচরণেও করোনাকে উপেক্ষার বার্তা। তাতে
কর্মীরাও হয়েছেন উৎসাহিত। কারণ নেতানেত্রীদের অনুসরণ ও অনুকরণের ঝোঁক অনুগামীদের ম঩ধ্যে সর্বদাই প্রবল। গেরুয়া শিবিরে একটাই লক্ষ্য, বঙ্গজয়। তা দলের কর্মসূচিতেই স্পষ্ট। প্রতিদিন রাজ্যজুড়ে চলছে মিছিল। বলাই বাহুল্য, জমায়েতে মাস্ক পরিহিত কর্মী সমর্থকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। তারই মধ্যে বিজেপির যুব মোর্চার ‘নবান্ন অভিযান’। ভোটারদের প্রভাবিত করতে শক্তি জাহিরের চেষ্টা। তাতে বিজেপির প্রভাব কতটা বাড়ল, সেটা সময় বলবে। কিন্তু, এই সুযোগে করোনা যে তার থাবা আরও প্রসারিত করে নিল, তা হলফ করে বলা যায়।
তবে সুখের কথা, দিলীপবাবু তাঁর মত বদলেছেন। তিনি বুঝেছেন, করোনা আছে এবং তার ভয়ও যথেষ্ট। সেই কারণেই তিনি দুর্গোৎসবে শামিল না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর আশা, করোনা মহামারী থেকে মা দুর্গা দ্রুত উদ্ধার করবেন। এ কথার অর্থ, বিজেপিকে আটকানোর জন্য লকডাউন করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবির পিছনে যুক্তি ছিল না, ছিল রাজনীতি।
করোনা থাবা বসানোর পর রাজ্যের সমস্ত দলই মিটিং মিছিল এড়িয়েই চলছিল। কিন্তু অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভায় বঙ্গ দখলের বার্তা দিতেই গেরুয়া শিবির ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবন ও জীবিকার স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর দোকান খুলে দেওয়ার ঘোষণাকে যাঁরা তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন, তাঁরাই মিটিং মিছিল শুরু করে দিলেন। তারপরেও করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বহুদিন তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেয়নি। রাজনীতিতে কেউই দীর্ঘদিন প্রতিপক্ষকে খেলার জন্য ফাঁকা ময়দান ছেড়ে দেয় না। তাই ফের জমি দখলের লড়াই। একে একে নেমে পড়ল সবাই।
কেন্দ্রীয় সরকার নয়া কৃষি আইন পাশ করামাত্র প্রতিবাদে সরব হল তৃণমূল। ‘কালা কানুন’ বাতিলের দাবিতে মিছিল, মিটিং শুরু করে দিল। হাতরাস ইস্যুতে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়িয়ে দিল অনেকটাই। আর সেই সব মিছিলে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। গায়ে গা লাগিয়ে হাঁটায় সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। তাই করোনা ছড়ানোর দায় বিরোধীদের পাশাপাশি শাসক দলকেও নিতে হবে বইকি।
ইস্যু তৈরিতে বিজেপি এই মুহূর্তে এক নম্বর। সাফল্যের ভাণ্ডার ঠকঠকালেও বিরোধিতার অস্ত্র একেবারে শানিত তরোয়াল। তা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় কোনও কার্পণ্য থাকে না। টিটাগড়ে ‘দলবদলু’ মনীশ শুক্লা খুন হতেই ৩৬৫ ধারার ক্ষেত্র প্রস্তুতের মরিয়া চেষ্টা। মৃতদেহ নিয়ে রাজভবন অভিযানের নামে কলকাতা শহরকে কার্যত লণ্ডভণ্ড করল। কিন্তু, লাভ হল না। তাই ইস্যু জিইয়ে রাখতে সিবিআইয়ের দাবিতে বারাকপুরে মোমবাতি র‌্যালি। তৃণমূলও পাল্টা হিসেবে ‘শান্তি মিছিলে’র নামে বিশাল পদযাত্রা করে শক্তি জাহির করল। তাতে শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা হয়তো কিছুটা চাঙ্গা হলেন, কিন্তু করোনোর বিপদ বাড়ল।
বাম নেতৃত্ব তাদের পার্টি ক্লাসে একটা কথা প্রায়ই দাবি করে, সিপিএম বিজ্ঞান নির্ভর দল। সেই দলের মাথায় রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তিনি একজন চিকিৎসক। তাই সেই দলের কাছে বিজ্ঞানমনস্ক পদক্ষেপই কাম্য। কিন্তু, তারাও একই পথের পথিক। আসলে রাজ্যের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল মিটিং মিছিল করবে, আর করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বামেরা চুপচাপ বসে থাকবে! সেটা করলে যে ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’ স্লোগানের জনকদের গরিমায় ঘা লাগবে। তাই তাঁরাও রাস্তায়।
বামেরা রাজ্যের ক্ষমতা থেকে গেলেও তাদের দ্বিচারিতার স্বভাব থেকেই গেল। একদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে মিছিল মিটিং করছেন। মাস্ক ছাড়াই মিছিলে হাঁটছেন, সভায় ভাষণ দিচ্ছেন। আবার সেই দলের নেতা সূর্যকান্তবাবুই বলছেন, ‘উৎসবে শৃঙ্খলার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।’ এটাই চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্থকে সাবধান করার উদাহরণ, এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।
দ্বিতীয়বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন অধীর চৌধুরী। নেতৃত্বের বলিষ্ঠতার স্বীকৃতিস্বরূপ দল তাঁকে দিয়েছে লোকসভার বিরোধী নেতার মর্যাদা। তাই নিজের রাজ্যে কংগ্রেসকে ফের শক্তপোক্ত জায়গায় দাঁড় করানোর তাগিদ তাঁর থেকেই যায়। সম্ভবত সেই তাগিদ থেকেই তাঁর কলকাতায় মিছিলের ডাক। জবরদস্ত মিছিলে কংগ্রেসের মরা গাঙে জোয়ার না আসলেও সঞ্চারিত হয়েছে ফল্গুধারা। তার সঙ্গে প্রসারিত হয়েছে করোনার থাবাও।
তবে, ইদানীং বিজেপির মিছিল একটু বেশিই হ঩চ্ছে। অবশ্য কারণও আছে। এতদিন দিলীপবাবুই ছিলেন দলের শেষ কথা। এখন আরও একজন ভাগীদার হয়েছেন। মুকুল রায়। ফলে দলীয় মেরুকরণের লড়াইয়ে কোন গোষ্ঠী কর্তৃত্ব করবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। এক গোষ্ঠী মিছিল করে যেতে না যেতেই অন্য গোষ্ঠী সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। যাচাই হচ্ছে, কার পাল্লা ভারী! তাই নিয়ে রাজ্যে রীতিমতো মিছিলের প্রতিযোগিতা চলছে। একে অপরকে টক্কর দেওয়ার লড়াইয়ে মত্ত। আর তার জন্য দিন দিন কঠিন হচ্ছে করোনা মোকাবিলা।
বাংলায় উৎসবের মরশুম শুরু। দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু, শেষ হবে দীপাবলিতে। উৎসব মানেই ভিড়, আড্ডা, আনন্দ। কিন্তু সেই আনন্দ যেন নিরানন্দের কারণ হয়। তাই এবারের উৎসব শুধু আনন্দের নয়, পরীক্ষারও। বাংলার এবং বাঙালির পরীক্ষা।
সংযমের অগ্নিপরীক্ষা। হাততালি দিয়ে, কাঁসর ঘণ্টা বাজিয়ে, প্রদীপ জ্বেলে যে করোনা মোকাবিলা সম্ভব নয়, তা প্রমাণিত। করোনাকে ঠেকাতে গেলে নিয়ম মানতে হবে। উৎসবে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানেও যে বাংলা সংযত থাকতে পারে তার প্রমাণ দিয়েছে
ঈদ ও মহরম। ঘরে থেকেই পালিত হয়েছে ধর্মীয় আচার। দুর্গোৎসবেও ফের একবার প্রমাণ দিতে
হবে। ইতিমধ্যেই মহামিলনের তীর্থক্ষেত্র বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ পুজোয় মঠে সাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। করা হচ্ছে ঘরে বসেই মাতৃদর্শনের ব্যবস্থা। কলকাতার দু’একটি নামী পুজো কমিটিও সেই পথেই হাঁটছে। উৎসবে করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখানোর এটাও একটা রাস্তা।
এই উৎসবই আমাদের সামনে এনে দিয়েছে একটা সুযোগও। শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের। করোনা নিয়ন্ত্রণ করে গোটা দেশ সহ বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছিল কেরল। সেই কেরলও ওনাম উৎসবে সংযম দেখাতে পারেনি। তাই এক ধাক্কায় কেরলের দৈনিক সংক্রমণের হার এক হাজার থেকে বেড়ে ১২ হাজারের কাছাকাছি। শিক্ষার নিরিখে দেশের এক নম্বর রাজ্য কেরল। সেই কেরলও পারেনি। এবার বাংলার পরীক্ষা।
করোনা কেড়ে নিয়েছে বহু অমূল্য প্রাণ। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে করোনা যোদ্ধারা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। প্রাণ হারাচ্ছেন তাঁরাও। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে হাসপাতালে বেডের হাহাকার। এই অবস্থায় উৎসবের দিনে সংযম হারালেই সুনামির বিধ্বংসী শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়বে মারণ ভাইরাস। তখন সমস্ত প্রতিরোধই খড়কুটো। তাই এখন থেকেই হতে হবে সতর্ক। বিপদ থেকে পরিত্রাণের একটাই মন্ত্র, ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।’ 
17th  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
 পুজো নয়, স্যানিটাইজেশনেই জোর দিচ্ছে চকভৃগু প্রগতি সঙ্ঘ। ছোট করে দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি বালুরঘাট শহরের এই ক্লাবটি পুজোর দিনগুলিতে পাড়ায় পাড়ায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে। ...

ইসলামাবাদ: সিন্ধ প্রদেশের পুলিস ইন্সপেক্টর জেনারেলকে (আইজি) ‘অপহরণ’ ঘিরে উত্তপ্ত পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচি। বৃহস্পতিবার পাক রেঞ্জার্সের হয়ে সাফাই দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইজাজ আহমেদ শাহ।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাঁচামালের জোগান কমে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে স্টিল ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পকর্তাদের বক্তব্য, এই উৎপাদন শিল্পে যে কাঁচামাল লাগে, তার ৭০ শতাংশ হল ওয়্যার রড।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: পুজো মরশুমে ডেঙ্গুর দাপট সামাল দিতে পুজো মণ্ডপগুলিকেই নজরদারিতে রাখতে চাইছে রাজ্য পুরদপ্তর। রাজ্য নগর উন্নয়ন সংস্থা (সুডা) বুধবারই এ নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে। পুজোর মণ্ডপের জন্য কোথাও জল জমার সমস্যা হচ্ছে কি না, ভেতরে বা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৭— ব্রিটেনের প্রথম পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হল
১৯১৭—অক্টোবর বিপ্লবের ডাক দিলেন লেনিন
১৯২৯—নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে মহামন্দার সূচনা
১৯৪৪—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: হাঙ্গেরি প্রবেশ করল সোভিয়েতের লাল ফৌজ
২০০২—মস্কোর থিয়েটারে হানা দিয়ে প্রায় ৭০০ দর্শককে পণবন্দি করল চেচেন জঙ্গিরা
২০১২—সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি 
মহামারীর বিষাদ, আক্ষেপের সময়ে এই ধরিত্রীতে আপামর মানুষকে রক্ষা করতে ...বিশদ

05:00:00 AM

আজকের দিনটি কেমন যাবে? 
মেষ: সন্তানের কৃতিত্বে সুখলাভ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। মিথুন: গৃহে অতিথির আগমন ...বিশদ

22-10-2020 - 04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম২০০৮: চিত্রশিল্পী ...বিশদ

22-10-2020 - 04:28:18 PM

 আইপিএল : রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

22-10-2020 - 11:13:45 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১১৮/২ (১৫ ওভার)

22-10-2020 - 10:41:55 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৪০/২ (৫ ওভার)

22-10-2020 - 09:57:28 PM