Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। কতিপয় দেবতার এই মিথ্যা অভিমান নিরসন করার জন্য ব্রহ্ম এক অত্যুজ্জ্বল জ্যোতিরূপে তাঁদের সামনে প্রকাশিত হলেন। এই অপরূপ জ্যোতির স্বরূপ জানতে না পেরে তাঁরা প্রথমে অগ্নিকে জেনে আসতে পাঠালেন। তৎসমীপে এগিয়ে আসতেই জ্যোতির্ময় ব্রহ্ম তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কে তুমি? কেমন তোমার বীর্যবত্তা ও কর্মকুশলতা?’ তাচ্ছিল্যভাবে উত্তর দিলেন অগ্নিদেব, ‘আমি জাতবেদা। পৃথিবীতে যা কিছু আছে আমি সমস্ত কিছুই ভস্ম করতে পারি।’ তখন ব্রহ্ম একটি তৃণখণ্ড দিয়ে অগ্নিকে বললেন, ‘তবে একে দগ্ধ কর।’ সমুদয় বল প্রয়োগ করেও তৃণটি দহন করতে না পেরে অগ্নি মুহ্যমান হয়ে অবনত মস্তকে ফিরে এলেন। দেবগণের অনুরোধে এবার বয়োজ্যেষ্ঠ পবনদেব ব্রহ্মসমীপে পরিচয় জানতে গেলেন। ব্রহ্ম পূর্বে তাঁর নাম ও শক্তি জানতে চাইলেন। অবজ্ঞায় উত্তর দিলেন মাতরিশ্বা, ইচ্ছা করলে জগতের সবকিছুকে বায়ু মুহূর্তের মধ্যে স্থানচ্যুত করতে পারে। ব্রহ্ম তখন বায়ুর সম্মুখে একটি তৃণগাছি নিক্ষেপ করলেন। কিন্তু বায়ু সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেও তা ওড়াতে না পেরে ব্যর্থকাম হয়ে ভয়ে সরে পড়লেন। একই অবস্থা চন্দ্র ও বরুণদেবের। অনন্তর দেবরাজ ইন্দ্র এগিয়ে যেতেই সেই জ্যোতিব্রহ্ম তৎক্ষণাৎ অন্তর্হিত হলেন। ইন্দ্র দেখলেন আকাশে আবির্ভূতা সুবর্ণভূষণে বিভূষিতা কোটিচন্দ্রের সমপ্রভা এক অপরূপা দেবীমূর্তি। ইনি মহামায়া উমা-হৈমবতী। ব্রহ্মশক্তিস্বরূপিণী মহিমময়ী দেবীর নির্দেশে ইন্দ্র জানতে পারলেন এই মহাদেবীর করুণাতেই দেবগণের সমস্ত কার্যে সাফল্য। তাঁর শক্তিতেই তাঁরা শক্তিমান। এভাবে গর্বিত দেবতাদের দর্প চূর্ণ হল।
বৈদিক যুগে শক্তির আরাধনার বীজ যে কতখানি পুষ্পিত হয়েছিল উপরিউক্ত এই সুস্পষ্ট ছবিটি পাওয়া গেল সামবেদীয় উপনিষদে। এখানে ব্রহ্মবিদ্যারূপিণী বহুশোভমানা দেবী উমা-হৈমবতীর দর্শন পাই। ইনিই দেবরাজ ইন্দ্রকে ব্রহ্মজ্ঞান দিয়েছিলেন। সিন্ধু সভ্যতা ও বৈদিক সভ্যতা থেকে উৎসারিত হয়েছিল শক্তি আরাধনার মূল ধারাটি। ‘যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা’ এই অখণ্ড মহতী শক্তি ভক্তজনকে অনুগ্রহ করার নিমিত্ত মহামাতৃকায় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে প্রকাশিত হন। —‘সাধকানাং হিতার্থায় ব্রহ্মণো রূপকল্পনা’। দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী, অন্নপূর্ণা, গায়ত্রী, সাবিত্রী, চামুণ্ডা, চণ্ডী প্রভৃতি নাম ও মূর্তি মাতৃপুজোর এক বিশেষ অভিব্যক্তি। জগন্নিয়ন্ত্রী আদ্যাশক্তি মহামায়া শারদ লগ্নে আমাদের সমক্ষে পুজোর বেদিতে আবির্ভূতা হন মহাশক্তি দারিদ্র্য দুঃখহারিণী জগন্মাতা মা দুর্গারূপে। তিনিই আমাদের সকলের জননী জগৎপালিনী দুর্গতিহারিণী দুর্গা। জগতের সমস্ত দুঃখকে দূর করে যিনি মানবকে আনন্দময় করে তোলেন তিনিই মা দুর্গা।
পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদে মাঙ্গল্যদায়িনী মহাজননীর সর্বদেবময়ী ঈশ্বরীরূপের সর্বাগ্রে পরিচয় পাই। এখানে দেবী অদিতিরূপে চিহ্নিত। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ‘দেবী সূক্তে’ দেবী নিজেকে সর্বশক্তি সমন্বিতা, সর্বস্রষ্টী, জগতের ঈশ্বরী বলে আভাসিত করেছেন। শুক্ল যজুর্বেদে দেবী অম্বিকা শারদা নামেই ধরা দিয়েছেন। তাই এই শরৎকালই যেন মা অম্বিকার এক শোভন ও রমণীয় রূপ। তৈত্তিরীয় আরণ্যকের মহানারায়ণ উপনিষদে পাই, ‘দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপদ্যে।’—আমি দেবী দুর্গার আশ্রয় গ্রহণ করি। তৈত্তিরীয় আরণ্যকের দুর্গা গায়ত্রীতে উল্লেখ দেখা যায়, ‘কাত্যায়নায় বিদ্মহে কন্যাকুমারীং ধীমহি তন্মো দুর্গিঃ প্রচোদয়াৎ।’ এই মন্ত্র শ্রীদুর্গাগায়ত্রী রূপেই বন্দিত। সায়নাচার্যের ভাষ্যমতে দুর্গি ও দুর্গা অভিন্ন।
মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত শ্রীশ্রীচণ্ডীতে দেবী পুজোর সামগ্রিক বিকাশটি সুস্পষ্টরূপে ফুটে উঠেছে। আদ্যাশক্তি মহামায়া গুণ ও কর্মভেদে তিনি কখনও মহাকালী, কখনও মহালক্ষ্মী, কখনও বা মহাসরস্বতী রূপে প্রকাশিতা। তামসীরূপে তিনি মহাকালী, সাত্ত্বিকীরূপে তিনি মহাসরস্বতী আর বাজসীরূপে দেবীর প্রকাশ মহালক্ষ্মীরূপে। চণ্ডীতে দেবী নিজেই তাঁর পরিচয় দিয়ে বলেছেন, ‘আমি আবার দুর্গম নামক মহাসুরকে বধ করে, দুর্গাদেবী নামে বিখ্যাত হব।’
দেবী ভগবতী চণ্ডিকাদেবীর ধ্যানমন্ত্রে তাঁর বৈচিত্র্যময় স্বরূপটি প্রকটিত। যে চণ্ডিকা মধুকৈটভাদি দৈত্যদলনকারিণী, যিনি মহিষাসুরমর্দিনী, যিনি ধূম্রলোচন-চণ্ডমুণ্ডাসুরসংহারিণী, যিনি রক্তবীজ- ভক্ষয়িত্রী, যে শক্তি শুম্ভনিশুম্ভাসুর- বিনাশকারিণী এবং পরমা সিদ্ধিদাত্রী এবং নবকোটি সহচরী পরিবৃতা সেই বিশ্বেশ্বরীদেবী আমাকে পালন করুন। ‘যা চণ্ডী মধুকৈটভাদিদৈত্যদলনী’ ইত্যাদি।
‘জগন্মাতা দুর্গা হতে অভিন্না নব মাতৃকা শক্তি সমষ্টিগত ভাবে নবদুর্গা নামে বিশেষ প্রসিদ্ধ। শ্রীশ্রীচণ্ডীর ‘দেবীকবচ’ স্তোত্রে দেবী দুর্গার নয়টি নাম উল্লিখিত। যথা শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী ও সিদ্ধিদাত্রী। সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা, দেবী দুর্গার এই নয়টি রূপের নামকরণ করেছেন। ‘দুর্গাসি দুর্গ ভবসাগর নৌর সঙ্গা’— দুর্গ বা সঙ্কট হতে যিনি সকলকে উদ্ধার করেন, তিনিই দুর্গা। মাতৃপুজোর ইতিহাস অনুধ্যান করলে আমরা দেখতে পাই সর্বমঙ্গলা এই চিন্ময়ী ভগবতী স্বর্গের অমরগণ, মর্ত্যের রাজন্যবর্গ ও দেশনায়কদের অনিষ্ট নাশনে যুগে যুগে অসুরশক্তিকে বিধ্বংস করে বিশ্ব চরাচরে উদ্ধারকর্ত্রী রূপে পূজিতা ও বন্দিতা হয়েছেন। শ্রীশ্রীচণ্ডীতে আছে, মেধাঋষির নিকট দেবী মাহাত্ম্য বিস্তারিতভাবে শোনার পর রাজ্যহৃত রাজা সুরথ এবং স্বজন পরিত্যক্ত সমাধি বৈশ্য নদীতটে মাতৃদুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি নির্মাণ করে পুষ্পধূপাগ্নি তর্পণ দ্বারা দেবীর পুজো করেছিলেন। মা দুর্গার বর পেয়ে নৃপতি সুরথ ফিরে পেয়েছিলেন রাজ্যপাট আর মুমুক্ষু সাধক সমাধি হয়েছিলেন মুক্তিপদ ব্রহ্মজ্ঞানের অধিকারী। রাজা সুরথ বসন্তকালে মৃন্ময়ী প্রতিমাতে দুর্গা-অর্চনা করেছিলেন বলে তাই এই পুজোর নাম বাসন্তী পুজো। ত্রেতাযুগে মর্যাদা-পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্র সীতা উদ্ধার কামনায় শরৎকালে অকালে দেবীর বোধন করে যে পুজো করেছিলেন তার ধারাবাহিকতা আজও চলে আসছে। তখন থেকেই এই শারদীয়া দুর্গাপুজোর প্রচলন বলে কথিত। বাংলার মহাকবি কৃত্তিবাসের রামায়ণে একশো আট নীলপদ্ম দ্বারা শ্রীরামের দুর্গোৎসবের বিস্তৃত বিবরণ দেওয়া আছে। মহর্ষি বাল্মীকির রামায়ণে রামচন্দ্রের দুর্গাবন্দনার কথা উল্লেখ না থাকলেও দেবী ভাগবত, কালিকাপুরাণ, বৃহদ্ধর্মপুরাণ, বৃহন্নন্দিকেশ্বর পুরাণ, মহাভাগবত পুরাণাদিতে দুর্গাদেবীর অকালবোধনের নানান প্রকারের কথা দৃপ্ত কণ্ঠে বিঘোষিত। ‘রাবণস্য বধার্থায় রামস্যানুগ্রহায় চ’। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে চিরশুভকারিণী দেবী দুর্গা প্রথম প্রকৃতিরূপে বর্ণিত। সৃষ্টির কার্যে প্রকৃতি পাঁচভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। প্রথমে তিনি গণেশজননী দুর্গা, দ্বিতীয় হলেন মহালক্ষ্মী, তৃতীয় সরস্বতী, চতুর্থ রাধা ও পঞ্চম সাবিত্রীরূপে।
ভারতের অখণ্ডতা ও সংহতি রক্ষার প্রথম রূপকার পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রের দুর্গাস্তুতির কথা ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে আলোচিত। এই মহাপুরাণের প্রকৃতিখণ্ডের ৬৬তম অধ্যায়ে আছে, রাসেশ্বর রাধারমণ যশোদাদুলাল, বৃন্দাবনের রাসমণ্ডলে প্রথম মহামায়া মহাজননীর অর্চনা করেছিলেন। ‘প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা। বৃন্দাবনে চ সৃষ্ট্যাদৌ গোলকে রাস মণ্ডলে।’ ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে এই প্রকৃতিদেবী দুর্গাশক্তি সম্বন্ধে দেবকীনন্দন গোপরাজ নন্দকে বলেছিলেন, ‘শ্রীদুর্গা আদিভূতা নারায়ণী শক্তি। আমার এই শক্তি সৃষ্টিস্থিতিপ্রলয়কারিণী। আমার ওই শক্তি হতেই এ সংসারের উৎপত্তি। ইনিই গোলকে রাধিকা, বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মী, কৈলাসে সতী এবং হিমালয়ে পার্বতী। ইনিই আবার সরস্বতী ও সাবিত্রী। বহ্নিতে দাহিকা শক্তি, ভাস্করের প্রজা শক্তি, চন্দ্রে শোভা শক্তি, ব্রাহ্মণে ব্রাহ্মণ্য শক্তি, দেবগণে দেব শক্তি, তপস্বীতে তপস্যা শক্তি—সকলই ইনি। আমার ওই শক্তি গৃহীগণের গৃহদেবতা, মুক্তের বিদ্যারূপা এবং সাংসারিকের মায়া। আমার ভক্তগণের মধ্যে ইনিই ভক্তিদেবী রূপে বিরাজিতা। রাজার রাজলক্ষ্মী, বণিকের লভ্যরূপা, শাস্ত্রে ব্যাখ্যারূপিণী, সাধুগণের সুবুদ্ধিরূপা, মেধাবীতে মেধাস্বরূপা, দাতৃগণের দানরূপা—সকলই ওই শক্তি। এককথায় দুর্গাশক্তি সর্বশক্তিস্বরূপা।’
 লেখক প্রাবন্ধিক ও গ্রন্থপ্রণেতা
22nd  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।   বিশদ

19th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাঁচামালের জোগান কমে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে স্টিল ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পকর্তাদের বক্তব্য, এই উৎপাদন শিল্পে যে কাঁচামাল লাগে, তার ৭০ শতাংশ হল ওয়্যার রড।   ...

 পুজো নয়, স্যানিটাইজেশনেই জোর দিচ্ছে চকভৃগু প্রগতি সঙ্ঘ। ছোট করে দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি বালুরঘাট শহরের এই ক্লাবটি পুজোর দিনগুলিতে পাড়ায় পাড়ায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে। ...

 একা করোনাতেই রক্ষা নেই। তার উপর দোসর হয়েছে নিম্নচাপ। মহাষষ্ঠীর সকাল থেকেই নীল আকাশ ঢেকে গিয়েছে কালো মেঘে। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় এক বছর ভারত কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলেনি। করোনার কারণে বাতিল হয়েছে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ। ২০২১ সালের আগে ভারত কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে না।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৭— ব্রিটেনের প্রথম পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হল
১৯১৭—অক্টোবর বিপ্লবের ডাক দিলেন লেনিন
১৯২৯—নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে মহামন্দার সূচনা
১৯৪৪—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: হাঙ্গেরি প্রবেশ করল সোভিয়েতের লাল ফৌজ
২০০২—মস্কোর থিয়েটারে হানা দিয়ে প্রায় ৭০০ দর্শককে পণবন্দি করল চেচেন জঙ্গিরা
২০১২—সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি 
মহামারীর বিষাদ, আক্ষেপের সময়ে এই ধরিত্রীতে আপামর মানুষকে রক্ষা করতে ...বিশদ

05:00:00 AM

আজকের দিনটি কেমন যাবে? 
মেষ: সন্তানের কৃতিত্বে সুখলাভ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। মিথুন: গৃহে অতিথির আগমন ...বিশদ

22-10-2020 - 04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম২০০৮: চিত্রশিল্পী ...বিশদ

22-10-2020 - 04:28:18 PM

 আইপিএল : রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

22-10-2020 - 11:13:45 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১১৮/২ (১৫ ওভার)

22-10-2020 - 10:41:55 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৪০/২ (৫ ওভার)

22-10-2020 - 09:57:28 PM