Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বৃদ্ধি ছাড়াই সংস্কার
পি চিদম্বরম

একটা ব্যাপারে সবাই একমত হতে পারি যে, নিজের মত, নীতি ও কাজের প্রচারে কোনও শাসক দল এবং সরকার—বিজেপি অথবা মোদি সরকারের মতো সফল হয়নি। এবং, এই উদ্দেশ্যে তারা যে-কোনও পরিমাণ টাকা খরচ করবে, যত দরকার কাউকে উৎপীড়ন করবে, যতটা প্রয়োজন প্রতিপক্ষকে হুমকির মুখে রাখবে এবং যে-কোনও প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে রাখবে। অতিশয়োক্তিটা ওদের কাছে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। অতিশয়োক্তিকে তারা এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা বুঝিয়েছিল, ভারতই ‘পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির বৃহৎ অর্থনীতি’। অথচ, সত্যিটা ছিল এই—ভারতীয় অর্থনীতির দ্রুত পতন হচ্ছে, এই অর্থনীতি অতলে নেমে যাচ্ছে।
এই প্রোপাগান্ডার এক ও একমাত্র উদ্দেশ্য হল নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের মহান নেতাদের উচ্চতায় তুলে ধরা। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে সঙ্গিন অর্থনৈতিক ‘পারফরম্যান্স’ দেখানো মোদিজিকে ‘বোল্ড ইকনমিক পারফর্মার’ রূপে চিত্রিত করার চেষ্টা হচ্ছে। [এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে, আটটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির নিম্ন হারের পরিণামে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি ঋণাত্মক (নেগেটিভ) হয়ে গেল। অর্থাৎ বৃদ্ধি ধনাত্মকের (পজিটিভ) বদলে ঋণাত্মক (নেগেটিভ) হয়ে গেল। এমনকী ওই কোয়ার্টারে ‘ডি-গ্রোথ’-এর হার (-) ২৩.৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াল!] ‘চিয়ারলিডারদের’ দলে সর্বশেষ সংযোজন হলেন বিশিষ্ট পণ্ডিত ডঃ অরবিন্দ পানাগড়িয়া। তাঁর বক্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য হল, ‘মোদিজি সংস্কারক হিসেবে রাও এবং বাজপেয়ির সারিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।’ খেয়াল করুন, ওই তালিকায় ডঃ মনমোহন সিংয়ের কোনও জায়গা হয়নি!
তাঁর যুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ডঃ পানাগড়িয়া পাঁচটি সংস্কারের তালিকা তৈরি করেছেন:
১. পরিশোধে অক্ষমতা এবং দেউলিয়া বিধি (দ্য ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড, সংক্ষেপে আইবিসি): রঘুরাম রাজন রিপোর্ট (২০০৮) থেকে আইডিয়াটি এসেছিল। তারপর সেটা সচিবদের কমিটির (২০১৩) মাধ্যমে ‘ডেভেলপ’ করে একটা খসড়া বিলের (২০১৩-১৪) রূপ নিয়েছিল। এটাকেই একটা আইনে পরিণত করে মোদি সরকার পাস করিয়ে নেয়। এর অনেকগুলো ত্রুটি ছিল। কয়েকটা সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সেসব মেরামত করার চেষ্টা হয়েছে। তবে, এটা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, চলছে। আইবিসির চার বছরের খতিয়ান সন্তোষজনক নয়। এই বিষয়ে খ্যাতি এবং অখ্যাতি—উভয়ই অবশ্যই মোদিজির উপর বর্তায়।
২. শ্রম আইন সংশোধন: আইনের বিধিবদ্ধকরণ (কোডিফিকেশন অফ ল’স) হল একটা প্রশাসনিক কাজ। এটা কোনও যুগান্তকারী সংস্কার নয়। আগে ‘হায়ার অ্যান্ড ফায়ার’ প্রয়োগের জন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম শ্রমিক সংখ্যা দরকার হতো ১০০, এখন সেটাকে বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে। চারটে কোড বা বিধির বাকিগুলোতে উল্লেখযোগ্য কোনও সংস্কার করা হয়নি, যা করা হয়েছে তা ওপর ওপরই বলা যায়। এমনকী যেসব ধনতান্ত্রিক দেশে শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন রয়েছে, সেখানে ‘উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত কারণ’ (গুড কজ) ছাড়া কোনও শ্রমিককেই চাকরি থেকে ছাঁটাই করা যায় না। অন্যায়ভাবে ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে ইউনিয়নগুলো লড়াই করবে। ভারতের মতো দেশ, যেখানে সামান্য সংখ্যক শ্রমিক ইউনিয়নের ছাতার তলায় রয়েছে সেখানে আইনটাই একমাত্র রক্ষাকবচ। এখনও পর্যন্ত একজন শ্রমিককে কেবলমাত্র ‘উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত কারণেই’ (গুড কজ) ছাঁটাই করা সম্ভব। নতুন বিধিগুলোর সৌজন্যে শ্রমিকরা আরও বেশি ক্যাজুয়াল হবেন এবং কন্ট্র্যাক্ট লেবার (ম্যানপাওয়ার সাপ্লায়ারদের মাধ্যমে) বাড়তে থাকবে। চাকরির নিরাপত্তা হল শ্রমিকদের জন্য একটা ‘পাওয়ারফুল ইনসেনটিভ’। চাকরির নিরাপত্তা শ্রমিকের কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সূত্রে কারখানায় প্রোডাক্টিভিটি বা উৎপাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। যে সামান্য নিরাপত্তা শ্রমিকরা ভোগ করেছেন সেটুকুতেও কাটছাঁট করা হচ্ছে। ব্যাপারটা আরএসএস অনুগামী ভারতীয় মজদুর সংঘ অবধি মানতে পারেনি, তারাও এই অন্যায় পরিবর্তনের প্রতিবাদ করেছে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো এবং শ্রমিক শ্রেণীর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানে শ্রম আইন সংস্কার করতে হবে।
৩. কৃষি আইন: নতুন কৃষি আইন সম্পর্কে যত কম বলা যায় তত ভালো। কৃষিপণ্য বেচাকেনা বা প্রোকিওরমেন্টের যে বর্তমান ব্যবস্থা, তাতে অনেক সমস্যা রয়েছে। এর সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু নতুন আইন যে-ওষুধের পরামর্শ দিচ্ছে, তা রোগের থেকেও খারাপ। আমি বারংবার আমার মত জানিয়েছি যে, যেমন তেমন ‘মান্ডি’ সিস্টেম এর কোনও সুরাহা নয়। বড় গ্রাম এবং ছোট শহরগুলোতে হাজার হাজার ফার্মার্স মার্কেট গড়ে তোলার ভিতরেই এর আসল সমাধান। যেখানে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) কমে কেনাবেচা না-করার ব্যাপারে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে একটা সহমত থাকবে। অবাধ নীতি (Laissez faire), কর্পোরেটদের প্রবেশাধিকার এবং সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রতি পরিবেশে ক্রয়-বিক্রয়—সব মিলিয়ে যা দাঁড়ায় তাকে ‘সংস্কার’ বলা চলে না। ডঃ পানাগড়িয়ার যুক্তি আমরা মেনে নেওয়ার আগে, তাঁকে অবশ্যই জানাতে হবে দেশের সেরা কৃষকরা—যাঁরা পাঞ্জাব ও হরিয়ানার লোক—কেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন।
৪. মেডিক্যাল এডুকেশনের সংস্কার: আমি বুঝতে পারছি না মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (এমসিআই) জায়গায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি) আনার মধ্যে কোন আমূল সংস্কার রয়েছে। পূর্বতন এমসিআই অনেক বছর যাবৎ যিনি নিয়ন্ত্রণ করেছেন এবং করছেন, তিনি মোদিজিরই ঘনিষ্ঠ এক মিত্র। এমসিআই সরানোর আইডিয়াটা ইউপিএ জমানার। কমিশনের স্বাধীন কাজকর্মের ভিতরেই এই নয়া পদক্ষেপের প্রমাণ মিলবে। কিন্তু ভয়টা হল—এনএমসি-টাও বিজেপির কব্জায় চলে যাবে, সরকারের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনওভাবে—বিশ্ববিদ্যালয়গুলোসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটেছে।
৫. প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) উদারীকরণ: নরসিমা রাও এবং ডঃ মনমোহন সিংয়ের জমানায় এফডিআই উদারীকরণের প্রতিটি পদক্ষেপে বিজেপি বিরোধিতা করেছিল। বিদেশি লগ্নিকারী সমেত বেসরকারি ক্ষেত্রের সামনে বিমা শিল্পকে উন্মুক্ত করার জন্য প্রথম বিল আনা হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। বিরোধী আসনে থেকে বিজেপি তীব্রভাবে সেটার বিরোধিতা করে আটকে দিয়েছিল! খুচরো ব্যবসায় এফডিআইয়ের বিরুদ্ধেও বিজেপি বলিষ্ঠ প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল। তৎকালীন বাজপেয়ি সরকার এবং আজকের মোদি সরকার—এফডিআই সম্পর্কে মনোভাবের একটা পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। এবং, আমি এটাকে স্বাগতই জানাচ্ছি। কিন্তু ডঃ পানাগড়িয়া তাঁর ‘হিরো’কে এককভাবে মহিমান্বিত করার জন্য যে সংস্কারের দাবি করছেন এটা কোনওভাবেই তা নয়।
আমার মতে, মোদিজি এমন একজন সতর্ক নেতা, যিনি ক্রোনি ক্যাপিটালিজমের ব্যাপারে অত্যন্ত ‘বায়াস’। নয়া একচেটিয়া বাণিজ্য বা মনোপলিকে তিনি সমর্থন করেন। যদি তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে সত্যিকার সংস্কারের দায়িত্ব নিতে চান, লোকসভায় নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার জোরে তিনি সেটা করতেই পারেন—যে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতার সুবিধা না নরিসমা রাও, না মনমোহন সিং দু’জনের কেউই পাননি—এই বিষয়ে একটা তালিকাই পেশ করা যায়। একটা সংস্কার চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হল কি না তা মালুম হয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধির হার কতটা বাড়ল বা তাতে কতটা গতিসঞ্চার হল, সেটা দেখে। সংস্কার বিচারের এই যে প্রশ্নাতীত মান তাতে ডঃ মনমোহন সিং বিশেষভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন—তাঁর জমানায় চরম বৃদ্ধির বছরগুলোই (বুম ইয়ারস) তার প্রমাণ। অর্থনৈতিক সংস্কারকদের উচ্চাসনে স্থান পাওয়ার স্বপ্ন দেখার আগে মোদিজি বৃদ্ধির ব্যবস্থাটা করুন।
 লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী 
19th  October, 2020
উৎসব এবার চেতনার
মৃণালকান্তি দাস 

মন খারাপ। খুব মন খারাপ। সব আছে। অথচ কী যেন নেই! জীবনটা যেন এখন লুডোর গুটি। রোজ শুধু ওঠা-নামার খেলা। সবসময় মনে আতঙ্ক। যত না সংক্রমণে তার থেকে অনেক বেশি প্রিয়জনের থেকে দূরে চলে যাওয়ার। সেই নীলকণ্ঠ পাখিটা উড়ে গিয়েছে অজানা কোন অচিনপুরে। কিন্তু এই দুঃসময়েও মানুষ আগামীদিনের সুদিনের জন্য বুক বাঁধে। তাই তো এবারও মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল পুজোর তোড়জোড়।   বিশদ

বেদ, পুরাণে বন্দিতা মহামায়া দুর্গা
চৈতন্যময় নন্দ

 একদা দেবাসুর-সংগ্রামে ব্রহ্মশক্তির প্রেরণায় জয় হল দেবতাদের। একে বিজয় মহিমা মনে করে অগ্নি, বায়ু, বরুণ ও চন্দ্র এই চার দেবতা অহংকৃত ও গৌরবান্বিত হন। তাঁদের মুখমণ্ডলে কর্তৃত্বের পরিতৃপ্তি। বলদর্পে আচ্ছন্ন হয়ে সেই অমরবৃন্দ ভুলে গেলেন ব্রহ্মশক্তির কথা, যাঁর শক্তি ও অনুকম্পায় তাঁরা এতকাল শক্তিমান। বিশদ

22nd  October, 2020
বাৎসরিক আয়ু ক্রয়ের হাট
হারাধন চৌধুরী

 এবার পুজো হওয়াটা জরুরি। নিয়মরক্ষার হলেও। অন্যথায়, বাঙালি আরও বিষাদে ডুবে যাবে। উৎসব হলে মানুষের কেনাকাটা কিছুটা বাড়বে। যার ভিতরে অর্থনীতির জন্য সুখবর লুকিয়ে থাকে। বিশদ

22nd  October, 2020
পুজো হোক, লকডাউনে থাকুক উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

এবার আমাদের সামনে কঠিন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই এবারের পুজো হোক অন্য পরিবেশে, অন্য মানসিকতায়। বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে একটু আড্ডা, খাওয়া দাওয়া এবং টিভিতেই হোক ঠাকুরদেখা। বিশদ

21st  October, 2020
প্রতিবাদে মাথা নোয়ায় পর্বতও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 নোট বাতিল কিংবা জিএসটির ক্ষেত্রে যে ডোন্ট কেয়ার দাপট মোদি সরকার দেখিয়েছিল, তা আপাতত উধাও। সব ইস্যুতেই এখন বিরোধীদের চরম বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা তাদের ‘একচ্ছত্র’ ইমেজে বড়সড় একটা দাগ! বিশদ

20th  October, 2020
অনেক হারানোর পুজো
হিমাংশু সিংহ

পুজোর ছুটির একটা অদ্ভুত গন্ধ থাকে। উৎসবের অনেক আগে থেকেই সেই গন্ধে ম ম করে বাংলার গাঁ গঞ্জ থেকে শহর সর্বত্র। সেই গন্ধের সঙ্গে আগমনি মিশে তৈরি হয় অদ্ভুত ঘোর লাগানো একটা অপেক্ষার। মা আসছেন। বাঙালির অনেক না পাওয়া ক্ষতবিক্ষত জীবনে এর চেয়ে পরম প্রাপ্তির আর কিছুই হতে পারে না। সেই অপেক্ষার সঙ্গেই মিশে যায় বিদেশে কাজ করা দত্ত বাড়ির ছেলে, দূরে বিয়ে হওয়া পাশের বাড়ির হেমন্তদার মেয়ের ঘরে ফেরার খুশি। 
বিশদ

18th  October, 2020
করোনা রোখার মন্ত্র ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ 
তন্ময় মল্লিক

করোনা মোকাবিলায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলার ও মাস্ককে জীবনসঙ্গী করার পরামর্শ হচ্ছে উপেক্ষিত। সুস্থতার হার ৮৭ শতাংশ। সকলের নজর সেই দিকেই। তাতে সাহসী হচ্ছে মানুষ। বাড়ছে বেপরোয়া ভাব। এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। প্রকট হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের বাসনা। করোনার মধ্যেও ইস্যু পেলেই আন্দোলন। না থাকলে তৈরির চেষ্টা। অভিমুখ রাজ্যপাট। তাই কথায় কথায় মিছিল আর লড়াই।  
বিশদ

17th  October, 2020
অতিরিক্ত দিল্লি নির্ভরতাই বঙ্গ-বিজেপির সঙ্কট
সমৃদ্ধ দত্ত

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মতো ঝোড়ো আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেননি আর কেউই। সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-স্রোত। এই সঙ্কটের মধ্যেই তাঁকে কাজ করতে হয়েছে। তাঁকে অভীধা দেওয়া হয় বাংলার রূপকার। কিন্তু ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, তিনি কৃষিকে অবহেলা করেছেন। তাঁর ১৪ বছরের শাসনকালে তিনি যতটা উন্নতিসাধন করেছিলেন শিল্পে, সেই তুলনায় কৃষির উন্নয়ন কম হয়েছে।  
বিশদ

16th  October, 2020
ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে সব ব্যর্থতা ঢাকা যায় না 
সন্দীপন বিশ্বাস

ব্যর্থতার এক একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে করতে ক্রমেই অতল খাদের দিকে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অ্যান্ড কোম্পানি। অনেকেই অবশ্য মানবেন না যে খাদটা অতল। কেননা ভোটের এখনও অনেকদিন বাকি। কিন্তু তাঁর জনপ্রিয়তার প্রতিদিনই পতন হচ্ছে। সেটা তিনি নিজেও বোঝেন। তাই ইদানীং ছাতি বাজানো, তালি বাজানো বন্ধ করে দিয়েছেন। চেষ্টা করছেন, নানা রকম ভুজুং ভাজুং দিয়ে হারানো গৌরব উদ্ধার করতে।  
বিশদ

14th  October, 2020
ডিজিটাল রঙ্গমঞ্চের কাঠের পুতুল
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ল্যাপটপটা পড়ে আছে টেবিলের উপর। শাটডাউন। খোলা শুধু টপ কভারটা। আপনি অফিস থেকে ফিরে ঘরে ঢুকলেন। জামাকাপড় চেঞ্জ করছেন। এরপর বাথরুম। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে বসলেন বিছানায়...। বন্ধ ঘরে কেউ নেই। কেউ দেখছে না আপনার ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো। 
বিশদ

13th  October, 2020
শাস্তি থেকে অব্যাহতির পীঠস্থান উত্তরপ্রদেশ 
পি চিদম্বরম

গত ২০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির সফদরজং হাসপাতালে এক তরুণী মারা গেলেন। ২২ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এক বয়ানে তিনি জানান, ১৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী নিগৃহীতা এবং ধর্ষিতা হয়েছেন। এই ঘটনায় তরুণী যে চারজনের নামে অভিযোগ এনেছেন তারা তাঁরই গ্রামের ছেলে—উত্তরপ্রদেশে হাতরাস জেলার বুলাগড়ি গ্রামের বাসিন্দা।  
বিশদ

12th  October, 2020
বাংলার বদনাম করার চক্রান্ত রুখে দিন
হিমাংশু সিংহ

ক্ষমতায় না আসতেই গেরুয়া শক্তির গুন্ডামির ন্যক্কারজনক প্রদর্শনী দেখল বাংলার রাজপথ। ক্ষমতায় এলে এরা রাজ্যটাকে কোন নরকে টেনে নামাবে তার একটা সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও মিলল। সেই সঙ্গে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত খেলে গেল রাজ্যবাসীর শিরদাঁড়ায়। বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযানের ছবিগুলো দেখতে দেখতে একসময় মনে হচ্ছিল, এ কোনও গণতান্ত্রিক আন্দোলন, না স্রেফ দাঙ্গা-হাঙ্গামার মহড়া! 
বিশদ

11th  October, 2020
একনজরে
নয়াদিল্লি: ভারতের অত্যাধুনিক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র নাগ-এর সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হল বৃহস্পতিবার। রাজস্থানের পোখরান রেঞ্জে এদিন চূড়ান্ত পর্যায়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা হয়।  ...

 পুজো নয়, স্যানিটাইজেশনেই জোর দিচ্ছে চকভৃগু প্রগতি সঙ্ঘ। ছোট করে দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি বালুরঘাট শহরের এই ক্লাবটি পুজোর দিনগুলিতে পাড়ায় পাড়ায় স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে। ...

 একা করোনাতেই রক্ষা নেই। তার উপর দোসর হয়েছে নিম্নচাপ। মহাষষ্ঠীর সকাল থেকেই নীল আকাশ ঢেকে গিয়েছে কালো মেঘে। তবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কাঁচামালের জোগান কমে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে স্টিল ওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি। শিল্পকর্তাদের বক্তব্য, এই উৎপাদন শিল্পে যে কাঁচামাল লাগে, তার ৭০ শতাংশ হল ওয়্যার রড।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭০৭— ব্রিটেনের প্রথম পার্লামেন্টে অধিবেশন শুরু হল
১৯১৭—অক্টোবর বিপ্লবের ডাক দিলেন লেনিন
১৯২৯—নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে মহামন্দার সূচনা
১৯৪৪—দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: হাঙ্গেরি প্রবেশ করল সোভিয়েতের লাল ফৌজ
২০০২—মস্কোর থিয়েটারে হানা দিয়ে প্রায় ৭০০ দর্শককে পণবন্দি করল চেচেন জঙ্গিরা
২০১২—সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৯ টাকা ৭৪.৬০ টাকা
পাউন্ড ৯৫.১২ টাকা ৯৮.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৭৬ টাকা ৮৮.৮৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫২,০৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৯,৪১০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫০,১৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৩,০৩০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৩,১৩০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী ৩/১৩ দিবা ৬/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৪৯/২৯ রাত্রি ১/২৮। সূর্যোদয় ৫/৪০/১৮, সূর্যাস্ত ৫/১/৪৪। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৫ মধ্যে পুনঃ ৭/১১ গতে ৯/২৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৩০ গতে ১১/২১ মধ্যে। পূর্বাহ্ন ৬/৫৭ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন। 
৬ কার্তিক, ১৪২৭, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০, সপ্তমী দিবা ১১/৫৭। পূর্বষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ৬/৫১। সূর্যোদয় ৫/৪১, সূর্যাস্ত ৫/৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৫ মধ্যে ও ৭/১৯ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১১/৪৩ গতে ২/৩৮ মধ্যে ও ৩/২৩ গতে ৫/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৭ গতে ৩/১৫ মধ্যে ও ৪/৭ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৩২ গতে ১১/২২ মধ্যে। দিবা ৮/৩২ মধ্যে শারদীয়া দুর্গাপুজোর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন। রাত্রি ১০/৫৮ গতে ১১/৪৬ মধ্যে দেবীর অর্ধরাত্রবিহিত পূজা। 
৫ রবিয়ল আউয়ল। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শারদ শুভেচ্ছা ও ছুটি 
মহামারীর বিষাদ, আক্ষেপের সময়ে এই ধরিত্রীতে আপামর মানুষকে রক্ষা করতে ...বিশদ

05:00:00 AM

আজকের দিনটি কেমন যাবে? 
মেষ: সন্তানের কৃতিত্বে সুখলাভ। বৃষ: কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি লাভ। মিথুন: গৃহে অতিথির আগমন ...বিশদ

22-10-2020 - 04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন 
১৯৫৪: কবি জীবনানন্দ দাশের মৃত্যু১৯৮৮: অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জন্ম২০০৮: চিত্রশিল্পী ...বিশদ

22-10-2020 - 04:28:18 PM

 আইপিএল : রাজস্থান রয়্যালস-এর বিরুদ্ধে ৮ উইকেটে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

22-10-2020 - 11:13:45 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১১৮/২ (১৫ ওভার)

22-10-2020 - 10:41:55 PM

 আইপিএল: সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৪০/২ (৫ ওভার)

22-10-2020 - 09:57:28 PM