কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা গাইঘাটার খড়ারমাঠ এলাকায় চোরাচালানের খবর পান। এরপর জঙ্গল লাগোয়া সীমান্তে টহলদারির সময় তিন ব্যক্তিকে মাথায় কিছু নিয়ে বাংলাদেশের দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকতে দেখেন। জওয়ানরা তাদের দাঁড়াতে বললে তারা পালানোর চেষ্টা করে। জওয়ানরা তাড়া করলে পাচারকারীরা ধারালো দা ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে আক্রমণের চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে জওয়ানরা এক রাউন্ড গুলি চালায়। এরপর পাচারকারীরা ভয় পেয়ে অন্ধকার জঙ্গলে খাঁচা ফেলে চম্পট দেয়। জওয়ানরা জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে দুটি খাঁচা উদ্ধার করে। খাঁচার মধ্যে সাদা কাকাতুয়া ছ’টি ও ১৫টি ক্রেসটেড কাকাতুয়া উদ্ধার করেন। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুই প্রজাতির কাকাতুয়া মূলত অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়। শুল্ক দপ্তরকে ফাঁকি দিয়ে চোরাপথে পাখিগুলিকে এ দেশে ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভারতের বাজারে প্রতিটি কাকাতুয়ার দাম দেড় থেকে তিন লক্ষ টাকা। ক্রেসটেড কাকাতুয়ার দাম অনেকটাই বেশি।
মঙ্গলবার রাতে বসিরহাট সীমান্ত এলাকা থেকে জওয়ানরা ৫৪টি লরিকিট পাখি উদ্ধার করেছিল। বিএসএফের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া যেকোনও পাখি বা জীবজন্তুকে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা নিয়ম মেনে ওইসব জীবজন্তুকে চিকিৎসা করার পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে রাখেন। এরপর আইনি জটিলতা না থাকলে ওইসব জীবজন্তুকে সাধারণ দর্শনার্থীদের দেখার জন্য খাঁচায় এনে রাখা হয়। কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রকের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ইস্টার্ন রিজিওনের ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্নি মিত্র বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাখি ও অন্যন্য জীবজন্তু চোরাচালানের সম্ভাবনা বেশি। সেই কারণে বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র